![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একদা প্রশ্ন করিলাম তাহাকে,
ওগো মৃত্যু তুমি কে?
জবাবে মৃত্যু কহিলো আমায়,
আমায় কি চেনোনা আমি তো সেই
যাহা মুহূর্তেই বন্ধ করে দিতে
পারেযুগে যুগে চলা নিশ্বাস-প্রশ্বাস।
জবাবে সন্তুষ্ট না হইয়া,
আবারো কঠিন করিয়া তাহাকে
প্রশ্ন করিলাম মৃত্যু তুমি কে?
জবাবে কহিলো সে,
আমাকে চেনো না তুমি?
আমি হইলাম সেই,
যাহা কোনো প্রানী কে মুহূর্তেই
বঞ্চিত করিতে পারে,
যুগে যুগে দেখে চলা অপরূপ
পৃথিবীর মহান সৌন্দর্য কে।
আমি হলাম তো সেই।
আমি এবার প্রশ্ন করিলাম
ওহে মৃত্যু, তোমার কাজ কি?
জবাবে কহিলো মৃত্যু,
আমি দিতে পারি সন্তান হারানোর
মায়ের আর্তনাদ!
দিতে পারি স্বামী হারানো
স্ত্রীর নিঃসার্থ আহাজারি!
দিতে পারি বাবা হারানো
সন্তানের জীবনভর বেদনা!
মৃত্যু এবার আরোও বলিলো,
আমার অপর নাম মরণ
আমি কোনো মানবকে মুহূর্তেই
শরীরে জড়িয়ে দেই কাফন।
জীবনে তাঁহারা করে না
দিনে একটুও স্বরন,
না করিলেই বা আমার কি?
আমি একদিন না একদিন
তাঁহাদের দান করিবো মরণ।
আমি মৃত্যু, আমি মরণ
আমার নাহি আছে,
কোনো মানবের নিকট
যাওয়ার কোনো দিন-ক্ষন।
আমি ভিত সন্ত্রস্ত হইয়া বলিলাম,
আমি তোমাকে ভয় পাই,
তুমি আমার নিকট এসো না,
আমাকে মুক্তি দাও,
হাসিয়া মৃত্যু কহিলো,
হে বাছা, এ কোন যুক্তি দাও?
আবারো বলিলাম তুমি কই?
জবাবে সে হাসিয়া কহিল,
তোমার পাশে, খুব নিকটে
চলে আসতে পারি তো
যেকোনো মুহূর্তেই!
©somewhere in net ltd.