নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সেলিনা জাহান প্রিয়া , জন্ম পুরান ঢাকা, নাজিরা বাজার , নানা বাড়িতে ।বাবার বাড়ি মুন্সী গঞ্জ , বড় হয়েছি ঢাকা ।স্বামীর বাড়ি কিশোরগঞ্জ ।ভাল লাগে ঘুরে বেড়াতে , কবিতা , গল্প , উপন্যাস পড়তে অজানাকে জানতে । ধর্ম বিশ্বাস করি কিন্তু ধর্ম অন্ধ না ।

সেলিনা জাহান প্রিয়া

পৃথিবির প্রতিটি গল্পের শুরু আছে শেষ নাই শুধু। আমার লিখা কবিতার সাথে গল্পের সাথে আমার জিবনের কোন মিল নেই , আমি লিখি লিখিকা হবার জন্য নয় । ভাল লাগে তাই । অনেকই মনে করে আমি ব্যক্তি জীবনে খুব কষ্টে আছি । আসলে সুখ দুঃখ নিয়েই জীবন ।, অন্য ১০ জন মানুষের মতেই আমার জীবন ।

সেলিনা জাহান প্রিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে মিশে হাওরের জলজ বাস্তুতন্ত্রের মারাত্মক বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে বলে মত দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। এমন অবস্থায় জরুরিভিত্তিতে এবং পরিবেশসম্মত প্রক্রিয়ায় এই রং অপসারণের সুপারিশ করেছেন তারা।

পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযোগ, আলপনা অঙ্কনের আগে পরিবেশ অধিদপ্তর তো নয়-ই, রাস্তাটি যে সংস্থার অধীনে সেই সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগেরও অনুমতি নেওয়া হয়নি। এমনকি স্থানীয় প্রশাসনকে না জানিয়েই বৈশাখের এই আলপনা করেছে বেসরকারি তিনটি প্রতিষ্ঠান।

গত রোববার পরিবেশ অধিদপ্তর, কিশোরগঞ্জ সরেজমিন পরিদর্শন করে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেছে। সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল মতিন স্বাক্ষরিত প্রতিবেদনে বলা হয়, রাস্তাটি হাওরের মাঝখান দিয়ে চলমান থাকায় আলপনার এসব রঙের চূড়ান্ত নির্গমনস্থল হাওরের পানি। রোদের তাপে, বৃষ্টি ও যানবাহনের চাকার ঘর্ষণে জমাট বাঁধা শুকনো রঙের আস্তরণ ভেঙে ছোট ছোট কণা বা ফাইন ডাস্ট অবস্থায় হাওরের জমিতে পতিত হবে এবং মাটির সঙ্গে মিশে যাবে, যা পরবর্তী সময়ে পূর্ণ বর্ষায় হাওরের পানিতে মিশ্রিত হবে। হাওরের পানি বাতাসের গতির সঙ্গে প্রবহমান থাকে বলে রঙের ক্ষুদ্র কণা পানির সঙ্গে অনবরত অদ্রবণীয় অবস্থায় মিশে পানির স্বচ্ছতা নষ্ট করবে। এতে পানির গভীরে সূর্যের আলো পৌঁছাতে না পারায় জলজ বাস্তুতন্ত্র মারাত্মক বিপর্যয়ের মুখে পড়বে। হাওরের সুরক্ষায় যে কোনো পরিবেশসম্মত প্রক্রিয়ায় সড়কে অঙ্কিত আলপনার রং দ্রুত অপসারণ করতে প্রতিবেদনে সুপারিশ করা হয়

হাওরের সড়কে বিশ্বের দীর্ঘতম আলপনা অঙ্কনের কাজটি বাস্তবায়ন করে বার্জার পেইন্টস, বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশন ও এশিয়াটিক এক্সপেরিয়েন্সিয়াল মার্কেটিং লিমিটেড। গত ১২ এপ্রিল আলপনা অঙ্কনের কাজটি উদ্বোধন করেন সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির কালবেলাকে বলেন, প্রতিবেদনে যে বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে, তার সঙ্গে একমত। রাস্তার রঙের শেষ গন্তব্য হাওরের পানি। সুতরাং রঙের যে রাসায়নিক, তা অবশ্যই হাওরের বাস্তুসংস্থানের জন্য ক্ষতিকর। আসছে মৎস্য প্রজনন মৌসুমে মা মাছের ক্ষতির কারণ হয়ে উঠতে পারে। রং অপসারণের যে সুপারিশ করা হয়েছে, তা বাস্তবায়ন করা গেলে সাধুবাদ জানাব।
-----সুত্র কাল বেলা

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১২:৩৬

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: এদেরকে এ কূ-বুদ্ধি দিলো কে?

২| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১২:৩৭

সেলিনা জাহান প্রিয়া বলেছেন: এদের বুদ্ধি দিতে হয় না- এরা মায়ের গর্ভ থেকে জ্ঞান নিয়ে জন্ম নেয় আর আমাদের বাঁশ দিয়ে শান্তি পায় ।।

৩| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১২:৫৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

রাস্তার রং কি পরিবেশ দূষণ করে?
এই অদ্ভুত কথা শুনেছেন?

সমগ্র পৃথিবীতে রাস্তায় রঙ করা হয়। রোড মার্কিং ল্যান্ড মার্কিং রাস্তার লেন মার্কিং, অনলি মার্কিং। করা হয় প্রচলিত রং দিয়ে ই। উন্নত দেশে বড় বড় শহরে সাইকেল লেন এবং বাস লেন আলাদা ভাবে লাল এবং সবুজ রং করা হয় সম্পূর্ণটা।
ইন্ডাস্ট্রিয়াল রং যদি প্রকৃতই ক্ষতিকর হত তাহলে সমগ্র পৃথিবীতেই রংকে নিষিদ্ধ করা হতো।
সামান্য রাস্তার রং উঠে গেলে তো আর একবারে উঠবে না অল্প অল্প করে মাঝে মাঝে উঠবে। ক্ষতি তো দূরের কথা কিছুই হবে
না।

আসল ব্যাপার হচ্ছে গাত্রদাহ।
সভ্যতার সংস্কৃতি বিজ্ঞান বিরোধী তালেবানিসদের উদযাপন গাত্রদাহ।


৪| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:৩৪

আরেফিন৩৩৬ বলেছেন: রাস্তার রং কি পরিবেশ দূষণ করে?
এই অদ্ভুত কথা শুনেছেন?[/sb
পরিবেশ অধিদপ্তরও তালেবান। আপনি পচুর কিউট চারুকলার বিজ্ঞানী। আপনাকে সাকার মাছের দাওয়াত রইলো। রোডের রঙ আর পেইন্টিং এর রঙ এক হলো? বিটুমিনের সাথে মেশানো রঙ আর আস্তরণের রঙ এক? কইত্তে কি শিখেন?

৫| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:৪৩

আমি নই বলেছেন: আফসোস, যারা নিজের ভালো বোঝেনা তারাই আবার বড় বড় কথা বলে। একেতো হাওরে রাস্তা করাই উচিৎ হয় নাই, তার উপর আবার আলপনা।

উপরে একজন গান্ডু চলে আসছেন, নিজেতো থাকে আমেরিকায় সুতরাং এই দেশের পরিবেশ থাকলেই কি আর না থাকলেই কি।

৬| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:৫৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: @হাসান কালবৈশাখীঃ আপনেগো আম্রিকাতে ইন্ডাস্ট্রিয়াল রং দিয়া রোড মার্কিং করে? আপনে নাকি আবার এন্জিনিয়ার, কইথিকা পাশ করছেন?
আপনের জানার জন্য কই, রোড মার্কিং করে থার্মোপ্লাস্টিক পেইন্ট দিয়া, এইটা রাবার জাতীয় ম্যাটেরিয়াল দিয়া তৈরী। এগুলি সাত/আট বছরেও কিছু হয় না। হাওরের ওই রং দুই সপ্তাহ পরেই উইঠা গিয়া পানিতে মিশবো। কথা হইতেছে হাওরের জীব-বৈচিত্রের ক্ষতি নিয়া। উন্নত বিশ্বে হাওরের মইদ্দে দিয়া এমন রোড বানায়া ইন্ডাস্ট্রিয়াল রং দিয়া রোড মার্কিং করে?

সবকিছুতেই তালেবান দেখেন, আমার তো আপনের মানসিক সুস্থতা নিয়াই সন্দেহ হইতাছে। আচ্ছা, নিউইয়র্কে গান্জা কি লিগাল কইরা দিছে? =p~

৭| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:০১

অহরহ বলেছেন: প্রতি বছর টঙ্গীর তবলিগ জামাতের লোটা-কম্বল ওয়ালা ছাগলগুলো হাগু মুতু,খাবারের বর্জ্য দিয়ে তুরাগ নদীকে নর্দমায় পরিণত করে। তাতে কিছু যায়/আসে না? কোরবানীর নামে যত্রতত্র পশু জবাই দিয়ে সারা দেশকে আস্তাকুরে পরিনত করে, তাতেও কোন সমস্যা হয় না।

সমস্যা শুধু পহেলা বৈশাখ নিয়ে, যত্তসব গাধার দল!!

৮| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:২৪

অধীতি বলেছেন: লেখক বলেছেনপ্রতি বছর টঙ্গীর তবলিগ জামাতের লোটা-কম্বল ওয়ালা ছাগলগুলো হাগু মুতু,খাবারের বর্জ্য দিয়ে তুরাগ নদীকে নর্দমায় পরিণত করে। তাতে কিছু যায়/আসে না? কোরবানীর নামে যত্রতত্র পশু জবাই দিয়ে সারা দেশকে আস্তাকুরে পরিনত করে, তাতেও কোন সমস্যা হয় না।
সমস্যা শুধু পহেলা বৈশাখ নিয়ে, যত্তসব গাধার দল!!


পহেলা বৈশাখের নাম করে প্রকৃতি ধর্ষণ করে দিবেন সেটা খুব ভালো হবে তাইনা? ইতিহাসে হাগু-মুতুতে প্রকৃতিক সার আছে , আর পশুর বর্জ্যে কাক, শকুনের মত প্রাণীদের খাবার জোটে।

এই লেখায় কোথায় পহেলা বৈশাখের বিরোধিতা করা হয়েছে? এই পহেলা বৈশাখে ক'জন "হালখাতা" অনুষ্ঠান সম্পর্কে ভেবেছে? আল্পনা করে ক'জন কৃষকের জন্য বাংলা পঞ্জিকা ছেপেছে? আপনি কয়জনকে পহেলা বৈশাখের নিমন্ত্রণ পত্র দিয়েছেন? আপনি প্রতিদিন বাংলা তারিখ লিখেন?
আর কিছু বল্লাম না আগে এগুলোর উত্তর দিন।

৯| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
থার্মোপ্লাস্টিক পেইন্ট আর সাধারন দেয়ালে লাগানোর প্লাস্টিক পেইন্ট মুল উপাদান একই।
আর ভিন্ন উপাদান হলেও সমাস্যা হইতনা কারন কোন পেইন্টই বিষাক্ত নয়। বরং পরিবেশ বান্ধব, বেডরুমে দেয়ালে শিশুরা হাত লাগার পরেও হাত মুখে দিচ্ছে। অবস্যই পরিবেশ বান্ধব,
হাওরের চার পাশে যে হাজার হাজার বাড়ি ঘর রয়েছে তারাও ঘরে রং প্লাস্টিক পেইন্ট করে
প্লাসটিক পেইন্টে পরিবেশ দুষন হয় না।
এরপরেও যদি বদ্ধপরিকর হয়ে মনে করেন দুষন হচ্ছে তাহলে সারা দেশে রঙের ব্যাবহারে বিপক্ষে তিব্র আন্দোলন গরে তোলা উচিত। সারা বিশ্বে রঙের ব্যাবহার নিষিদ্ধ করা আন্দলন শুরু করেন।
সেটা না করে শুধু মঙ্গল শোভাযাত্রা আর বৈশাখের আলপনার বিপক্ষে গেলে এটাই বুঝা যায় আপনারা তালেবানি এজেন্ডা প্রচার করছেন। আপনাদের উদ্দেশ্য মোটেই পরিবেশ রক্ষা নয়, আপনার উদ্দেশ্য ভিন্ন, যা ইহজনমে এই স্বাধীন বাংলাদেশে সফল হবে না।

১০| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: কোন পেইন্টই বিষাক্ত নয়। বরং পরিবেশ বান্ধব দুইটা আর্টিকেল দিলাম, পইড়া গেয়ান অর্জন করেন।
House Paint Has a Microplastic Problem
Thermoplastic paint good for the environment

আবার পরিবেশ দূষনের জন্য সব সময়ে বিষাক্ত বস্তু জরুরী না। বুড়িগঙ্গা দূষিত হইছে মূলতঃ প্লাষ্টিক বর্জ্যে। এগুলি সরাসরি বিষাক্ত না, কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর।

সারা বিশ্বে রঙের ব্যাবহার নিষিদ্ধ করা আন্দলন শুরু করেন। এইটা নিয়া যা কইতে চাইছিলাম, তা শুনলে আপনের ভালো লাগবো না। :P

বেডরুমে দেয়ালে শিশুরা হাত লাগার পরেও হাত মুখে দিচ্ছে। বিষ পরিমানমতো খাইলে খাড়ার উপ্রে শেষ, বছরের পর বছর বিন্দু বিন্দু খাইলে আপাতঃদৃষ্টিতে কিছুই হয় না। সিগারেটের নিকোটিন এর সর্বোৎকৃষ্ট উদাহরন। তবে আপনেরে এইসব কয়া লাভ নাই। আপনে সব সময়ে একটা প্রি-কনসিভড ধারনা নিয়া তর্ক করতে আসেন। এইজন্য আপনের প্রচুর কথাও শুনতে হয়, তারপরেও কোন হুশ নাই। উদাহরন...........ওসি প্রদীপের মেজর সিনহা হত্যাকান্ড নিয়াও আপনে পোষ্ট দিয়া একই কান্ড ঘটাইছিলেন।

এইজন্যই আপনের সাথে কথা কয়া লাভ নাই। বুদ্ধি প্রতিবন্ধী হওয়া কোন ভালো জিনিস না। সময়ের টানাটানির পরেও কিছু কথা কইলাম। উলুবনে সাধারনতঃ আমি মুক্তা ছড়াই না, তারপরেও.....................!!! :-B

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.