নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ট্যান কার্ভ

ডিসক্লেইমার: মন্তব্য করুন নিজের মতই, কিন্তু তাতে আমার হৃদয়ের কাছাকাছি খুব প্রিয় মানুষদের কষ্ট পাওয়ার সম্ভবনা থাকলে সাথে সাথে ডিলিট হবে।

আস্তমেয়ে

হে প্রভু, তুমি আমাকে অকল্যাণ বয়ে আনা এবং অর্থহীন কথা ও কাজ থেকে রক্ষা করো! [link|http://www.somewhereinblog.net/shondhabatiblog|Ges Avwg]

আস্তমেয়ে › বিস্তারিত পোস্টঃ

আস্তমেয়ের আস্ত-কথা

০৭ ই মে, ২০০৬ রাত ৯:০৭

গত কয়েক দিন তীব্র কষ্ট পাচ্ছি। ব্লগে আসলেই একটা চাপ কষ্ট অনুভব করি ভিতরে কোথাও। রাগ করব না, উত্তেজিত হব না বার বার নিজেকে বলা সত্ত্বেও দেখি গাল গরম হয়ে উঠছে। চোখ পানিতে ভরে উঠছে। তারপর নিজে বুঝার আগেই টকাটক আঙ্গুল চলে কী-বোর্ডে...



নিজেকে জিজ্ঞাসা করেছি এমন কেন হয়। আমি কি ধর্মান্ধ? আচ্ছা ধর্মান্ধ মানে কি?



আমার কাছে ধর্মান্ধ মানে ধর্ম+অন্ধ। ধর্ম মানে মসজিদ বা মন্দিরে গিয়ে ঠুকাঠুকি বা মন্ত্র জপা না। ধর্ম মানে চলার পথ। জীবন দর্শন। বিশ্বাস। সেই অর্থে একজন নাস্তিকেরও ধর্ম আছে। ধর্মান্ধ তারাই যারা কারণ না জেনে করে যায় কাজকাম। অযৌক্তিক ভক্তি বা ঘৃণা পোষণ করে বিশেষ কিছু ব্যক্তি বা মতালম্বীর প্রতি। আমি কি ধর্মান্ধ? উত্তর পেয়েছি... না। আমার বিশ্বাস আর যাই হোক অযৌক্তিক না। না জেনে কিছু করতে বাঁধে, সব সময়।



হ্যা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ি। রোজার সময় রোজা রাখি। হ্যা মাঝে মাঝে রাতের আলসেমি কাটিয়ে উঠে তাহাজ্জুত পড়ার চেষ্টা করি। হ্যা দিনে একবার কোরআন পড়ার চেষ্টা করি। হ্যা ভীষণ ভাবে আরবি শিখতে ইচ্ছা করে। হাজার হোক আল্লাহ ভালবেসে একটা চিঠি লিখল আমায়, সেই চিঠির অর্থ খুঁজে বের করার জন্য একে তাকে ধরতে আর ইচ্ছা করে না। হাঁটি হাঁটি পা পা করে একটু একটু শিখছি। শামস মানে সূর্য। আর্দ মানে পৃথিবী। কামার মানে চাঁদ। নাস মানে মানব জাতি। ইন্টারনেট থেকে ওয়ার্কশিট ডাউনলোড করে আরবি ব্যকরণের ধারা ধরার চেষ্টা করছি। যেই কোরআন অযু ছাড়া ধরতে পারি না, এতটা সম্মান কেন করি, জানতে হবে না?



প্রশ্ন হয় নি কখনও আল্লাহর অস্তিত্ব সম্পর্কে? আখিরাত কখন্ও অ্যাবসার্ড মনে হয় নি? কখন্ও ইচ্ছা করে নি খুব স্বেচ্ছাচার হতে? হ্যা হয়েছে। করেছিও। এখনও টিনেজার আমি, তাই খুব বেশি দিন আগের কথা না। যখন থেকে নতুন নতুন বই পড়ছিলাম জাফর ইকবাল, শাহরিয়ার কবির, তাসলিমা নাসরিনের। সালমান রুশদির মিডনাইটস চিলড্রেন পড়ে কিছু দিন গুম হয়ে ছিলাম। স্যাটানিক ভার্সাস পড়েছি কিছুটা। আমার জানার পৃথিবীটাকে প্রশ্ন করছিল সব কিছু। নিজেকে না জানলে যা হয় আর কি। একজন এসে বলল, ্ওই মেয়ে কি করতাছ? এইডা ভুল, ্ওইডা কর। তখন মনে হয়, হুম তাই তো!



আলহামদুলিল্লাহ, এখন মনে হয় ইসলাম সম্পর্কে কেউ সত্যি জানলে এ থেকে দূরে থাকতে পারবে না। ইসলাম বুঝে চলতে পারলে সে হবে পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ। হুম, ঠিক তাই, সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ।



ইসলাম অর্থ কি? আমার মনে হয় একটা জরিপ চালানো যায় এ নিয়ে। কম করে হল্ওে 60% মুসলিম বলবে ইসলাম অর্থ শান্তি। হ্যা, ইসলাম অর্থ শান্তি। কিন্তু সেটা শাব্দিক অর্থ নয়। শাব্দিক অর্থ হচ্ছে পরিপূর্ণ আত্মসমর্পন। টোটাল কম্প্লিট সাবমিশন। আল্লাহর, মহাবিশ্বের স্রষ্টার সামনে পুরোপুরি আত্মসমর্পন। এখানেই মজা। কারণ ব্যাখ্যা করছি।



সব সৃষ্টির মধ্যে শুধু মানুষকেই চিন্তার স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে। ঠিক পথ অথবা ভুল পথ বেছে নেয়ার স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে। বিশ্বজগতের অন্য প্রতিটা অনু পরমানু স্রষ্টার আদেশ অনুযায়ী চলছে। এমনকি আমাদের দেহ্ও। ফুসফুসের চিন্তার স্বাধীনতা নেই এবং সে হঠাৎই পাকস্থলীর দায়িত্ব পালনের সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। হুমায়ূন সাহেব যতই মাথা কুটে মরুক, গাছ হঠাৎই কথা বলা শুরু করে না। অর্থাৎ মানুষ ছাড়া সবাই আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পনকারী। মুসলিম। প্রথম এটা জেনে মজা পেয়েছি, বাহ, আমাদের শরীরও সেই অর্থে মুসলিম! একজন নাস্তিক বা অমুসলিমের শরীরও! ্ওই গন্ধরাজ গাছটা, হাসনাহেনা ফুল গুলো, বাতাসে দুলতে থাকা শিম লতাগুলো, নীল নীল আকাশটা, আমার চোখ নাক ঠোঁট সব কিছু!



প্রকৃতি যেখানে মুসলিম, সারা বিশ্বজগৎ যেখানে মুসলিম, মানুষের স্বাভাবিক প্রবণতা হল মুসলিম হওয়া। আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পন করা। এই প্রবণতার বিরুদ্ধে গেলেই গোল বাধে। তখন শান্তি বিঘি্নত হয়। এই অর্থে ইসলাম অর্থ শান্তি।



আল্লাহর কাছে পরিপূর্ণ ভাবে আত্মসমর্পনের অর্থ কি? দিনে পাঁচ বার জায়নামাজে মাথা ঠুকা এমন কিছু মন্ত্র জপতে জপতে যার বর্ণগুলো উচ্চারণ করতে গিয়ে গলা ভেঙে যেতে চায়? অথচ যার অর্থ বুঝি না এক বিন্দু্ও? বছরে একবার সারা মাস উপবাস করা, আর মাস শেষের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করা? বছরে একবার প্রেস্টিজ প্রতিযোগিতা তথা তাগড়া গরু কিনে নিজের প্রতিপত্তি দেখানো? সারা জীবন শুধু বা হাতে (ডান হাতে না, আস্তাগফিরুল্লাহ!) ্ওই ঘুষটুকু নিয়ে শেষ জীবনে হাজার মাইল দুরের মক্কায় ভ্রমন করে সব পাপ ধুয়ে মুছে সাফ করে ফেলা? এই কি ইসলাম? সোবহানাল্লাহ, বিশ্বজগতের স্রষ্টা বিশ্বজগতে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ইসলাম পাঠিয়েছেন অথচ এই কয়েকটাই তাঁর চা্ওয়া?



না। না। না।



ইসলাম অসম্ভব কমপ্রিহেনসিভ চলার পথ। প্রতিটা ব্রেন সেলকে খাটিয়ে বুঝতে হবে। উত্তরাধিকার সূত্রে ইসলাম আসে না। সারা জীবন ইসলাম নিয়ে জানার চেষ্টা কর্ওে জেনে শেষ করা যাবে না। সারা জীবন মানার চেষ্টা কর্ওে মানার ব্যপারে ফাঁক রয়ে যাবে।



এই তো বললাম। এখন ভাবছি কি করে আরেকটু গুছিয়ে বলি। হুম, সত্যবাদিতা একটা মুসলিম বৈশিষ্ট্য। কারণ সত্যবাদিতা মানেই স্রষ্টার (তার অবাধ্য শয়তানের নয়) ইচ্ছা অনুযায়ী চলা। সততা, সৃষ্টির প্রতি ভালবাসা, দানশীলতা, সংযত আচরণ, ভদ্র ব্যবহার সব কিছু এক একটা মুসলিম (মূল শব্দের প্রতি খেয়াল রাখার অনুরোধ করছি) বৈশিষ্ট্য।



সেই অর্থে অনেক তথাকথিত অমুসলিমের মধ্যে প্রচুর প্রচুর মুসলিম বৈশিষ্ট্য। আর মুসলিমদের মধ্যে আল্লাহর ইচ্ছার বাইরের দোষের (কুফরের) অন্ত নেই।



সাদিকের পোস্টে দেখলাম একজন প্রশ্ন তুলেছে হজ্জ্ব নিয়ে। আরেকজন তাই নিয়ে মহা তুলকালাম কান্ড। আমার কাছে ছেলেমানুষী মনে হয়েছে।



অধিকার আর কর্তব্য। দু'টো শব্দ। খুব ক্লিশেইড। কিন্তু এই দু'টো শব্দ নিয়েই ইসলাম। শুধু এই দু'টো শব্দ প্রকৃত অর্থ বুঝে করলে আর কিচ্ছু দরকার নেই মুসলিম হ্ওয়ার জন্য। ইসলামে দুই ধরণের অধিকার। আল্লাহর অধিকার (হক্কুল্লাহ) আর সৃষ্টির অধিকার (হক্কুল ইবাদ)।



এই দু'টোর একটা ছাড়া্ও পরিপূর্ণ মুসলিম হ্ওয়া সম্ভব না। রিচুয়ালিস্টিক দিকগুলো, যেমন সালাত, সা্ওম, হজ্জ্ব এগুলো আল্লাহর অধিকার। দু:খজনক ব্যপার হচ্ছে, সময়টা এমন যে মুসলিমরা দ্বিতীয় প্রকারের অধিকারের কথা পুরোপুরি ভুলে গেছে। নিজের স্ত্রী বা স্বামী, বাবা মা, পাশের বাড়ির প্রতিবেশি, আত্মীয়-স্বজন, অন্যান্য কাছের মানুষ থেকে শুরু করে দেয়াল বেয়ে ওঠা ওই পিঁপড়ার লাইনের প্রতিটা পিঁপড়ারও অধিকার আছে একজন মুসলিমের কাছে। এটা বেশির ভাগ মুসলিম হালকা করে নেয়, অথচ, কোরআনে যত না আয়াত আছে সালাত প্রতিষ্ঠা, হজ্জ্ব আর রোজা করার উপরে, তার অনেক গুণ বেশি বলে অন্য মানুষ আর জীবের প্রতি কিভাবে ব্যবহার করতে হবে তাই নিয়ে। আমি এক জায়গায় পড়ছিলাম, আপনি একজন মুসলিম তখনই বুঝতে পারবেন, যখন ্ওই রোদে কষ্ট পা্ওয়া, ছটফট করতে থাকা কেঁচো দেখেও আপনার কষ্ট হবে, রোদ থেকে সরিয়ে দিবেন তাকে। মানুষের কথা তো বলার প্রয়োজনই দেখছি না। এখানে মুসলিম অমুসলিমের কোন তফাৎ নেই। প্রতিটা মানুষের অধিকার আছে একজন মুসলিমের কাছে। অধিকার। ভাল ব্যবহারের অধিকার। অজ্ঞাত জ্ঞান পাওয়ার অধিকার। ক্ষুধার সময় খাবারের অধিকার। অধিকারের উপর আর কোন কঠিন শব্দ কি থাকতে পারে?



ওই হাদিসটা জানেন না? একজন প্রচন্ড পাপী মহিলার সব পাপ কি করে ধুয়ে মুছে পরিষ্কার হয়ে গেল একটা কুকুরকে পানি খা্ওয়ানোর বদৌলতে? আর ওই দুর্ভাগার কথা কি জানেন না, যে আখিরাতের দিন একটু মাথা উঁচু করেই হাঁটছিল (পাস্ট টেন্সে বলা হয়েছে হাদিসটা, তবে এটা ভবিষ্যতে হবে)। হাতে বিশাল ভাল কাজের ফর্দ। শত শত রাকাত নাফলিয়াত। শত শত রোজার পাহাড়। মানুষজন ঘাড় ঘুড়িয়ে দেখছিল এবং ভাবছিল, বাপস, জান্নাতের সবের্াচ্চ স্তর নিশ্চিত। যখন মিজানে তার হাক্কুল্লাহ আর হাক্কুল ইবাদের ফয়সালা হচ্ছিল, তখন দেখা গেল হাক্কুল ইবাদের একাউন্টে ডেবিট জমে আছে। ওই স্ত্রীর সাথে খারাপ আচরণের ডেবিট। একটা কুকুরকে লাথি দেয়ার ডেবিট। কথা দিয়ে কথা না রাখার ডেবিট। গালাগালির ডেবিট। হায় রে দুর্ভাগা, তার কপালে জাহান্নাম জুটলো শেষ মেষ। যাদের প্রতি অবিচার করেছিল, সবাইকে ভাগ করে দিয়ে দেয়া হল তার নামায রোজার পাহাড়।



এটা এমনি সিরিয়াস একটা ব্যপার। আসলে আল্লাহর অধিকারগুলো আদায় করা অপেক্ষাকৃতভাবে সহজ। একটা লগ বুক করে নেয়া যায়। দিনে পাঁচ ্ওয়াক্ত নামাজ- টিক। রমজানে রোজা- টিক। জীবনে একবার হজ্জ্ব- টিক। প্রতিটা জীবের একজন মুসলিমের কাছে যেই অধিকার আছে সেগুলোর হিসাব মিটানো কঠিন।



আমি কি ধর্মান্ধ? অনেকে বলবেন হ্যা। কারণ হক্কুল ইবাদের সাথে একমত হয়ে যাবেন, কিন্তু হক্কুল্লাহের সাথে হবেন না। আমি বলি এ দু'টোর একটা্ও কমপ্রমাইজ করে পরিপূর্ণ মুসলিম হ্ওয়া যায় না। যদিও আজ অজ্ঞতার কারণে বেশির ভাগ মানুষের কাছে প্রথমটা হলেই পাক্কা মুসলমান...



আমি কি মৌলবাদী? যদি রাসুল (সা) এর মূল ম্যাসেজটা বোঝার চেষ্টা করলে তাই হতে হয় তাহলে তাতে আপত্তি নেই।



এখন শুরুর প্রশ্নে ফিরে আসি। ব্লগে আসলে কষ্ট হচ্ছিল কারণ সাদিকএমন কিছু কথা বলেছেন, যেগুলোর পক্ষে বিপক্ষে অনেক কথা বলা যায়। ইতিহাসের এবসোলুট প্রমাণ পাওয়া কঠিন। অথচ এগুলো ইসলামের কোন ফান্ডামেন্টাল ব্যপার না। এর উপর ভিত্তি করে ধর্মান্ধ গালাগালি, কাফির গালাগালি, বাঁদর থিওরী প্রনয়ন... অর্থহীন অর্থহীন। গত কয়েক দিন বলা কথার জন্য সাদিককে অনেকের নির্বিচার গালি খেতে হয়েছে। আবার অনেকের বুক্ও পেয়েছেন যারা আগে ভন্ড টন্ড বলে গালি দিয়েছেন।



এখন সাদিক দাবি করছেন ইসলামের ইতিহাসের অনেক "অজানা তথ্য" উম্মুক্ত করতে চেয়েছেন তার পোস্টগুলোতে। এমন অজানা যে ইসলাম সম্পর্কে সুগভীর পড়াশোনা করা অন্তত: 80% আলেম (আমরা কেউ প্রকৃত অর্থে আলেম না) সেগুলো অস্বীকার করেন। সেই ঘটনার পক্ষের দলিলের সংখ্যাও নেহায়ত কম। ব্যপার হচ্ছে, সাদিকের বলা ইতিহাসকে সত্য বলতে হলে গণহারে আলেম আর সাহাবীদের মিথ্যাবাদী, চক্রান্তকারী বলতে হবে। প্রচন্ড রকমের স্কেপটিক হতে হবে। আমি ততটা স্কেপটিক নই। কন্সপইরেসি থিওরী আমাকে টানে না। তাই কমিউনিজমের সাথে ফ্রীমেসন তার সাথে ইহুদীবাদ তার সাথে... ওই সব প্যাচালো কথাবার্তা শোনার সময় হাত তুলো মানুষকে থামিয়ে দেই। মানুষকে শত্রু ভাবার আগে বন্ধু ভাবতে বেশি ভালবাসি। দশজনের মধ্যে নয়জনকে মিথ্যাবাদী বলার চেয়ে ওই একজনের কোন সমস্যা আছে বলে মেনে নিতে বেশি স্বস্তি বোধ করি। বা এটুকুতেই তর্ক থামিয়ে দিতে চাই... বোথ সাইডস মে হ্যাভ সাম এলিমেন্ট অফ ট্রুথ ইন দেয়ার...



তারপরেও এই তর্ক থেকে দু'টো শিক্ষা আর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

1. প্রচুর পড়া দরকার। প্রচুর। প্রচুর। আরবি শিখতে হবে সিরিয়াসলি। ইন্টারনেটের রিসোর্সের উপর নির্ভর করা একটা বাজে ব্যপার। প্রয়োজনের সময় রেফারেন্স খুঁজে না পাওয়া একটা কষ্টকর ব্যপার।

2. সুন্নাহ, হাদিস সংকলন, সাহাবী, খিলাফাত এগুলো নিয়ে জুলাইয়ের ছুটিতে একটা ইনটেনসিভ পড়াশোনা করব। আমার টাস্টেড স্কলাররা (ইউসুফ আল কারাদাওয়ী তেমন একজন) এ ব্যপারে কি বলে সেগুলো খুঁজে বের করব।



পাগল মানুষ নামের একজন খুব খারাপ কাজ করেছেন। সাদিককে নিয়ে খুব বাজে একটা পোস্ট করেছে। ওটা পড়ে লজ্জায় মাথা নুয়ে আসল। কারণ ওই একটা পোস্ট সাদিকের সাথে দ্বিমত পোষণকারীদের সমস্ত সিরিয়াসনেস, ক্রেডিবিলিটি মাটিতে ধ্বসিয়ে দিল। অথচ সত্যি, পোস্টগুলো আমাকে কাঁদিয়েছে। আমি যতটুকু সম্ভব সিরিয়াসনেস নিয়ে আল্লাহর কাছে দোআ করেছি আমার বা যারই বুঝায় ভুল হয়ে থাকে তাহলে তা যেন আল্লাহ সংশোধন করে দেন।



আপাতত ওটা নিয়ে আর কথা বলব না। এগুলো যথেষ্ট সিরিয়াস ইসু্য।



এই তো আমার আস্ত কথা। কারও কারও কাছে অসংলগ্ন মনে হবে। কিছুই করার নেই। কেউই হয়তো এ পর্যন্ত পড়েন নি, এই ফাঁকে একটু প্রশংসা করে নেই কিছু মানুষের। ব্লগে গত দু'মাসের উপস্থিতি আমাকে অনেক শিখিয়েছে। শাওনের কথা সবার আগে বলি, কারণ অভিমানী পুচকি ছেলেটাকে (যদি্ও আমার চেয়ে মোটে এক বছরের ছোট, কিন্তু নিজেকে তবু বুড়ি বুড়ি লাগে... হা হা হা) নিজের ভাই ভাবতে একটুও কষ্ট হয় না। তেলাপোকার সংবেদনশীল প্রশ্ন করা পোস্টগুলো পড়তে ভাল লাগে। ওয়ালীর সাথে মতের অমিলের চেয়ে মিলই হয় বেশি। ত্রিভুজের মাথাটা একটু গরম, কিন্তু প্যাশনটা সত্যি, যেটা অনুভব করতে ভাল লাগে। আবু সালেহ, ফ্রুলিংক্স, 57 নিয়মিত মন্তব্য করে আমার পোস্টগুলোকে অনেক দিন বাঁচিয়ে রাখেন। আশার আলোর ব্যতীক্রম ধমর্ী দৃষ্টিভঙ্গি আর শুকনো জ্ঞানী জ্ঞানী পোস্ট গুলো পড়তে ভালই লাগে। ঝড়ো হাওয়া, ধানসিঁড়ি, শাহানাদের ডাউন টু আর্থ সরলতা মাখা পোস্টগুলো পড়ে একটু দখিন হাওয়া যেন পাই। কালপুরুষের দাঁত ভাঙা শব্দের আড়ালের সংবেদনশীল মনটার উঁকি ঝুঁকি ভাল লাগে।

সাইমুম কথা বলেন একটু শক্ত, বাঁশ খেতে একদম ভাল লাগে না, কিন্তু নিজের দৃষ্টিভঙ্গির ব্যপারে পরিষ্কার ধারণা আছে, যেটা স্বস্তিদায়ক।

সাদিক। খুব বেশি মরমী চিন্তা ভাবনা আমাকে টানে না। তবু, পড়ে আসতে ভালই লাগে পোস্ট গুলো।

এরা মোটামোটি আমার পোস্ট নিয়মিত পড়েন বলে বুঝতে পারি, আমার এখানে মন্তব্য করেন বলে। অন্যরা আমারটা পড়েন কিনা জানি না, কিন্তু আমি সত্যি পড়ে আসি। ওদের নিয়েও বলি...

ধূসর গোধুলির সো কলড ডিপ্লোমেটিক ধূসর খোঁচাখোঁচি পড়তে ভাল লাগে। মাইন্ড য়ু, ধূসর শব্দটার অর্থ এক একজনের কাছে এক এক রকম... অমি পিয়ালের লেখাগুলো আমাকে সত্যিই শক্তি দেয়। জীবন যুদ্ধের একটা অন্য রকম বিজয় দেখে। শুভ, অসম্ভব সংবেদনশীল একজন মানুষ। ডাউন টু আর্থ এবং বিনয়ী হয়ে ছোটখাট সব কিছুতে এটেনশন উপভোগ করার মত। সুমন চৌধুরি, হিমু, মুখফোড়... সব লেখাই মনে হয় পড়েছি। সুলিখিত লেখা থেকে নিজেকে বঞ্চিত করব ওরকম দুর্ভাগা আমি নই। শোহেইল মোতাহারের লেখাগুলো একটু বেশি জ্ঞানী জ্ঞানী, তবু মাঝে মাঝে পড়ি। অরূপ, হাসানের ছোট্ট লেখাগুলোও পড়ে নেই। ্ওহ তীরন্দাজ। ইদানিং কম লিখছেন, কিন্তু্ওনার দৃষ্টিভঙ্গির স্বচ্ছতা আমার সত্যিই ভাল লেগেছে। শমিতের ক্রিয়েটিভিটি আমাকে হিংসুক করে তুলে। কৌশিকের শেষ যেই পোস্ট পড়লাম, এনজি্ও অভিজ্ঞতা নিয়ে, মন ছুঁয়ে গেছে সত্যি। বৃশ্চিক। আমার শুভাকাঙ্খী...

বিশাল পৃথিবীর ছয়শ কোটি মানুষের মধ্যে মোটে ষোল কোটি (তাইতো?) মানুষ বাংলাদেশের। তার থেকেও খুব বাছাই করা অল্প সংখ্যক কিছু মানুষ আমরা ব্লগ করছি। অদ্ভুত আনন্দ লাগে ভাবলে, এখানেও এত বৈচিত্রতা, এত ট্যালেন্টের ছড়াছড়ি... সবাইকে সব কিছুতে একমত হতে হবে না। তাহলে মানুষ হওয়ার আনন্দটুকুই যে পাওয়া যাবে না!



আহেম, এক শাওইন্যা ছাড়া সবাই আমার চেয়ে বয়সে অনেক বড়। তবু বড় বড় ভাব করে আঁতলামি মার্কা পোস্ট করি, মন্তব্য করি... মাথার উপর দিয়ে চলে গেলেও পায়ে ডেলকি দিয়ে উঁচু হয়ে দেখার চেষ্টা করি...



এবার একটু... আহেম... পড়াশোনা...

মন্তব্য ৭৬ টি রেটিং +১/-১

মন্তব্য (৭৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই মে, ২০০৬ রাত ৩:০৫

অতিথি বলেছেন: বাপস... বেশি বড় হয়ে গেছে...

২| ০৮ ই মে, ২০০৬ রাত ৩:০৫

হযবরল বলেছেন: হুম হৃদয় এর সবটুকু বিশ্বাস স্থাপন করেছেন। যদি পড়া না থাকে তবে Khalil Gibran এর The Prophet পড়বেন মুক্ত মনে। এটা উপদেশ না , হৃদয় থেকে বলছি।

৩| ০৮ ই মে, ২০০৬ রাত ৩:০৫

অতিথি বলেছেন: সুযোগ হলে পড়ে নিব।

৪| ০৮ ই মে, ২০০৬ রাত ৩:০৫

অতিথি বলেছেন: খাইছে এত বড় লিখা পড়তে পড়তে খবর হইয়া গেল।আগেও পড়ার চেষ্টা করছিলাম কিন্তু বড় দেখে পড়া হয় নাই।আজ পড়লাম বহু কষ্টে শিখার আছে অনেক কিছু,জানার ও আছে।
ধন্যবাদ সুন্দর একটা পোষ্টের জন্য।

৫| ০৮ ই মে, ২০০৬ ভোর ৪:০৫

অতিথি বলেছেন: আস্ত... কি এক অদ্ভুত নুডুস বানিয়েছি দেখলে হাসবা... আমার নিজেরই হাসি আসতেছে.. হাহাহাহাহা
মোবাইল দিয়ে ছবি তুলেছি... মিতেবের সাথে খেলাটা শেষ হলে এটা নিয়ে একটা পোষ্ট দেব :)

৬| ০৮ ই মে, ২০০৬ ভোর ৪:০৫

অতিথি বলেছেন: আচ্ছা বুঝলাম। আমার পোস্টটা পড়ে নিয়েন এক ফাকে... নুডুলসের আলাপ এখানে না, আপনার ওখানে, ওকে? এখানে শুধু পোস্ট-পোস্ট... মানে পোস্ট পরবতর্ী ভাবনা চিন্তা লিখবেন শুধু :)

৭| ০৮ ই মে, ২০০৬ ভোর ৪:০৫

এম বলেছেন: সালাম আস্তমেয়ে...
এরকম বেশি মন খারাপ হলেই 9:40 স্বরণ করবেন... আমার সবচেয়ে প্রিয় আয়াতের একটা :)

আপনার সব পোস্টই আমি পড়ি, কিন্তু আপনি জানেন আমি মন্তব্য করি খুব ইংলিশ]ংবষবপঃরাবষু[/ইংলিশ]। আপনার লেখা কেন ভাল লাগে তা বলাটা superfluous মনে করি। দু'আ করি আপনার 'ইলম অর্জন করার নিয়ত আল্লাহ কবুল করেন... দু'আ করি আপনি সুপ্রতিষ্ঠিত একজন দা'ই হয়ে জীবন কাটাতে পারেন, এবং আপনার আশেপাশকে যেন আপনার 'ইলম দিয়ে আলোকিত করতে পারেন সবসময়। ভালো থেকেন।

৮| ০৮ ই মে, ২০০৬ ভোর ৪:০৫

এম বলেছেন: * selectively হবে। ইংরেজী লিখতে গেলেই যে কেন হরতাল শুরু করে দেয় সাইটটা, বুঝি না

৯| ০৮ ই মে, ২০০৬ ভোর ৪:০৫

অতিথি বলেছেন: ওয়াসসালাম এম।
জাযাকাল্লাহু খাইরুন আয়াতটা মনে করিয়ে দেয়ার জন্য। আপনার দোআতে আমিন। আপনার কথা লিখিনি কারণ আপনি পোস্ট তেমন করেন না, কমেন্ট করেন কম কম, তাই জানার সুযোগ হয় নি তেমন :)

১০| ০৮ ই মে, ২০০৬ ভোর ৫:০৫

অতিথি বলেছেন: হা হা হা হা।পাগলে পাইছে তো তাই

১১| ০৮ ই মে, ২০০৬ ভোর ৫:০৫

অমি রহমান পিয়াল বলেছেন: আস্তমেয়ে, আপনি যেমন আমার, আমিও তেমনি আপনার পোস্টের নিঃশব্দ পাঠক। তবে মন্তব্য করি না বলেই হয়তো উপস্থিতি টের পান না- করিনা, কারণ যে বিষয়ে আমার জ্ঞান নেই, তা নিয়ে অহেতুক মন্তব্য করে নিজেকে জাহির করাকে অর্বাচীনতা মানি। ভাল্লাগলো জেনে আমার লেখা আপনাকে মানসিক শক্তি যোগায়। এটুকু বুঝলাম একদম বিফলে যাচ্ছে না আমার লেখালেখি...

১২| ০৮ ই মে, ২০০৬ ভোর ৫:০৫

ওয়ালী বলেছেন: আরি আরি আস্তে আস্তে দুই দিনে 3 পোষ্ট কোনটা ছাইড়া কোনটা পড়ি। যাই হোক এইটাতেই মন্তব্য করি। (তবে পড়ছি তিনটাই কিন্তু ব্র্যাকেটে লিখলাম কেন) গ্রেট এনালাইসিস।

ফান্ডামেন্টালস গুলোতে ঠিকমতো জানা প্রয়োজন নাকি আর এই জন্যেইতো আমি কট্টর মৌলবাদী হতে চাই।

আবারো বলছি ফ্রেশ ভিউ পয়েন্ট আপনার। (তেলমারাছাড়াহাসি)

আর কোন এক্সপ্রেশন পাইতেছিনা........

১৩| ০৮ ই মে, ২০০৬ ভোর ৬:০৫

অতিথি বলেছেন: আস্ত করেছ কি??????????? এত বড়!!!!!!

তবুও শেষ করলাম কারন তোমার লেখার ধরন উপস্থাপনা সত্যি মুগ্দকর তাই........

একটা দারূন কথা বলেছ " অনেক স্টাডি করতে হবে" আর তোমার পয়েন্ট গুলো মনে রাখলাম।
"ত্রিভুজ " নডুলস কি সু্যপ হইছে না পেটে গেছে??????/

১৪| ০৮ ই মে, ২০০৬ ভোর ৬:০৫

অতিথি বলেছেন: সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে কোন মন্দির কাবা নাই। মানুষের বিভাজ্যতা মানুষকে তাজ্য করে হৃদয় থেকে; তবে আপনার কষ্ট হবে না হীরকখন্ডটি তুলে নিতে। সুন্দর ভাবনার এ হিরন্ময় প্রকাশ আমাকে মুগ্ধ করেছে।

আমার বয়স 32। আমার একমাত্র বোনের এখন 30 চলছে। আমি ভীষণ ভালোবাসি তাকে। যদিও এখন মাসে একবারের বেশী দেখা হয় না। কেন যেন ওর কথা মনে পড়েছে আপনার লেখাটি পড়ে।

১৫| ০৮ ই মে, ২০০৬ ভোর ৬:০৫

সাইমুম বলেছেন: আস্তমেয়ে : ইসলাম আমি কিছুটা বুঝি। যতটুকু বুঝি না , ততটুকুকে মূল্যবান মনে করি। তবে জীবনটাকে খন্ড খন্ডভাবে বুঝতে গিয়ে বারবার হোচট খেয়েছি। নাউ আই বিলিভ, হিউম্যান লাইফ ইজ এ কমপ্যাক্ট ইউনিট। সো দ্য হোল লাইফ শুড গাইডেড বাই সেইম প্রিনসিপ্যাল অ্যান্ড ফিলোসফি। বাঁশ চিবাতে ভালো লাগে না, সো হোয়াট? গরু-ছাগলের অংশ লতাপাতা চিবাও।

১৬| ০৮ ই মে, ২০০৬ ভোর ৬:০৫

অতিথি বলেছেন: আস্তর চিন্তাভাবনা সত্যিই খুব গভীর। সত্যি কথা কি সাদিক ভাইয়ের পোষ্টের ব্যাপারে আমি যা বলেছি তার পেছনে অনেকগুলো কারন ছিল।
আস্ত তুমি হয়ত জান না... আমি প্রথমবার যখন ব্লগ ছেড়ে দেব বলেছিলাম তখন এই সাদিক ভাই এর রিকোয়েষ্টে আবার ব্লগে ঢুকেছি। ঢুকে দেখি আমার 'শেষ পোষ্টে' আপনাদের অজস্র মমতা মাখা কমেন্ট। তাই ছেড়ে যেতে পারলাম না। কিন্তু সেই সাদিক ভাই যখন এমন আচরন করতে শুরু করল তখন মনে হল আমি কি মানুষ চিনতে ভুল করেছি? খুব কষ্ট লেগেছিল। তুমি সেটা চিন্তাও করতে পারবে না কতটা কষ্টদায়ক ছিল ব্যাপারটা। আমি নিজেকে খুব ভাল মানুষ মনে করি না। তবে ভাল মানুষ হবার একটা সচেতন চেষ্টা রয়েছে। আর মানুষ সম্পর্কে আমার ধারনা তেমন একটা খারাপ না। আমি আমার বন্ধু বান্ধবদের মাঝেই দেখেছি যারা এই ধরনের চিন্তাভাবনা করে.. মানে একটু নাস্তিক নাস্তিক ভাব.... বেশী আধুনিক (যাকে বলে পোষ্টমর্ডান কনসেপ্ট..না কিযেন.. আমার তেমন আগ্রহ জাগেনি কিছু নমুনা দেখার পর..) আমার সেই বন্ধুগুলো কিন্তু মানুষ হিসেবে খারাপ নয়। তাদের অবচেতন মনের এক কোনে কিন্তু স্রষ্ট্রার প্রতি অগাধ বিশ্বাস রয়েছে ও সৃষ্টির প্রতি প্রচন্ড মায়া রয়েছে । যখন তারা খুব দুঃখ পেয়ে আমার সাথে এক রাত থাকে তখন আমি সেই কোনগুলো দেখতে পাই। তাই এদের প্রতি হটাৎ অনেক রাগ উঠলেও তা আসলেই বেশিক্ষন পুষে রাখতে পারি না। রাগটা উঠার কারন যতটা না তারা নাস্তিক তার চেয়েও বেশী তাদের কার্যকলাপে অন্যের বিভ্রান্তির হার দেখে। আমার এক এরকম বন্ধুর জীবনের খুবই দুঃখজনক ও অদ্ভুত ঘটনা নিয়ে একটি পোষ্ট দেব ভাবছি।

যাই হোক... কিছু কিছু ব্যাপারে স্রষ্ট্রার কিছু নির্দেশ রয়েছে। তবে সেগুলো অবশ্যই চরম অবস্থায় গ্রহন করতে হয়। আমি হয়ত ধৈয্য ধরতে পারি না। সেটা আমার সীমাবদ্ধতা আমি জানি। অনেক কষ্ট থেকে যখন কোন লেখা বের হয়ে আসে তাতে যতটানা বুদ্ধি কাজ করে তার চেয়েও বেশী আবেগ কাজ করে।

তোমার এই পোষ্টটি অসাধারন হয়েছে। ঠিক এই সময়ে এই ব্লগে এরকম একটি পোষ্টের বড়ই প্রয়োজন ছিল। ধন্যবাদ দিয়ে তাই এর গুরুত্ব কমাতে চাই না।
ভাল থাক সবসময়। আমার প্রথম কমেন্ট টা মুছে দিলে ভাল হয়।

১৭| ০৮ ই মে, ২০০৬ ভোর ৬:০৫

অতিথি বলেছেন: অমি পিয়াল, উহু একেবারেই না। আমার প্রায়েই ইনসপাইরেশনের খুব প্রয়োজন হয়। আপনি লেখা বন্ধ করলে পাবো কোথথেকে?
জাযাকাল্লাহ ওয়ালী (তেলিতহওয়াহাসি)। খ্রীষ্টিয়ানরাই যত ঝামেলা করলো... ওদের থেকে আসার কলঙ্কটুকু বাদ দিলে, মৌলবাদীই হতে চাই... মৌলিক দিক না জানলে যে ধর্মান্ধ হব!
আবু সালেহ, হ্যা তা একটু বড়ই হয়ে গেছে... ইয়ে, কাল পরীক্ষা কিন্তু ওয়াজ মনে হয় আমার রক্তে মিশে যাচ্ছে... এত দিন বাসার মানুষ আর অল্প কিছু মেয়েরা টর্চারড হত এখন আরও ক্ষেত্র পাইছি
কৌশিক, অনেক ধন্যবাদ। মাঝে মাঝে এক একটা সুন্দর মন্তব্য সারা দিনের জন্য যথেষ্ট হয়ে যায়, আপনার মন্তব্যটা ওরকম
সাইমুম, আপনার উপমাগুলো বরাবরই সুন্দর। হুম পাতা খেয়ে যাচ্ছি এখনও :)

১৮| ০৮ ই মে, ২০০৬ ভোর ৬:০৫

অতিথি বলেছেন: ত্রিভুজ, আপনি যা বললেন তা আমি আগেই বুঝেছিলাম। আপনি হলেন সেই টাইপের মানুষ যারা বলে ফেলা কথার জন্য খুব ঘন ঘন সরি হয়, আর সামান্য কিছু দেখেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন... হা হা হা। আরেকটু এবস্ট্রাকলি চিন্তা করেন ভাই... জীবনটা প্রোগ্রামিঙের মত হ্যা না ভাষার না... সাদা কালো না... অনেক ধূসর জায়গা, অনেক রঙিন জায়গা...
প্রথম মন্তব্যটা মুছে দিতে ইচ্ছা করছিল, আপনি অনুমতি দিলেন তাই ধন্যবাদ

১৯| ০৮ ই মে, ২০০৬ সকাল ৭:০৫

অতিথি বলেছেন: তুমি বুঝতো পারো নাই... আসলে জীবন নিয়ে আমার এতো টেনশন নাই... এত ছোট একটা জীবন নিয়ে এতো টেনশন লইয়া কি হইবো। তবে যাদের কাছে জীবন বিরাট বড় একটা কিছু তাদের জন্য কিছু করার চেষ্টা করি। পৃথিবীটা সুন্দর করার ব্যাপারে কিছু অবদান রাখি। এসব করতে গিয়েই অনেক বিপত্তি বেধে যায়।

মাঝে মাঝে ভাবি রবিনসন ক্রুশোর জীবনটা আমি পাইলে কি করতাম। মানুষের পৃথিবীতে ফিরে আসার চেষ্টা করতাম নাকি সারাজীবন দ্্বীপেই কাটাতাম। একেকসময় একেকটা মনে হয়। তবে বেশীরভাগ সময়ই মনে হয় দ্্বীপেই কাটাতাম।

২০| ০৮ ই মে, ২০০৬ সকাল ৭:০৫

কালপুরুষ বলেছেন: কারও প্রশংসা করলে নাকি তেল মারা হয়। তাই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি তেলবিহীন শুকনো হাতে। তবে সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো আমি স্মরণকালে আমার শরীরে, মাথায় বা চুলে ভুলেও কখনও তেল ব্যবহার করিনি। তবে হ্যাঁ নিয়মিত ঘি ও মধু খাবার কারণে মাশাল্লাহ আমার শরীরটা বেশ চিকনাই গোছের। যা দেখে বউ এবং অন্যেরা কিছুটা হিংসা করে। আমার গিন্নী একবার শীতে গা ফেটে যাবার কারণে পিঠে (প্লিজ অন্যভাবে কেউ নেবেন না) একটু তেল মেখে দিতে বলেছিল। কিন্তু আমি সবিনয়ে তা প্রত্যাখান করায় আর কোনদিন সে আমাকে সেই অনুরোধ করেনি।

আমি কখনও বিরূপ কথা শুনতে পারি এই ভয়ে কারও প্রশংসা করতে পিছপা হইনি বা হবোও না। আস্তমেয়ে, সত্যি বলছি বয়সের তুলনায় আপনি একটু বেশী ভাল লেখেন। যেটুকু শিখেছেন বা পড়েছেন বা জেনেছেন তাতে পরিপক্কতা আছে, শ্রম আছে, মেধা ও মননের যথাযথ সংমিশ্রণ আছে। সত্য বলার বা জানার আগ্রহ আছে। আমি ধর্ম বুঝি কম, কিস্তু লেখার ভাষা বা বলতে চাওয়া কথাগুলো বুঝতে পারি। লেখার অন্তর্নিহিত চিন্তা ও চেতনার সহজ ও দীপ্ত ভাবটুকু বুঝতে পারি। লেখা লেখিতে আপনার ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল এটুকু বলতে পারি।

২১| ০৮ ই মে, ২০০৬ সকাল ৭:০৫

অতিথি বলেছেন: অবদান রাখি --> অবদান রাখার চেষ্টা করি।

২২| ০৮ ই মে, ২০০৬ সকাল ৯:০৫

57 বলেছেন: আস্ত ঃ আশা করি আমার মন্তব্যের উত্তর দেবেন।একটা জিনিস আমি মনে করি,ধমর্ান্ধ না হলে ধর্ম (??) পালন করা যায় কিন্তু পারটিকুলার ( ??? )কোন ধর্মপালন যায় কি বা পালন করা হয় কি ?(একটা প্রশ্নবোধক চিহ্ননা দিলেও পারতাম !! )

২৩| ০৮ ই মে, ২০০৬ সকাল ৯:০৫

অতিথি বলেছেন: আস্ত মনের কথা লেখায় সুন্দর উপস্থিত।কখন যে এত বড় একটা পোষ্ট শেষ করে ফেলেছি বুঝতেই পারি নাই,এতটাই ভালো লেগেছে।আস্তময়ে র সথে একমত হয়ে বলছি আরও পড়াশুনা করা দরকার যাতে অপপ্রচার আর অপব্যখ্যা কারিদের আমরা ভালো ভাবে চিনতে পারি।
মহান রাবুল আলামিন আমাদের জ্ঞান দান করুন,আমরা যাতে ঈমান দার এবং বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর যোগ্য উমত্ত হতে পারি।
নিশ্চয় তিনি সর্বজ্ঞানী,তিনি যাকে খুশি হেদায়েত দান করেন এবং যাকে খুশি জ্ঞান দান করেন।

২৪| ০৮ ই মে, ২০০৬ সকাল ৯:০৫

শাওন বলেছেন: প্রথমে একটু ফাজলামি করে নেই . . . আস্তকইন্যার লিস্টে আমর নাম দেখে লাফিয়ে উঠেছিলাম ... ঝাককাস , আমার নাম প্রথমে

এবার আসল কথায় আসি , পুরা লেখাটা পড়লাম । অসাধারণ . . .
কিছুদিন আগে একটা আংকেলের সাথে কিছু আলোচোনা করার সৌভাগ্য হয়েছিল ... তার প্রতিটা কথা শুনেছি আর মনের চোখ দিয়ে কেঁদেছি , বাইরের চোখ দিয়ে পানি পড়েনি কারন সেখানে বেশ কিছু মানুষ ছিলো । যাইহোক , এক পর্যায়ে এসে তিনি নিজেই কেঁদে দিয়েছিলেন । তখন আর নিজেকে সামলিয়ে রাখতে পারিনি । তিনি কেঁদেছিলেন কি কারণে যানো ??? তিনি কেঁদেছিলেন : আমাদের জন্য । আমরা কত গাফেল ... আমরা মুসলমান , আমাদেরই থাকার কথা এখন রাজার বেশে । কিন্তু আমাদের নিজেদের মধ্যে নেই কোনো আত্মসমালোচনা । আমরা করে বেড়াই পরের সমালোচনা । পরের ভুল ধরতেই ব্যস্ত ।

আসলে স্টাডি করা দরকার ... প্রচুর স্টাডি ।

২৫| ০৮ ই মে, ২০০৬ সকাল ৯:০৫

শুভ বলেছেন: আস্তমেয়ে, আমি নিজে মানুষ কিনা এতে আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে!
তা আপনি নাচুনে বুড়ি, দিলেন আবার ঢোলে বাড়ি- সংবেদনশীল!
হা হা হা- শুনতে ভালো লাগে।
নিজেকে খানিকটা মানুষ মানুষ মনে হয়!

২৬| ০৮ ই মে, ২০০৬ সকাল ১০:০৫

অতিথি বলেছেন: আস্তমেয়ে !
আপনার এই লেখাটি আমার মন ছুঁয়ে গেছে । ধন্যবাদ আপনাকে ।

২৭| ০৮ ই মে, ২০০৬ সকাল ১১:০৫

অতিথি বলেছেন: আমার লেখাকে জ্ঞানী জ্ঞানী আখ্যা দিয়ে বাদ দিলেন, সে না হয় মানলাম। কিন্তু জ্ঞানটাকে বাদ দেবেন না।

এই যে আপনি এবং ওয়ালী মৌলবাদীই হতে চাইছেন-মৌলবাদ নিয়ে আমার লেখাটা তাহলে জলেই গেল। আপনাদের জন্যই লিখেছিলাম। 'ধর্মীয় মৌলবাদের চাষাবাদ'-এ সংজ্ঞা ও উদ্ভবের কারণ বর্ণনা করা আছে।

তবে পড়ুন। পড়লেই সত্যকে ধরতে পারবেন। যদি পড়ার সময় ক্রিটিক্যালি এ্যানালাইসিস করে সত্যকে গ্রহণ করেন। মুক্তমন নিয়ে পড়তে বসতে হবে। ফলাফল কি দেখতে চান তা আগে নির্ধারণ করে গবেষণায় বসলে সেটি সঠিক গবেষণা হয় না। সুতরাং অন্যের পাওয়া ফল, সত্য, চেনা জানা তথ্যকে অস্বীকার করেই পড়তে/গবেষণা করতে বসতে হবে। তারপর উদ্ধার করতে হবে সত্য, নিজস্ব বিচারে।

২৮| ০৮ ই মে, ২০০৬ দুপুর ১:০৫

অতিথি বলেছেন: ত্রিভুজ, দ্্বীপে আমি দ্্বিতীয় দিন মারা যেতাম। সাথে মোবাইল আর ওয়্যারলেস ইন্টারনেট থাকলে অবশ্য চিন্তা করে দেখা যেত
কালপুরুষ, অনেক ধন্যবাদ। আপনার সুন্দর মন্তব্যের সামনে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়... হা হা হা।
57, আমার পোস্টে আমি বলেছি, আমি ধর্ম বলতে পথকে বুঝি। সেই অর্থে নাস্তিকেরও ধর্ম আছে। একটা ধর্ম পালন করতে গেলে যদি ধর্মান্ধ হতে হয় তাইলে ব্যপারটা একটু হাস্যকর খিচুরি হয়ে যায় না? মানে আপনি একই সাথে স্রষ্টার অস্তিত্বে অবিশ্বাসী হবেন, আবার স্রষ্টার নিরাকার একত্ববাদে বিশ্বাসী হবেন, আবার বহু প্রভুতে বিশ্বাসী হবেন... একটু হাস্যকর হয়ে গেল না? আমার মনে হয় যারা দাবি করে তারা বিশ্বাস করে পৃথিবীর প্রতিটা ধর্মই সত্য, তারা ভন্ডামী করে। কারণ সব কিছুতে এক সাথে বিশ্বাস করা আসলেই অসম্ভব...
ধমর্ান্ধ মানে নিজের পথ সম্পর্কে সচেতনতার অভাবসহ মানুষ...
আবু সাঈদ, আমিন টু য়ুর দুআ।
শাওন, একটা মানুষ কত গভীর ভাবে অনুভব করতে পারলে কাঁদতে পারে, সেটা আমি জানি। কেন সবাই এভাবে অনুভব করতে পারে না বলতো? যাক, খুশি হইলি... তোর অভিমানের জ্বালায় তো আমি ন বাঁচি...
শুভ, অতি বিনয়ের মনে হয় কিছু সাইড এফেক্ট আছে। আপনার খুব দ্রুত শুরু হয়ে যাবে কিন্তু বলে দিলাম!
বদরূল আহমেদ, জাযাকাল্লাহ।
শোহেইল, প্রতিটা জনগোষ্ঠির নিজেস্ব ইতিহাস আছে। এক গোষ্ঠিতে উদ্ভাবিত শব্দ আপনি আরেক জায়গায় চালু করতে গেলে বিপত্তিতে পড়বেন। খ্রীস্টিয়ান ফান্ডামেন্টালিস্টদের যেই রক্তাক্ত ইতিহাস আছে, মুসলিমদের তা নেই। ফান্ডামেন্টালিস্ট আর ফ্যানাটিক এই দু'টো শব্দ আমি এক করতে রাজি নই, যদিও খ্রীষ্টিয়ান ইতিহাসে তাকালে এ দু'টো আলাদা করার উপায় নেই। এই যে ওসামা বিন লাদেন টাইপের কিছু বিভ্রান্ত মানুষ বোমাবাজি করছে, জরিপ করে দেখুন, বিশ্বে যত মুসলিম ওলামারা আছেন, তাদের বেশির ভাগই একে সমর্থন করছেন না। ভুল বলছেন। ওরা ফ্যানাটিক, কিন্তু ফান্ডামেন্টালিস্ট নয়... :)
আমি এই অর্থেই বলেছি মৌলবাদ হতে আমার আপত্তি নেই... মৌলবাদ মাইনাস দ্যা নিগেটিভ কনোটেশন এসোসিয়েটেড উইথ দ্যা ওয়ার্ড...
ফলাফল কি দেখতে চাই তা আগে ধরে বসে থাকলে হয় না জানি, তবু নিজের মূল্যবোধের একটা ছাঁকুনি সবার মধ্যে অটোমেটিক তৈরি হয়ে যায়। অভিজ্ঞতার সাথে সাথে ছাঁকুনিটা আরও রিফাইনড হয়... এই ছাঁকুনিটা একেবারেই না থাকলে কিন্তু বিপদ, তাহলে একদল বিভ্রান্ত মানুষ দেখতে পাবেন, যারা নিজেদের অস্তিত্ব নিয়ে বিভ্রান্ত, উচিৎ অনুচিৎ নিয়ে চরম বিভ্রান্ত... সেটা কাম্য নয়
আপনার লেখা পড়ি তো, যখন পড়ি, জ্ঞানটা বাদ দেই না। তবে ছাঁকুনি একটা আছেই... :)

২৯| ০৮ ই মে, ২০০৬ সন্ধ্যা ৬:০৫

অতিথি বলেছেন: [আরে ইয়ার তুম তো কামাল কর দিয়া। ইংলিশ]যিধঃবাবৎ[/ইংলিশ]। সাদিক যে কাজটি করেছে, তাকে আমি খারাপ বলব না। সে যাষ্ট আমাদের সবার বিশ্বাসে একটু নাড়া দিয়েছে। আমরা সবাই নিজেদের নতুনভাবে জানার চেষ্টা করেছি (2/3 জন)। শিয়া-সুনি্ন নিয়ে লেখাগুলো পড়ার পর নিজে নিজের কাছে অনেক প্রশ্নের সম্মুখিন হয়েছি। সমাধানের ও চেষ্টা করেছি। অনেক অজানা প্রশ্নের জবাব ও পেয়েছি। অনেকেই ঘটনমুলক উত্তর দিয়েছেন। আমি ও একটা কমেন্ট করেছিলাম। তবে আমাদের জানার আছে অনেক কিছু, সেটা সাদিক আমাদের দেখিয়েছে। আমরা শুধু একদিক বিচার না করে বিভিন্ন দিক থেকে আমাদের রিলিজিয়াসকে দেখলে মনে হয় আমরা আরও বেশি সাচ্চা মুসলমান হতে পারবো।
একটা অভিক্ষতা- আমি অফিসে জয়েন করি রমযান মাসে। আমি ও আমার বস এক রুমে। প্রচন্ড ভাল এক লোক(আমি জার্মানদের এরকম ভাবে ভাবি না)। তো আমি রোযা, রুমের ভিতর যোহরের নামায পড়ি। সে আমাকে ইসলাম সম্পর্কে প্রথমেই যে অভিযোগ করলো- "আমি একবার এক মুসলমানের সাথে ইসলাম নিয়ে কথা বলিতেছিলাম, সে বললো তোমাদের আল্লাহর নাকি 99 নাম।" আমার বস তো এইটা শুনে ক্ষেপে গেছে। একজনের 99 নাম হয় কিভাবে? আমাকে জিঙ্গেস করলো।আমি বললাম- আল্লাহ তো একজনই, ঐগুলো উনার সিফাত বা গুন। ব্যস, ব্যাটা একটু শান্ত হলো। তারপর ইসলাম নিয়ে আমরা অনেক কথা বলেছি। তার সবগুলো উত্তর আমি হয়ত কোথা থেকে জেনে এসে বলেছি। তাই আমার মনে হয়, সাদিক খারাপ কাজ করেনি। কয়েকজন না জেনে শুধু শুধু গালিগালাজ করেছেন।
আমার কিছুদিন আগে আহমদিয়া (কাদিয়ানি) সম্পর্কে বেশ জানতে ইচ্ছে হলো। কয়েকজনকে জিঙ্গেস করলাম। বলে ওরা খুবই খারাপ। বললাম- কেন খারাপ? এখন আর ভালোভাগে উত্তর দিতে পারে না। আবার বলে খবরদার ওদের কাছে যেও না। যাক শেষ পর্যন্ত বেশ ভাল একজন সিনিয়র ভাই পেয়ে গেলাম। উনার কাছ থেকে বেশ কিছু তথ্য পেলাম। আমার সাথে তুলনা করলাম, দেখলাম আমারটাই বেষ্ট আমার কাছে।
নিজে তরজমা সহ বেশ কয়েকবার কোরআন খতম করেছি। বেশ কিছু মাসলা- মাসায়েল ও জানি। ভার্সিটির অনেকেই আমার কাছে আসে কোন বিষয়ে জানতে হলে। কিন্তু সাদিকের প্রশ্নগুলো সম্পর্কে আমি এখনও কাউকে পাইনি জিঙ্গেস করার।
যাক, আশা করি প্রশ্ন যেহেতু মাথায় ডুকেছে, উত্তর ও পেয়ে যাব। তবে আমি একটা কমেন্ট করেছিলাম সাদিকের পোষ্টে, কাউকে খুব বেশি উপরে তুলা ঠিক নয়। যেমন- ঈসা (আ:) সম্পর্কে খ্রিষ্টনরা বেশি বাড়াবাড়ি করে খোদার ছেলে বানিয়ে ফেলেছিল।
আমি নিজে ও বেশ কষ্টে আছি প্রশ্নগুলোর জন্য।
তোমাকে আর ধন্যবাদ দিয়ে গাছে তুলে লাভ নাই। তুমি সবসময়ই ভালো লিখ। আল্লাহ হাফেজ।

৩০| ০৮ ই মে, ২০০৬ সন্ধ্যা ৭:০৫

অতিথি বলেছেন: হ্যা.. গাছে তুলে দিলে পরে আস্ত গাছের সবগুলি আম খেয়ে ফেলতে পারে... এবং পালাতে গিয়ে লাফ দিয়ে মালির ঘাড়েও পরতে পারে

এবিষয়ে নতুন করে আবার তর্কের শুরু না হওয়াই ভাল। :)

আস্ত... নীরবতার মাঝে এক অদ্ভুত আনন্দ রয়েছে। এরকম কোন জায়গায় চলে যাও.. যেখানে তুমি শুধু একা.. আর কেউ নেই... এবং কোন কাজেরও তাড়া নেই... বেশীনা.. তিনঘন্টার ভেতর তোমার ভেতর এমন কিছু চিন্তা ও অনুভুতি আসতে থাকবে যা বলে বুঝানো যাবে না... এই ঢাকা শহড়ে অনেক খুজেও সেরকম জায়গা পাইনি... সেন্টমার্টিনে গিয়ে কিছুটা পেয়েছিলাম.. তাও পরিপূর্ন ভাবে নয়... একটা দ্্বীপে গিয়ে কিছুদিন থাকতে পারলে ভাল করে ব্যাপারটা বুঝা যেত... still searching for that place
:)

ফ্রুলিক্স.. আপনাকে একটি জিনিস বলি... আপনার লেখাও ও কমেন্ট পড়লেই বুঝা যায় আপনি সচেতন মানুষ। আপনার নিজস্ব বিবেক ও বুদ্ধি ব্যাবহার করতে পারেন। এটা পারেন বলেই আপনার ধর্ম বিশ্বাসে সহজে কেউ ফাটল ধরাতে পারবে না। কিন্তু আমাদের চারপাশে এরকম মানুষের সংখ্রা খুবই কম। তাদের দিকটা চিন্তা করলেই একটু অন্যভাবে ভাবতে হয়। অনেক সময় আমরা একটি বিষয়ে কিছু একটি বুঝাতে গিয়ে যদি ব্যার্থতার পরিচয় দেই... আপনার আমার মত সচেতন মানুষদের তেমন কোন ক্ষতি হবে না.. কিন্তু বাকীদের কথা আমাদের মাথায় রাখতে হবে। তাদের জন্য হলেও প্রতিবাদ করতে হয় এধরনের কথার। হয়তো যে ব্যাক্তি কথাগুলো বলেছেন তারও উদ্দেশ্য ভিন্ন... কিন্তু তার জ্ঞান দিয়ে আট দশজন সাধারন মানুষের জ্ঞানকে মূল্যায়ন করলে তো হবে না। এজন্যই অনেক কথা আছে যা সব জায়গায় বলতে হয় না। সুফীরা অনেক অদ্ভুত জিনিস জানেন। কিন্তু তারা তা জনসন্মুখে তা প্রকাশ করেন না। কারন সুফীদের মত করে চিন্তা করতে পারবে না সাধারন মানুষ। তাই কোনকিছু সাধারন জনগনের মাঝে প্রকাশ করার আগে একটু চিন্তা করে নিতে হয়। তাতে সামগ্রীক কল্যান সাধিত হয়।

** সিরিয়াস কিছু লিখব না ভেবেও লিখে ফেললাম... নাহ... আমার দুই দিন ঘুমানো উচিৎ... ততক্ষনে এখানে সব শান্ত হয়ে যাবে আশা করি

ধন্যবাদ আস্তকে (আগেরবার ধন্যবাদ দেইনি.. কিন্তু পরবর্তি কমেন্টসগুলোও চমৎকার দিয়েছ।)

৩১| ০৮ ই মে, ২০০৬ রাত ১০:০৫

অতিথি বলেছেন: ত্রিভূজ ভাই, আপনার মন্তব্যের সাথে আমি পুরোপুরি একমত হতে পারলাম না। আপনি সাধারন বলে কোন লোকদের বুঝাতে চাচ্ছেন। আমরা যারা এই সাইট ব্যবহার করি, তাদেরকে স্বাধারন বলে আপনি পাশ কাটিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। কম্পিউটারের সব বাটনই টিপতে পারি, ইংরেজি কি বোর্ডে বাংলা লিখতে পারি, জীবনের সব লাভ লোকসান ভালভাবেই বুঝি, আর ইসলামের কোন ব্যপারে কিছু বললে বুঝি না, এই রকম লোক কিন্তু সুবিধার নয়। এদেরই শাস্তি বেশি হবে পরকালে। তবে আপনার উদাহরনে একটা হাদিস মনে পড়লো- গত 2 দিন আড়ে শুনেছিলাম।
একদিন নবী (স:) এক সভা থেকে কাউকে না বলে চলে গেলেন, সবাই কথাবর্তায় মগ্ন, হঠাত করে সবাই খোজা শুরু করল। এক সময় আবু হুরায়রা উনাকে একটি বাগানের ভেতর দেখতে পেয়ে বলল- আমরা আপনাকে খুজতেছি, আর আপনি এখানে , নবী বললেন- আবু হুরায়রা এখন তুমি যাও আর যাকে সামনে পাও, তাকে বল যে একবার কালিমা পড়বে সে বেহেসতে যাবে। আবু হুরায়রা রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় প্রথমে ওমরের সাথে দেখা, নবী যা বল্লেন, আবু হুরায়রা ওমরকে তাই বল্লেন, ওমর আবু হুরায়রাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিলেন (আবু হুরায়রা ওমরের থেকে বয়সে অনেক ছুট ছিলেন)। আবু হুরায়রা নবীর কাছে অভিযোগ করলেন ওমরের ব্যাপারে। নবী ওমরকে জিঙ্গেস করলে ওমর বললেন- রাসুল এখন যদি সবাই এই কথা শুনে তবে কেউ আর আমল করবে না। সবাই কলিমা পড়েই বসে থাকবে। নবী (স:) পরে আবু হুরায়রাকেএই কথা বলতে মানা করলেন।
যাক, যারা দুই চার লাইন পড়তে জানেন, তাদের উচিত ধর্ম সম্পর্কে ভালভাবে জানা। নইলে পরকালে মুক্তির কোন উপায় নাই।

৩২| ০৯ ই মে, ২০০৬ সকাল ১০:০৫

অতিথি বলেছেন: জানতে হবে...... জানতে হবে......
বুঝতে হবে ,সঠিক অর্থ উদ্ধার করতে হবে।কেননা ইসলাম সংকীর্ণ কোন বিষয় নয় । ইসলাম ব্যাপক এবং ব্যাপকতর ।

আমি নিজে জানার চেষ্টা করছি।

"আস্তু" যেমন করেছ পোস্ট তেমন তার মন্তব্য তাই ধন্যবাদ তোমাকে ধন্যবাদ......ধন্যবাদ......(তোমার গত 2 পোস্ট -এ, নেটে সমস্যা দেখায় তেমন কোন মন্তব্য করতে পারিনি,তবে পড়া হয়েছে।)

৩৩| ০৯ ই মে, ২০০৬ সকাল ১০:০৫

অতিথি বলেছেন: "ডিপ্লোমেটিক ধুসর খোঁচা-খুঁচি ...."!!!

কবি নজরুলের একটা লাইন ছিলো না, ".... সিন্ধু সেঁচে মুক্তা আনে",
- আপনি, হে কোন ডুবুরী, আর কোন খানেই কীরকম সেঁচকার্য সমাধা করে আমার লিখার ব্যাপারে এহেন মন্তব্যখানি তুলে আনলেন ?

৩৪| ০৯ ই মে, ২০০৬ সকাল ১১:০৫

অতিথি বলেছেন: ফ্রুলিংক্স যেমনটি আগেই বলেছি। আবু হুরায়রার হাদীস নিয়ে সবচেয়ে বেশি ফ্যাব্রিকেশনের অভিযোগ আছে। যে হাদীসটির কথা বলেছেন সেটা অনুরূপ ফ্যাব্রিকেশনের উদারহন।

পুরা হাদিসটি ঠান্ডা মাথায় পড়ে নিবেন। ওমর রীতিমতো আবু হুরায়রাকে মাইর দিয়েছিলেন সেদিন সোজা বাংলায়।

ওমর আবু হুরায়রাকে খুব ভালো মতোই চিনতেন বলে ওমরের বিরুদ্ধে একটু মারামারি অভিযোগ ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে এখানে।

তারচেয়েও বড় যেটা পর্যবেক্ষনের বিষয় যা, তা হলো হাদীসের শেষের দিকে এসে ওমর নবীকে উপদেশ দিচ্ছে ধর্মের ব্যাপারে। এ্যাজ ইফ নবী খুব ইমপ্যাক্টিক্যাল মানুষ, ওমর হইলো সব জান্তা। নবী না জেনে নিজে থেকে মনগড়া কথা বলতেন না। বিশেষ করে প্রকাশ্যে প্রচার করার মতো নির্দেশ, যে যাও যাকে পাবে তাকে এই কথা বলে আসো।

যে কথাটি আবু হুরায়রা এখানে বলেছে, যে কলেমা বললেই সে বেহেস্তে যাবে এটা পুরো বানোয়াট একটা ধারনা। ধমর্ান্ধরা এগুলো পুঁজি করেই মসজিদ থেকে বের হয়ে ব্যবসায়ী হলে পণ্যে ভেজাল দেয়, অফিসে গেলে ঘুষ খায়, ওসামার সমর্থক হলে বোমা মারে নিরীহ মানুষকে। কারন তাদের অন্ধ মানসিকতাকে কমপ্লিমেন্ট করে এই ধরনের হাজারটা ফ্যাব্রিকেটেড হাদীস। শুধু এটিই নয়, হাদীস কুরআনের ব্যাখ্যা বলে প্রচুর অন্ধকার আইডিয়া ছুড়ে দেওয়া হয়েছে মুসলিমদের ভিতরে। সেগুলো এসেছে এই ফ্যাব্রিকেটেড হাদীসগুলোর হাত ধরেই।

মহান উদার ধর্মটাকে নিয়ে মুয়াবিয়া আর ইয়াজিদ হায়নারা লুটোপুটি খেলেছে। আর আমরা এখনও অন্ধই হয়ে রই। আফসোস।

৩৫| ০৯ ই মে, ২০০৬ সকাল ১১:০৫

অতিথি বলেছেন: ফ্রুলিক্স,
আপনি আমাকে ভুল বুঝলেন... হাতে একটুও সময় নেই... নতুবা আপনার ভুলটা ভাঙ্গিয়ে দিয়ে যেতাম...
সংক্ষিপ্ত আকারে যা বলব.. তা হলো আপনাদের আমি মোটেও সাধারন বলি নাই বা ভাবিও না... বরং ভাবি আপনারা আমার থেকেও বেশী জানেন.. তাই এখানে আসি.. অনেক নতুন কিছু জানার লোভে...
আমি কাদের সাধারন বলেছি আপনি তা ডিটেইলসে বলতে গেলে অনেক সময় লাগবে.. শুধু এতটুকু বলি.. এই সাইটে রেজিঃ ভিজিটর ছাড়াও আরো অনেক ভিজিটর রয়েছে.. তারা এসে এখানে লেখা বিভিন্ন টপিকগুলো পড়ে যান নিয়মিত। আমার এক বন্ধুর ছোট ভাই আমাকে কিছু প্রশ্ন করেছিল এখানে কিছু টপিক পড়ে। সেই ছোট ভাইটির এতকিছু জানার সময় নেই... বা বয়স হয়নি.. কিন্তু এখানে এসে কিছু টপিক পড়ে তার মনে ঠিকই প্রশ্ন জেগেছে। এখান কথা হলো এরকম আরো অনেকের জাগতে পারে... আমরা আমাদের ভুল মতামত এখানে পোষ্ট করে যদি তাদের বিভ্রান্তির কারন হয় তাহলে সৃষ্টি কর্তা কি আমাদের ক্ষমা করবেন? সৃষ্টিকর্তা ক্ষমা করলেও যারা বিভ্রান্ত হলেন তারা কি আমাদের ক্ষমা করবেন?

সময় নেই তাও অনেক কিছু লিখে ফেলেছি মনে হল। ঘুড়তে যাচ্ছি কয়েকদিনের জন্য... আপনাদের কথাগুলো নীরবতার মাঝে ভাবতে পারব... নিজেকেও কিছু সময় দেওয়া প্রয়োজন।

ভাল থাকবেন সবাই।

৩৬| ১০ ই মে, ২০০৬ রাত ১২:০৫

অতিথি বলেছেন: সাদিক ভাই, উপরোল্লেখিত হাসিদটির যে ব্যাখ্যা আপনি দিয়েছেন- ওমর রাসুলকে ও উপদেশ দিতেছেন(!!)।কথাটা অন্যভাবে ও চিন্তা করে দেখুনতো। নবী তো আল্লাহর কাছ থেকে অনেক সংবাদ আগে পেয়ে যেতেন। তারপর ও উনি সাহাবাদের সাথে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নিতেন এবং অনেক সময় নিজের সিদ্ধান্ত পর্যন্ত বদলে ফেলতেন। উদাহরন- কোন একটি যুদ্ধ ,(সরি, মনে করতে পারছিনা) নবী সবার সাথে পরামর্শ করলেন, কাফেরদের মোকাবিলা কোথায় করবেন মক্কার বাইরে নাকি মক্কার ভেতরে, মোটামুটি সবাই যে সিদ্ধান্তদিলেন, তাতে নবীর সিদ্ধান্তের বিপরীতই হলো অথচ উনি সবার পরামর্শ অনুযায়ী যুদ্ধ যাত্রা করলেন।
একটি যুদ্ধে (মনে হয় ওহুদ) বেশ কয়েকজন কাফের সর্দার যুদ্ধবন্দি হলো। তখন পর্যন্ত এদের ব্যপারে কোন আয়াত বা দিক নির্দেশনা নাযিল হয়নি। নবী (স:) সহাবাদের নিয়ে পরামর্শ করলেন- আবু বকর বললেন, তাদের কাছ থেকে মুক্তিপন নিয়ে ছেড়ে দিতে, ওমর ওদের কতল করতে পরামর্শ দিলেন। নবী (স:) আবু বকরের পরামর্শ মতো তাদের মুক্ত করে দিলেন এবং বললেন- আজ যদি তোমরা দুইজন কলত করার পরামর্শ দিতে তবে আমি অবশ্যই মানতাম। এর পরপরই আয়াত নাযিল হয় যে, কাফেরদের মুক্তির বিনিময়ে পরের যুদ্ধে 70 জন সাহাবী শহীদ হবেন।
একবার নবী(স:) এক মুনাফেকের জানাযার নামাযে যেতে উদ্ধত হলে ওমর বাধা দেন, কিন্ত রাসুল ঐ মুনাফেকের জানাযা থেকে ফিরে আসতেই আয়াত নাযিল হয়, কোন মুনাফেকের জানাযায না যাওয়ার জন্য।
নবী যেখানে উনার মৃত্যর পর খোলাফায়ে রাসেদার পথ অনুসরনের জন্য তাগিদ দিয়ে গেছেন, সেখানে ঐ সব ঘটনার দ্্বারা তাদেরকে শিক্ষা দেয়া হয়েছে যে, তুমি যতই বড় হও না কেন, যদি তোমার থেকে ছোট কেউ কোন ভাল পরামর্শ দিয়ে থাকে, তবে তাকে গ্রহন করতে।
উপরের ঘটনাগুলো কোরআনের বিভিন্ন সুরায় বর্নিত আছে। আমি এই মুহুর্তেসুরা'র নাম মনে করতে পারছি না। পরে ইনশাআল্লাহ জানিয়ে দেব।সরি, আমার লেখাগুলো একটু অগোছাল।

৩৭| ১০ ই মে, ২০০৬ ভোর ৫:০৫

অতিথি বলেছেন: If you do not have firm knowledge in anything, ask or consult those who knowsএটা কুরআনের শিক্ষা। সুতরাং নবী সাহাবীদের সাথে পরামর্শ নেবে এতে কোন সমস্যা নেই। তিনি তার মহানুভতায় শুধু ধর্মের সঙ্গী নয়, জীবন সঙ্গীনি যেমন হযরত খাদিজারও পরামর্শ নিয়েছেন অনেক সময়ে, নিয়েছেন অন্যান্যদেরও।

কথা সেখানে নয়। কথা হলো, হাদীসটির মূল কনটেন্টে। আবু হুরায়রার ক্লেইম অনুসারে নবী এমন একটা কথা বাইরে বলে দিতে বললেন যেটা সম্পূর্ণভাবে ধর্মের সাথে ওতোপ্রোতভাবে জড়িত। এটা অমুক যুদ্ধে কিভাবে মোকাবেলা করা যায়, বা অমুক এলাকায় কাকে শাসনভার দেওয়া যাওয়ার মতো সমস্যা নয়।

তাকে ক্রেডিট দিয়ে ধর্মের ভিতরে এমন একটা বিষয় প্রচারের চেষ্টা চলছে (যেটা ইন ফ্যাক্ট আবু হুরায়রা চালিয়ে দিয়েছেন এই হাদীসের মাধ্যমে) যা একমাত্র খোদার নির্দেশেই এরূপ বিষয়ে নবী নির্দেশ দিতেন। নবী মনগড়াভাবে ধর্মের বিষয়ে নির্দেশ দিতেন না। এটা খুব ফান্ডামেন্টাল বিলিফ অফ রাসুলস ওয়ে অফ টিচিং ইসলাম।

আরেকটা যুক্তি দেই। ধরে নেই হাদীসের ঘটনা ফ্যাব্রিকেটেড নয়। সবই সত্য। কিন্তু নবী শেষে এসে আবু হুরায়রাকে এ কথা বলতে নিষেধ করলেন। মুখে বলতেই যেখানে নিধেধ করা হলো সেখানে এই হাদীসে এসে লিখিতভাবে সেটা রেকর্ড করা কি নবীর মুখের নির্দেশকে সরাসরি অসন্মান করা নয়? আবু হুরায়রার মোটিফ টা কি?

জীবনে নামাজের ভিতরে একজন মানুষ শতবার আল্লাহু আকবার বলে, যার মানে স্রষ্টা মহানুভব। কিন্তু আমরাই মহান বাণীকে বুঝতে মহান মানসিকতা তৈরীতে ব্যর্থ হচ্ছি পলে পলে।

স্রষ্টা মহানুভব। স্রষ্টার নির্দেশিত ধর্ম মহান। তার ধর্মের বাণী মহান। তার নবী মহান।

কিন্তু এই মহান ধর্মকে বুঝ েত হলে আমাদেরও মহান হতে হবে। নইলে জাহিলিয়াতের অন্ধকারে ইসলাম বুকে নিয়ে যে মানুষগুলো এতটা আলোকিত হলো, আমরা তার এক চুলও হতে পারবো না। বরং শেষ বিচারে উত্তর দিতে হবে, সব লিখিত থাকলো, তোমরা শিক্ষিত ছিলে, পড়তে জানতে, তোমাদের বিবেকও দিয়েছিলাম... আর আমার সত্য বাণীটুকু মিথ্যা থেকে আলাদা করতে পারলে না? এই মুখে ইমানের কথা বলো? কি কষ্টটুকু করেছো ইমানের জন্য?

৩৮| ১০ ই মে, ২০০৬ ভোর ৫:০৫

অতিথি বলেছেন: If you do not have firm knowledge in anything, ask or consult those who knowsএটা কুরআনের শিক্ষা। সুতরাং নবী সাহাবীদের সাথে পরামর্শ নেবে এতে কোন সমস্যা নেই। তিনি তার মহানুভতায় শুধু ধর্মের সঙ্গী নয়, জীবন সঙ্গীনি যেমন হযরত খাদিজারও পরামর্শ নিয়েছেন অনেক সময়ে, নিয়েছেন অন্যান্যদেরও।

কথা সেখানে নয়। কথা হলো, হাদীসটির মূল কনটেন্টে। আবু হুরায়রার ক্লেইম অনুসারে নবী এমন একটা কথা বাইরে বলে দিতে বললেন যেটা সম্পূর্ণভাবে ধর্মের সাথে ওতোপ্রোতভাবে জড়িত। এটা অমুক যুদ্ধে কিভাবে মোকাবেলা করা যায়, বা অমুক এলাকায় কাকে শাসনভার দেওয়া যাওয়ার মতো সমস্যা নয়।

তাকে ক্রেডিট দিয়ে ধর্মের ভিতরে এমন একটা বিষয় প্রচারের চেষ্টা চলছে (যেটা ইন ফ্যাক্ট আবু হুরায়রা চালিয়ে দিয়েছেন এই হাদীসের মাধ্যমে) যা একমাত্র খোদার নির্দেশেই এরূপ বিষয়ে নবী নির্দেশ দিতেন। নবী মনগড়াভাবে ধর্মের বিষয়ে নির্দেশ দিতেন না। এটা খুব ফান্ডামেন্টাল বিলিফ অফ রাসুলস ওয়ে অফ টিচিং ইসলাম।

আরেকটা যুক্তি দেই। ধরে নেই হাদীসের ঘটনা ফ্যাব্রিকেটেড নয়। সবই সত্য। কিন্তু নবী শেষে এসে আবু হুরায়রাকে এ কথা বলতে নিষেধ করলেন। মুখে বলতেই যেখানে নিধেধ করা হলো সেখানে এই হাদীসে এসে লিখিতভাবে সেটা রেকর্ড করা কি নবীর মুখের নির্দেশকে সরাসরি অসন্মান করা নয়? আবু হুরায়রার মোটিফ টা কি?

জীবনে নামাজের ভিতরে একজন মানুষ শতবার আল্লাহু আকবার বলে, যার মানে স্রষ্টা মহানুভব। কিন্তু আমরাই মহান বাণীকে বুঝতে মহান মানসিকতা তৈরীতে ব্যর্থ হচ্ছি পলে পলে।

স্রষ্টা মহানুভব। স্রষ্টার নির্দেশিত ধর্ম মহান। তার ধর্মের বাণী মহান। তার নবী মহান।

কিন্তু এই মহান ধর্মকে বুঝ েত হলে আমাদেরও মহান হতে হবে। নইলে জাহিলিয়াতের অন্ধকারে ইসলাম বুকে নিয়ে যে মানুষগুলো এতটা আলোকিত হলো, আমরা তার এক চুলও হতে পারবো না। বরং শেষ বিচারে উত্তর দিতে হবে, সব লিখিত থাকলো, তোমরা শিক্ষিত ছিলে, পড়তে জানতে, তোমাদের বিবেকও দিয়েছিলাম... আর আমার সত্য বাণীটুকু মিথ্যা থেকে আলাদা করতে পারলে না? এই মুখে ইমানের কথা বলো? কি কষ্টটুকু করেছো ইমানের জন্য?

৩৯| ১০ ই মে, ২০০৬ দুপুর ১:০৫

অতিথি বলেছেন: স্বভাব মতো তোমার ব্লগে একবার হলেও ঢু মারি আর রড় সাইজের লেখা গুলো দেখে মন খারাপ করে চলে যাই ... কারন কবে সময় হবে তোমার এই লেখা পড়ার কে জানে ? কত গুরুত্বপর্ূন তথ্য ই মিস করলাম এই লেখাটা না পড়ে :( আফসোস লাগছে ।

[ একটু ছোট করে লিখলে কি হয় ? আস্ত ? ]

৪০| ১০ ই মে, ২০০৬ রাত ১০:০৫

অতিথি বলেছেন: সাদিক সাহেব, আপনার কি মনে হয় যারা হাদিস সংকলন করেছেন, তারা ইসলামের ইতিহাস না জেনে করেছেন, তারা কি আবু হুরায়রার ঘটনা না জেনে শুনে হাসিদ সংকলন করেছেন। আমার তো মনে হয় তারা আমাদের থেকে অনেক অনেক বেশিই জেনেছেন। শিয়া, সুনি্ন সবার ইতিহাস না পড়েই কি তারা হাদিস সংকলন শুরু করেছেন??
হাদিস বর্ননা তো সরাসরি আবু হুরায়রা ইমাম বুখারীর কাছে করে যাননি। অনেক মাধ্যম হয়ে এগুলো সংকলিত হয়েছে। আমি যতটুকু জানি আবু হুরায়রা নবী(স:) এর কাছে উনার স্মরনশক্তি সম্পর্কে দোয়া চেয়েছিলেন, তখন নবী উনার চাদর আবু হুরায়রার বুকে উপর রাখার উপদেশ দিয়েছিলেন।
দেখেন নবীর ভুলক্রুটি ছিল না, কিন্তুউনার সাহাবারা ভূলের উর্দ্ধে ছিলেন না, নবী কি সেটা জানতেন না? তারপর ও উনি সাহাবাদের পথ অনুসরনের তাগিদ দিয়েছেন। আমি আগে ও একটি পোষ্টে বলেছি, যেখানে স্বয়ং আল্লাহ সাহাবাদের বিভিন্ন গোনা মাফের কথা স্বয়ং কোরআনে জানিয়ে দিয়েছেন, সেখানে আমাদের তাদের ভূলএুটি ধরা কি উচিত। এতে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা ভক্তি বলে কিছু থাকবে না। আবু হুরায়রা একজন মানুষ ছিলেন। ওমরের খেলাফতে হয়ত ভুল কোন কাজ হয়েছে, তাই বলে উনার র্বিনত নবীর হাদিস ও কি মিথ্যা।
আমি নিজ ও নামায পড়ি, কোরআন পড়ি, কিছু জানার চেষ্টা করি। আর কোন সুন্দ র মেয়ে রাস্তায় দেখলে তাকিয়ে থাকি, পরে যখন খেয়াল হয়, আল্লাহর কথা স্বরন করে চোখ নিচু করি। তাই বলে কি আমার জানা কোরআন, হাদিস, আমার পড়াশোনা মিথ্যা। না সবকিছুই ঠিক আছে, শুধু আমি নিজে আমল করছি না। এইটাই সমস্যা। আবু বকর, ওমর উনাদের হাদিসের সংখ্যা অনেক কম। ওনারা ভয়ে হাদিস বলতেন না। ভয় ছিল, যদি হাদিসের মধ্যে কোন ফেব্রিকেশন এসে যায়। তাই বলে উনারা কাউকে হাদিস বলতে নিষেদ করেননি।
আর মুয়াবিয়া(রা:) কিন্তু নবী অনেক বড় সাহাবী ছিলেন। হ্যা, উনার দ্্বারা অনেক লোক নির্যাতিত হয়েছে। উনি কোরআনকে কাগজে লিখে সংরক্ষনের ব্যবসহা করেছিলেন। তাই আমরা উনার সমালোচনা থেকে বিরত থাকা উচিত বলে মনে করি। কারন আল্লাহ কাকে কখন কোন ওছিলায় ক্ষমা করে দিবেন আমরা বলতে পারবো না। উলেটা গালাগালির জন্য আমরা পাকড়াও হবো।
আর হাসান হোসেনের শাহাদতে কি আমরা ব্যতিত নই। হ্যা আমরা রাস্তায় গিয়ে বুক চাপড়ে মিছিল করি না। যা করলে তাদের রুহের মাগফিরাত হবে, তাই করি।
সত্যি কথা বলতে কি, ইসলামের অনেক অনেক কিছুই আমাদের অজানা, তবে জানার চেষ্টা করছি। মাত্র কয়েকমাস আগে আব্দুল কাদির (র.) এর সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য জানলাম। অথচ ছোটবেলা থেকে উনাকে নিয়ে কতো আজগুবি গল্প শুনেছি এগুলোর সাথে প্রকৃত ইতিহাসের কোন সম্পর্কই নেই। ক্রুসেডে উনার ভুমিকা।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে প্রকৃত ইতিহাস জানার, বুঝার এবং সেই অনুসারে আমল করার তওফিক দান করুক। আমিন।

৪১| ১১ ই মে, ২০০৬ ভোর ৬:০৫

অতিথি বলেছেন: দীর্ঘশ্বাস ! অত:পর আবারো দীর্ঘশ্বাস !!

সমসাময়িক, সহজ উদাহরন দেই। বিএনপি আর আওয়ামীলীগের সমস্যা কি তাতো জানেন? তারা ব্যক্তিকে - দেশের চাইতে বড় মনে করে।

আমরাও তাই ব্যক্তিকে ধর্মের চাইতে, ধর্মের নবীর অমর বাণী ও আদর্শের চাইতে বড় মনে করি। আফসোস !!

কুরআনে কোন সাহাবীদের ক্ষমার কথা বলা হয়েছে? বলা হয়েছে তাদের কথা যারা সত্যিকারের সাহাবী ও নবীর আদর্শে অবিচল। যারা নিজেদের সব কিছু ছেড়ে হিজরত করেছিলো, যারা কোন পিছুটান ছাড়াই স্রষ্টার প্রেমে যুদ্ধে শহীদ হয়েছিলো।

যারা নবীর বাণীকে মিথ্যার আবরণে লুনিঠত করেছে তারা নয়< যারা নবীর লিনিয়েজকে বেঁেছ বেঁছে হত্যা করেছে তারা নয়। সব কিছুকে জেনারেলাইজেশন করা মারাত্নক ভুল এবং সেই জেনারেলাইজেশন করতে গিয়ে কুরআনকে টেনে আনা আরো বড় ভুল।

নো অফেনস এবং সালাম।

৪২| ১১ ই মে, ২০০৬ ভোর ৬:০৫

অতিথি বলেছেন: অলস বেলায় শুয়ে শুয়ে ব্রাউজিং করছিলাম। 'নিক'টা দেখে এমনটি ভাবিনি, কিন্তু ক্লিক করতেই এই লেখাটা এল। আশ্চর্যই হলাম, লেখাটা আমাকে শোয়া থেকে বসিয়ে ছাড়লো। পুরোটা শেষ করে অসম্ভব সম্ভাবনাময় ভাল লেগেছে। লেখে তো অনেকেই, কিন্তু লেখার মাঝে অদ্ভুত এক প্রাণচাঞ্চল্য এ লেখাটিতে দেখলাম। মানুষ যখন সত্যের সন্ধানে প্রাণান্ত, তখনি এমনটি হয়, কিন্তু সেই চির আকাংখিত সত্য যখন পেয়ে যায় তখন? এ লেখাটি যেন সত্যপথের দুর্নিবার কোন সংগ্রামী পথিকের সেরকম একটি বহিঃপ্রকাশ। আপনার লেখনীর উত্তরাত্তর সাফল্য এবং সার্বিক কল্যাণ কামনা করছি।

৪৩| ১১ ই মে, ২০০৬ ভোর ৬:০৫

অতিথি বলেছেন: আলোচনা একটু অন্য ধারায় চলে যাচ্ছে মনে হচ্ছে। একটা কথা বলি, ইসলামে মৌলিক বিশ্বাস পূর্ণতা পায় তাওহীদ (আল্লাহর একত্ববাদে বিশ্বাস), রিসালাত (নবী রাসূল এবং তাদের ম্যাসেজে বিশ্বাস) আর আখিরাতে বিশ্বাস স্থাপন করলে। আবু হুরাইরা (রা) এর প্রতিটা কথায় বিশ্বাস ইসলামের কোন মৌলিক ব্যপার না। তাই এই তর্ক আমাকে টানছে না। সাদিক আপনি যেই হাদিসটা উল্লেখ করেছেন, কালিমা পড়লেই জান্নাতে যাবে, সেটার ব্যাখ্যা আমি যেটা পড়েছি একটু শুনবেন? ইসলামে জাহান্নামের কনসেপ্টটা ইনটারেস্টিং। যার যার পাপের শাস্তি ভোগ হয়ে গেলেই সে জান্নাতে যাবে। অনেকটা কারাগারে সেন্টেনস ভোগের মত। যার মধ্যে যতটুকু খারাপ, সে ততটুকু সময় জাহান্নামে থেকে তারপরে জান্নাতে যাবে। এই কনসেপ্টটাকে সাপোর্ট করে হাদিসটা। ওই হাদিস পড়েও মানুষ যদি এতটা গাধা হয় যে কোরআনের অসংখ্য আয়াত অস্বীকার করবে, জেনেও আল্লাহর নির্দেশ অমান্য করবে, অনেক অনেকটুকু সময় জাহান্নামের আগুনে পুড়ে পরিশুদ্ধ হয়ে তারপরে জান্নাতে প্রবেশের নিশ্চয়তা আছে বলে, তাহলে আমার আর কিছু বলার নেই... শুধু জানি আল্লাহ সুবিচারক। আর তিনি মানুষকে বুদ্ধি দিয়েছেন সেটা ব্যবহারের জন্য। সেই বুদ্ধির স্রষ্টার সাথে বুদ্ধির খেলায় জিতে যাওয়ার স্বপ্ন দেখা বোকামি।
রাসুল (সা) এর আরেকটা হাদিস ছিল তাঁর কোন জ্ঞান গোপনের নিষেধাজ্ঞা জারি করে। আবু হুরাইরা (রা) সেই হাদিসের ভয় করতেন বলে এটা বলেছেন।
যাই হোক, এই মত পার্থক্যে কারও ইসলাম হুমকির সম্মুখীন না, তাই এই আলোচনা করতে আগ্রহ পাচিছ না আর।

ঝড়ো হাওয়া, সরি ভাই। কি করব, হয়ে যায় বড় লেখা (মন খারাপ)। আপনার নাম খুঁজে পেয়েছেন? হে হে...

ধূসর গোধুলী... সিন্ধু সেঁচে খুজে এনেছি...

আবু সালেহ, হুম, পড়তে বসে যান এখনি

৪৪| ১১ ই মে, ২০০৬ ভোর ৬:০৫

অতিথি বলেছেন: সাদিক, ফ্রুলিংক্স,
আমার শেষ মন্তব্যটা পড়েন। সেটাই বলার ছিল। আবারও বলছি, শিয়াদের সবাই কিন্তু আবু হুরাইরা (রা) কে অপবাদ দেন না, একটা অংশ দেন। আর হাদিস পড়ার মূলনীতি জানেন তো, কোরআনের সাথে কনট্রাডিকটরি হতে পারবে না কখনই...

আবু হুরাইরা (রা) একজন ব্যক্তি মাত্র... এই তর্ক বন্ধ করা যায় প্লীজ?

জাযাকাল্লাহ ফজলে ইলাহি :)

৪৫| ১১ ই মে, ২০০৬ ভোর ৬:০৫

সাইমুম বলেছেন: আস্তমেয়ে: মার্কিন নাগরিক ড. ইসমাইল রাজী আল ফারুকীর ' আত-তাওহীদ' বইটা পেলে পড়। তাওহীদ সম্পর্কে বড় জ্ঞানগর্ভ আলোচনা তাতে ঠাই পেয়েছে।

৪৬| ১১ ই মে, ২০০৬ ভোর ৬:০৫

অতিথি বলেছেন: যা বলেছেন মহারাণী ভিক্টোরিয়া ! যো হুকুম।

৪৭| ১১ ই মে, ২০০৬ ভোর ৬:০৫

কাশফুল বলেছেন: যাক তাহলে পোষ্টটা পড়া শেষ হলো কিন্তু এখনও মন্তব্য পড়তে পারিনি ।

আস্ত অনেক ধন্যবাদ তোমার এ অসাধারণ পোষ্টের জন্য ।

আমিও দেশের বাইরে এসে অনেকি কিছু শিখেছি । যা দেশে কখনই শেখার সুযোগ হতনা । নিয়মিত সালাত পড়তে চেষ্টা করি, ইসলামিক লাইব্রেরীতে গিয়ে 2/1টা বই ঘাটাঘাটি করি । কিন্তু যখন আশেপাশের লোকজন অনেক কঠিন প্রশ্ন করে বসে তখন তোমার মত আমারও মনে হয় আমার অনেক জানা বাকী

৪৮| ১১ ই মে, ২০০৬ সকাল ৭:০৫

অতিথি বলেছেন: সাইমুম, ইনশাআল্লাহ পড়ব। এখন গুগল করলাম, বইটা নেটে খুঁজে পাই নি। পরে একসময়... :)
হা হা হা @ সাদিক।
কাশফুল, ইসলাম সম্পর্কে অনেক কনসেপ্ট আমারও ক্লীয়ার হয়েছে অস্ট্রেলিয়ায় এসে। খুব মনে হয় বাংলাদেশে থাকলে এই সুযোগটা পেতাম না। ব্যপারটা আইরোনিক্যাল। একটা মুসলিম দেশে এই অবস্থা। তবে পড়তে হবে... রাসুলের বানী: দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত পড়ে যেতে হবে... দোলনায় পড়ি নি, এখন বেশি পড়ে উসুল তুলে দিতে হবে...

৪৯| ১১ ই মে, ২০০৬ সকাল ৭:০৫

কাশফুল বলেছেন: কি ব্যপার আস্ত কি চলে গেছে ?

৫০| ১১ ই মে, ২০০৬ সকাল ৮:০৫

অতিথি বলেছেন: আস্ত ঃ
তোমার দুঃখিত হবার কিছু নেই। তুমি তোমার মত করে লিখে যাও। আমি খুব দুঃখি ত কারন সময়ের অভাবে তোমার লেখা পরতে পারি না। তবে আমি তোমার লেখা গুলো সেভ করে রাখি।
ভালো থেকো।

BD Time 12:04 PM
11/05/2006

৫১| ১১ ই মে, ২০০৬ সকাল ৮:০৫

কাশফুল বলেছেন: আরে শাওন নাকি
কি খবর ?
তোমার আজকের পোষ্টটা ভাল লেগেছে
বোনের জন্য ভালবাসা আসলেই খুব চমৎকার
বোন নাই বলে এ ভালবাসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি
আবার মাঝে মাঝে হিংষাও হয়

৫২| ১১ ই মে, ২০০৬ দুপুর ১২:০৫

আলী বলেছেন: ETOTA JOTIL BUT STILL GOOD UR SO JOTIL BUT NOT KOTIL

BHALO THAKO

৫৩| ১১ ই মে, ২০০৬ দুপুর ২:০৫

অতিথি বলেছেন: আস্তমেয়ের ব্লগে ভিজিট পার পোস্ট = 399.59

এটাই মনে হয় সর্বোচ্চ।

৫৪| ১১ ই মে, ২০০৬ রাত ১১:০৫

অতিথি বলেছেন: ওয়াও... হা হা হা। এটাই কম পোস্ট করার সুফল

৫৫| ১২ ই মে, ২০০৬ ভোর ৬:০৫

সাইমুম বলেছেন: আস্তমেয়ে: তোমার লেখা পড়ে আমার গিনি্নর সন্দেহ , তুমি নির্ঘাত পুরুষ।

৫৬| ১২ ই মে, ২০০৬ সকাল ৭:০৫

অতিথি বলেছেন: সাইমুম দা, ভাবি এইগুলা কি কন? ইত্তা কইলে তো আমার বিয়া হইব না...

৫৭| ১২ ই মে, ২০০৬ সকাল ৭:০৫

অতিথি বলেছেন: আস্ত তুমি কি আমাকে ভুলে গেছ নাকি?
আমিও কিন্তু তোমার চেয়ে বড়, পাক্কা 3 মাস 16 দিনের বড় । একটু সম্মআন টম্মান কইরো (হাসিমুখ)

৫৮| ১২ ই মে, ২০০৬ দুপুর ১২:০৫

অতিথি বলেছেন: উহু তোমাকে ভুলব কি করে? কিন্তু তুমিও তো পাক্কা 3 মাস 16 দিনের ছোটকে একটু সেনেহ ফেনেহ করলে পার

৫৯| ১৫ ই মে, ২০০৬ রাত ১:০৫

অতিথি বলেছেন: ব্লগে কেউ আস্তরে বিবাহ করার প্রপোজাল দিছে নাকি

টপিকটা কি ঠান্ডা হইছে? 4দিন ঘুরলাম.. বাকি দুইদিন আজাইরা আলাপ করলাম... এখন মনে হয় নিশ্চিন্তে এই ব্লগে ঢুকতে পারি... (মাথা ঠান্ডা করেন উপদেশ শুইন্যা ভয় পাইছিলাম) হিহি

আস্ত কেমন আছেন?
ওহ... আমি এখনো ঘুমাই নাই.. 5:22 এ.এম
গুড মরনিং এন্ড নাইট।
আল্লহ হাফেজ।

৬০| ১৫ ই মে, ২০০৬ রাত ১:০৫

অতিথি বলেছেন: হা হা হা। ভাল আছি। উপদেশে মনে হয় কাজ হয়েছে, মাথা একটু ঠান্ডা ঠান্ডা লাগতেছে...
কালপুরুষ শ্বশুড় হওয়ার প্রপোজাল দিয়েছেন... ( Click This Link ) ভাবছি একসেপ্ট করব কি না

৬১| ১৭ ই মে, ২০০৬ সকাল ১০:০৫

অতিথি বলেছেন: !!!

৬২| ১০ ই জুন, ২০০৬ দুপুর ১:০৬

সারিয়া তাসনিম বলেছেন: আস্ত , তুমি কি জান আমি তোমার নতুন ভক্তদের মধ্যে সবচেয়ে স্বাস্থ্যবতী একজন ভক্ত ??

৬৩| ১০ ই জুন, ২০০৬ দুপুর ১:০৬

অতিথি বলেছেন: আস্তমেয়ে, পড়তেই প্রচুর সময় লেগে গেল। মন্তব্য কি করব বুঝে উঠতে পারছি না, থাক পরে করব।

৬৪| ১০ ই জুন, ২০০৬ দুপুর ১:০৬

অতিথি বলেছেন: হা হা হা। থ্যাঙ্কু আপু। আমি তো প্রাপ্তি আর প্রাপ্তির ফুপুর বিশাল ফ্যান বরাবর

৬৫| ১০ ই জুন, ২০০৬ দুপুর ২:০৬

অতিথি বলেছেন: আস্তমেয়ে এত বড় লেখা লিখেন। পড়তে তো অনেক সময় লাগে। আর মন্তব্য গুলো তো না পড়রে মনে হয় কিছুই বুঝলাম না। তাই আবার মন্তব্য পড়তে গিয়ে তো আরো অনেক সময় লাগে। তারপর ভালো। আল্লাহ ভীতি আছে। যা বর্তমান সমাজে বিশেষ কিছু মানুষ ছাড়া দেখা না। তবে মন্তব্য লিখতেও ভয় লাগছে। যদি গালি দেন। একটা তো দিয়া ফেলাইছেণ। ফ্লাশ করুম নাকি? অনুমতি দিলে করতে পারি....
10.06.2006

৬৬| ১০ ই জুন, ২০০৬ দুপুর ২:০৬

শাওন বলেছেন: হোহোহো

৬৭| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৭ রাত ৮:০২

অতিথি বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে খুব কাছের মানুষ বলে মনে হয়।

৬৮| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৭ রাত ৮:০৩

অতিথি বলেছেন: কত কাছের?

৬৯| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৭ রাত ৮:১৩

অতিথি বলেছেন: চোর কি কোন অশ্লিলতা খুঁজছেন? আমি খোলামেলা মানুষ। লুঙ্গীতে বাড়তি গিঁট নেই। অশ্লিলতা আমাতে পাবেন না। বলছিলাম আস্তমেয়ের লেখা আমাকে ছুঁয়ে যায়।

৭০| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৭ রাত ৮:১৬

হারাধন বলেছেন: ছোয়াছুয়ি খেলা

৭১| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৭ রাত ৮:১৮

অতিথি বলেছেন: এই যে আপনিও সুড়সুড়ি খুঁজছেন শুধু শুধু

৭২| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৭ রাত ৮:২০

হারাধন বলেছেন: আমি কি কইলাম ।আস্তরে আমারও খুব কাছের মনে সয়।

৭৩| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৭ রাত ৮:৩৯

অতিথি বলেছেন: তাই বুঝি?

৭৪| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৭ রাত ৯:২০

অতিথি বলেছেন: এতদিন পরে আইসা ক্যাচালের পোস্ট টান দেওনের মানে কি?

৭৫| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১১:১৭

আবদুল্লাহ আল জাফর মালেক বলেছেন: অতিথি বলেছেন: এতদিন পরে আইসা ক্যাচালের পোস্ট টান দেওনের মানে কি?

৭৬| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:২৯

মুহাম্মদ আসাদুল্লাহ্ বলেছেন: আবদুল্লাহ আল জাফর মালেক বলেছেন: অতিথি বলেছেন: এতদিন পরে আইসা ক্যাচালের পোস্ট টান দেওনের মানে কি?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.