২৭.৬৭ বিলিয়ন রিজার্ভ স্বপ্নে পাওয়া ধন নয়

১৫ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:২৬

বিদায়টা এমন হবে ভাবিনি।হয়তো অধিকাংশ যুবকও।
এটা নিশ্চতভাবে বলা যায়,উনার উত্তান অনেক স্বপ্নহারা যুবককে পুনরায় স্বপ্ন বুনতে জ্বালানি দিয়ছিল।হয়তো এটা আরো পাকাপোক্ত হয়েছিল-মানুষের দৃঢ় ইচ্ছাশক্তি তাকে গন্তব্যে পৌছে দেয়।যদিও বর্তমান অবস্থা তার শূণ্যের কাছাকাছি বা শূণ্য।
আমাদের গভর্নরের উঠে আসার গল্পটা ছিল এমনি।

অনেকে বলছে তার অবস্থান ভুল সময়ে হয়ছে।কেওবা বলছে ভুল তরীতে উঠেছে।যার ফলে আজ বলি হচ্ছে তার সুনাম,এত শ্রম।

তা যাই হোক।ঘঠনা ঘঠে রটে গেছে, মারাত্মক বিশ্রি ঘঠনা।দেশদ্রোহীতার চূড়ান্ত পর্যায়ে কোন পিশাচ এহেন নীচু কাজ করতে পারে।

ইতোমধ্যে গভর্নর পদ ত্যাগ করছেন।তবে এটা হয়তো অনেকে ইতিবাচকভাবে ব্যাখ্যা করবে তার সম্পৃক্ততার দিক থেকে।যদি এ অন্যায়ের কাদা তার গায়ে লাগতো, হয়তো পদ আঁকড়ে ধরে বাঁচার চেষ্টা করতো।তবে এখন তিনি পদত্যাগ করছেন।বাংলাদেশে মনে হয় এটাই প্রথম,দোষী হোক বা না হোক, দায় নিয়ে পদত্যাগ করেছেন।দায়িত্ব থেকে তদন্তে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করেন নি।
আশাকরি সাবেক এই গুনী গভর্নর সত্য বের করে আনতে সহযোগিতা করবে।

এসব পরের কথা।

আসল কথা হল, ২৭.৬৭ বিলিয়ন রিজার্ভ স্বপ্নে পাওয়া ধন নয়।
একেক ফোটা ঘামের মূল্য।জন্মভূমি ছেড়ে দূর দেশে স্বল্পাহারে বা অনাহারে কাটানোর মূল্য।
এ রিজার্ভ পরের দেশে কাজ করতে গিয়ে গাড়ির নিচে পিষ্ট হওয়ার মূল্য।কয়লা খনি বিস্ফোরনে পুড়ে অঙ্গার হওয়ার মূল্য।

অতএব,আমরা পদত্যাগ বুঝিনা।আমরা বিবৃতি গাল-গল্প বুঝিনা।আমরা আমাদের সম্পদ ফেরত চাই,উদ্ধার করা চাই।করতে হবে।

এরপর যারা দেশের ভেতর থেকে সহযোগিতা করেছে তাদের প্রকাশ্যে সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।করতে হবে।

অন্যথা, সব অর্থহীন।
হয়তো তখন সাধারণ মানুষ নিজেদের জন্য,নিজের সম্পদের জন্য ভিন্ন কিছু ভাবতে শুরু করবে।

১ টি +২/-০