নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
উপরের ছবিদুটিতে একটি মেয়েকে পরম মমতায় পথের বিড়ালটিকে দুধ খাওয়াতে দেখা যাচ্ছে। আমি সেসময় পাশের দোকানে দাঁড়িয়ে চা পান করছিলাম। মাত্র কয়েক ঘন্টা আগে এসেছি মুম্বাই। এটাই আমার এখানে প্রথমবার আসা। ঝরঝরে রোদ্দুরের এক হলদে সকাল। দশটা বা সারে দশটা বেজে থাকবে তখন। দোকানে দাঁড়িয়ে দেখছিলাম মেয়েটি ঝুকে বিড়ালটির মাথায় হাত বুলিয়ে আদর করছে পরম মমতায়। বিড়ালটা কোনও পোষা বিড়াল ছিল না; নোংড়া, রূগণ শরীরের সাধারণ পথের বিড়াল, এলোমেলো ঘোরাফেরা করতে করতে এসে পড়েছে। অনেকেই হয়তো বিড়ালটির শরীর স্পর্শ করার কথাও ভাবতে পারবেন না। সেদিন চায়ের দোকানে চায়ের পেয়ালা হাতে দাঁড়িয়ে দেখলাম, মেয়েটি অকৃত্তিম মমতায় মিনিটের পর মিনিট আদর করে চলেছে অবলা জানোয়ারটিকে। মেয়েটির পরনে নীল রঙের একটি মিনি স্কার্ট, হাটুর দু'ইন্চি ওপর থেকে শুরু। এটাই তার বাহিরাবরন। পোষাকের কথা বললাম এজন্য যে, আমাদের দেশে এমন অনেক মানুষ আছে যারা এ ধরনের আধুনিক একটি পোষাকের মেয়ের যে এতো সুন্দর, মমতাময়ী একটি মন থাকতে পারে, তা ছবিগুলো না দেখলে হয়তো কিছুতেই বিশ্বাস করবেন না। কিছুক্ষণ পর দেখলাম মেয়েটি দশ রূপি দিয়ে এক কাপ দুধ কিনে, যথাসধ্য ফু দিয়ে গরম দুধ ঠান্ডা করে খেতে দিল বিড়ালটিকে। এখানেই বাধল বিপত্তি, বিড়ালটা কিছুতেই সে দুধ খায় না। এদিক ওদিক শুধু মাথা নাচায়, কিন্তু দুধ মুখে লাগায় না। কী বিড়ম্বনা! আবার মেয়েটি যথাসধ্য ফু দিয়ে গরম দুধ ঠান্ডা করে খেতে দিল বিড়ালটিক। এবারও ফলাফল তথৈবচ, বিড়ালটা কিছুতেই খাচ্ছে না। এভাবে কিছু সময় কেটে গেল, তারপর মেয়েটি বিড়ালটিকে ছেড়ে উঠে যেয়ে খানিক দূরে দাঁড়ানো ওর বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে লাগল। বিড়ালটাও দুধ ফেলে নিজের মনে হাটতে হাটতে আরেকদিকে চলে গেল। ঘটনাটা এটুকুই। কেন জানি না সেদিন আড়াই দিনের লম্বা ট্রেন জার্নি শেষে কোলকাতা থেকে মুম্বাই পৌছে চা পান করতে করতে পাঁচ থেকে সাত মিনিটের এই ঘটনাটি খুব শান্তি দিয়েছিল আমাকে, পবিত্রতায় ভরে উঠেছিল মন। নিছক শখের বশে কয়েকটি ছবি তুলে রেখেছিলাম আমার ফোন ক্যামেরায়, তারই দুটি ওপরে দেখতে পাচ্ছেন। লেখাটি পড়ার জন্য ধ্যন্যবাদ। সবার জন্য শুভ কামনা।
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:২২
জগতারন বলেছেন:
হয়তো সে দুধে ভেজাল ছিল তাই বিড়ালটি সেই দুধ খায়নি।
আমি প্রবাসে পথে একটি বিড়ালের বাচ্ছা কুড়ায়ে এনে ফ্রিজ থেকে ঠান্ডা দুধ খেতে দিয়েছিলাম দেখি সে খায় না। পরে একটু গরম করে দেয়ার পরে সে মুখ দিয়ে আবার উঠিয়ে নিয়া আসে। পরে ফু দিয়ে দুধ কিছুটা ঠান্ডা করে দেয়ার পরে সে চূক চূক করে সব দুধটুকু খেছিল। আমিও সেই দৃস্য দেখে একটু শান্তি পেয়েছিলাম।