নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

গান শুনতে ভালবাসি কিন্তু গান গাইলে সবাই পালায়। প্রেম করি কিন্তু প্রেমিকা নাই। লেখালেখি করি কিন্তু পাঠক নাই। আমি আছি কিন্তু কেউ নাই...

আসিফ বিন হোসেন

পনেরো হাজার পৃষ্ঠার একটা উপন্যাস লিখব! সেই উপন্যাসে তার নাম কোটিবার থাকবে! সেই উপন্যাসের নায়ক আমি আর নায়িকা সে!

আসিফ বিন হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

দ্যা ওম্যান

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৫০

একজন মহিলা। স্বামী জুয়াড়ি। বিয়ে পারিবারিক ভাবেই হয়ে ছিল। ত্রিশ বছরের বিবাহ জীবনের ইতি হতে চলেছে। প্রাপ্ত বয়স্ক এক মেয়ে আর এক ছেলে, এই ডিভোর্সের আয়োজন করেছে। মায়ের প্রতি তাদের বাবার নির্যাতন তাদের সহ্য হয় না।
.
যাঁর কথা বলছি, ইমদাদুল হক। মদে আসক্ত। এক সময় রাতভর মদ খেয়ে ঘরে ফিরতেন। ফিরেই বউকে আচ্ছা মতো পিটাতেন। মালয়েশিয়ায় থেকে বহু টাকা কামিয়েছে এক সময়। দেশে এসে জুয়া খেলে সব ওড়াতে লাগলেন। তাঁর বাবা-মা মনে করলেন, ছেলেকে বিয়ে দিয়ে দিলে, হয়তো সমস্যার সমাধান ঘটবে।

বিয়ে হল। বাচ্চা হল। কিন্তু জুয়া ছাড়তে পারলেন না। মালয়েশিয়ার টাকা শেষ। জমি জামা বিক্রি করা শুরু করলেন। তাঁর স্ত্রী কিছু বলার সাহস পেত না। সপ্তাহে দুই তিনবার মেরে তিনি তাঁর স্ত্রীকে চুপ করিয়ে রাখতেন। এজন্য, বাচ্চাদের কাছে অনেকটা ভিলেন হয়েই থাকতেন। আর উনার স্ত্রী বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে, ছেলেমেয়েদের মানুষ করতে লাগলেন, পড়াশোনা করতে লাগলেন।

এখন তাঁর রাত করে মদ খেয়ে বাড়ি ফেরার সামর্থ নেই। ছেলে মেয়েরা আগেই তাঁকে ছেড়ে দিয়ে ছিল। এখন তাঁর স্ত্রীও তাঁকে আনুষ্ঠানিক ভাবে ছেলে চলে যাবে।
.

এই প্রথম মা আদালতে এসেছে। তাও আবার নিজের ডিভোর্সের কেসের জন্য। তাই তাঁর ছেলে মেয়ে তাঁকে খুশি রাখার জন্য এটা ওটা বলছে।

জজ সাহেব যখন, তাঁকে কাঠগড়ায় উঠতে বলল। তিনি রীতিমতো কেঁপে উঠলেন। কাঁপতে কাঁপতে দাঁড়িয়ে রইলেন কাঠগড়ায়। হঠাত্ তাঁর চোখ গেল, দূরে কোণে অসহায় ভঙ্গিতে বসে থাকা তাঁর বৃদ্ধ স্বামীর দিকে।
মহিলা ভাবলেন, -এই লোকটা এত কষ্ট দিল। কিন্তু আজ লোকটার জন্য এত খারাপ লাগছে কেন। আমার খুশি হওয়ার কথা। মুক্তির খুশি। কিন্তু আজ কেন মনে হচ্ছে, আমি এই লোকটাকে ছেড়ে চলে গেলে, লোকটা তো অসহায় হয়ে যাবে...

মহিলা কাঁপতে কাঁপতে বেহুঁশ হয়ে গেলেন। আদালতের কার্যক্রম কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ রাখা হল।
মহিলা কিছুটা সুস্থ বোধ করার পরে। জজ সাহেব তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন,-আপনি কি ডিভোর্স চান আসলেই?

মহিলা কাঁদতে কাঁদতে বললেন, - না। কাউকে অসহায় করে আমি ছেড়ে চলে যেতে পারব না...

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:০০

জাহিদ হাসান মিঠু বলেছেন: যারা স্ত্রীর গায়ে হাত তোলে তারা কাপুরুষ।
ক্ষমা মহত্ত্বের লক্ষণ।

ভালো লিখেছেন।
ধন্যবাদ

২| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



প্ললটি ভালো ছিল, লেখার অবস্হা ৫ম শ্রেণীর ছাত্রের সমান।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.