![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্বাধীনতা আর মুক্তি সত্য কথায় থাকুক যুক্তি । এটা আমার প্রেরনা ।
প্রশ্নটি গুরুতর । এর উত্তর খুঁজতে হবে আমাদের আশপাশে থাকা তথ্য গুলো থেকে । বড় একটা অংশ পার হতে হবে কার্যকরণ যুক্তি উপর ভর করে ।
বামদের কাছে কর্নেল তাহের অনেকটা দেব তুল্য বিপ্লবী । একজন মহান মুক্তিযোদ্ধা । ১৯৭১ এর ১৬ ডিসেম্বার থেকে ১৯৭৫ এর ৬ নভেম্বর পর্যন্ত একজন নিষ্পাপ সৈনিক । কিন্তু ৭ নভেম্বর হটাত করেই তিনি অন্য অনেককে নিয়ে সমাজতান্ত্রিক আদর্শের একটা বিপ্লব ঘটিয়ে দিলেন । কিন্তু মাঝখান থেকে মেজর জিয়া বিপ্লবের সুফল জবরদখল করলো । এবং ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের কলঙ্ক জনক হত্যাকাণ্ড প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে জিয়া এর মদদে হয়েছে ।
এখানে আমার আলোচনা জিয়াকে নিয়ে নয় । বরং একটা প্রশ্নের উত্তর খোঁজা । প্রশ্নটি হল " ৭ নভেম্বর ১৯৭৫, কর্নেল তাহের কি বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতেন ? "
এবার প্রেক্ষাপট বর্ণনায় আসি । বাম ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়িতরা প্রথম পাকিস্থান ভাঙ্গার পরিকল্পনা করে । অবস্থার প্রেক্ষিতে আওয়ামীলীগ মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেয় , তবে এতে বামদের অংশগ্রহণ প্রভাবশালী পর্যায়ে ছিল।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালিন সময়ে বামরা প্রায় আলাদা করে নিজেদের সত্তার প্রমান দিয়েছে । যেমন সিরাজ সিকাদার , আ স ম আব্দুর রব, কর্নেল তাহের ।এরা মুক্তিযুদ্ধে খুব সুপরিচিত নাম । এই সময় বাম পন্থিদের সাথে আওয়ামীলীগের বিরোধ কিন্তু কম ছিল না । বঙ্গবির কাদের সিদ্দিকির বিরুদ্ধে বামপন্থী কিছু মুক্তিযোদ্ধা হত্যার অভিযোগ আছে । তবে এর প্রমান খোঁজা হয় নি ।
যাই হোক স্বাধীনতার পর পুরো সুফল ভোগ করে আওয়ামীলীগ । বামপন্থীরা চরম নির্যাতনের স্বীকার হন । ইত্তেফাক এর হিসাব মতে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত রক্ষীবাহিনীর হাতে ২২০০ জন বাম আন্দোলন কর্মী নিহত হন । আসল সংখ্যা এর থেকে অনেক বেশি ।
এমনি অবস্থার প্রেক্ষিতে কর্নেল তাহের যিনি বেক্তিগত ভাবে সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবে বিশ্বাসী ছিলেন তিনি সেনাবাহিনীর মধ্যে বামপন্থীদের একত্রীত করেন । এই সময় জাসদ গণবাহিনী অত্যন্ত সংগঠিত ভাবে কাজ করতে থাকে ।utube ওই সময় ধারন করা হাসানুল হোক ইনুর কিছু সাক্ষাৎকার পাওয়া যাবে । তিনি ওই সময় জাসদের অন্যতম নেতা ও ৭ নভেম্বর এর সংগঠকদের অন্যতম ছিলেন । উল্লেখ্য ১৯৭৪ সাল নাগাদ ভারতীয় গয়ন্দা সংস্থা মুজিবকে এই ব্যাপারে সতর্ক করে দেয় ।
১৯৭৫ পর্যন্ত যে বাম বিরোধী কাজ গুলো হল
১ ) বামপন্থী রাজনৈতিক কর্মীদের হত্যা , নির্যাতন । এই সময় আ স ম আব্দুর রব ও কিন্তু জেলে ছিলেন । সিরাজ সিকদারকে হত্যা করা হয় ।
২ ) বামপন্থী পত্রিকা নিষিদ্ধ করা ।
৩ ) সকল বামপন্থী দল গুলোকে নিষিদ্ধ করা হয় ১৯৭৪ সালের শেষ দিকে এসে ।
এখন কথা হল তাহের কি এই সব মেনে নিচ্ছিলেন ? মুজিব সরকারের বিরুদ্ধে তিনি কি বিপ্লবের জন্য সুযোগের অপেক্ষায় ছিলেন না ? বঙ্গবন্ধুকে জিবিত রেখে কি তাহের বিপ্লব করতে পারতেন ? সেনাবাহিনীর মধ্যে এতো শক্তিশালী অবস্থায় থাকার পরো তাহের কি মুজিব হত্যা কাণ্ডের পরিকল্পনার কথা জানতেন না ?
এখন যুক্তি দাড় করাতে পারি তাহের গণবাহিনীর অন্যতম সঞ্চালক হিসেবে মুজিব হত্যার পরিকল্পনার কথা জানতেন । এবং সময় এলে বিপ্লবের খাতিরে তিনি নিজেই বঙ্গবন্ধু কে হত্যা করতেন । এ ছাড়া তাহের যে বিপ্লবের স্বপ্ন দেখিছিলেন তা ছিল অসম্ভব ।
শেষ কথা "সিপাই সিপাই ভাই ভাই অফিছারের লাশ চাই" এই শ্লোগানে ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বারের বিপ্লব তাহের করেছেন ।এই বিপ্লব তিনি করেছেন খালেদ মসারফ এর বিরুদ্ধে । ইতিহাস বলে খোন্দকার মুস্তাকের বিরুদ্ধে খালেদ মসারফ অভ্যুত্থান করেন । মুস্তাক বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বসানো লোক ছিলেন । আর খালেদ মসারফ কিন্তু বঙ্গবন্ধুর বিরোধী ছিলেন না । ৭ নভেম্বর তাকে জাসদের সেনাকর্তারা হত্যা করেন । এই দিন আওয়ামীলীগ মুক্তিযোদ্ধা হত্যা দিবস পালন করেন । কে এই মুক্তিযোদ্ধা হত্যা কারি ? তিনি হলেন তাহের । কারন জিয়া তখনো বন্দি , নিজের জীবন নিয়ে ভাবছেন ।
শেষ কথা যা আমার প্রশ্নের উত্তর । বঙ্গবন্ধু ১৫ই আগস্ট যদি নিহত নাও হতেন তবে ৭ নভেম্বর হতেন । কারন তাহের এর নেত্রীতে জাসদ গণবাহিনী বিপ্লব করতো । আর বঙ্গবন্ধু কে হত্যা না করলে এই বিপ্লব হতো না । অতয়েব অবধারিত ভাবে তাহের এই কাজটি করতেন
©somewhere in net ltd.