![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি বাস করি কল্পলোকে। আমি নিঃশ্বাস নেই অসীম শূন্যতায়।আমি আঁকি ছবি মনের রঙিন ক্যানভাসে।আমি কবিতা লিখি ভালোবাসার গদ্যলোকে।আমি গান গেয়ে যাই নিজ সুর অলিন্দে।তবুও করতে পারিনি স্পর্শ আমার আমি কে।।
কলেরা যখন শুরু হয় তখন তাকিয়ে থাকা ছাড়া আর কিছুই করার থাকেনা।। বিশেষ করে রাজ্জাক, যখন দলের এই মুহূর্ত তখন এমন ভাবে উইকেট দিয়ে আসে যেন ওর তাতে কিছুই যায় আসেনা। আর মাহমুদুল্লার কথা কি বলব কুত কুত খেলা যার স্বভাব তার কিই বা করার আছে। ফরহাদ রেজাকে নিয়ে সব সময়ই আমার আপত্তি ছিল। ইন্টারন্যাশনাল কোন মাচে তাকে আমি পারফর্ম করতে দেখিনি।। অহঙ্কার যে পতনের মুল,পচা শামুকে পা কেটে বাংলাদেশ টিম আজ প্রমান করে দিল।
সাকিব মুশফিক তামিম একদিন কলাপ্স করতেই পারে তাই বলে লওয়ার অর্ডারে এমন কেউ নেই যে সামান্য প্রতিরোধ গড়তে পারবেনা ?? জেনুইন অলরাউন্দার জিয়াকে বাইরে রেখে মুল একাদশে খেলানো মানে উনিই বেস্ট।। আর সেই ফরহাদ রেজা কি দিচ্ছেন।?? আমি কোন ইন্টারন্যাশনাল ম্যাচে ওকে পারফর্ম করতে দেখিনি। তারপরও কেমন করে সে দলে আসে?? শুধু তাই নয় গত দু ম্যাচে অভার প্রতি ১০/১১ দিয়ে কোন যুক্তিতে মুল একাদশে তার জায়গা হয়?? আমার ক্রিকেট বুদ্ধিতে আসেনা...
আসি রাজ্জাক প্রসঙ্গে— উনার আত্মনিবেদনতা নিয়ে প্রায়ই আমার সন্দেহ হয়।।মাঠে এরকম উদাসীন/নেগেটিভ এটিচিউডের প্লেয়ারকে দলে রেখে আর যাই হোক বিশ্বকাপে কিছু আশা করা যায়না। যদিও উনি অনেক অভিজ্ঞ তারপরেও হংকং মাচের পরিস্থিতি বিবেচনায় এরকম দায়িত্বজ্ঞানহীন ব্যাটিং দলে শুধু ঘুম ঘুম ভাইরাসের জন্মই দিবে।।
আমাদের দলে যুগে যুগে দেখে আসছি কিছু প্লেয়ার আসে যারা ঘরোয়া ক্রিকেটে কিংবদন্তী কিন্তু ইন্টারন্যাশনাল ম্যাচে এমন জঘন্য পারফর্মেন্স যে কিভাবে দলে আসত তা বুঝতাম না। উল্লেখযোগ্য ছিল জাহাঙ্গীর আলম ৯৪/৯৬—তারপর আসে রকিবুল হাসান—সেও অতীত এখন।। এখন আছে ফরহাদ ভুত।। তারা ছিল এবং থাকবে। হংকং ম্যাচে ফরহাদ যখন বল হাতে নিল তখনই বলে দিলাম—শেষ।। উনি আমাকে কখনোই মিথ্যা প্রমান করতে পারেননি। ওরে যখন দৌড়াতে দেখি ---টিমকে ও হারতে দেখি--- মনে হয় হাতে দুঃস্বপ্ন নিয়ে দৌড়ায় ।। টিম থেকে বাদ পড়াটা আরও জোরদার করতে আজ বাংলাদেশ কে হারতেই হল ... নেভার মাইন্ড।। ওয়েল ডান হংকং।।
আমরা রাজনৈতিক স্বার্থে হরতাল করি --- ভাংচুর করি--- জাতীয় স্বার্থে কি আমরা এই রেজাকে টিম থেকে বাদ দেয়ার আন্দোলন করতে পারিনা??! ফেসবুকে পেজ খুলে বা গন সাক্ষর নিয়ে করাই তো যায়। ভাগ্য বিধাতা সহায় ছিলেন তাই দ্বিতীয় রাউন্দে যেতে পেরেছি –তারপরেও রেজাকে বাদ দিতে হবে।। শুনেছি স্বাগতিক বিধায় একজন প্লেয়ার চেঞ্জ করা যায়, কেন আমরা এই সুযোগটা নিচ্ছিনা?? যেখানে জিয়া বসে আছে।। পরের ম্যাচ জিতেও গেলেও আমার এই বক্তব্য থেকে সরে আসার কোন যুক্তি দেখিনা। তারপরেও কয়েকজন দামাল ছেলের আত্মনিবেদন এবং দেশপ্রেম বোধ মাঠে স্পষ্টই বুঝা যায়। নাম না বললেই নয়--- সাকিব—মাশরাফি- মুশি—এনামুল উল্লেখযোগ্য। স্যালুট তোমাদের বস। তোদের জন্যেই হারলেও মনে হয় স্বপ্ন নিয়ে বাঁচি।। সপ্ন দেখি--- এই দিন দিন নয় আরও দিন আছে এই দিন রে নিবে তোরা সেই দিনের ও কাছে।।
সামনে মুল পর্ব – যা বুঝতে পারছি হিসেবের খাতায় শূন্যই থাকবে। তাই বেশি কিছু চাওয়ার নেই, পাওয়ার ও নেই-তবে কিছু কথা তোমাদের জন্যে---৯৬ থেকে দেখে আসছি-- ল্যান্স ক্লুজনার, আফ্রিদি, জয়সুরিয়া, মইন খান রা যেদিন তাণ্ডব শুরু করে তখন কারোর কিছুই করার থাকেনা ।সেই আফ্রিদি এখনো আছে-- -- তার দানবীয় ব্যাটিং তাণ্ডবে এশিয়া কাপে যখন নিজ মাতৃভুমি প্রিয় দলের পরাজয় দেখছিলাম তখনো ভাবছিলাম, হাঁ আমরাই বীর, না হলে তুই আফ্রিদি এত দানবীয় ব্যাটিং করতিনা-- আমাদের কে হারাতে হলে এরকমই ব্যাটিং করা লাগে। গর্বিত তোমাদের নিয়ে--আমরা এখন বলতে পারি হাঁ আমরাও পারি তোমাদের সাথে টক্কর দিতে।। এই যে অল্পের জন্যে হেরে যাচ্ছি- আফসোস করছি - এটাই কি সুদিন নয়? এই তো সেদিন মনে পড়ে, আমিনুল ইসলাম বুলবুল প্রত্যেক স্তান্স নেয়ার আগে সুরা পড়ে পড়ে ব্যাটিং করত। গোল্লা শর্ট পিচ বল এ লাফিয়ে উঠে ব্লক করত--হুক/পুল করবে কি উল্টো পিছনে ক্যাচ দিত । আর আজ পুঁচকে মমিনুল ,বাঘা বাঘা বোলারদের যেভাবে হুক/পুল করে--- অবাকই লাগে আমরা এখন কোথায়। সেই দিন আর বেশি দূরে নয়। এগুলো আশার কথা—স্বপ্নের কথা—নিজের মনকে বুঝানোর কথা।
এশিয়া কাপে মুশফিক আফ্রিদির ক্যাচ মিস করার সাথে সাথে জায়ান্ট স্ক্রিনে দেখা গেল কিছু মেয়ে কাঁদা শুরু করেছে। এখানেই আমরা আর দশটা দেশ থেকে ব্যতিক্রম।। ক্রিকেট শুধু আমাদের ভাল লাগা নয়, ভালোবাসা ও বটে। এই একটা জায়গায় আমরা হতভাগা বাঙ্গালির হাসি কান্না আনন্দ হতাশার রঙ একই রঙের।এই একই শব্দে আওয়ামীলীগ বিএনপি জাপা জামাত হেফাজত নাস্তিক আস্তিক বলতে কিছুই নেই-- আছে শুধু বাংলাদেশ।
তাই বলি পারো আর না পারো তোমাদের চেষ্টাই আমাদের চরম পাওয়া। এই লিখাটার সাথে আছে হৃদয় ক্ষরণ, আশাহতের ব্যথা, আছে দেশের প্রতি, তোমাদের প্রতি ভালোবাসা, আছে কিছু রাগ/কিছু অভিমান , তারপর ও আছে অনেক রোমাঞ্চ-- অনেক স্বপ্ন-- অনেক আশা- হা্, তোমাদেরকে দিয়েই হবে- প্রাউড অফ ইউ বাংলাদেশ।
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৯
নিরীহ বালক বলেছেন: