![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হলুদ সাংবাদিকতার জন্ম হয়েছিল সাংবাদিকতা
জগতের অন্যতম দুই ব্যক্তিত্ব যুক্তরাষ্ট্রের জোসেফ
পুলিৎজার আর উইলিয়াম রুডলফ হার্স্টের মধ্যে পেশাগত
প্রতিযোগিতার ফল হিসেবে। পুলিৎজারের নিউ ইয়র্ক
ওয়ার্ল্ড ও হার্স্টের নিউ ইয়র্ক জার্নালের মধ্যে পরস্পর
প্রতিযোগিতা এমন এক অরুচিকর পর্যায়ে পৌঁছে যায়
যে, সংবাদের বস্তুনিষ্ঠতার পরিবর্তে পত্রিকার
বাহ্যিক চাকচিক্য আর পাঠকদের উত্তেজনা দানই
তাদের মূখ্য হয়ে দাঁড়ায়।
সুদূর যুক্তরাষ্ট্র থেকে হলুদ সাংবাদিকতার বীজ এখন
বাংলাদেশের সংবাদপত্র, সংবাদ ও সাংবাদিকতার
রন্ধে রন্ধে ঢুকে পড়েছে। এখন বাংলাদেশের
সংবাদপত্র এবং সাংবাদিকরা এ হলুদ সাংবাদিকতাকে
যেন লালন করে চলেছেন। কারণ বাংলাদেশের যত
দুর্বৃত্ত, ভূমিদস্যু রয়েছেন তারাই এখন সংবাদপত্র,
টেলিভিশন, রেডিও এবং অনলাইন পত্রিকার মালিক।
আর তারাই তাদের স্বার্থে বাংলাদেশের সংবাদপত্র,
সংবাদ এবং সাংবাদিককে ব্যবহার করছেন। তাই
প্রতিনিয়তই সংবাদ এবং সাংবাদিক সমাজ কলুষিত
হচ্ছে।
পরিশেষে বলতে চাই, একজন পরিপূর্ণ সংবাদকর্মী
হিসেবে গড়ে উঠতে সাংবাদিকতার উৎকর্ষ সাধনের
বিকল্প নেই। অবিরাম লেখনি আর সংগ্রামের মধ্য
দিয়েই নিজেকে বিকষিত করতে হবে। শুধু মানুষ নয়;
পরিবেশ, সমাজ, জানা-অজানা, প্রাণীজগৎ, প্রকৃতি,
মহাকাশÑএ সবকিছুতেই একজন সাংবাদিক বা
সংবাদকর্মীর আগ্রহ থাকতে হবে। একটি ঘটনাকে
অর্থবহভাবে তুলে ধরতে পারলেই একটি সংবাদ এবং
সাংবাদিকের মুনশিয়ানা ফুটে উঠবে। আর তখনই সেই
সাংবাদিকের জৌলস ধরা পড়বে। ছড়িয়ে পড়বে সেই
সাংবাদিকের খ্যাতি। উপকৃত হবে রাষ্ট্র।
©somewhere in net ltd.