![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
“The worldly comforts are not for me. I am like a traveler, who takes rest under a tree in the shade and then goes on his way.” –[Tirmidhi]
কিছু লোক অভিযোগ করে যে তারা বছরের পর বছর সালাত আদায় করছে, কিন্তু তা সত্ত্বেও সালাত তাদের কোন উপকারে আসে নি!
বাস্তবতা হলো –
সালাত তাদেরকে উপকার করতে ব্যর্থ হয় নি, বরং তারাই ব্যর্থ হয়েছে সঠিকভাবে সালাত আদায় করতে। সালাত আপনাকে কখনোই ব্যর্থ করবে না যদি না আপনি প্রথমে সালাতকে ব্যর্থ করে দেন।
ভেবে দেখুন, আপনি কি এমন একজন যার কাছে সালাত উপভোগ্য নয়, বরং বোঝা স্বরূপ?
যদি তা-ই হয়, সালাতের আগে পরে নিজের কাজের প্রতি লক্ষ্য করুন। আপনি কি তাড়াহুড়া করে সালাত আদায় করতে যান? কোনরকমে সালাত আদায় করেন যাতে করে যতো দ্রুত সম্ভব সালাত থেকে উঠে চলে আসতে পারেন? ভাবুন, সালাতের মাঝে কি আপনি তড়িঘড়ি করেন? সালাম ফেরানোর পরেই চট করে উঠে পড়েন? এই ব্যাপারগুলো যদি ঘটে থাকে, তাহলে বলা যায় যে আপনি সালাত থেকে উপকৃত হচ্ছেন না।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা সূরা বাকারায় বলেন:
“তোমরা নামাযসমূহ ও মধ্যবর্তী নামাযের (আসর) ব্যাপারে যত্নবান হও এবং বিনীতভাবে আল্লাহর
উদ্দেশ্যে দন্ডায়মান হও।” [সূরা বাকারা, ২:২৩৮]
সুতরাং ধীরেসুস্থে সালাতের দিকে যান, শান্তভাবে সালাত আদায় করুন। তাহলেই আপনি শান্তি পাবেন। আপনার মন যদি সারা দিনের কাজকর্ম ও চিন্তার জগতে ঘুরপাক খায়, তাহলে একটু সময় নিন একে শান্ত করতে। আপনার অস্থির মনকে ভাবুন এক কাপ চায়ের মত, যা চামচ দিয়ে নাড়া দেওয়া হয়েছে। চামচ সরিয়ে নেওয়ার সাথে সাথেই এটি থেমে যায়
না, একটু সময় নেয়। একইভাবে, সালাত আদায় করার আগে যা করছিলেন, সে সব কাজ বন্ধ করে একটু শান্ত হয়ে বসুন। প্রয়োজন থাকলে প্রাকৃতিক কাজ
সেরে নিন, তারপর সুন্দর করে ওযূ করুন।
পরিপাটি করে চুল আঁচড়ে নিন ও কাপড় পরিচ্ছন্ন কিনা দেখে নিন। শত হোক, আপনি কিছুক্ষণের
মাঝে নিজেকে বিশ্বজগতের মালিকের সামনে উপস্থাপন করতে যাচ্ছেন!
১. আযান দিন, যদি ইতিমধ্যে দেওয়া না হয়ে থাকে, তারপর সুন্নাহ সালাত আদায়ের উদ্দেশ্যে উঠে দাঁড়ান।
২. সুন্নাহ আদায়ের পর সালাতের
স্থানে বসেই কিছু যিকির করুন।
৩. যখন আপনি নিশ্চিন্ত বোধ করবেন এবং ফরয সালাতের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত হবেন, তখন দাঁড়িয়ে সালাত শুরু করুন। ধীরে ধীরে, সালাতের প্রতিটি কাজের মাঝে যথেষ্ট পরিমাণ সময় নিয়ে সালাত আদায় করুন।
শারীরিক, মানসিক ও আত্মিকভাবে প্রশান্ত অবস্থাতেই কেবল ফরয সালাত আদায় করুন।
৪.সালাত শেষ হয়ে গেলেই উঠে দৌড় দিবেন না, একটু সময় নিয়ে সালাহ-পরবর্তী যিকির আদায় করুন।
যখন আপনি আপনার সালাতে প্রচুর সময় ও শ্রম দিতে শুরু করবেন, তখনই আপনার জন্য সালাত বোঝা হবার বদলে আনন্দের ক্ষণ হয়ে দাঁড়াবে। সালাতে দাঁড়িয়ে এক ঘণ্টা কাটিয়ে দিতেও তখন
আপনি বিন্দুমাত্র দ্বিধাবোধ করবেন না। আপনি এক ওয়াক্ত সালাতের পর পরবর্তী ওয়াক্তের জন্য অধীর হয়ে থাকবেন এবং ওয়াক্ত হওয়া মাত্র আদায় করে ফেলবেন। সালাতরত অবস্থায় আপনার মনে হবে যদি এ সালাত সারাজীবন ধরে চলতে থাকতো, আর কখনো শেষ না হতো! এ পর্যায়ে পৌঁছে সালাতের গুরুত্ব আপনার কাছে খাওয়া, পান করা ও
যেকোনো বিনোদনের চেয়ে বেশি দামী মনে হবে, আপনি সালাত ছেড়ে দেওয়ার কথা ভাবতেও পারবেন না। আর সে সময়েই আপনার কাছে সালাতকে মনে হবে সেই সবল সুঠাম ঘোড়ার মতো, যার পিঠে যখন
ইচ্ছা তখনই চড়ে যাওয়া যায়।
--- বাবর আহমাদ
"প্রাচীর" বই থেকে সংগ্রিহীত ॥
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:০৯
আশালিনা আকীফাহ্ বলেছেন: জাযাকি আল্লাহ্ খাইর। আপনিও ভালো থাকুন আপু॥
২| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৪২
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ভাল লাগল পড়ে
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৯
আশালিনা আকীফাহ্ বলেছেন: জাযাকি আল্লাহ্ খাইর আপু
৩| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:২৩
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: জাজাকাল্লাহ খায়র...
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:২০
আশালিনা আকীফাহ্ বলেছেন: ওয়া আনতুম ফা জাযাকুম আল্লাহু খাইরান।।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:০৫
সুফিয়া বলেছেন: খুব ভালো লাগল পড়ে। ধন্যবাদ আপনাকে। সত্যিকার অর্থে নামাজকে যথাযথ মর্যাদার সাথে আদায় করার ব্যাপারে আমরা যথেষ্ট যত্নবান হতে পারলে আমাদের দেহ ও মনে প্রশান্তি আসবে।
ভালো থাকুন আপনি।