![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
“The worldly comforts are not for me. I am like a traveler, who takes rest under a tree in the shade and then goes on his way.” –[Tirmidhi]
অত্যন্ত চমকপ্রদ এ ঘটনাটি মুসলিম আন্দালুস তথা মুসলিম স্পেনের, আরও সুনির্দিষ্ট করে বললে বলতে হয়, জ্ঞান বিজ্ঞান আর কৃষ্টি কালচারের জন্মভূমি ‘গ্রানাডা’র।
একবার সেখানকার এক সুলতান তার পুত্রের বিয়ে দেবার মনস্থ করলেন। তিনি একজন যোগ্য পাত্রীও খুঁজছিলেন ছেলের জন্য। এমন পাত্রী, যিনি রাজ পরিবারের জন্য উপযুক্ত হবেন।
এরকম একজন সুযোগ্য পাত্রী পেতে সুলতান এক
অভিনব পন্থা অবলম্বন করলেন।
তিনি ঘোষণা করলেন;
গ্রানাডা শহরে যে বাড়ীতে বিবাহযোগ্য এমন পাত্রী রয়েছে, যে পাত্রী একদিকে পুরো আল
কুরআনর মুখস্থ করেছে, অর্থাৎ কুরআনের হাফেজ,
এবং এর পাশাপাশি ইসলামের যে কোন একটি হাদিসশাস্ত্রও যার মোটামুটি জানা আছে, সেরকম পাত্রীর অভিভাবকরা যেন তাদের বাড়ীর বারান্দা বা ব্যালকনির বাইরে রাতের বেলায় প্রোজ্জ্যলমাণ বাতি টানিয়ে রাখেন।
কেবল সুলতানকেই নয়, পুরো গ্রানাডাবাসীকে অবাক
করে দিয়ে সে রাতে শহরের প্রায় প্রতিটি বাড়ীর ব্যালকনিতেই প্রোজ্জ্যলমান বাতি টানানা হয়েছিল!
অর্থাৎ প্রায় প্রতিটি বাড়ীতেই এমন যুবতী মেয়ের
উপস্থিতি ছিল, যে মেয়েটি একাধারে কুরআনে হাফেজ,
আবার অন্যদিকে হাদিসশাস্ত্রেও তার অগাধ
পান্ডিত্য ছিল!
আন্দালুসের অধিবাসীরা জ্ঞান চর্চার ক্ষেত্রে এতটা অগ্রসর এবং সেখানে পুরুষের পাশাপাশি নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে তাঁরা এতটা এগিয়েছিলেন বলেই
বিশ্বে আধুনিক রেনেসার জন্ম দিতে পেরেছিলেন।
আর পরিশেষে কারিকুলাম প্রণয়নের নামে শিক্ষার
পরিধীকে সংকুচিত করা সহ তাকে অবজ্ঞা করাটাই
তাদের পতন ডেকে আনে।
আর এর বিপরিতে আমাদের মেয়েদের শিক্ষার
ক্ষেত্রে গুরুত্ব না দেয়াসহ সামগ্রিকভাবে শিক্ষা ও
গবেষণার নিরবিচ্ছিন্ন লেগে না থাকাটাই পশ্চৎপরতার একমাত্র কারণ। প্রশ্ন হলো, আমরা কি এ বাস্তবতা উপলব্ধী করতে পারব? পারলে সেটা কবে?
----- collected from author "Zia ul haque"
©somewhere in net ltd.