![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রেমিক/প্রেমিকা যদি আমাদের ধোকা দেয়? আমরা চরম রেগে যাই /না হয় ছেকা খেয়ে স্ট্যাটাস দেই/কেউ বা বিরহের কবিতা লিখি/ হইতোবা কেউ এর চেয়েও ভয়ানক কিছু ফেলাতে পারি। প্রেমিক প্রেমিকার এ সম্পর্ক নিশ্চই আপনার জন্য সিরিয়াস হতে হবে। আপনি যদি সত্যি কারের ভালোবাসেন তাকে তবে সে চলে যাওয়াতে বা ধোকা দেওয়াতে আপনার মনে একটু হলেও নাড়া দিবেই, দিতে বাধ্য । আর যদি সেফ টাইম পাস করার জন্য রিলেশন করেন তবে এ ধোকা খাওয়ার পর আপনার তেমন কিছু রিএকশন আশা করা যায় না। এসব রিএকশন মূলত ভালোবাসা/ একে অপরের বিশ্বাস কতখানি ছিল এর উপর নির্ভর করবে। আশা করি বুঝছেন।
কিন্তু যে আমরা প্রতিনিয়ত আমাদের মন কে /আত্মাকে ধোকা দিয়ে আসছি এর দায় কে নেবে?? নিশ্চই এর গল আমাদের ভোগ করতে হবে? কয়দিন আগে এক আত্মীয় কি এক কথায় বলে উঠল, আমি নামাজ না পড়তে পারি আমি মুসলমান। আমার ঈমান ঠিক আছে। আমার আখলাক ঠিক আছে। এরকম কথা প্রতিনিয়তই নানা মানুষের মুখে প্রতিনিয়ত শুনি। নামাজের কথা আল্লাহ কুরআন মাজিদে ৮২ বার বলেছেন। আমরাও জানি নামাজ কতটা গূরুত্তপূর্ন। কিন্তু এ নামাজ না পরেই প্রকৃত ঈমানদার বলে জহির করি। কি অদ্ভুদ!! ইসলামের পাচটি স্তম্ভের মধ্যে কালিমার পড়েই সালাতের অবস্থান। কিন্তু সালাত বাদে নিজেকে ঈমানদার ভাবে কেমন করে ? সালাত আদায় না করে,আখেরাতের কথা না ভেবে কেউ কেউ সম্পদের পাহাড় করছে,ধনদৌলত গড়ছে । কিন্তু আদৌ কি এটা কোনো কাজে লাগবে?
আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন-হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)বলেছেন- কেয়ামতের দিন বান্দার আমলের মধ্য থেকে যে আমলটির হিসাব সর্বপ্রথম গ্রহণ করা হবে সেটিই হলো নামায। যদি এ হিসাবটি নির্ভুল পাওয়া যায় তাহলে সে সফলকাম হবে ও নিজের লক্ষে পৌঁছে যাবে। আর যদি এ হিসাবটিতে ভুল দেখা যায় তাহলে সে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ও ধ্বংস হয়ে যাবে।
সূরা আল কালাম এর ৪২-৪৩নং আয়াতে আল্লাহ বলেন- ''যেদিন কঠিন সময় এসে পড়বে এবং সেজদা করার জন্য লোকদেরকে ডাকা হবে কিন্তু তারা সেজদা করতে সক্ষম হবে না। তাদের দৃষ্টি হবে অবনত। হীনতা ও অপমানবোধ তাদেরকে আচ্ছন্ন করে ফেলবে। এর আগে যখন তারা সম্পর্ণ সুস্থ ছিল তখন সিজদার জন্য তাদের ডাকা হলে তারা অস্বীকৃতি জানাতো।”
এতো নিশ্চিত ভাবে জানার পরও কিভাবে এ থেকে দূরে থাকে? তাহলে নিশ্চই ঈমানের ঘাটতি আছে। নিজেকে একবার প্রশ্ন করুন তো? ভেবে দেখুন কতোটা নিজেকে ধোকা দিচ্ছেন। নিজের মন কে কতোটা বোকা বানাচ্ছেন?
এ ধন-সম্পদ কোনোই কাজে আসবে না। এইতো বিলাশ বহুল অট্টলিকায় বাস করছেন,কোটি কোটি টাকার সম্পদ গড়ছেন, কিন্তু রাতের সামান্য ভূমিকম্পেই সব কিছু ফেলে পালাচ্ছেন। লুঙ্গি পরেই। অন্য সময় কোট-স্যূট ছাড়া দেখাই যায় না। শেষ তো সব সম্পদের মায়া এই কয়েক সেকেন্ডেই? ভাবতেই হাসি পায়। রাতে ভূমিকম্প হলে ফজরের নামাজে মসজিদের সব কাতার ভরে যায়!! এতো ভয়? কিন্তু আগে ছিল না।
পবিত্র কুরআন মাজিদে বর্ণিত,
“বল: আল্লাহ তাআলা তোমাদের উপর, তোমাদের উপর থেকে (আসমান থেকে) অথবা তোমাদের পায়ের নীচ থেকে আযাব পাঠাতে সক্ষম, অথবা তিনি তোমাদের দল-উপদলে বিভক্ত করে একদলকে আরেক দলের শাস্তির স্বাদ গ্রহণ করাতেও সম্পূর্ণরূপে সক্ষম।” (সূরা আল আনআম : ৬৫)
আল-বুখারী তার সহীহ বর্ণনায় জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রা) থেকে বর্ণনা করেন,
তিনি বলেন: যখন “তোমদের উপর থেকে (আসমান থেকে) ” নাযিল হলো তখন রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: “আমি তোমার সম্মূখ হতে আশ্রয় প্রার্থনা করছি”, অথবা যখন, “ অথবা তোমাদের পায়ের নীচ থেকে আযাব পাঠাতে সক্ষম” নাযিল হলো, তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামবললেন: “আমি তোমার সম্মূখ হতে আশ্রয় প্রার্থনা করছি”। (সহীহ আল বুখারী, ৫/১৯৩)
(আবূল-শায়খ আল-ইস্পাহানি এই আয়াতের তাফসীরে বর্ণনা করেন,
“বল: আল্লাহ তায়ালা তোমাদের উপর, তোমাদের উপর থেকে (আসমান থেকে) ” যার ব্যাখ্যা হলো, তীব্র শব্দ, পাথর অথবা ঝড়ো হাওয়া; “অথবা তোমাদের পায়ের নীচ থেকে আযাব পাঠাতে সক্ষম”, যার ব্যাখ্যা হলো, ভুমিকম্প এবং ভূমি ধ্বসের মাধ্যমে পৃথিবীর অভ্যন্তরে ঢুকে যাওয়া।)
নিঃসন্দেহে বর্তমানে যেসকল ভূমিকম্পগুলো ঘটছে তা মহান আল্লাহর প্রেরিত সতর্ককারী নিদর্শনগুলোর একটি যা দিয়ে তিনি তাঁর বান্দাহদের ভয় দেখিয়ে থাকেন। এই ভূমিকম্প এবং অন্যান্য সকল দূর্যোগগুলো সংগঠিত হওয়ার ফলে অনেক ক্ষতি হচ্ছে, অনেকে মারা যাচ্ছে এবং আহত হচ্ছে; এই দূর্যোগগুলো আসার কারণ হচ্ছে, শিরকী কার্যকলাপ(ইবাদতের ক্ষেত্রে অন্য কাউকে মহান আল্লাহর অংশীদার বানানো) এবং মানুষের পাপ (মহান আল্লাহ যে কাজগুলো করতে নিষেধ করেছেন সে কাজগুলো করার কারণে)।
যাক সামান্য ভুমিকম্পেও তো ভয় পায় মানুষ!! নামাজ আদার করে!!! ভালো কাজের নিয়ত করে!!!
ভূমিকম্প থেকে যদি ভালো কিছু হয় তবে ভূমিকম্পই ভালো
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: পবিত্র ক্বুর-'আন মাজিদ থেকে আয়াত উদ্ধৃত করে বেশ ভাল একটি প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনা করেছেন। এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপনাকে।
পোস্টে প্রথম ভাল লাগা + +