![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
“The worldly comforts are not for me. I am like a traveler, who takes rest under a tree in the shade and then goes on his way.” –[Tirmidhi]
আপনি নিজের দিকেই লক্ষ করুন। দেখবেন, যে দিনগুলোতে আপনি ফজরের পর থেকেই কাজকর্ম শুরু করে দেন, সে দিনগুলি অন্যান্য দিনের চাইতে অনেক বেশি কার্যকর। আর যে দিনগুলিতে ফজরের পর আবার কয়েক ঘণ্টা ঘুমান, সে দিনগুলো কখনোই এত কর্মমুখর হয় না। সকালে উঠে একটু হাঁটতে বের হওয়া বা তাড়াতাড়ি অফিসে পৌঁছানোর জন্য সকাল সকাল উঠে পড়ার কোনো বিকল্প নেই। অথবা ক্লাসের পড়াটা তৈরি করে ফেলা এবং কুর’আন মুখস্থ করার জন্য কিংবা সফরে বের হওয়ার জন্য ভোরবেলার কোনো জুড়ি নেই।
এমনকি দিনের প্রথম খাবার দেরি করে খাওয়ার বিপরীতে সকাল সকাল নাস্তা করার মতো ছোট্ট বিষয়টাও আপনার পুরো দিনটিকে সতেজ করে তোলে। ভোর থেকে শুরু হওয়া আপনার কর্মব্যস্ত দিনগুলোর সাথে সেই দিনগুলোর তুলনা করে দেখুন যখন পুরো সকালটা আপনি কিছু না করেই কাটিয়ে দেন। সেই অলস দিনগুলোতে হয়তো ঘুম থেকে উঠে কেবলমাত্র সকালের নাস্তা সারতে সারতেই বেলা বারোটা বেজে যায়।
এই দুই ধরনের দিনে আপনার অর্জন কি কখনো সমান হয়? তফাৎটা তো দিনের আলোর মতোই পরিষ্কার! আর এ কারণেই রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এবং তাঁর সাহাবাদের সুন্নাহ ছিল সকাল সকাল কাজ শুরু করে দেয়া। এমনকি কঠোর শারীরিক শ্রমজড়িত আমল, জিহাদের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম ঘটে নি।
সুতরাং ফজর সালাতের পর অলসতা ঝেড়ে ফেলুন। জড়তা কাটিয়ে জেগে ওঠার চেষ্টা করুন। আর এসময়টিকে কাজে লাগান। আপনার দৈনন্দিন কাজগুলো আগে আগে সেরে নিন। সেই দলের সাথে যোগ দিন যাদেরকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আখ্যায়িত করেছেন “ভোরের-পাখি” হিসেবে। তাদের জন্য তিনি আল্লাহর কাছে বরকতের দু’আ চেয়েছেন!
আর জেনে রাখুন সকালে করা সবচেয়ে উত্তম, সতেজ ও উপকারী কাজটি হলো আল্লাহর স্মরণে নিমগ্ন হওয়া।
নবীজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর নিজের সম্পর্কে বলেছিলেন: “ইসমাঈল (আলাইহিস সালাম) এর উত্তরসূরীদের মধ্য হতে চারজন দাস মুক্ত করার চাইতে ভোর থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত আল্লাহর স্মরণে রত কোনো দলের সাথে বসে থাকা আমার নিকট অধিক প্রিয়”।
------ [বই: প্রাচীর, কুরআন এবং আপনি (পর্ব ১৪)]
©somewhere in net ltd.