![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।
পরের ধনে পোদ্দারি! ছিনতাই হয়েছিল মাত্র ৯৭৭টি প্রতিষ্ঠানের নাম!!! ছবি অনলাইন থেকে সংগৃহিত।
পরের ধনে পোদ্দারি!
জ্বি, ঠিকই শুনেছেন! সত্যিকারের "পরের ধনে পোদ্দারি" বোধ করি ইহাকেই বলে! জণগণের শ্রমের ঘামের ট্যাক্সের টাকায় নামকরণের ইতিহাসের সবচেয়ে নির্লজ্জ শ্রাদ্ধ চলেছিল বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে! গত ১৬ বছরে পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর পরিবার এবং আওয়ামী লীগ-সংশ্লিষ্ট নেতাদের নামে মাত্র(!) ৯৭৭টি সরকারি অবকাঠামো ও প্রতিষ্ঠানের নাম ছিনতাই করে বসানো হয়েছিল! এ যেন এক বিশাল ‘নামকরণ মহোৎসব’—যেখানে দেশের প্রতিটি স্থাপনাকে আওয়ামী করণের ঘোর ষড়যন্ত্রকে রাষ্ট্রের উপরে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এই তথ্য প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং প্রকাশ করেছে।
প্রেস উইংয়ের বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, নামকরণকৃত এসব প্রতিষ্ঠানের ৮০৮টির নাম ইতোমধ্যে পরিবর্তন করা হয়েছে, আর বাকি ১৬৯টি নাম পরিবর্তনের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
অবৈধ ও বিতর্কিতভাবে, জনগণের অর্থে—ঐ পরিবারের ছয় সদস্যের নামে এসব নামকরণ, উৎসব ও সেমিনারে ব্যয় করা হয়েছে প্রায় ৩৪,০০০ কোটি টাকা! এর মধ্যে—
৩,২০০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপনে, ১,৮৮৯.২২ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে দেশজুড়ে “মুজিব কর্নার” নির্মাণে, আর ১,২৯০ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে বঙ্গবন্ধুর মূর্তি (ভাস্কর্য) ও নামফলক তৈরিতে!
চলুন, এক নজরে দেখে নিই—মন্ত্রণালয়/বিভাগভিত্তিক এই নাম ছিনতাইয়ের তালিকাটি: নামকরণ করা অবকাঠামো ও প্রতিষ্ঠানের তালিকা, অনলাইন থেকে সংগৃহিত।
১ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ২৪
২ প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ০৭
৩ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ০১
৪ স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ ২০
৫ স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগ ২০
৬ গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ৪
৭ সমাজ কল্যান মন্ত্রণালয় ৩
৮ কৃষি মন্ত্রণালয় ৫
৯ বানিজ্য মন্ত্রণালয় ৫
১০ সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ ১৫
১১ সেতু বিভাগ ২
১২ রেলপথ মন্ত্রণালয় ৭
১৩ পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ৫৯
১৪ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ ৩১৫
১৫ কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ ৭
১৬ সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ৩
১৭ তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় ১
১৮ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ২
১৯ ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ ৩
২০ তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি বিভাগ ৪৯
২১ বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় ২
২২ বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় ১১
২৩ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ৬
২৪ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ৯
২৫ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ৮৪
২৬ আইন ও বিচার বিভাগ ১
২৭ যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ২০৫
২৮ প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ৭
২৯ নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় ১৫
৩০ মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় ৮
৩১ বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় ১
৩২ জননিরাপত্তা বিভাগ ৪
৩৩ কৃষি মন্ত্রণালয় ৬
৩৪ স্থানীয় সরকার বিভাগ ৭৭
মোট: নামকরণকৃত স্থাপনা/প্রতিষ্ঠান: ৯৮৮
এক কথায়, ইতিহাসের নিকৃষ্ট এই কালো অধ্যায়টি হয়ে থাকবে রাষ্ট্রীয় সম্পদের রাজনৈতিক দখলদারিত্বের এক নির্মম দলিল।
১৬ বছরে হাসিনা ও পরিবারের নামে প্রায় ১০০০ প্রতিষ্ঠানের নামকরণ
শেখ পরিবারের নামে থাকা সহস্রাধিক প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন
শেখ পরিবারের নামে থাকা সহস্রাধিক প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে : প্রধান উপদেষ্টা
শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের নামে থাকা ৯৯৭ অবকাঠামো-প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন
শেখ পরিবারের নাম ২১ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বাদ
শেখ পরিবারের নামে থাকা ১৩ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন, অধ্যাদেশ জারি
৮০৭ সরকারি অবকাঠামো, স্থাপনা ও প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন
৯৭৭ অবকাঠামোর নাম পরিবর্তন, বেশির ভাগ ছিল শেখ পরিবারের নামে
শেখ হাসিনার পরিবারের নামে ৯৭৭ স্থাপনা, অধিকাংশের নাম পরিবর্তন
থাক, আর রেফারেন্স দিতে চাই না। রেফারেন্স দিলে ভয় হয়, ইতিহাসই হয়তো লজ্জায় মুখ লুকাবে! তালিকা তখন আর তালিকা থাকবে না, রীতিমতো এক “লুটপাটপঞ্জি” হয়ে দাঁড়াবে। মূলকথা, আওয়ামী অপশাসনের প্রকৃত রূপ বুঝতে, তাদের দুর্নীতির ডকুমেন্টারি খুঁজতে আর শত শত নথিপত্রের দরকার নেই—শুধু এই নামকরণের মহোৎসবটাই যথেষ্ট, যদি কারও বিবেক জেগে থাকে, যদি চোখদুটি দলান্ধতায় অন্ধ না হয়।
দশটা, বিশটা নয়—সরাসরি ৯৭৭টি সরকারি স্থাপনার নাম ছিনতাই! এ যেন এক নাম-নিধনের সাম্রাজ্য! শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের নামে দেশজুড়ে ‘নাম বসানো’র এই অপকীর্তিগাথা পড়লে মনে হয়, গোটা দেশটাই বুঝি তাঁদের পারিবারিক সম্পত্তি ছিল!
পরিশেষে বলি, ইতিহাসের খাতা খুলে আর পৃষ্ঠা বাড়িয়ে লাভ নেই। শুধু যদি একটু বিবেক থাকে, আওয়ামী লুটের ভয়াবহতা অনুধাবনের জন্য এই একটি নজিরই শত রেফারেন্সের সমান।
২৭ শে জুন, ২০২৫ সকাল ১১:৪৬
নতুন নকিব বলেছেন:
অবশ্যই এটা আল্লাহর রহমত।
২| ২৭ শে জুন, ২০২৫ সকাল ১১:৫০
কাঁউটাল বলেছেন: সবচেয়ে বড় ক্ষতি, যা এরা করে দিয়ে গেছে, তা হল, মানুষের চরিত্র খারাপ করে দিয়ে গেছে। অন্য সব ক্ষতি হয়তো আমরা কাটিয়ে উঠতে পারব। কিন্তু চরিত্র ঠিক করা বা উন্নত করা আদৌ সম্ভব হবে কি-না, জানা নাই।
২৭ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ১২:০৯
নতুন নকিব বলেছেন:
ঠিক বলেছেন। সহমত।
৩| ২৭ শে জুন, ২০২৫ সকাল ১১:৫২
রাজীব নুর বলেছেন: এখন কি আপনার নাম দিবে? তাহলে আপনি খুশি? নাকি জামাতের আমিরের নাম দিবে?
যতবড় মুখ নয় তত বড় কথা!! যা মন চায় বলে দিচ্ছেন??
২৭ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ১২:১৪
নতুন নকিব বলেছেন:
ওস্তাদজীকে হারিয়ে মন খারাপ নাকি?
৪| ২৭ শে জুন, ২০২৫ সকাল ১১:৫৩
রাজীব নুর বলেছেন: পদ্মাসেতু বা মেট্রোরেল কার নামে হয়েছে? অথবা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে??
চিন্তা ভাবনা বদলান।
২৭ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ১২:১১
নতুন নকিব বলেছেন:
জ্বি, নাস্তা খেয়েছেন?
৫| ২৭ শে জুন, ২০২৫ সকাল ১১:৫৫
কাঁউটাল বলেছেন: ছাগল নুর আসছে। হাউয়ামী দালাল একটা।
২৭ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ১২:১২
নতুন নকিব বলেছেন:
ওস্তাদ বিতাড়িত। সাগরেদ বিষন্নতায়।
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে জুন, ২০২৫ সকাল ১১:২১
জুল ভার্ন বলেছেন: আল্লাহর রহমত, একটা ডাকাত পরিবারের হাত থেকে দেশের মানুষ মুক্তি পেয়েছে।