নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Green_Bird of Jannah

“Surely in remembrance of Allah do hearts find rest\" [Al Quran-13:28]

আশালিনা আকীফাহ্‌

“The worldly comforts are not for me. I am like a traveler, who takes rest under a tree in the shade and then goes on his way.” –[Tirmidhi]

আশালিনা আকীফাহ্‌ › বিস্তারিত পোস্টঃ

দুআ-মুনাজাত : কখন ও কিভাবে- পর্ব ১

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:১৩

দুআ-মুনাজাত : কখন ও কিভাবে- পর্ব ১

স্রষ্টার অস্তিত্বে বিশ্বাসী সকল মানুষ কম বেশি প্রার্থনা করে। এর মধ্যে কেউ মহান স্রষ্টা আল্লাহকে বাদ দিয়ে অন্য দেব-দেবী বা মৃত মানুষের কাছে প্রার্থনা করে। অনেকে আল্লাহর কাছেই প্রার্থনা করে তবে প্রার্থনা নিবেদনের ক্ষেত্রে আল্লাহর সঙ্গে অন্যকে অংশীদার করে। মনে করে আমার কথা আল্লাহ সরাসরি হয়ত নাও শুনতে পারেন। তাই তাঁর ঘনিষ্ট কারো কাছে প্রার্থনা করলে সে তাঁর কাছে পৌঁছে দেবে। আবার অনেকে আল্লাহর কাছে সরাসরি প্রার্থনা করেছেন দীর্ঘদিন। কিন্তু দুআ কবুলের কোনো আলামত না দেখে ক্লান্ত ও হতাশ হয়ে দুআ করা ছেড়ে দিয়েছেন। অনেকে দুআ করেন ঠিকই, কিন্তু কিভাবে করলে তা বৃথা যায় না, কখন দুআ করলে তা কবুল হতে পারে, কিভাবে করলে কবুল হবে না এ বিষয়ে তেমন একটা খবর রাখেন না। এদের সবার প্রশ্নের উত্তর রয়েছে এ বইতে।

সৃষ্টিকর্তা প্রতিপালক আল্লাহর সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক কিভাবে স্থাপিত হতে পারে? মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতে কোনো রকম মুখাপেক্ষী নন। তিনি সকল সৃষ্টিজীব থেকে অমুখাপেক্ষী। সকল বিষয়ে সর্বশক্তিমান। তিনি মহা শক্তির অধিকারী, তাঁর ওপর কেউ বিজয়ী হতে পারে না। আকাশমণ্ডল ও তাবৎ জগতের প্রতিটি বিষয় তাঁর আয়ত্বাধীন। তাই মানুষ তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে, তাঁর কাছে নিজের প্রয়োজন প্রার্থনা করতে, বিপদ থেকে উদ্ধার পেতে সর্বদা তাঁর কাছেই মুখাপেক্ষী। তিনি কারীম-মহান। তাঁর কাছে প্রার্থনা করলে তিনি খুশি হন। মানুষ তাঁর কাছে তাদের প্রয়োজনীয় সবকিছু চেয়ে নেবে। তিনি তাদের প্রার্থনা কবুল করেন।

দুআ কাকে বলে ? কিভাবে করতে হয়? কখন করা উচিত ? দুআ কবুলের অন্তরায় কী ? ইত্যাদি বিষয়গুলো কুরআন ও বিশুদ্ধ সুন্নাহর আলোকে আলোচনা করা হয়েছে এ পুস্তকে।

দুআ দুই প্রকারঃ
এক. দুআউল ইবাদাহ বা উপাগণামূলক দুআ। সকল প্রকার ইবাদতকে এ অর্থে দুআ বলা হয়।

দুই. দুআউল মাছআলা অর্থাৎ প্রার্থনাকারী নিজের জন্য যা কল্যাণকর তা চাবে এবং যা ক্ষতিকর তা থেকে মুক্তি প্রার্থনা করবে। (বাদায়ে আল-ফাওয়ায়েদ : ইবনুল কায়্যিম)
যেমন কেউ সালাত আদায় করল। এ সালাতের মধ্যে অনেক প্রার্থনামূলক বাক্য ছিল। এগুলোই দুআউল ইবাদাহ বা উপাগণামূলক প্রার্থনা। আবার সে পরীক্ষা দেবে। আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করল হে আল্লাহ! তুমি আমার পরীক্ষা সহজ করে দাও এবং কৃতকার্য করে দাও! এটা হল দুআ আল-মাছআলা বা চাওয়া।

দুআ ও প্রার্থনার ফযীলতঃ

১- দুআ এক মহান ইবাদত

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন :
তোমাদের প্রতিপালক বলেন, তোমরা আমার কাছে প্রার্থনা কর, আমি তোমাদের প্রার্থনা কবুল করব। যারা অহংকারবশত আমার ইবাদত হতে বিমুখ তারা অবশ্যই জাহান্নামে প্রবেশ করবে লাঞ্ছিত হয়ে। (আল-মুমিন : ৬০)

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন :
দুআ-ই হল ইবাদত। (আবু দাউদ, তিরমিজী ও ইবনু মাজা)

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেন :
সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত হল দুআ। (হাকেম)

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেন :
আল্লাহর কাছে দুআর চেয়ে উত্তম কোনো ইবাদত নেই। (তিরমিজী)

২- দুআ অহংকার থেকে দূরে রাখেঃ

আল্লাহ তা‘আলা বলেন :
তোমাদের প্রতিপালক বলেন, তোমরা আমার কাছে প্রার্থনা কর আমি তোমাদের প্রার্থনা কবুল করব। যারা অহংকারবশত আমার ইবাদত হতে বিমুখ তারা অবশ্যই জাহান্নামে প্রবেশ করবে লাঞ্ছিত হয়ে। (আল-মুমিন : ৬০)
এ আয়াতে প্রমাণিত হল, যারা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে না তারা অহংকারী। অতএব প্রার্থনা করলে অহংকার থেকে মুক্ত থাকা যাবে।

ইমাম শাওকানী রহ. বলেন : এ আয়াত স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে দুআ অন্যতম ইবাদত। আর এটা পরিহার করা আল্লাহর সঙ্গে অহংকার করার নামান্তর। এ অহংকারের চেয়ে নিকৃষ্ট কোনো অহংকার হতে পারে না। কিভাবে মানুষ আল্লাহর সঙ্গে অহংকার করতে পারে যে আল্লাহ তাকে সৃষ্টি করেছেন, তাকে সব ধরনের জীবনোপকরণ দিয়েছেন, যিনি জীবন দান করেন ও মৃত্যু ঘটান এবং ভাল-মন্দের প্রতিদান দিয়ে থাকেন ? (তুহফাতুয যাকিরীন : আশ-শাওকানী)

৩-দুআ কখনো বৃথা যায় নাঃ

যেমন হাদীসে এসেছে :
আবু সাঈদ খুদরী রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন : যখন কোনো মুমিন ব্যক্তি দুআ করে, যে দুআতে কোনো পাপ থাকে না ও আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করার বিষয় থাকে না, তাহলে আল্লাহ তিন পদ্ধতির কোনো এক পদ্ধতিতে তার দুআ অবশ্যই কবুল করে নেন। যে দুআ সে করেছে হুবহু সেভাবে তা কবুল করেন অথবা তার দুআর প্রতিদান আখেরাতের জন্য সংরক্ষণ করেন কিংবা এ দুআর মাধ্যমে তার ওপর আগত কোনো বিপদ তিনি দূর করে দেন। এ কথা শুনে সাহাবিগণ বললেন, আমরা তাহলে অধিক পরিমাণে দুআ করতে থাকবো। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: তোমরা যত প্রার্থনাই করবে আল্লাহ তার চেয়ে অনেক বেশি কবুল করতে পারেন। (বুখারী : আল-আদাবুল মুফরাদ ও আহমদ)
এ হাদীসে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে কোনো মুসলিম ব্যক্তির দুআ কখনো বৃথা যায় না।।


চলবে, ইন শা’ আল্লাহ .................................

মূল: ফায়সাল বিন আলী আল-বা’দানী
অনুবাদ: আব্দুল্লাহ শহীদ আব্দুর রহমান
---- Preaching Authentic Islam in Bangla থেকে সংগৃহীত ।।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৩

নূসরাত তানজীন লুবনা বলেছেন: আপু প্রিয়তে
জাযাকিল্লাহ

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৫৪

আশালিনা আকীফাহ্‌ বলেছেন: ওয়া আনতুম ফা জাযাকুম আল্লাহু খাইরান

২| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৬

নিস্পাপ একজন বলেছেন: জাযাকাল্লাহু খাইরান 8-| লিখতে থাকুন।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৫৬

আশালিনা আকীফাহ্‌ বলেছেন: ওয়া আনতুম ফা জাযাকুম আল্লাহু খাইরান

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.