নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আরমান অরণ্য লিংকন

আরমান অরণ্য লিংকন

আমি স্বপ্নে বিশ্বাসী নই...আমি বিশ্বাস করি লক্ষে, বিশ্বাস করি দৃঢ়তায়।প্রতিবাদ আমায় আকৃষ্ট করে, মনোরঞ্জন নয়।আমার ফেসবুকঃ https://www.facebook.com/arman.aronno.lingkon

আরমান অরণ্য লিংকন › বিস্তারিত পোস্টঃ

VIP বনাম NIP প্রীতিম্যাচ......

২৪ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:২৩

রাষ্ট্রপতির মৃত্যুতে তিনদিন ব্যাপী শোকোৎসব পালন করিল বাঙালি, আমার আপত্তি নাই...

কালো ব্যাজে ভরিয়া গেলো দেশ, আপত্তি নাই...

ব্লগে-ব্লগে আলোচনার বিপ্লব ঘটিল, আমি বলিলাম, "ঠিক! ঠিক!"

পত্রিকায়-পত্রিকায় শিরোনামের বন্যায় ভাসিয়া গেলো অন্যান্য খবর, বলিলাম, "রাষ্ট্রপতি বলিয়া কথা!"

কাঙ্গালি ভোজ আর তবারকে উদরপূর্তিতে আতিথেয়তার অভাব রইল না, বলিলাম, বাহ! বাহ!



তবু আমি নিচুমনা-নিকৃষ্ট নিন্দুক... না বলিয়া পারিলাম না,



একই দিনে টর্নেডো উড়াইয়া নিল ৪৫ জনের প্রাণভোমরা, সহস্রকে করিল পঙ্গু আর বাস্তুহারা কোন শোক নাই কেন?

কালো ব্যাজ নাই কেন?

আলোচনা নাই কেন?

শিরোনাম নাই কেন?

ত্রাণ-চিকিৎসা নাই কেন?



পুরো জাতি চিৎকার করিয়া উঠিল, " তবে রে, অমানুষ! এদেশ কি NIP ( Non Important Person )-দের জন্য স্বাধীন হইয়াছে? স্বাধীনতা-মানবতা সম্পূর্ণ VIP ( Very Important Person )-গণের সম্পত্তি।

খবরদার! ওতে হাত দিবি তো এস্পার-ওস্পার! "



আমি ভীরু-কাপুরুষ তৎক্ষণাৎ মুখ সামলাইয়া লইলাম......

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:২৮

এ সামাদ বলেছেন: ওয়াও সুন্দর হইছে।

আমি বললে দোষ হয় এজন্য বলিনা।

ভাই টর্নেডো তে কি বি বাড়িয়ায় ৪৫ মরছিল? আমি জানিনা।

আসলে বিদেশে কাজের মধ্যে সংবাদ দেখা খুব একটা হয়ে উঠেনা।

তারপরও দেখি আর কি?

২| ২৪ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৫৫

আহলান বলেছেন: সেটাই .... গাহি সাম্যের গান ...নজরুল ঠিকই রিখিয়াছেন

গাহি সাম্যের গান-
মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই, নহে কিছু মহিয়ান্‌ ।
নাই দেশ-কাল-পাত্রের ভেদ, অভেদ ধর্মজাতি,
সব দেশে সব কালে ঘরে-ঘরে তিনি মানুষের জ্ঞাতি।-
‘পূজারী দুয়ার খোলো,
ক্ষুধার ঠাকুর দাঁড়ায়ে দুয়ারে পূজার সময় হ’ল!’
স্বপন দেখিয়া আকুল পূজারী খুলিল ভজনালয়,
দেবতার বরে আজ রাজা-টাজা হ’য়ে যাবে নিশ্চয়!
জীর্ণ-বস্ত্র শীর্ণ-গাত্র, ক্ষুধায় কন্ঠ ক্ষীণ
ডাকিল পান’, ‘দ্বার খোল বাবা, খাইনি ক’ সাত দিন!’
সহসা বন্ধ হ’ল মন্দির, ভুখারী ফিরিয়া চলে,
তিমির রাত্রি, পথ জুড়ে তার ক্ষুধার মানিক জ্বলে!
ভুখারী ফুকারি’ কয়,
‘ঐ মন্দির পূজারীর, হায় দেবতা, তোমার নয়!’
মসজিদে কাল শির্‌নী আছিল,-অঢেল গোস–র”টি
বাঁচিয়া গিয়াছে, মোল্লা সাহেব হেসে তাই কুটি কুটি,
এমন সময় এলো মুসাফির গায়ে আজারির চিন্‌
বলে, ‘ বাবা, আমি ভূখা-ফাকা আমি আজ নিয়ে সাত দিন!’
তেরিয়া হইয়া হাঁকিল মোল্লা-‘ভ্যালা হ’ল দেখি লেঠা,
ভূখা আছ মর গো-ভাগাড়ে গিয়ে! নামাজ পড়িস বেটা?’
ভূখারী কহিল, ‘না বাবা!’ মোল্লা হাঁকিল-‘তা হলে শালা
সোজা পথ দেখ!’ গোস–র”টি নিয়া মসজিদে দিল তালা!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.