নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বাধীনতা আর মুক্তি সত্য কথায় থাকুক যুক্তি ।

১ ) বিশ্বাস করি শোষিত হবার জন্য আমি বা আমরা এই পৃথিবীতে আসি নি । কিংবা কাউকে শোষণ করতেও আসি নি । ২) মুক্তি আর স্বাধীনতা আমাদের অধিকার । তবে তার যৌক্তিক ভিত্তি থাকতে হবে । ৩) যুক্তি যদি কোন অন্যায়কে সমর্থন করে তবে তা আর সু যুক্তি নয় বরং তা কু যুক্তি । ক

আসিফ ফিবোনাক্কি

স্বাধীনতা আর মুক্তি সত্য কথায় থাকুক যুক্তি । এটা আমার প্রেরনা ।

আসিফ ফিবোনাক্কি › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাদশাহি গণতন্ত্র ( একটি অরাজনৈতিক রূপক অনুগল্প । )

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:০২





সৌদি বাদশা খুবই চিন্তিত । চিন্তায় তার মাথার চুল ছিঁড়তে ইচ্ছা করছে । পারছেন না । মাথায় চুল নাই । থাকেই বা কি করে । এই টেনশনে নিয়মিত প্রকৃতির ডাক আসে না । পেট থাকে অন্ধকার , মাঝে মাঝে বর্য পাত হয় । মাথা দিয়ে গরম ভাপ বের হয় । ভাপের সাথে চুলগুলো উঠে গেছে । ঘটনা খুবই গুরুতর ।



সৌদি বাদশার চিন্তার কারন হল নির্বাচন । তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দেশে গণতন্ত্র দিবেন । দেশের মানুষকে চড় থাপ্পড় দিতে পারছেন আর গণতন্ত্র দিতে পারবেন না এইটা কেমন কথা । তার এই কাজে মার্কিন মুল্লক তো আনন্দে বারোখানা । বলা হয়েছে একবার নির্বাচন হয়ে গেলে তাকে নোবেল পুরুস্কার দিয়ে দিবে । ঘরে এনে এই পুরুস্কার যত্ন করে রাখতে হবে ।



তিনি আগ পাছ না ভেবেই নির্বাচনের ঘোষণা দিলেন । জিতবেন তো তিনি । চিন্তা নেই । কিন্তু ঘটনা হল উল্টা । তার বিরোধী দল এসে হাজির । চিৎকার চেচামেচি করতে লাগলো । এরাও নির্বাচন করবে । এইটা তাদের জন্মগত অধিকার । এই অধিকার ছাড়া যাবে না । এর মধ্যে গোয়েন্দা বাটবার গুলা তাকে জানালো নির্বাচনে তার দল হারবে । জনগন তার মুখে থুতু দেয়ার জন্য গত এক মাস ধরে থুতু ফেলে নি ।



এই কারনে তার ঘুম নেই । পেটের মধ্যে ডাকাডাকি । মার্কিন মুল্লুকের কথা শুনে তিনি কি ভুলটাই না করেছেন । নোবেল পুরুস্কার পাওয়ার লোভে দেশ ছেড়ে দিচ্ছেন । এখন কি করা যায় । উপায় তো একটা বের করতে হবে । এমন কোন উপায় যাতে ব্যাঙ ও মরে লাঠিও ভাঙ্গে । পরে যাতে শব্দ করতে না পারে ।



তার এক গোয়েন্দা পরামর্শ দিলেন । বললেন " হুজুর এ আলা সমাধান আছে । "

~ কি সমাধান ? জলদি বল ।

~ হুজুর এ আলা আপনি ভারতের রাষ্ট্রদুত এর পরামর্শ নিন । এরা পৃথিবীর সব থেকে বড় গণতন্ত্র । গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার চোরাই বুদ্ধিতে হাফেজ ।



বাদশা দেখলেন পরামর্শ ভালো । তার একটা ধারণা ছিল তার গোয়েন্দারা গাধা । ঘাস খায় । শুকনা ঘাস তাই মাথায় বুদ্ধি নাই । এইটার বুদ্ধি আছে ।



তিনি ভারতের রাষ্ট্রদূতকে ডাকলেন । খাতির যত্ন করে বসালেন । দুইটা আফ্রিকান সুন্দরি উপহার দিলেন । এদের গায়ের রং কালো তবে তেজ খুবই । রাষ্ট্রদূত খুশি হলেন ।



~ হুজুরে আলা আপনার এই গভীর সমস্যার সমাধান দিতে পারে একজন ।

~ কে সে ? নাম বলেন । আর বার বার দাঁত বের করবেন না । আপনার দাতের রং ময়লা । আমার বেগম ময়লা দাঁত পছন্দ করেন না । আমিও করি না ।



রাষ্ট্রদূত মনে মনে বললেন " এইটা তোর কয় নম্বর । তোর বেগমের তো ঠিক ঠিকানা নাই । পরকীয়া করে ।"



~ হুজুর এ আলা আপনার সমস্যার সমাধান দিতে পারেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত । পৃথিবীতে একমাত্র তারাই এই ধরণের নির্বাচন করার দুর্লভ অভিজ্ঞতা রাখে ।



বাদশা বাংলদেশের রাষ্ট্রদূতকে খবর দিলেন । রাষ্ট্রদূত দুইটা আলবেনীয় সুন্দরী পেয়ে খুবই খুশি । আবেগে আপ্লুত হয়ে বললেন



~ হুজুরে আলা চিন্তার কিছু নেই । কিছু সহজ কাজ করলেই সব সমাধান হয়ে যাবে ।

~ তেনা পেঁচাইয়ো না মিয়া । কি সহজ কাজ এইটা খোলাসা করো ।

~ হুজুর আপনি প্রথম যে কাজ করবেন তা হল আপনার দেশের সকল মিডিয়া এর সম্পাদক কে বাড়ি গাড়ি নারী উপহার দিয়ে কিনে নেন । এইগুলারে বলেন বাবারা তোমরা নাচ গান করো । আর আমি যেইটা বলবো সেইটা প্রচার করবে । ভিন্ন কিছু হলে পুরুষত্ব নিয়ে নিব । এরা সব চুপ মেরে যাবে ।



~ হুম বুঝলাম । তারপর ?



~ এর পর বিরোধী দলের প্রধান ছাড়া তার সকল সাঙ্গ পাঙ্গকে ধরে জেলে পুরবেন । যে বেশি লাফাবে তাকে হুমকি দিবেন । বোমা মারার কেস দিবেন । জেলে মশার কামড় খাবে । ব্যাটারা বুঝবে নির্বাচন কাকে বলে ।



~ দেশে তো তখন হরতাল হবে । মিছিল হবে ।



~ চিন্তা নাই হুজুর । বলবেন সব কাজ জঙ্গিবাদীরা করছে । এদের হাত পা ভাঙ্গা দরকার । মিডিয়া তখন আপনার নামে স্লোগান দিবে ।



~ আমার বন্ধু আমেরিকা মুল্লক কি বলবে ?



~ এইটা নিয়ে ভাববেন না হুজুর । এরা কিছুদিন চিল্লাবে । পরে গলা বেথা হয়ে গেলে চুপ মারবে ।



~ সাধু সাধু । কি বুদ্ধি তোমার রাষ্ট্রদূত । আমি তো এতদিন বাংলাদেশীদের গাধা ভাবতাম । পোশাক বানানো ছাড়া আর কিচ্ছুই পারে না । তোমরা তো দেখি সক্রেটিস ,লাস্কি সব্বাইকে লাচ্ছি খাওয়াই দিবা । আসো আসো , কাছে আসো তোমার হাতে চুম্বন করি । এই কে আছিস এই হাবীব বুদ্ধিমান বাঙ্গালীকে আরও দুইটা ইরানী রূপবতী হুর উপহার দে ।



বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত চারটি রূপবতী নারী নিয়ে বাড়ির দিকে চললেন । বাদশার চিন্তা তখন কমেছে । তিনি সচিবকে বললেন " মিডিয়া ডাকো । তার আগে আমি আমি প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে আসি । মেঘ পরিষ্কার করার দরকার । বড়ই জ্বালাতন করছে । "

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:১৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সাধূ সাধূ...

রাষ্ট্রদূততো একসাথে গ্রুপ করার অভ্যাস নাই...

আপনেরে সুন্দর গপ্পের জন্য সিরিয়াল ছাড়াই ইরানীটা দিয়ে দিলাম ;)

+++

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২৩

আসিফ ফিবোনাক্কি বলেছেন: ভাই আমি চরিত্রবান । এর জন্য কোন নেতা নেত্রিকে সনদ পত্র দিতে হয় নাই । বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দেয়া সনদ আছে । হি হি হি । আমি ইরানী নিব না । একটা নিয়ে ই খুশি আছি । নিলেও বিপদ । ফারসি জানি না । গালি দিবে না ভালো বলবে কিচ্ছু বুঝব না ।

২| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৮

হরিপদ কেরাণী বলেছেন: দারুন হইছে মামা-পুরাই দারুন!! আফ্রিকার র্কৃষ্ণ সুন্দরীদের মতোই কড়া হইছে লেখাটা!!

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০৪

আসিফ ফিবোনাক্কি বলেছেন: ভাই , আমি আফ্রিকান কৃষ্ণ সুন্দরীর কড়া ভাব কেমন জানি না । আপনি জানলেন কি করে ?

৩| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১০

অলওয়েজ এ্যান্টি গর্ভণমেন্ট বলেছেন: পুরস্কার লইয়া খাড়া আছে ইইউ।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৫০

আসিফ ফিবোনাক্কি বলেছেন: বহন করবে কে ? পাকিস্থানি বিমান ।

৪| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ২:০৪

তিক্তভাষী বলেছেন: দারুন। নির্ভেজাল বাংলাদেশী সটাইল গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা হোক বিশ্ব জুড়ে। বিশ্বনেত্রীর মডেল ছড়িয়ে পড়ুক আরব-আফ্রিকা-আম্রিকার আনাচে কানাচে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.