নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

...

অর্ক

...

অর্ক › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রতিবন্ধী ফুটবল কোচ

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:৫৭



তারপর কতো শুক্রবার এলো গেলো। শেষ কবে তুমি আমাকে ভেবে দীর্ঘশ্বাস ফেলেছিলে, আমি জানি না। তবে ঠিক জানি যে, আসছে শুক্রবার আমাকে মনে পড়বে। যদি পারো, সেদিন ভোরে উঠে বাড়ির নিকটবর্তী রাস্তায় দাঁড়িয়ো। দেখবে, ভীষণ নির্জন চারপাশ। গুটিকয় লোক ইতিউতি। দুয়েকটি রিক্সা ভ্যান অতর্কিত সা ক'রে ছুটে যাচ্ছে। ফুটপাত ধ’রে সাবধানে হেটো কিছুক্ষণ। ভালো লাগবে। সেদিন নির্ঘাত খুব শীত থাকবে শহরে। শীতে জবুথবু হবে সুদূর কুনমিং শহরও। তুষারপাত হবে অলিম্পিক ভিলেজে। টিভিতে দেখাবে বিস্তারিত। জুম্মার নামাজের সময় বাইরে থেকো না। নেহাত দরকার হলে পর্দা ক’রো। বিকেলে খেলার মাঠে যেয়ো। শুক্রবার সাধরণত দু’দলের মধ্যে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। ভাগ্য প্রসন্ন হলে পেতে পারো। মাঠের এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে উপভোগ ক’রো খেলা। আর ভিড়ের মধ্যে এদিকওদিক তাকালেই চোখে পড়বে, সেই প্রতিবন্ধী ফুটবল কোচকে। ভদ্রলোকের একটি হাত নেই। দেখবে, গভীর মনোযোগ দিয়ে খেলা দেখছে। অনুমেয় যে, নিজেও একসময় ফুটবলার ছিলো। ওই মাঠেই কিশোর ফুটবলারদের নিয়মিত অনুশীলন করায়। ভীষণ পরিশ্রমী লোক। বল নিয়ে ষাঁড়ের বেগে ছুটতে পারে। আরও নানান কসরত দেখেছি। খুব জানতে ইচ্ছে করে, হাতটা কাটা পড়লো কি ক’রে! হয়তো কোনওদিন জিজ্ঞেসও করবো। যাই হোক বিকেলে খেলার মাঠে যেতে ভুলো না। দারুণ রোমাঞ্চকর ফুটবল ম্যাচের অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরবে। সন্ধ্যা হয়ে আসবে। যানবাহন দেখে সাবধানে হেটো সড়কে। তারপর রাতের খবরে দেখে নিয়ো, কী ভীষণ শীতকাল পৃথিবীতে। কী ভীষণ শীতকাল!

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৫৫

তানীম আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: দারুন ছন্দময় লেখা কিন্তু কেমন যেন অস্পষ্ট সাথে রহস্যময় ।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:৪১

অর্ক বলেছেন: হ্যালো তানীম,

অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

"দারুণ ছন্দময় লেখা" পড়ে আপনার এই সিদ্ধান্তে আসা, আমাকে ভীষণভাবে আপ্লুত করলো। মনে পড়ছে, হিন্দি ভাষার কবি সর্বেশ্বর দয়াল সাক্সেনার একটি কবিতা পড়ে আমি এতোটাই আলোড়িত হয়েছিলাম যে, এ নিয়ে ভাবতে ভাবতে প্রায় নিদ্রাহীন কাটিয়েছিলাম সে রাত। শব্দ বাক্যে আসলে ব্যাখ্যাতীত পাঠ পরবর্তী সে বিস্ময়, মুগ্ধতা। বেশ দীর্ঘ একটা সময় আদ্যন্ত বুঁদ হয়ে ছিলাম সে কবিতায়। এই ভাবনাটি আমাকেও সবসময় সঞ্চারিত করে যে, আমার লেখা পড়েও কেউ কোনওদিন সে অভিজ্ঞতা লাভ করুক। পাঠকের তৃপ্তির থেকে বড়ো অর্জন কী হতে পারে একজন কবি বা ব্যাপ্ত পরিসরে বলি, একজন শিল্পী, শীল্প স্রষ্টার জন্য! আমি বরাবরই মনে করি যে, শিল্পের সর্বোৎকৃষ্ট, সবচেয়ে শক্তিশালী শাখা কবিতা।

এ পর্যায়ে শুধু ভালো লাগা টুকুই থাক। কাল কী হবে কে বলতে পারে!

শুভকামনা সবসময়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.