নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

...

অর্ক

...

অর্ক › বিস্তারিত পোস্টঃ

শতরূপা

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:৫৮



অনেকদিন পর বিমানবন্দর। কিন্তু উড়োজাহাজ ধরতে নয়, রেল স্টেশনে। (ট্রেন ধরতেও নয়! হে হে হে।) ভরদুপুরে অবুঝ শিশু রেখে জনৈক পিতা গেছে পুতুল নাচ দেখতে। ট্রেন লেট। মা’র কোলে শিশু কাঁদছে, বাবা বাবা। এদিকে স্বামীবর ফোনে সাফ জানিয়ে দিলো যে, শো শেষ না হলে আসতে পারবে না কিছুতে।

স্টেশনের সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ চলছে। এ্যাকুরিয়াম, কৃত্রিম ঝর্ণা, রঙিন ফোয়ারা, বনসাই ইত্যাদি যুক্ত হবে। তার হুলস্থুল। পাশে উস্কোখুস্কো চুলমাথার লুঙ্গি পরা শীর্ণকায় দুজন লোক নোয়াখালীর আঞ্চলিক ভাষায় কী নিয়ে যেন গভীর আলাপরত। দারুণ উদ্বিগ্ন চেহারা। ট্যাহা শব্দটি বারবার ঘুরেফিরে আসছে।

‘শুভ্র’ হঠাৎ কেউ ডাকলো উচ্চস্বরে। ফিরলাম। কিন্তু কেন! আমার নাম শুভ্র নয়। কেন ফিরলাম? কিন্তু.. উমম.. আজ যে কী হয়েছে, এদিকসেদিক যতোবার তাকাচ্ছি ঠিক বাঁকের মুখের বিলবোর্ডগুলোতে চোখ যাচ্ছে। রোদচশমার বিজ্ঞাপন। স্বল্প বসনা লিনথিন দেহসৌষ্ঠবের অধিকারী সুন্দরী তরুণীরা স্মিত মুখে, চকচকে রোদচশমা চোখে।

ভাবছি, রোদচশমা কিনতে যাবো শতরূপায়। কিন্তু আগেরবার লাটিম কেনার সময় খুব করে কান মলে দিয়েছিলো বদখত চেহারার পাশবিক প্রবৃত্তির বিক্রেতা। চিবিয়ে চিবিয়ে বলেছিলো, ‘এটা শতরূপা হে। শতরূপা। এখানে গায়ের দামে পণ্য বিক্রি হয়। দরদাম করেছো তো খাও কানমলা।’ কানমলা।

তবু শতরূপাতেই যাবো। মুদ্রিত মূল্যে ক্রয় করবো পণ্য, নাহলে দেয়াল ঘেষে সন্তর্পণে ফিরে আসবো। কিন্তু দরদাম করছি না কিছুতেই! হো হো হো।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:৩৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: কই থিকা কই আসলা হে !!!
বিমান বন্দর, রেলওয়ে স্টেশন , বন্দর সব পেরিয়ে শতরূপা তেই যেয়ো। তোমাকে শুভ্র নামে ডাকবে বলে কেউ নিশ্চয়ই সেখানে অপেক্ষায় আছে।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:২৪

অর্ক বলেছেন: ভালো পরামর্শ। মনে রাখবো। অনেক অনেক ধন্যবাদ ও সঙ্গে শুভেচ্ছা নতুন বছরের। আপনজনদের নিয়ে চমৎকার কাটুক।


বেশ আগে একটি কবিতায় লিখেছিলাম,

"
তোমরা মুগ্ধ স্বরে কথা বলছো, অদূরস্থ ওই হলুদ বাতির ল্যাম্পোস্টের নিচে, পাশাপাশি নির্দিষ্ট দূরত্বে দাঁড়িয়ে। দারুণ শৈল্পিক-শৃঙ্খলাবদ্ধ তোমাদের অবস্থান। তোমরা পৃথিবীর কতিপয় শ্রেষ্ঠ নাগরিক। তোমরা নিয়ম ভাঙো না।

কেমন যেন ধোঁয়াধোঁয়া আজকের সন্ধ্যেটা, সাথে তোমরাও। যেন দাঁড়িয়ে আছো, সুদূর কোনও গ্রহের বাস স্টপেজে। অপেক্ষা করছো কাঙ্খিত বাসের। তোমাদের গন্তব্যও এক, নেমে যাবে দুই স্টপেজ পরের জীবননগর স্টেশনে। বিরাট গ্রাম জীবননগর, জনসংখ্যাও অনেক। (অল্প পথ, হেঁটেও যেতে পারতে।)...
"
বহুবার বহুভাবে বহুজন "শুভ্র" ডেকেছিলো। আমার সে সব রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা, সে সব মধুময় স্বর্ণালি স্মৃতি জীবনভর আন্দোলিত করবে। সময়ের সাথে সেগুলো আরও গভীরতা পাবে। যেমন পেয়েছে। আমি দেখি, ছায়া ছায়া কুয়াশাচ্ছন্ন শীতার্ত অচিন এক শহরে সোডিয়াম জ্বলা রহস্যময় লাল ব্রিজ। ওর প্রতিটি ল্যাম্পপোস্টের নিচে ওরা আজও অপেক্ষমাণ আমার জন্য। আহ্, প্রতিটি মুহূর্তে আমরা যেন হাজার বছর একসাথে ছিলাম। ফুলের মতো নরম কোমল শুদ্ধ এ পরিচয় এ নিভৃত আলাপন আমাদের পৃথিবীর বুকে সুবিশাল মহিরুহ হয়ে বেঁচে থাকা জরুরি।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:১৪

অর্ক বলেছেন: পরবর্তীতে কেউ এখানে এটা পড়লে আমাদের মন্তব্য দেখে বিভ্রান্ত হতে পারে। লেখার বিষয়বস্তু সম্পূর্ণ ভিন্ন। আমরা যা বলেছি, নিশ্চিতরূপেই তা নয়। ওরকম ধারণা নিয়ে লেখা হয়নি। লেখার ওপর আপনার মন্তব্যের সম্মানে প্রতিমন্তব্যে ওগুলো বলা।

আবারও ধন্যবাদ আপু। ভরপুর শুভেচ্ছা আগামীর।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.