নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

...

অর্ক

...

অর্ক › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিউটি হত্যার বিচার দ্রুততম সময়ে দেখতে চাই

১১ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:০০



হবিগঞ্জের পনেরো বছরের কিশোরী বিউটিকে ধর্ষণের পর পাশবিক অত্যাচার করে হত্যা করা হয়েছিল। এই তো মাস কতক আগের ঘটনা। মিডিয়ার মাধ্যমে দিবালোকের মতো পরিষ্কার যে, বাবুলই এই অত্যধিক বর্বরোচিত ঘৃণ্য নৃশংস কুকর্ম সংগঠিত করেছে। জানি, আইন আরও স্পষ্ট তথ্যপ্রমাণ চায়। সে লক্ষ্যে পুলিশ কাজ করছে, তদন্ত চলছে। কিন্তু আর কতোদিন! আমরা সকলেই প্রায় নিশ্চিত যে, নরপিশাচ বাবুলই অপরাধী। তাই আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও যথাযথ প্রশাসনের কাছে সবিনয় আবেদন রইলো, প্রয়োজনে রাত জেগে স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে হলেও আপনারা দ্রুততম সময়ে এর তদন্ত ও বিচারকার্য শেষ করে অপরাধীকে শাস্তি দিন। আগামী কোরবানি ঈদের আগেই আমরা অপরাধী বাবুলের শাস্তি কার্যকর হয়েছে দেখতে চাই। এবং এই মানবরূপী পৈশাচিক মনোবৃত্তিসম্পন্ন দানব বাবুলের আর দশজন সাধারণ অপরাধীর মতো মামুলি ফাঁসি না দিয়ে ব্যতিক্রমী কোনও শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক, যা মানুষকে দারুণরকম আলোড়িত করবে। এবং এটা দেখে পরবর্তীতে নতুন কোনও বিউটির প্রাণ ওভাবে কেড়ে নেবার আগে কমপক্ষে যেন শতবার ভাবে সমাজে বাবুলের মতো শাপগ্রস্ত, ঘৃণ্য নরপশুরা। আইন সংশোধন, সংযোজন, পরিমার্জন করে হলেও বাবুলের ব্যতিক্রমী ও সম্ভব্য সবচেয়ে কঠিন শাস্তি দেখতে চাই। ব্রাশ ফায়ারের মাধ্যমে হত্যা করা যেতে পারে ওকে। সবচেয়ে ভালো হয়, যদি মঞ্চ বানিয়ে প্রকাশ্যে সংগঠিত করা যায় শাস্তিটি। একাধিক গুলি করা হোক দানবটাকে, গুলিতে বুক ঝাঁঝরা করে হত্যা করা হোক মানবপিশাচ, কুলাঙ্গার বাবুলকে। মধ্যযুগে ইউরোপে অপরাধীদের এরকম প্রকাশ্য শাস্তির ব্যবস্থা ছিল। অনেক ক্ষেত্রে অপরাধী বাবুলের থেকেও ঢের অল্প অপরাধ করেও এধরণের শাস্তির সম্মুখীন হয়েছিল। ফ্রান্সে একসময় এই সমস্ত অপরাধীদের গিলোটিনে চড়ানো হতো। গিলোটিন অনেকটা আমাদের সুপারি কাটা শস্তার মতো বড়সড় এক ধরণের ধাতব যন্ত্র। প্রায় একইরকম। শুধু ওতে সুপারির জায়গায় মানুষের গলা রাখা হতো, জল্লাদ হাতলটা নিচে নামিয়ে দিলেই ব্যস হয়ে গেল, ধর থেকে পৃথক হয়ে গেল অপরাধীর মাথা। শাস্তি সম্পন্ন হলো। এখানে গিলোটিন নিঃসন্দেহে আবার ফিরিয়ে আনা যেতে পারে, বাবুল ও তার মতো যারপরনাই ঘৃণিত অপরাধীর জন্য। আমার মনে হয়, এটাই সবচেয়ে ভালো, উপযুক্ত শাস্তি হতে পারে মানবপিশাচটার।

আমার মনে হয় এখনই উপযুক্ত সময়- ধর্ষণ, এসিড নিক্ষেপ, শিশু নির্যাতনের মতো অত্যন্ত সংবেদনশীল অপরাধকারী পৈশাচিক মনোবৃত্তিসম্পন্ন যারপরনাই ঘৃণ্য অপরাধীদের শাস্তি প্রকাশ্যে সংগঠিত করার। সীমিত পরিসরে হলেও এটা করা যেতেই পারে। প্রয়োজনে সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে সামান্য অনুষ্ঠান করে হলেও এই পুণ্যকাজ দ্রুততম সময়ে সমাধা করা হোক। অনুষ্ঠান বলতে কেউ যেন নাচগান ভেবে বসবেন না আবার। অনুষ্ঠান এখানে ভিন্ন অর্থে বোঝাতে চেয়েছি। যেমন সারা শহরে মাইকিং করে জানানো, কোথায় কখন কীভাবে অপরাধীকে শাস্তি দেয়া হবে, নাগরিকগণের হাতে হাতে লিফলেট বিলি করা, সড়কের মোড়ে মোড়ে ব্যানার, বিলবোর্ড স্থাপন করা- সেখানে পিশাচ বাবুলের হাত কড়া পড়া কাঁচুমাচু মুখের ছবিসহ শাস্তির ব্যাপারটা ভালোমতো প্রচার করা, ভালো আর্টিস্ট ও উন্নত মানের কালি দিয়ে একইভাবে দেওয়াললিখনও করা হোক (এটা খুবই কাজের একটি প্রচার, দেওয়াললিখন সহজে মোছে না, থেকেই যায়, মুছে না দিলে যুগযুগ থেকে যায়), পোস্টার ফেস্টুনে ভরে দেয়া সমস্ত শহর। তারপর শাস্তি কার্যকরের জন্য মঞ্চ তৈরি করা ইত্যাদি। আর মাইকিংয়ে ভাষ্যকার বলবে, "ভাইসব, আসছে শুক্রবার বাদ জুম্মা, শহরের কলাবাগানে অবস্থিত ঈদগাহ ময়দানে শহরের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে বিউটিকে ধর্ষণ ও পৈশাচিক নির্যাতনের পর হত্যাকারী নরপশু কুলাঙ্গার পিশাচমানব বাবুলকে জনসমক্ষে ব্রাশ ফায়ার/ গিলোটিনে চড়িয়ে মৃত্যু দণ্ড কার্যকর করা হবে। আপনারা সকলেই সবান্ধব আমন্ত্রিত।" স্টেডিয়ামে যেভাবে খেলা দেখে মানুষ, সেভাবে ভিড় করে তারা মানবপিশাচ বাবুলের শাস্তি দেখবো সবাই মুক্ত মঞ্চে। শর্ত একটাই কোনও শিশু ও অনূর্ধ্ব ষোলো বছরের কেউ সেখানে থাকতে পারবে না।

বিউটি ধর্ষণ ও হত্যার বিচার আগামী কোরবানি ঈদের আগেই সম্পন্ন হয়েছে দেখতে চাই। এই রাষ্ট্র ও প্রশাসনকে অবশ্যই তা করতে হবে। নইলে মানুষের মধ্য ক্ষোভ ক্রমশ দানা বাঁধছে, তারা আস্থা হারিয়ে ফেলছে এইসব গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের ওপর- এইসব দীর্ঘসূত্রতার মাধ্যমে প্রকারান্তরে বিচারহীনতার দরুন। এর পরিণাম কিন্তু ভয়ঙ্কর অভিশাপ ডেকে আনবে এই রাষ্ট্রে। সুতরাং সাবধান! বাবুল যেন কোনওমতেই অসাধু পন্থায় পাড় না পেয়ে যায়। যদি এরকম হয়, তাহলে এক পর্যায়ে ক্ষুব্ধ জনগণ আইন নিজেই নিজের হাতে তুলে নিতে বাধ্য হবে। কথায় আছে, ‘দুর্বলের মার সাঙ্ঘাতিক’। আজ দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে মানুষের। এভাবে এক পর্যায়ে যে কোনও সময় ভয়ানক বিস্ফোরণও হতে পারে!

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:০৬

অচেনা হৃদি বলেছেন: স্বপ্ন দেখি সভ্য পৃথিবীর, যেখানে মানুষের মাঝে সত্যিই শুধু মানুষ পাবো, যেখানে মানুষের বেশে কোন অমানুষ থাকবে না ।

১১ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৮

অর্ক বলেছেন: হা হা হা অমানুষ’র সংজ্ঞা যে আসলে কি বা ঠিক কতোটুকু, তা ভাবছি! ধন্যবাদ।

২| ১১ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:১০

মোঃ জিদান খান (অয়ন) বলেছেন: সহমত।

১১ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৫

অর্ক বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩| ১১ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:১৬

বিজন রয় বলেছেন: আপনি সচেতন মানুষ হয়েও বাংলাদেশে দ্রুত বিচার আশা করছেন!!!
আমরাও তো চাই কিন্তু করবে কে?

১১ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৪

অর্ক বলেছেন: দ্রুত আর কোথায় আশা করছি। দ্রুত আশা করলে তো তিন চার মাস আগে যখন ঘটেছিল, তখনই এই পোস্ট দিতাম। ওখানে কয়েক মাস, সামনে আরও দু আড়াই মাস, ছয় মাসে ওরকম একজন ঘৃণ্য অপরাধীর বিচার আশা করাও বাড়াবাড়ি বলছেন!

অতো নিরাশ হবেন না। সাম্প্রতিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বেশ দক্ষতার সঙ্গে মাদক বিরোধী অভিযান চালাচ্ছে। একটা তৃতীয় বিশ্বের জনবহুল দরিদ্র রাষ্ট্রে সবকিছু অতো নিখুঁত আশা করা বোকার স্বর্গে বাস করারই শামিল। আমি হতাশ নই, ক্ষোভ নিশ্চয়ই আছে, তবে সাম্প্রতিক পুলিশ প্রশাসনের কার্যক্রম আমাকে আশাবাদী করেছে। এই আন্তরিকতা সর্বক্ষেত্রে ধরে রাখতে হবে।

ধন্যবাদ।

৪| ১১ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৭

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: কিন্তু এর মধ্যে পত্রিকাতে এসেছে এই ঘটনা নাকি বিউটির পিতাই লোক দিয়ে করিয়েছে...

১১ ই জুন, ২০১৮ রাত ১০:৩৩

অর্ক বলেছেন: আমরা অপরাধীর দ্রুততম সময়ে শাস্তি দেখতে চাই। দ্রুততম সময়ে তদন্ত প্রক্রিয়া, বিচারকার্য ইত্যাদি শেষ করে অপরাধীর শাস্তি দেয়া হোক।
ধন্যবাদ।

৫| ১১ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০০

চাঁদগাজী বলেছেন:


অশিক্ষা ও দারিদ্রতা বাংলাদেশের মানুষকে নির্বোধ পাষন্ডে পরিণত করেছে! ৪৭ বছর মানুষ তার দরকারী সুযোগটুকু পায়নি, সামান্য কইছু লোকজন সব সুযোগ দখল করে রেখেছে।

১১ ই জুন, ২০১৮ রাত ১০:৩৫

অর্ক বলেছেন: খুব সত্য কথা। কিন্তু এখান থেকেই ঘুরে দাঁড়াতে হবে সবাইকে। বাংলাদেশের সামনে আর কোনও বিকল্প নেই। ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.