![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পনেরো হাজার পৃষ্ঠার একটা উপন্যাস লিখব! সেই উপন্যাসে তার নাম কোটিবার থাকবে! সেই উপন্যাসের নায়ক আমি আর নায়িকা সে!
আমি বসে থাকতে দেখলেই তার মাথা ঠিক থাকে না। চা দাও, টিভির রিমোটটা দিও, ঠান্ডা পানির সাথে নর্মাল পানি মিশিয়ে দাও। একটা না একটা কাজ ধরিয়ে দিবেই! নিজে উঠে গিয়ে পানি খাবে কিংবা টিভির রিমোট-টা নিবে, তা না! আমাকে খাটাবে, আমি যেন তার বউ না, পার্মানেন্ট একটা চাকরানি..
ভালোবাসলেই হয় না। একটু সাহায্য করতে হয়। বিছানায় একা আমি ঘুমোই না। সেও ঘুমাও! কিন্তু বিছানা গোছাতে হবে, আমাকে! কোনও দিন যদি ফ্রিজ থেকে পানির বোতলটা নামাতো! বিয়ের ছয় মাসের মধ্যে আমাকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে... সারাদিন বকাঝকা করি। যেন আমি, কলাগাছে তেল মেখে, কালা গাছের ডগায় পৌঁছানোর চেষ্টা করছি! কোনও কাজ হয় না...
আমিও শেষমেশ আর পারি না, হার মেনে নেই। কি একটা ছেলেকে বিয়ে করলাম, সংসারের কিচ্ছু বোঝে না! এই হাবাগোবাটা যে আমার মতো বুদ্ধিমতী মেয়েকে পেয়েছে, তা ওর অনেক বড় ভাগ্য ভাগ্যের ব্যাপার। কিন্তু দিন শেষে যখন ওই হাবাগোবাটা আমাকে জড়িয়ে ধরে বলে,-সারাদিন অনেক কষ্ট করেছো, "এখন একটু রেস্ট নাও..." -তখন হাবাগোবাটার জন্য মনের ভেতর ভালোবাসা পরিপূর্ণ হয়ে যায়। নিজেকে তখন ভীষণ ভাগবতী মনে হয়...
©somewhere in net ltd.
১|
৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:২৩
রুবিনা পাহলান বলেছেন: এমনই হয়----সারাদিন বকি কিন্তু শেষে যখন এসে কিছু বলে আহা ! মুখটা এত শুকনা কেন তখন নিজেকেই অপরাধী মনে হয়।