![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পনেরো হাজার পৃষ্ঠার একটা উপন্যাস লিখব! সেই উপন্যাসে তার নাম কোটিবার থাকবে! সেই উপন্যাসের নায়ক আমি আর নায়িকা সে!
এক মাস পরে দেখা করতে বের হল। জাহিরের ফাইনাল সেমিস্টারের প্রজেক্টের চাপ। আর ঝর্ণার ভর্তি পরীক্ষার চাপ। দুই জনই ভীষণ ব্যস্ত ছিল। মাঝখানে জাহির, ঝর্ণার ঢাকা ইউনিভার্সিটির ফর্ম পূরণের জন্য বাসায় গিয়েছিল। আর তখন ঝর্ণা ফার্মগেটের ওখানে ভর্তি কোচিং এ ছিল।
বাসায় এসে যখন জানল জাহির এসেছিল, তখন জাহিরকে দেখতে না পারায় ভীষণ মন খারাপ হল ঝর্ণার।
ভালোবাসার মানুষকে ফোনে কন্ঠ শুনে, চ্যাট করে, ফেসবুকে ছবি দেখে মনের তীব্র ক্ষুধা মেটানো যায় না। তাকে দেখতে হয়। দুচোখ ভরে দেখতে হয়। সামনা সামনি দেখতে হয়।
কিছু দিনের ব্যস্ততায়, জাহির ঝর্ণার মনেই ওই তীব্র ক্ষুধা সৃষ্টি হয়েছে। কারও দিন ভালো যাচ্ছে না, দুজন দুজনাকে সামনা সামনি না দেখে।
.
জাহির আগে এসেই স্টার কাবাবের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। ঝর্ণা বিশ মিনিট দেরি করে আসল।
ভালোবাসার এটাই খেলা। দুইজন অসুন্দর মানুষ যখন, দুজন দুজনাকে ভালোবাসে, তখন তাদের দুজনকে একসঙ্গে দেখতে ভীষণ সুন্দর লাগে। জাহির আর ঝর্ণা দেখতে আহামরি সুন্দর না। কিন্তু রেস্তারাঁর দোতালায়, সবাই যেন ওদের দুইজনের দিকেই তাকিয়ে আছে। ওখানে আরও কাপল আছে। ওদের থেকেও দেখতে সুন্দর ছেলে মেয়ে...
ঝর্ণা গাল ফুলিয়ে বসে আছে। জাহির চশমা শার্টে মুছতে মুছতে ওকে জিজ্ঞাসা করল,-"কেমন আছো?"
-"তোমার কি আসে যায়?"
জাহির হেসে বলল,-"কি খাবে?"
-"আমি কি মজার কিছু বলেছি?"
ঝর্ণা জানে জাহিরের সাথে রাগ করে লাভ নেই। ও মোটেই সিরিয়াস হবে না। হাসিয়ে দিবে। তারপর একটা লেকচার দিবে। তারপর কিছুক্ষণ অপলক দৃষ্টিতে ঝর্ণার দিকে তাকিয়ে থাকবে। এতে নাকি চোখের তৃষ্ণা মেটে।
ওই লেকচারটা এইরকম,-"ঝর্ণা! আমাদের কতদিন পরে দেখা হলো। রাগ করে না থেকে একটু কথা বল। আবার কখন না কখন দেখা হয়। যতক্ষণ আছি এখানে, ততক্ষণ তোমাকে কিছুক্ষণ দেখতে চাই। কতদিন তোমাকে দুচোখ ভরে দেখি না। এই বোকা মেয়ে! আমার দিকে একটু তাকাও!"
ঝর্ণা অধীর আগ্রহে জাহিরের লেকচারটার অপেক্ষা করছে... ❤
©somewhere in net ltd.