নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজের প্রশংসা শুনার (যদিও বা কেউ করে না) চেয়ে সমালোচনা(যেটা স্বভাবগতভাবেই শুনে আসছি) শুনতে ভালবাসি..........

আমি বলব

ধর্ষিত বুজুক্খুর

আমি বলব › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছেলে শিশুরাও যৌন নির্যাতনের শিকার হয়, কিন্ত..................??????

১৭ ই জুন, ২০১৫ ভোর ৪:১২

মেয়েশিশুদের যৌন নির্যাতন নিয়ে যত কথা শোনা যায়,
ছেলেশিশুদের যৌন নির্যাতন নিয়ে আমরা তেমন একটা মাথা ঘামাই
না। মেয়েদের যৌন নির্যাতনের ঘটনাগুলো অনাকাঙ্ক্ষিত সন্তান
ধারণ বা সংবেদনশীল বিষয় বলে মিডিয়ার দ্বারা যতটা প্রকাশ হয়,
ছেলেদের যৌন নির্যাতনের কাহিনিগুলো তেমনভাবে প্রকাশ
হয় না। আর এর জন্য আড়ালেই থেকে যাচ্ছে ছেলেশিশুদের
যৌন নির্যাতনের বিষয়টি। আমরা মনে করি, ছেলেদের আবার
হারানোর ভয় কী! এদের জন্য রাতের অন্ধকার, অপরিচিত
ব্যক্তি কোনো কিছুতেই যেন আতঙ্কের কিছু নেই।
অথচ শিশুসাহিত্যিক পরিচয়ের আড়ালে ভয়ংকর লোক টিপু কিবরিয়া
আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল ছেলেশিশুরাও
কত অসহায়। কত ভয়ংকর ঘৃণ্য কাজে তাদের ব্যবহার করা যায়!
পথশিশুরা যখন যৌন হয়রানির শিকার হয়, তখন তাদের জাত-পাত-ধর্ম-লিঙ্গ
কোনো কিছুই অপরাধীদের বিবেচনায় আসে না। বিকৃত রুচির
মানুষের কাম চরিতার্থ করাই মূখ্য হয়ে ওঠে।
আমেরিকার ডিপার্টমেন্ট অব হেলথ অ্যান্ড হিউম্যান
সার্ভিসেসের জরিপ অনুযায়ী, শতকরা ৩০ ভাগ ব্যক্তি যারা নিজেরা
শৈশবে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছিল, তারাই বড় হয়ে শিশু নির্যাতন
করে থাকে। আমাদের দেশে যেহেতু এই প্রেক্ষাপটে
তেমন কোনো গবেষণা হয়নি, তাই ধারণা করা যেতে পারে
যে, এই শিশু নির্যাতনকারীরাও একসময় হয়তো নিপীড়নের
শিকার হয়েছে; আর তাই তারা পরে ভয়াবহ অপরাধচক্রে জড়িয়ে
পড়েছে।
এ জন্যই টিপু কিবরিয়াকে বিচারের আওতায় আনার পাশাপাশি, তার
মনস্তাত্ত্বিক বিষয়াদি নিয়েও গবেষণা করা যেতে পারে। উন্মুক্ত
হতে পারে কেন এবং কী কারণে শিশুদেরকে এই বিকৃত রুচির
অপরাধীরা যৌন হয়রানি করে থাকে।
পর্নোগ্রাফির মাধ্যমে যৌনানুভূতি ভালোভাবে বোঝার আগেই
এসব ছেলেশিশুকে সমকামে বাধ্য করা হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য
সংস্থার গবেষণায় দেখা যায়, যে শিশুরা যৌন হয়রানির শিকার হয় তারা
শারীরিক, মানসিক ও আচরণগত বিভিন্ন সমস্যায় ভোগে। এদের
অধিকাংশই পরবর্তীতে মাদকাসক্ত হয় এবং অস্বাভাবিক ও
অস্বাস্থ্যকর যৌন জীবনযাপনে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। এর সামাজিক
পরিণতি কত ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে তা হয়তো আমরা
কল্পনাও করতে পারছি না।
খেয়াল করে দেখুন, আমাদের চারপাশে আজকাল মানসিক
বিকারগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা যেন দিনদিন বেড়েই চলেছে।
চারপাশে কী রকম নৃশংস অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। কারা এসব
অপরাধের সঙ্গে জড়িত, কাদেরকে দিয়ে গডফাদারেরা
নৃশংসভাবে মানুষ খুন করিয়ে নিচ্ছে?
সন্দেহ নেই, অশিক্ষা, অযত্ন, অবহেলা ও যৌন নির্যাতনের শিকার
পথশিশুদের একটি অংশ বড় হয়ে সামাজিক বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে
পড়ছে। এর ফলে সমাজের নিরাপত্তা যেমন বিঘ্নিত হচ্ছে,
তেমনি এই শ্রেণির মানুষের সংখ্যা যত বাড়বে, একটা সময়
দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হতে বাধ্য।
টিপু কিবরিয়ার মতো ভয়ংকর বিকৃত রুচির অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক
শাস্তির পাশাপাশি, পর্নোগ্রাফিতে যেসব পথশিশু ব্যবহৃত হয়েছে,
তাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের রক্ষণাবেক্ষণ অত্যন্ত
জরুরি। শিশু যৌন নির্যাতন রোধে সচেতনতা সৃষ্টিতে দেশি-বিদেশি
এনজিও-এর সঙ্গে সর্বাগ্রে এগিয়ে আসতে হবে সরকারি
সংস্থাগুলোকে। যৌন নির্যাতনের শিকার অসহায় পথশিশুদের
রক্ষণাবেক্ষণ না করে উপেক্ষা করা মানেই সামাজিক ব্যাধিকে
মহামারী আকারে ছড়িয়ে দেওয়া।
প্রশ্ন হল, এই সামাজিক ব্যাধি রুখে দিতে আমরা সাধারণ জনগণ,
সর্বোপরি সরকার কতখানি আন্তরিক? কতখানি প্রস্তুত

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.