নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্যবাক

অাবছার তৈয়বী

আবছার তৈয়বী

অাবছার তৈয়বী › বিস্তারিত পোস্টঃ

মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ ভোর ৬:১৪

মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি
আল্লাহ্! কতো সুন্দর তোমার সৃষ্টি!
-আবছার তৈয়বী

আসসালামু আলাইকুম আলা মানিত্তাবায়াল হুদা,
প্রিয় ভাইগণ, বোনগণ এবং বন্ধুগণ!
খুশিতে আমার প্রাণটা আজ ‘ডগমগ’ করছে। আপনারা কে কোথায় আছেন- জলদি আসুন! দয়া করে হিজরী নতুন সালের ‘গিফট’ নিয়ে যান। কী গিফট শুনতে চান? আহা! বলছি তো ভাই! তাড়াহুড়োর কী আছে? এসেছেন? আসুন আসুন! ভেতরে আসুন! এবার হৃদয়টা শক্ত করে ধরে বসে পড়ুন। আপনার এয়ারফোনটি দয়া করে কানে লাগান। সম্ভব হলে আপনার চোখ দু’টি বন্ধ করুন। এবার মনের বাড়িতে প্রবেশ করুন। কল্পনা করুন- হৃদয়কাড়া সেই ‘সবুজ গম্বুজ’-র দিকে আপনি এক দৃষ্টিতে চেয়ে আছেন। এবার চোখ খুলে এই ভিডিওটাতে ক্লিক করে চোখটা বন্ধ করুন। হ্যাঁ, এটিই অধম ‘আবছার তৈয়বী’র পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য হিজরী নববর্ষের সামান্য ‘তোহ্ফা’। প্রত্যেকেই এই তোহফা কবুল করে আমায় ধন্য করুন
https://www.facebook.com/AbsarTaiyobi/videos/10206601974821366/

আজ সকালে এক ভাই হঠাৎ আমার ইনবক্সে সালাম দিয়ে আমার লেখা না’ত ও সঙ্গীতগুলোতে কণ্ঠ দেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করলেন। বললেন: (তাঁর ভাষায়) "হুযুর আমি একজন শায়ের ( নাত খাঁ), আমাকে আপনার লেখা নাতে রাসূল দিলে খুব ভালো হবে। আমার আপনার লেখা হামদ ও না’তগুলো লাগবে"। সুবহানাল্লাহ্! এতো দেখছি- মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি! কতো সুন্দর খোদা তোমার সৃষ্টি! তাঁর কথাগুলো কতো সুন্দর- মিষ্টি! আমি তুলে ধরতে চাই ইসলামী কৃষ্টি। ব্যস্, হৃদয়ের সাথে হৃদয় মিলে গেলো। আমি তাঁকে চিনি না। আগে কখনো তাঁর সাথে আমার পরিচয়ও হয়নি। আজ পরিচয় হলেন এবং আজই আমার হৃদয়ে ঢুকে গেলেন। আলহামদু লিল্লাহ্!

ছোটকাল থেকেই আমি অনেক বড় বড় স্বপ্ন দেখতাম! আমি বড় হতে পারিনি ঠিকই, কিন্তু আমার স্বপ্নগুলো বড় বড়। ছাত্র অবস্থায় ‘আলিফ’ করলাম। স্বপ্ন ছিলো- একটি ‘সাংস্কৃতিক দল’ গড়বো। কিন্তু আমার নিজের গলার যে ছিরি- ও পথে আর যাইনি। মনের আশা মনের মাঝেই লুকিয়েছিল। ১০/১৫ দিন আগে ছোটভাই মোহাম্মদ আজাহার সিদ্দিকী বললো- দাদা! আপনি একটা ‘সাংস্কৃতিক দল’ বানান। বললাম- সবাইকে দিয়ে সব কিছু হয় না। ওটা আমাকে দিয়ে হবে না। কেন? কারণ- আমার কণ্ঠস্বর ‘গাধার কণ্ঠের মতো সুন্দর’! সে বললো- ও কিছু না। ‘আপনি লিখবেন আর সংগঠিত করবেন। আমি আপনার সাথে আছি।’ তাঁর কথা শুনে আমার স্বপ্নটা ডানা মেলে উড়তে চাইলো। কিন্তু ‘সাংষ্কৃতিক দল’ বানাতে গেলে সঙ্গীত শিল্পী চাই। নতুন শিল্পীদের তালিম-তরবিয়ত চাই। ওগুলো দূরে থেকে করা যায় না। তারপরও মনে মনে একটা নাম ঠিক করে ফেললাম। আল্লাহর ফজল হলে আগামীকাল সেই সাংস্কৃতিক সংগঠনের নাম ঘোষণা করবো। আমাদের উদ্দেশ্য হবে- নতুন নতুন শিল্পী তৈরী করা। হামদ, না’ত, গান ও নাটক তৈরী করা এবং এর মাধ্যমে সুস্থ সংস্কৃতিকে দেশময় ছড়িয়ে দেয়া। আপনারা যে কেউ চাইলে আমাদের সাথে যোগ দিতে পারবেন।

আমার নববর্ষের সঙ্গীতটাতে কণ্ঠ দিয়ে যে ভাইটি আমাকে চির-কৃতজ্ঞতার পাশে আবদ্ধ রাখলেন তাঁর নাম? নাহ্, বলবো না। আপনারাই খুঁজে বের করুন। একটি হিন্টস দেই- তিনি চট্টগ্রামের বাইরের লোক। তিনি মাদ্রাসা শিক্ষিত নন, কিন্তু চলনে-বলনে তিনি অনুপম। সবুজ গম্বুজের ছায়ায় আমার আশেকে রাসূল (দ.) ভাইটি সদা প্রাণবন্ত- প্রাণোচ্ছল। আমি তাঁকে ধন্যবাদও দেবো না। শুধু প্রাণখুলে দোয়া করবো- আল্লাহ পাক আমার নবী-পাগল এই ভাইটিকে ইলমে, আমলে, হায়াতে, রিযিকে, কন্ঠে অফুরন্ত বরকত দান করুন। তাঁর মা-বাবাকে দুনিয়া-আখিরাতে সম্মানিত করুন! আমীন! যাঁরা অনুরোধ করে এই সঙ্গীতটি আমার দ্বারা লিখিয়েছেন, তাঁদের প্রতি রইলো- অশেষ কৃতজ্ঞতা। তাঁরা আমাকে সূর দিতে বলেছেন। আমি ব্যস্ততার কারণে সূর দিতে পারিনি। তাই হয়তো কাল ডিসি হিলে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে আমার 'নববর্ষের সঙ্গীত'টি গাওয়া হবে না। বছরের প্রথম দিনেই মনের মধ্যে একটি তীরবিদ্ধ হলো- আহ্!

প্রিয় বন্ধুগণ! আপনারা ইচ্ছা করলে যে কেউ আমার লিখিত হামদ, না’ত ও কবিতাগুলোতে কণ্ঠ দিতে পারেন। আপনার অজান্তেই হয়তো কোন এক না’ত শিল্পী বা আবৃত্তিকার আপনার মনের ভেতর বাস করছে। তার গলা চেপে না ধরে তাকে বিকশিত হতে দিন। দেখবেন- একদিন আপনার সেই ঘুমন্ত গুণী সত্ত্বাটিকে নিয়ে আমি পুরো বাংলাদেশে ‘তোলপাড়’ গড়ে তুলবো- হ্যাঁ, ‘ইটস মাই প্রমিজ’। আহা! এতো ভাবার কী আছে? একবার চেষ্টা করে দেখুন না! লাভ না হলেও আপনার ক্ষতি তো আর হবে না। যান- এ ব্যাপার আমি গ্যারান্টি দিলাম। এ পর্যন্ত যে সব গুণী ব্যক্তি আমার লেখা হামদ না’ত, গজল, সঙ্গীতগুলো নিজেদের কণ্ঠে তুলে নিয়েছেন- তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সৈৗদি আরব প্রবাসী মুহতারাম সুলতান মাহমুদ ভাই, আমিরাত প্রবাসী মুনীর আহমদ আনোয়ারী, কাতার প্রবাসী মুহাম্মদ শহীদুল আলম, বিখ্যাত না’ত শিল্পী মুহাম্মদ কামাল সিদ্দিকী, মুহাম্মদ তোহা হাশেমী ও বাংলাদেশে অবস্থানরত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দু’জন ঈমানী বোন। আমি তাঁদের প্রত্যেকের কাছে কৃতজ্ঞ।

প্রিয় বন্ধুগণ! আমি আমার জীবনটা পাল্টে ফেলতে চাই। অনেক তো হলো! অনেক অপ্রিয় সত্য কথা বলতে গিয়ে কত মানুষের দুষমন হলাম! অথচ আমি একসময় সর্বমহলে গ্রহণযোগ্য ছিলাম। এখন আমি আমার জীবনটা না’তে রাসূল লিখে শেষ করতে চাই। আপনাদের খেদমতে আবেদন রাখবো- আপনাদের এই ‘পাগল’ ভাইটার জন্য, আপনাদের ‘মদষ্টিক’ বন্ধুটির জন্য একটু প্রাণখুলে দোয়া করবেন- যেন আমার জীবনটা প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়া সাহবিহী ওয়াসাল্লামের না’ত শরীফ লিখতে লিখতেই অতিবাহিত হয়। বিশেষ করে ‘আমার মৃত্যুটা যেন না’ত শরীফ লেখার সময়ই হয়’। জাযাকুমুল্লাহু খাইরান কাছীরান মুবারাকান ফিদ্দীনি ওয়াদ্ দুনইয়া ওয়াল আ-খিরাহ্। ওয়ামা তাওফীকী ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়্যিল আজীম। ওয়ামা আলাইনা ইল্লাল বালাগুল মুবীন। মা’আস সালাম।
আল্লাহ্ মোহাফেজ!

বিনয়াবনত
আপনাদের গুণমুগ্ধ
আবছার তৈয়বী: প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি- প্রবাসী সাংবাদিক সমিতি (প্রসাস)- দুবাই, ইউ.এ.ই।
প্রতিষ্ঠাতা: আদর্শ লিখক ফোরাম (আলিফ), চট্টগ্রাম।
নির্বাহী সদস্য: আনজুমানে খোদ্দামুল মুসলেমীন, ইউ.এ.ই কেন্দ্রীয় পরিষদ, আবুধাবি।
তারিখ: পহেলা মুহাররম, ১৪৩৭ হি.
মোতাবেক: ১৪ অক্টোবর, ২০১৫ খ্রী.
আবুধাবি, ইউ.এ.ই।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.