![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এক সরকারী প্রাইমারি স্কুলে শিক্ষার্থীর ছিল ষাট জন।
১ম শ্রেণী থেকে ৫ম শ্রেণীতে এই ষাট জন সীমাবদ্ধ ছিল। তার মাঝে ৫ম শ্রেণীতে শিক্ষার্থী ছিল ৮জন।
এই আটজনের মধ্যে অনেকে ক্লাসে আসতো ফাঁকিবাজি করত,বাসা থেকে বের হতো কিন্তু স্কুলে আসতো না।
প্রতিদিন ৪-৫ জনের উপস্থিতি থাকত তার মাঝে রোল ২, ৩, ৪, ৫, ৮ তারা বেশি উপস্থিত থাকত।
অল্প উপস্থিতির কারণের শিক্ষকরাও ক্লাস নিতো না,
আরো সরকারি প্রাইমারি স্কুল।
পরিক্ষা হলে কেউ পাশ করত না, ৪নং রোলের ওসমান ছাড়া, ক্লাসে ৪নং রোল ছেলেটি পড়া লিখায় তেমন ভাল ছিল না।
অন্যরা আফসোস করতো, কি রে এই বেটা কেমনে পাশ করে…?
এভাবে প্রশ্ন রয়ে যেত।
ওসমান, যে ভাবে পাশ করতোঃ প্রতিদিন সে স্কুলে এসে স্যারদের বাসার জন্যে করা বাজার গুলো বাড়ি পৌঁছে দিত, দোকান থেকে খাওয়ার নাসতা এনে দিত, পানি খাওয়াতো এবং শিক্ষকদের নানা কাজে সহযোগিতা করত, তবে তার সব কাজের বিনিময় তার একটি দাবী ছিল, পরিক্ষায় তাকে যেন পাশ করিয়ে দেয়।
৫ম শ্রেণীর বার্ষিক পরিক্ষা শেষে ফলাফল বের হলো সবাই ফেল শুধু ওসমান ছাড়া।
কোন ফলাফল নাই শুধু তার একক নামটি বোর্ডে লিখা আছে।
ফলাফল দেওয়ার পরের দিন ১নং রোল ছাত্রটির বড় ভাই শিক্ষকের সাথে কথা বলতে আসলো।
বললো নানা কথা…!
তার পরে শিক্ষক তাকে বললো, তোমার ভাই স্কুলে আসতো না প্লাস আমাদের কাজ করতো না আর ওসমান ছেলেটি পড়া লিখায় ভাল না হলে কেমন হবে সে আমাদের কাজ গুলো করে দিত তাই সে পাশ করেছে।
এক চামচাকে চামচামির ফলাফল বর্নণা দিতে এই কথাটি বলেছিল রোল এক ছেলেটির বড় ভাই।
আজকাল রাজনৈতিক চাটুকাররাও এর চেয়ে কম নয়।
একটি পদবী ও আশীর্বাদের জন্যে কি না করে
হাফিজ আসাদ।
১০-০৪-২০১৬ ইং
রোজঃ রবিবার।
২| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৪৯
মামুন রেজওয়ান বলেছেন: একশত শতাংশ খাঁটি কথা।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:১০
শাহীন পন্ডিত বলেছেন: খাটি কথা কইছেন.।