নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আপনাদের সাথে আমিও আছি...

কিছু শিক্ষতে চাই

মো: হাফিজ আল আসাদ

কিছু শিক্ষতে চাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

সে দিনের কাটানো পহেলা বৈশাখ ...

১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৫১

১৪২০ পহেলা বৈশাখে...

সময়টা মার্চ মাসের মাঝামাঝি,
তখন ইন্টার ফাস্ট ইয়ারে,ইংরেজিতে দুর্বল বলে এক বড় ভাইয়ের কোচিং সেন্টারে ইংলিশ প্রাইভেট পড়তাম। আমরা একটি ব্যাচে ছিলাম ১২ জন তার মাঝে ৮ জন ছেলে বাকী ৪ জন মেয়ে। ভাইয়ার সাথে অনেক আগে থেকে পরিচয় কিন্তু তার কোচিং সেন্টারে আমি নতুন, কোচিং সেন্টারের বিজ্ঞাপন কার্ড দেখে আমি সিধান্ত নিয়েছিলা ভাইয়ের কাছে পড়তে যাব। যদিও সিনিয়র একজন ইংরেজি শিক্ষক থেকে আমাদের ব্যাচের ১০ জন প্রাইভেট পড়তাম।
এই কোচিং সেন্টারে ভাইয়া আমাদের সময় দিত সাপ্তাহে ৪ দিন।
যাক, তার মাঝে আমাদের অনেক শিখা জানা হয়েছে, যতক্ষণ ক্লাস চলবে সাধু ভাষায় কোন কথা বলা যাবে না, সব ইংরেজিতে বলতে হবে। আমি তেমন ইংরেজিতে কথা বলতে পারতাম না। ছোট বেলায় এক বছর ইংলিশ মিডিয়াম ক্লাসেও পড়েছি।
সব কিছি মিলিয়ে জোড়া তালি দিয়ে কিছুটা ইংরেজি বলে যেতাম, যা কিছু বলতাম তা অনেকটা মিলে যেত আমি যখন কিছু বলতাম বাকী এগারোজন আমার দিকে তাকিয়ে থাক তো, মাঝে মাঝে কিছু প্রেইস/সিম্পল শব্দ ব্যবহার করতাম।
অনেকে প্রশংসা করত। মেয়ে চারটা হা করে দেখে থাকতো।
একটু লজ্জা লাগলেও কি করার, বলে যেতাম ভুল হলে ভাইয়া সংশোধন করে দিতেন।

বিশ-একুশ দিন যেতে না যেতে ভাইয়া ঘোষনা দিলেন, এবারে আমরা (কোচিং এর সকল ব্যাচ)সকলে পিঠা উৎসবের আয়োজন করব। তার মাঝে তোমাদের অংশগ্রহন করতে হবে। কি তোমরা রাজি তো...?
তবে তোমাদের কিছু দায়িত্ব পালন করতে হবে, কোচিং সেন্টারে এই বছরের এই মুহুরতের জন্যে তোমরা সকলের বড় তাই তোমাদের সকল মেন্টেইন্স তোমাদের করতে হবে।
আমি বললাম হ্যাঁ ভালো উদ্যোগ,করা যায়।
সময় স্থান নিদিষ্ট করা হলো।
একদিন শুক্রবার সকল ব্যাচের ছেলে মেয়েদেরকে নিয়ে বসা যাক। তারপর সেখান থেকে সিধান্ত গ্রহন করা যাবে। সবাইকে শুক্রবার সময় দেওয়া হলো যথা সময়ে সবাই উপস্থিত হলো। সকল ব্যাচে থেকে টিম লিডার ঠিক করা হলো, তারপর তাদের পরামর্শ গুলো গ্রহন করা হল। সকলের পরামর্শক্রমে এক একজন টিম লিডারকে দায়িত্ব ভাগ করে নিল কে কি করবে।

আমাদের বারো জনের দায়িত্ব ছিল, ব্যবস্থাপনায়।
আমাদের দায়িত্ব দিয়েছিলেন পিঠার, আমাদের পিঠা নিয়ে আসতে হবে নানা রকমের।
রাজি হলাম কোন রকম। বাড়িতে পিঠা বানানর কেউ নেই “মা” ভাল পিঠা বানাই, যদিও মা অসুস্থ কিছুদিন ধরে, ছোট বোন আছে বাড়িতে একটা সেও স্কুলের প্রোগ্রাম নিয়ে ব্যস্ত, কোন রকম মা কে বললাম, আরো বললাম কোন একরকম এদিক সেদিক করে বানিয়েদিলে চলবে, ভ্যাগিস কিছু বলল না ।
১৩ তারিখ রাতে অনুষ্ঠানের সব কাজ সেরে পিঠা বানাতে মা-ছেলে ব্যস্থ হয়ে গেলাম।

পিঠা রেডি......!

অনুষ্ঠানে দুই একজন বাইরের অতিথি থাকবে আর আমরা সবাই ইচ্ছে হলে পরিবারের কাউকে আনা যাবে।

১৪ তারিখ ভোরে পিঠা গুলো বক্সে করে নিয়ে বের হলা গন্তব্যে।
আমি পৌঁছার আগে দেখি আমার গ্রুপের এগারো জন পিঠা নিয়ে হাজির, নানা সাজগোজের একটি উপ কমিটি ছিল তারা দেখি ভাল সাজিয়েছে বল রুমটি এগারোজনের পিঠা গুলো সব একটি বড় বক্সে সাজিয়ে রেখেছে আমার গুলো ছাড়া, আমি আমার বক্সটা কাউকে দেখতে দি নি কারণ, মনে মনে ভাবছি তারা তো আমার চেয়ে ভাল করে পিঠা বানিয়ে এনেছে। অথিতি এলে অনুষ্ঠান শুরু হলে আমার গুলো দিয়ে দিবো।

সময় সকাল ৯ টা সকলে অতিথিও এসেছে অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে।
শুরু তো নাচ গান হৈ হৌল্লো।
পিঠা খাওয়া।
এর মাঝে ভুলে গিয়েছিলাম আমার আনা পিঠা গুলো কথা, সবার খাচ্ছে অথিতিদের পিঠা দেওয়ার পালা কিন্তু দেখি বড় বক্সের পিঠা সব শেষ।
মনে পড়লো আমার বক্সের পিঠা গুলোর কথা।
নিয়ে এসে অতিথিদের দিলাম।
বাকী গুলো সবাই হৈ হৌল্লো করে খেয়ে ফেললো।

ব্যবস্থাপনার কমিটির পক্ষে একটি সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে মা’ইয়ের অসুস্থতা কথা পিঠা বানানো দৌড় সম্পর্কে বললাম, সবাই হাসছে আবার করুণা দেখছি অনেকের চোখে।

সমাপনি বক্তব্যেঃ অনুষ্ঠানের সফলতা ও শৃংক্ষলাবদ্ধ অনুষ্ঠান পরিচালনাসহ নানা কাজে তারিফ করে অনুষ্ঠান সমাপনি ঘোষনা করেন কোচিং এর প্রতিষ্ঠাতা ও শ্রদ্ধেয় বড় ভাই।

এবার দেখি আমার পিঠা বানানোর তারিফ শুরু...


হাফিজ আসাদ

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৫৬

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
ছিমছাম সিম্পল লিখা, ভাল লাগসে পড়ে ||

১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:২৮

কিছু শিক্ষতে চাই বলেছেন: ধন্যবাদ.।.।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.