নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

উর্বর মস্তিষ্কের কার্যকলাপে জবাবদিহি করতে বাধ্য নহে।

ছোট সাহেব

উর্বর মস্তিষ্কের কার্যকলাপে জবাবদিহি করতে বাধ্য নহে।

ছোট সাহেব › বিস্তারিত পোস্টঃ

"বুয়েটে সীরাত মাহফিলে বাধা: বাংলাদেশের কাঠামোগত ইসলামবিদ্বেষের প্রতিফলন"

০৮ ই অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৬

বুয়েটে সীরাত মাহফিল করতে না দেয়া: বাংলাদেশের কাঠামোগত ইসলামবিদ্বেষের বহিঃপ্রকাশ

সম্প্রতি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) সীরাত মাহফিল আয়োজন করতে বাধা দেয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মহলে ক্ষোভ ও বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। এই ঘটনা শুধু একটি ধর্মীয় আয়োজনকে বন্ধ করার বিষয়েই সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি বাংলাদেশের সমাজ ও প্রশাসনের গভীরে লুকিয়ে থাকা কাঠামোগত ইসলামবিদ্বেষের একটি বাস্তব উদাহরণ।

সীরাত মাহফিল এমন একটি আয়োজন, যেখানে মহানবী (সা.)-এর জীবন, তাঁর আদর্শ এবং তাঁর প্রচারিত মূল্যবোধ নিয়ে আলোচনা করা হয়। এটি একদিকে মুসলিমদের মধ্যে আধ্যাত্মিক ও নৈতিক শিক্ষা প্রচার করে, অন্যদিকে সমাজে শান্তি, সম্প্রীতি এবং ন্যায়বিচারের গুরুত্ব তুলে ধরে। তাই, এমন একটি আয়োজন বন্ধ করা শুধুমাত্র মুসলিম ধর্মপ্রাণদের ধর্মীয় অধিকারকে লঙ্ঘন করা নয়, বরং এটি ইসলামি সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের প্রতি অসম্মান প্রদর্শনের শামিল।

বাংলাদেশ একটি মুসলিম প্রধান দেশ হওয়া সত্ত্বেও, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইসলামিক অনুষ্ঠানগুলোকে কেন্দ্র করে নানা বাধা ও প্রতিবন্ধকতা লক্ষ্য করা গেছে। এ ধরনের ঘটনাগুলো বাংলাদেশের প্রশাসনিক কাঠামোতে লুকিয়ে থাকা ইসলামবিদ্বেষের ইঙ্গিত দেয়। এই বিদ্বেষ কেবলমাত্র কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা দলের দ্বারা পরিচালিত নয়, বরং এটি একটি সিস্টেমেটিক সমস্যা যা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে বিদ্যমান।

বুয়েটের মত প্রতিষ্ঠানে সীরাত মাহফিলের মত একটি ধর্মীয় আয়োজনে বাধা দেয়ার পেছনে মূল কারণ হচ্ছে ইসলামের প্রতি একটি নির্দিষ্ট ধরণের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি। এই দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলোকে সহানুভূতির সাথে দেখার বদলে সন্দেহের চোখে দেখা হয়। অথচ, একই সাথে অন্যান্য ধর্মীয় অনুষ্ঠান বা সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের ক্ষেত্রে তেমন কোনো বাধা দেয়া হয় না। এই দ্বৈত আচরণই প্রমাণ করে যে, বাংলাদেশের প্রশাসনিক কাঠামোতে ইসলামি সংস্কৃতির প্রতি অসহিষ্ণু মনোভাব বিরাজমান।

এই কাঠামোগত সমস্যা শুধু বুয়েটের মত প্রতিষ্ঠানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, এটি সমগ্র বাংলাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি প্রশাসন এবং রাজনৈতিক মহলে প্রতিফলিত হচ্ছে। এর ফলে, মুসলিম ধর্মপ্রাণদের মধ্যে এক ধরনের হতাশা এবং অবিচারের অনুভূতি জন্ম নিচ্ছে, যা সমাজে বিভক্তি ও অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে।

তাই, বাংলাদেশের সমাজকে এই কাঠামোগত সমস্যা থেকে মুক্ত করতে হলে প্রয়োজন প্রশাসনিক নীতিতে পরিবর্তন আনা, যেখানে প্রত্যেক ধর্মের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা হবে এবং ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকারকে সমুন্নত রাখা হবে। ইসলামের প্রতি বিদ্বেষ দূর করতে হলে রাষ্ট্র, প্রশাসন এবং জনগণকে একযোগে কাজ করতে হবে। একমাত্র তখনই আমরা একটি সমানাধিকার ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠন করতে পারব।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.