![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
“The worldly comforts are not for me. I am like a traveler, who takes rest under a tree in the shade and then goes on his way.” –[Tirmidhi]
নিজের জীবন ও কর্মকাণ্ড নিয়ে ভাবার জন্য কিছুটা সময় বের করুন, তারপর হিসেব করুন কতগুলো ভালো আর কতগুলো মন্দ কাজ করা হলো। এবার মন্দ কাজগুলো নিয়ে ভাবুন, মন্দ কাজের জন্যতো পুরষ্কার দেয়া হয়না উল্টো শাস্তি রয়েছে, কিন্তু হতাশ হওয়ার কিছু নেই। এই মন্দ কাজ গুলোর জন্য মহান আল্লাহ্ পাকের কাছে অনুতপ্ত হয়ে ক্ষমা চান আর কখনো না করার ইচ্ছা পোষণ করুন। আল্লাহ্ পাক চাইলে আপনাকে ক্ষমা করে দিবেন, ইন শা' আল্লাহ্।
কারন, আল্লাহ্ পাক বলেছেনঃ
"হে আমার বান্দাগণ যারা নিজেদের উপর যুলুম করেছ তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয় আল্লাহ সমস্ত গোনাহ মাফ করেন। তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।"-( আয যুমার, ৫৩)
---- এখানে সমস্ত মানুষকে সম্বোধন করা হয়েছে। শুধু ঈমানদারদের সম্বোধন করা হয়েছে একথা বলার কোন উপযুক্ত প্রমাণ নেই। তাছাড়া আল্লামা ইবনে কাসীর লিখেছেন, গোটা মানবজাতিকে সম্বোধন করে একথা বলার অর্থ এ নয় যে, আল্লাহ তা’আলা তাওবা ও অনুশোচনা ছাড়াই সমস্ত গোনাহ মাফ করে দেন। পরবর্তী আয়াতটিতে আল্লাহ নিজেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, গোনাহ মাপের উপায় হচ্ছে আল্লাহর দাসত্ব ও আনুগত্যের দিকে ফিরে আসা এবং আল্লাহর নাযিলকৃত বাণীর অনুসরণ করা। এ আয়াতটি প্রকৃতপক্ষে সেসব লোকের জন্য আশার বাণী বয়ে এনেছিলো যারা জাহেলী যুগে হত্যা, ব্যভিচার, চুরি, ডাকাতি এবং এ ধরনের বড় বড় গোনাহর কাজে লিপ্ত ছিল আর এসব অপরাধ যে কখনো মাফ হতে পারে সে ব্যাপারে নিরাশ ছিল। তাদের বলা হয়েছে, আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। তোমরা যা কিছুই করেছো এখনো যদি তোমাদের রবের আনুগত্যের দিকে ফিরে আস তাহলে সবকিছু মাফ হয়ে যাবে। ইবনে আব্বাস (রা.), কাতাদা (রা.), মুজাহিদ (র) ও ইবনে যায়েদ (র) এ আয়াতের এ ব্যাখ্যাই দিয়েছেন। (ইবনে জারীর, বুখারী, মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিযী)
----------তাফহীমুল কুরআন।।
এবার অনুভব করুন প্রশান্তি।।
মহান আল্লাহ্ পাক আমাদের সকলকে ক্ষমা করুন ও হিদায়াত দিন, আমীন।।
©somewhere in net ltd.