![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
“The worldly comforts are not for me. I am like a traveler, who takes rest under a tree in the shade and then goes on his way.” –[Tirmidhi]
কুরআন তো শেলফে কাপড় দিয়ে ঢেকে সাজিয়ে রাখার মত কোন কিছু না।
আবু দারদা (রাঃ) বলেন,
“যখন শেষ যুগ আসবে তখন তোমরা তোমাদের মাসজিদগুলো আর মুসহাফগুলো (কুরআনের সংকলিত কপি যা আমরা একটি কিতাব হিসেবে দেখি) সাজিয়ে রাখবে, এটিই হল সেই সময় যখন তোমরা ধ্বংস হয়ে যাবে কারন এটি একটি ইঙ্গিত যে তোমরা (কুরআনের) বিষয়বস্তুর তুলনায় এর
প্রতীকের (কুরআন সাজিয়ে রাখার) পক্ষে অবস্থান গ্রহন করছ।”
আবু দারদা (রাঃ) এর সময়ে কুরআন
লিখে রাখা হতো হাড়, পাতা আর চামড়ার টুকরোতে। আর বর্তমানে কুরআন এমনভাবে সাজিয়ে রাখা
হয় যে লোকেরা এমনকি সেটা ছুঁতে আর পড়তে চায় না কারন এটা তো দেখতে খুবই সুন্দর লাগে!
যদি লোকেরা দেখত যে কুরআন হাড়
বা কোন টুকরোতে লিখে রাখা হয়েছে তবে তারা সাথে সাথেই বলত যে এমন
কাজ করার মাধ্যমে কুরআনকে অসম্মান করা হয়েছে। এরপরও লোকেরা এটা চিন্তা করে দেখে না যে কুরআন অনুসরণ না করাই হল
কুরআনকে অসম্মান করা। কুরআন আমাদের জন্য কি করতে পারে আর আমাদের কিভাবে আল্লাহর এই কিতাব অধ্যয়ন করা দরকার সেই পথ থেকে আমরা হারিয়ে গিয়েছি।
রসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন,
“এই পৃথিবীর শেষ যুগে বোকামিপূর্ণ চিন্তা আর ধারনা বিশিষ্ট যুবকদের দেখা যাবে। তারা ভাল কথা বলবে কিন্তু ইসলাম থেকে বের হয়ে যাবে ঠিক
তেমনভাবে যেমন করে একটি ধনুক থেকে তীর বের হয়ে যায়, তাদের ঈমান তাদের কণ্ঠনালী অতিক্রম করবে না…” (বুখারি)
এই যুগে কুরআন তিলাওয়াত করা হয় কোন অনুষ্ঠানের শুরু বা শেষে।
লোকেরা তাদের পুরো জীবন অতিক্রম করে কুরআনকে শেলফে
বসিয়ে রাখার মাধ্যমে এবং যখন তারা মারা যায় তখন লোকেরা এটা শেলফ
থেকে বের করে আনে আর সেখান থেকে কিছু অংশ তিলাওয়াত করে এবং এরপর এই কুরআন আবারও সেই শেলফে ফিরে যায়।
কোন একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে সুরা ফাতিহা তিলাওয়াত করা হয় আর কেউ মারা গেলে সুরা ইয়াসিন তিলাওয়াত করা হয় – কুরআনের হক আদায়ের জন্য লোকেরা এসব করে!
সুবহান আল্লাহ!
প্রথম যুগের মুসলিমদের জন্য আল্লাহ’র কিতাব ছিল এক প্রবাহমান শক্তি। সাহাবীদের সেরকম ভিন্ন হওয়ার কারন কি ছিল ?
কারনটি ছিল কুরআন, আর কিছুই না। এই কুরআনই সাহাবীদের পুরোপুরি পরিবর্তন করে দিয়েছিল তাদেরকে নিন্মস্তর থেকে উচ্চস্তরের মনুষ্যত্বে পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে। আমাদের ক্ষেত্রেও এমনটি ঘটবে যদি আমরা তাতাব্বুর (গভীরভাবে চিন্তাভাবনা করা) করি।
উসমান ইবন আফফান (রাঃ) কিয়ামুল লাইল (রাত্রিকালীন সালাত) শুরু করার পর দুই রাকআতে যে কুরআন তিলাওয়াত শুরু করতেন তাতে তার রাত অতিবাহিত হয়ে যেত,
এরপরও তার সেই দুই রাকআত সালাত অতিবাহিত হতো না।
তিনি ঘণ্টার পর ঘণ্টা সালাতে দাঁড়িয়ে থাকতেন আর আমরা সুনিশ্চিত যে তিনি এতে কোন রকম বিরক্তি বা যন্ত্রণা অনুভব করতেন না কারন এটা ছিল আল্লাহর কিতাবের সাথে তার সম্পৃক্ততা। আল্লাহ তার জন্য এটা সহজ করে দিয়েছিলেন।
আল্লাহর কিতাবকে সাথে নিয়ে জীবন পরিচালনা করা আর একে খুব সিরিয়াসলি গ্রহন করা এটা দাবী করে যে আমরা আল্লাহর কিতাবকে ভালবাসবো। কুরআনের সাথে নিজেদের
সংযুক্ত না রেখেই যদি আমরা তা তিলাওয়াত করি তবে আমরা তা থেকে উপকার পাব না।
এটা বুঝা যায় উস্মান ইবন আফফান (রাঃ) এর এই উক্তি থেকে –
“যদি অন্তরগুলো বিশুদ্ধ হয় তবে সেগুলো আল্লাহর কিতাবের তৃষ্ণায় কখনও পরিতৃপ্ত হবে না।”
আমরা যদি আল্লাহর কিতাবকে ভালবাসি তবে আমরা কখনোই যথেষ্ট পরিতৃপ্ত হবো না।
আমরা আল্লাহর কাছে দুয়া করছি যেন তিনি আমাদেরকে তার দ্বীনের ব্যাপারে ফিকহ (আন্ডারস্ট্যান্ডিং) দান করেন এবং আমাদের সকলকে কল্যাণ দান করেন, আমিন।
সূত্র : কুরআন অনুধাবন (লেকচার ও প্রশ্ন-উত্তর পর্ব)
– শায়খ আনওয়ার আল আওলাকি- Black Flag Series in Bangla.
২| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৭:২১
নূসরাত তানজীন লুবনা বলেছেন: আমীন
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:০০
গরু গুরু বলেছেন: আমিন