![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি বাস করি কল্পলোকে। আমি নিঃশ্বাস নেই অসীম শূন্যতায়।আমি আঁকি ছবি মনের রঙিন ক্যানভাসে।আমি কবিতা লিখি ভালোবাসার গদ্যলোকে।আমি গান গেয়ে যাই নিজ সুর অলিন্দে।তবুও করতে পারিনি স্পর্শ আমার আমি কে।।
ফিদার--- পাইলট-- উইলসন---হিরো--- এগুলোই ছিল আমার কলম-- সুচাগ্র নিব-- কালির দোয়াতে নিব ঢুকিয়ে কালি ভরতে হতো---৩য় শ্রেণীতে যখন পাইলট স্কুলে ভর্তি হই, আব্বা একটা উইলসন কলম কিনে দিয়েছিলেন--- ক্লাসের আরও অনেকেই দেখতাম ফাউনটেন পেন দিয়ে লিখত--- সেই থেকে শুরু-- -
- বাবার হাতের লিখা অসম্ভব সুন্দর ছিল-- যারা আমার বাবাক দেখেছেন বা জানেন তারাই বলতে পারবেন এই বিষয়ে--- আব্বার কলম ছিল পাইলট --- সোনালি আপাদমস্তক-- মাঝে মাঝে লুকিয় লুকিয়ে কলমটা দেখতাম--- অদ্ভুত রকমের একটা মোহ ছিল এই কলমের প্রতি--- দিন যায়--- আরও দু একজনের কথাতে আবিষ্কার করলাম আমার হাতের লিখা ও আব্বার মতই হয়ে যাচ্ছে--- অতি উৎসাহে হাতের লিখা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে লাগলাম--- একদিন আব্বাও সার্টিফিকেট দিলেন আমার লিখা হুবুহু উনার মতই--- ভাবলাম জিনেটিক হয়তোবা---বন্দর বাজারের বইয়ের দুকানগুলোতে সব সময় শোভা পেত রকমারি আকারের ঝর্না কলম--- স্কুল ছুটির পর রিক্সা চাওয়ার সময় ফাকে ফাঁকে ঢু মারতাম আর কলমগুলোকে সযত্নে হাত বুলাতাম---মনে পড়ে-- একবার স্কুলে এক জাদুকরের আবির্ভাব হল--- খুব সুন্দর করে কলমের গায়ে খোদাই করে নাম বসিয়ে দিত-- মাত্র তিন টাকা--- আমরা প্রায়ই সবাই লাইন ধরে নাম খোদাই করালাম--- আহা-- সৃতিগুলো কেমন যেন খুদিত হয়ে গেল সেই সময়ে।।
পড়তে বসে কলম একটু অসভ্য আচরন করলেই তার সব অঙ্গপ্রত্যঙ্গ খুলে গরম পানিতে ডুবিয়ে এক এক করে পরিষ্কার করতাম--- সে ছিল কলম ধৌতকরণের এক মহাযজ্ঞ-- পড়া ফাকি দেয়ার আরেক মউকা।।
সে যাক, যুগ বদলে গেল-- আস্তে আস্তে ফাউন্তেন পেন আর কেউ ব্যাবহার করে না--- বল পয়েন্ট পেন দখল করে ফেলল সবকিছু--- আমার হাতের লিখাও পড়লো হুমকির মুখে-- তবুও অবিচল---আমাদের ক্লাসে মনো ওয়ার ছিল ঝর্না কলমের সাধক---কলমের কালিতে হাত মুখ সবসময় মাখামাখি---দিন বদলের দিনে সেই মনওার ও ঝর্না কলমের ছিল শেষ কাণ্ডারি--শুনেছি সে নাকি বড় ডাক্তার-- হয়তো এখনো ও ঝর্না কলমে প্রেসক্রিপশন দে--- দুর্লভ হয়ে উঠা কলমের অভাবে আমার লিখার স্টাইল ও বদলে যেতে লাগলো--- রুপান্তরিত হতে হতে হয়ে গেল শৈল্পিক ।।
এখনো ইচ্ছে করে প্রেম করতে--- কলম দিয়ে--- পাতার পর পাতা শৈল্পিক তুলিতে চিঠি লিখতে--- সেই আগের মতই--- কবিতা লিখতে--- সেই দিন আর নেই-- কলমের নিবের ডগায় যে ক্ষরণ জমা হতো সেই ক্ষরণের স্রোত আর নেই---
এখনো ফাউন্তেন পেন খুজি--- পাওয়া যায়-- নতুন আঙ্গিকে-- পার্কার--- ওইদিন , আনটিক একটা শপে ঢুকে পেয়ে গেলাম আজ থেকে চল্লিশ বছর আগের একটা ফাউন্তেন পেন--- অনেক দাম-- বাবাকে খুব মনে পড়লো--কিনে ফেললাম--- লিখা আর হয়না-- কিভাবে লিখবো ---এই যে কিবোর্ডে টাইপ করে লিখছি--- কলমটা পড়ে আছে ড্রয়ারে-- ধুসর সৃতি আর মলিন কাগজের টুকরোতে ।।
হাতের লিখার মত এত সুন্দর একটা শিল্প চর্চা হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের বাঙ্গালী সংস্কৃতি থেকে এই কষ্ট থেকেই আমার এই ক্ষরণ।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:২৯
আর্টিিস্টক বিপ্লব বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে--- হুম-- আমাদের সেই সরলতা নেই--- কলমের লিখার মত আস্তে আস্তে সবকিছু ও দুর্লভ হয়ে যাচ্ছে।।
২| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:০৩
নিজাম বলেছেন: "উইলসন" নয় সম্ভবত "উইনসন"
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ভোর ৫:৪২
আর্টিিস্টক বিপ্লব বলেছেন: ্যাঁ হয়তোবা আপনিই সঠিক--- ধন্যবাদ।।
৩| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:০৭
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হ্যাঁ, এই রীতিটি হারিয়ে যাচ্ছে! আমি শুনতে পেয়েছি ইউরোপে এখন বাচ্চাদেরকে স্কুলে বই ব্যাগ নিতে হবে না। সব কিছু ট্যাব দিয়ে হচ্ছে। কি ভয়াবহ ব্যাপার বলেন!! সামনে একটা প্রজন্ম লিখতে পারবে না।!!
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ভোর ৫:৪৩
আর্টিিস্টক বিপ্লব বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া--- হ্যাঁ ভাবতেই খারাপ ;লাগে---
৪| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:০৯
আহলান বলেছেন: হুম ... পার্কার কলমটার দিকে আমার খুব ঝোক ছিলো এক সময় .... !
৫| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১২
মোহাম্মদ মুনতাসীর মামুন বলেছেন: দিন আর নেই-- কলমের নিবের ডগায় যে ক্ষরণ জমা হতো সেই ক্ষরণের স্রোত আর নেই--- শুধু দীর্ঘশ্বাস আছে ৷ আর কিছুই নেই ৷ তবে আমরা চাইলেই থাকবে ৷ নিজেদের ভাল লাগাকে বাঁচিয়ে রাখতে নিজেরই এগিয়ে আসতে হবে ৷
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ভোর ৫:৪৪
আর্টিিস্টক বিপ্লব বলেছেন: হ্যাঁ চাইলেই আমরা ধরে রাখতে পারি আমাদের সংস্কৃতিকে।। ধন্যবাদ।।
৬| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:২২
মিন্টুর নগর সংবাদ বলেছেন: খুব ভালো একটা বিষয় উপষ্ঠাপন করেছন ।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ভোর ৫:৪৪
আর্টিিস্টক বিপ্লব বলেছেন: ধন্যবাদ।
৭| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১৪
হাসান রাজু বলেছেন: কি মনে করায়ে দিলেন ভাই । আমার বাবার ও এই জিনিসটার প্রতি দরদ ছিল । তাই বলপেনের পূর্ণ রাজত্ব কালেও এই কলম ব্যাবহারের সুযোগ পাইছিলাম । কিন্তু কেন জানি আমার কলমের নিব ফাঁক হয়ে যেত, পড়ে নিবের একটা পাশ ভেঙ্গে যেত । একবার দুবার না অনেক অনেকবার হয়েছে ।
আর আমার হাতের লেখা! সে কি বলব ! ভয়ানক সব প্রশংসা (!) কুড়িয়েছে
। উদাহরন দেই, কলেজে রিজিস্ট্রেসন বা ফরম ফিলাপ এর সময় সাইন/দস্তখত করতে হবে । সাধারণত ওইখানে সবাই পুরো নাম লিখত, আমি ও লিখেছি । স্যার বললেন
, তোরে এত লম্বা সাইন দিতে কে বলছে
?
ধন্যবাদ প্রযুক্তি, আজ ব্লগে কমেন্ট করছি, অফিসে কাজ করছি, যা ই করছি লোকের বুঝতে অসুবিধে হয় না কি লিখছি। আজব , হাতের লেখা যতই খারাপ হোক কম্পিউটারে আমার লেখা অনেক সুন্দরই দেখায়
।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ভোর ৫:৪৬
আর্টিিস্টক বিপ্লব বলেছেন: ্যাঁ হ্যাঁ হ্যাঁ--- হাঁসতে হাঁসতে হাঁস হয়ে গেলুম রে মাইরি--- খুব মজা লাগলো আপনার কথাগুলো পড়ে--- ধন্যবাদ
৮| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৭
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: আজ সৃষ্টি সুখের উল্লাসে !!
কী পেলাম আর কি হারালাম!!
জীবনের এই পড়ন্ত বেলায় বড্ড মনে পড়ে
কবিগুরুর সেই বিখ্যাত কবিতা
দাও ফিরে সে অরণ্য, লও এ নগর!
দাও ফিরে সে অরণ্য, লও এ নগর,
লও যত লৌহ লোষ্ট্র কাষ্ঠ ও প্রস্তর
হে নবসভ্যতা! হে নিষ্ঠুর সর্বগ্রাসী,
দাও সেই তপোবন পুণ্যচ্ছায়ারাশি,
গ্লানিহীন দিনগুলি, সেই সন্ধ্যাস্নান,
সেই গোচারণ, সেই শান্ত সামগান,
নীবারধান্যের মুষ্টি, বল্কলবসন,
মগ্ন হয়ে আত্মমাঝে নিত্য আলোচন
মহাতত্ত্বগুলি। পাষাণ পিঞ্জরে তব
নাহি চাহি নিরাপদে রাজভোগ নব–
চাই স্বাধীনতা, চাই পক্ষের বিস্তার,
বক্ষে ফিরে পেতে চাই শক্তি আপনার,
পরানে স্পর্শিতে চাই ছিঁড়িয়া বন্ধন
অনন্ত এ জগতের হৃদয়স্পন্দন।
৯| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৫
রানা আমান বলেছেন: কিবোর্ডে টাইপ করে লিখতে লিখতে , এখন নিজের হাতের লেখা নিজেই পড়তে কষ্ট হয় । ইংরেজিটা তাও পড়তে পারি , বাংলা হাতের লেখা আমার ভয়াবহ রকমের খারাপ হয়ে গেছে।
১০| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:০৭
মাটি ও মানুষ বলেছেন: আমি ও উইনসন ব্যবহার করতাম, মনে পরে ইস্কুল থেকে আসার পথে আম্বরখানা জনতা লাইব্রেরিতে গল্পের বই কিনতাম তখন মাঝে মাঝেই কলম স্ট্যান্ডের দিকে নজর যাইত। ওদের এখানে পার্কার নামে একটা স্লীম কলমের নজর জাইত কিন্তু কিনতেতো পারতাম না। পরে বড় ভাই এক জন্মদিনে গিফট দিয়েছিলেন। আর ইস্কুলের সাদা সার্টের বুক পকেটে কালি লেগে যাওয়া ও কম বিরম্বনার ছিল না।
১৫ বছরের কম্পিঊটার ব্যবহারের ফলে এখন কলম দিয়ে হাতে লিখার কথা হলেই মনে হয় কিছু লিখতে পারবো না।
প্রেম করতে চিঠি লেখা না উচা ছাদে উঠা লাগে? :প
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:২১
সুমন কর বলেছেন: লেখাটি ভালো লাগল। আমরা সবাই যান্ত্রিক হয়ে যাচ্ছি।