![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তারিখঃ-১২/০৪/১০১০
পরিচয়ঃ-
এক বিশেষ ধরনের ভাইরাস হাম রোগ সৃষ্টি করে।এক প্রকার সংক্রামন বিষ হতে হাম সৃষ্টি হয় এবং অনেক সময় ইহা ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পরে।ইহা এক প্রকার ছোয়াছে রোগ এবং রোগের প্রথমাবস্থায় সংক্রমন শক্তি বেশী থাকে কিন্তু শেষের দিকে অতটা থাকেনা।
হাম আক্রান্তের সময়ঃ-
হাম সাধারণত শীত ও বসন্ত কালে অধিক হয়ে থাকে।তবে শীতের শেষে এর প্রকোপ বেশী দেখা যায়।
যারা আক্রান্ত হনঃ-
সাধারণত এই হাম শিশুদের অধিক আক্রমন করে।বিশেষ করে ৮মাস থেকে ৫বছর বয়স্কদের মধ্যে এর আক্রমন প্রকোপ বেশী দেখা দেয়।
হামের উপসর্গঃ-
হামের লক্ষন হিসাবে প্রথম দিকে চোখ লাল হয় ও পানি ঝরে,সর্দি,কাশি,হাঁচি আরম্ভ হয় এবং দুই একদিন জ্বও ছাড়েনা।দুই তিন দিন পরে হতে গায়ে উদ্ভেদ বা ঘামাচির মত বাহির হয়।তখন আমরা ইহাকে হাম বলি।তিনচার দিন পর হতে হাম সেরে যায় এবং উদ্ভেদ বসে যায়। এর পর উপসর্গ গুলোআট দশদিন হতে তিন চার মাষ পর্যন্ত থাকতে পারে।
হাম কালিন জ্বরঃ-
আনেক সময় জ্বর হঠাৎ শুরু হয়ে প্রায়-১০১ হতে ১০৩º ডিগ্রী পর্যন্ত উঠে যায়। এই সময় রোগী প্রলাপ বকতে পারে।নিউমেনিয়ার প্রকাশ পেতে পারে এই সময় রোগীর অবস্থা খুবই খারাফ হয় এবং মৃত্যুও আশংকা দেখা দেয়।
শারীরিক লক্ষনঃ-
হাম শ্বাসলালিল শৈষ্মি ঝিল্লীর প্রদাহ এবং অত্যন্ত সর্দি ভাব থাকে।চোখ পানি পূর্ণ ও রোগীর মুখমন্ডল লাল বর্ণ ধারণ ও তৎসহ স্ফীতি এবং থমথমে দেখায়। হলে রোগীর শরীরে লাল বর্ণেও এক প্রকার ফুসকুড়ির উদ্ভেদ বের হয়এবং অত্যন্ত চুলকায়।ইহাতে
হামের প্রকার ভেদঃ-
বিভিন্ন প্রকারের হাম রোগ হতে পারে।লক্ষন বিচার করে আমরা বলতে পারি যে-
(১)মৃদু আকারের হাম।
(২)কৃষ্ণ বর্ণেও হাম
(৩)রক্তস্রাবি হাম
(৪)উদ্ভেদহীন হাম ইত্যাদি।
হাম রোগের অবস্থাঃ-
লক্ষনানূসারে এই রোগের তিন অবস্থা দেখা যায়।যথাঃ-
(ক)প্রথমাবস্থা (খ) দ্বিতীয়াবস্থা (ঘ) তৃতীয়াবস্থা ।
প্রথমাবস্থাঃ-
শরীরে বীজানু প্রবেশের পর অত্যন্ত পক্ষে ৭/৮ দিন পর্যন্ত এই অবস্থা থাকে।এই অবস্থায় কোন লক্ষন প্রকাশ পায় না।
দ্বিতীয়াবস্থাঃ-
এই অবস্থায় প্রথমেজ্বর সহ প্রচন্ড সর্দি ভাব এবং এই অবস্থা ৩/৪ পর্যন্ত থাকে।বার বার হাঁচি দেয়া,সর্দি,মুখমন্ডল রঙ্গিন বর্ণ,চোখ পানি পুর্ণ,গলায় বেদনা,শরীর ভার ভার বোধ, নারির গতিদ্রুত,জ্বর ১০০ডিগ্রী হতে ১০৩/১০৪ ডিগ্রী
পর্যন্ত উঠতে পারে। শ্বাসপ্রশ্বাস দ্রুত,মাথার যন্ত্রনা,হাত পায়ে ব্যাথা ও কামড়া কামড়ি ভাব,নাক চোখ দিয়ে অনবরত পানি পড়া,কাশি,স্বর ভঙ্গ,মুত্রের পরিমান কুমে যাওয়া,আলো সহ্য অশরতে না পারা ইত্যাদি লক্ষন প্রকাশ পেতে পারে।দ্বিতীয়াবস্থা প্রকাশ পাবার ৩/৪ দিনে পরেই গায়ে উদ্ভেদ বের হয়। প্র্রথমে ঘামাচির মত ছোট ছোট উদ্ভেদ এবং এক এক সঙ্গে অনেক গুলো বের হয়। পরে লাল আকার ধারন করে। প্রথমে এ গুলোকে মশার কামড় মনে হয়। হাম প্রথমে কপালে বের হয় এবং তার পর ধিরে ধিরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পরে। শরীর চুলকায়,হাম বের হয়ে ২/৩ পর থেকে মিলাতে আরাম্ভ করে। হাম মিলাতে শুরু করলে অন্যান্য লক্ষন গুলো ধিরে ধিরে কুমতে থাকে। জ্বর কুমে গেলে ও হাম আরগ্য হতে শুরু করলে গা থেকে এক প্রকার পাতলা চামড়া উঠে যায়।
তৃতীয়াবস্থাঃ-
হামের পর পুরাতন কাশি দেখা দিতে পারে, ব্রংকাইটিসের কিছু লক্ষন প্রকাশ পেতে পারে।
হামের আক্রমনের প্রকৃতিঃ-
(ক) সরল জাতীয় হাম।
(খ) কঠিন জাতীয় হাম রুপে আক্রমন করে থাকে।
সরল হামঃ-
সরল জাতীয় হামে অল্প অল্প জ্বর হয়। হাম বের হলে জ্বর কুমে যায় এবং রোগী আস্তে আস্তে আরোগ্যে দিকে আসে।
কঠিন হাম জ্বরঃ-
হঠাৎ জ্বর হয় এবং প্রচন্ড ভাবে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়, প্রচুর ঘাম হয় কিন্তু জ্বর চলতে থাকে এবং জ্বরের কোন বিরাম নাই। জ্বর দেরিতে ও ধীরে কুমতে থাকে, হাম সারতে দেরি হয়। রোগী প্রলাপ বকতে থাকে,চক্ষের প্রদাহ,মাথার যন্ত্রনা, কানে পুজের ভাব এমন কি রক্ত আমাশায়ের লক্ষন দেখা দেয়। এ জাতীয় হাম হল কঠিন জাতীয় হাম।
হাম বসে যাওয়াঃ-
হাম যদি বসে যায় তবে ভয়ংকর অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। নান প্রকার জটিল উপসর্গ দেখা দিতে পারে। যেমনঃ- হাম বসে গিয়ে উদারাময়,অঙ্গ প্রত্যঙ্গের আক্ষেপ,মস্তিক প্রদাহ বা মেনিঞ্জাইটিস, হাইড্রোসিল,উম্মাদোনা ইত্যাদি এছাড়াও হাপানি, ব্রংকাইটিস, পক্ষঘাত, অন্ডাকোষ প্রদাহ,মৃগী,শোথ ও কানে পুজের মত মারাত্তক উপসর্গ প্রকাশ করে ভয়ংকর অবস্থার সৃষ্টি করতে পারে।
ব্যবস্থা পত্রঃ-
(১) হামের টিকা সঠিক সময়ে গ্রহন করতে হবে। শিশুর উপযুক্ত বয়সে টিকা গ্রহন করা অতি জরুরী। হামের টিকা সঠিক সময়ে গ্রহন করলে,পরবর্তীতে হাম হবার সম্ভবনা থাকেনা। ফলে কঠিন ও ভয়ংকর অবস্থা থেকে উদ্ধার পাওয়া যায়।
(২) অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী রোগির পরিচর্যা নিতে হবে।
(৩) হাম রেগ যেহুতু ছোয়াছে এই জন্য রোগীকে আলাদা ঘরে রাখা দরকার। রোগীকে সর্বদা পূর্ণ বিশ্রম ও মসারীর মধ্যে রাখা ভাল। এই সময় রোগীকে তরল জাতীয় খাদ্য প্রদান করতে হবে। তবে লঘুপাচ্য যেমনঃ-ডিমের পোচ,বয়েল প্রভৃতি প্রোটিন জাতীয় খাদ্যের প্রয়োজন হবে। যদি জ্বর চলতে থাকে এবং হাম ভালো রুপে বাহির না হয় তবে খুবই খারাপ লক্ষন রোগিকে গরম পানি দ্বারা ভাল ভাবে স্পঙ্গ করতে হবে। সাবু,বার্লি,ফলের রস, গ্লকোজ প্রভৃতি পথ্য হিসাবে দেওয়া যায় তবে টক খেতে দেওয়া উচিৎ নয়। সর্দি ও নিউমেনিয়ার লক্ষন না থাকলে চিরতার ভিজানো পানি দেওয়া যাবে। মেথি ভিজিয়ে সেই পানি পান করতে দিলে রোগীর পায়ের বেদনা দূর হয়,রস কুমে যায় এবং উদ্ভেদ গুলো ভাল ভাবে বের হয়। পেটের অসুখে দুধ না দেওয়া ভাল রোগীর গায়ে যেন কোন রুপ ঠান্ডা না লাগে সেই দিকে বিশেষ যত্ন রাখা দরকার। আমাশায়ের লক্ষনে দুধ ঘোল দেওয়া ভাল।
ডাঃ মাওঃ আসলাম হোসেন
মোবাঃ ০১১৯৯৩৩৯৫৯৩
[email protected]
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা মে, ২০১০ রাত ১২:২৩
সবুজ ইসলাম বলেছেন: ভাল কথা কিন্তু মোবইল কোঃ বেতাল বিল কাটে এই সমস্যাই বরতোমান পৃথীবির বড় সমস্যা