নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
(সিলেট রেল স্টেশনে কনকনে শীতের রাত। প্লাটফর্ম। ওই দিনই সকালে আসা।)
বেশ ক’বছর পর সিলেট। ২০১৫ সালে শেষ এসেছিলাম। মনে পড়ছে, হানিফ পরিবহনের বাসে রাতের ট্রিপ ছিলো সেটা। সূর্য ওঠার কিছু আগে নেমেছিলাম। তারপর কাউন্টারে বসে অপেক্ষা ভোরের আলো ফোটার। সিলেটের স্থানীয়দের ভাষায় ফর্সা হওয়া। কাউন্টার থেকে বেরিয়ে আসার সময় পাশের দোকানে বিস্কুট চানাচুর কেক কিছু একটা ক্রয়ের উদ্দেশ্যে দাঁড়িয়েছিলাম। ঠিক সে ক্ষণটাতে ভিতরে কেউ ছিলো না। সদ্য শাটার তোলা হয়েছে। আর ঠিক যখন দোকান ছেড়ে দুকদম পা বাড়িয়েছি, ওমনি মাঙ্কি টুপি পরা খর্বাকায় মোটাসোটা এক লোকের আগমন। ‘এ বাই, খিথা ছাইছেন?’ পাশ থেকে বেশ উচ্চস্বরে বলে উঠলো সে। খিথার অর্থ বের করতে মোটেও বেগ পেতে হয়নি আমার। হা হা হা। উম্.. সাত সাতটি বছর কেটে গেছে মাঝখানে। অথচ মনে হচ্ছে যেন গতকালকেরই কথা। এতোটাই সজীব জীবন্ত স্মৃতিগুলো। সেই সিলেট ভ্রমণ যারপরনাই উপভোগ করেছিলাম। মানে, প্রকৃতার্থেই প্রতিটি সেকেন্ড উপভোগ করেছিলাম। চমৎকার অভিজ্ঞতা। নানান প্রয়োজনে স্থানীয়দের কাছ থেকে অপার আতিথেয়তা পেয়েছিলাম। যা আমার কাছে অমূল্য। আমার সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে স্থানীয় অনেককে খুব কষ্টেসৃষ্টে শুদ্ধ বাংলায় কথা বলার অকৃত্রিম চেষ্টা করতে দেখেছিলাম। কেমন অদ্ভুত শোনাচ্ছিলো। শুধুমাত্র আমার সম্মানে এ কষ্ট স্বীকার তাদের। ওখানকার লোকদের কাছে আদতে আমি ছিলাম শতভাগ একজন বিদেশি! কতো কথা কতো স্মৃতি সে ভ্রমণের। সবটাই মূলত আনন্দের। দুয়েকটা বেদনারও থেকে থাকবে। সে যাই হোক এবার ট্রেনে রওনা দিলাম। পারাবত এক্সপ্রেস। ভোরবেলা। বিশেষ একটা কাজে যাওয়া। ঢাকার বিমানবন্দর স্টেশনে ট্রেনে উঠলাম। নির্ধারিত সময়ের পনেরো বিশ মিনিট বিলম্বে এলো ট্রেন। অনলাইনে টিকিট কেটেছিলাম। এই ব্যাপারটা দারুণ লেগেছে আমার কাছে। দুমিনিটেরও কম সময় লেগেছিলো টিকিটটি কাটতে। দারুণ সুবিধা। নির্বিরোধ নির্ধারিত সিটে গিয়ে বসলাম। শোভন চেয়ার। তেমন ভিড় ছিলো না সেদিন। কোচ নাম্বার জ। সিট নাম্বার এক। অনলাইনে ভাড়া রেখেছিলো তিনশো চল্লিশ টাকা। মূল ভাড়া তিনশো বিশ। বাকি বিশ টাকা খুব সম্ভবত বিকাশ তার সার্ভিস চার্জ হিসেবে কেটে নিয়েছে। ট্রেন চলতে লাগলো। তখনও সূর্য ওঠেনি। কামরার ভিতর বৈদ্যুতিক বাতি জ্বলছে। জানুয়ারির কনকনে শীতের এক ভোর। সূর্য নেই আলো নেই, কিন্তু ঘড়ির কাঁটা বলছে এটা ভোর! সাত বছর পর সিলেট যাচ্ছি। চারিদিকে কতো পরিবর্তন এর মাঝে। আকাশপাতাল সর্বত্র কতো শত পরিবর্তন। আহা, কোনটা রেখে কোনটা বলি!
(চলবে)
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:৪৭
অর্ক বলেছেন: ধন্যবাদ।
ইচ্ছে আছে লেখার। তবে একটা ব্যাপার এখনই মন্তব্যে জানাতে চাই, এবার মাজারে মানুষের যে উপস্থিতি দেখেছি, তা কল্পনাতীত। আগেরবার যেখানে লোকে লোকারণ্য ছিলো, সে তুলনায় এবার উপস্থিতি একেবারে নগণ্য, হাতে গোণা। কারণ নিশ্চিতরূপে এই কোভিড অতিমারি! এছাড়া ওখানকার অর্থনীতি তুলনামূলক অনেক এগিয়েছে। প্রচুর দালানকোঠা, লাক্সারি গাড়ির ছড়াছড়ি চারিদিকে। ক্যাফে নুরজাহানে যে বিফ ভাত সাত বছর আগে নব্বই টাকায় খেয়েছিলাম আজ সেটা একশো ত্রিশ। শীঘ্রই খুলনা রাজশাহীকে ছাড়িয়ে দেশের তৃতীয় বৃহৎ অর্থনীতি হতে চলেছে সিলেটেরই। লিখবো আশা করি।
২| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৫৬
তানীম আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: আপনার সহযাত্রী হিসেবে আপনার লেখার সাথে সাথে চলছি ..
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:০৫
মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: তারপর কিতা হয় জানতাম চাই...