![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাটা কোম্পানীর স্যান্ডেলে না'লাঈন শরীফের নকশা
নবী বিদ্বেষী ও ইসলাম দ্রোহীদের এ ষড়যন্ত্র রূখে দিন
-আবছার তৈয়বী
ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র নতুন নয়। যুগে যুগে এই ষড়যন্ত্র হয়েছে এবং যুগে যুগে ঈমানদার মুসলমানরা সেই ষড়যন্ত্র রূখে দিয়েছেন- নিজেদের প্রচেষ্টায়, বুকের তাজা খুনে,। এ ষড়যন্ত্র হয়েছে- কখনো লিখনীতে, কখনো বক্তব্যে, কখনো বিভিন্ন পণ্যে বিকৃতভাবে আল্লাহ, রাসূল (দরুদ) ও কলেমা শরীফকে উপস্থাপন করে। কিন্তু কাফির, বে-দীন, নাস্তিক ও মুনাফিকদের কোন ষড়যন্ত্রই গোপন থাকেনি। আল্রাহ তায়ালা সময় মতো ঠিকই প্রকাশ করে দিয়েছেন। আর ঈমানদার মুসলমানরা সম্মিলিত প্রচেষ্ঠায় সেই ষড়যন্ত্রের দাঁত ভাঙা জবাবও দিয়েছেন।
এই ষড়যন্ত্র বেশি করেছে- ইহুদী মালিকাধীন বহুজাতিক কোম্পানীগুলো। এই তালিকায় আছে কোকাকোলা, ম্যকডোনাল্স, নাইক ও বাটা। এই ষড়যন্ত্রের তালিকায় এক নম্বরে আছে ‘বাটা কোম্পানী’। তারা বিভিন্ন সময়ে তাদের জুতা বা সেন্ডেলের তলায় ইচ্ছাকৃতভাবে আল্লাহ ও রাসূলের নাম ব্যবহার করেছে ডিজাইনের নামে। প্রতিবাদের পর তারা ‘সরি’, ‘ভুল হয়ে গেছে’ বা 'অসাবধান বশতঃ হয়েছে' এই সব বলে পার পেয়ে গেছে। নাহ্, এ জন্য তাদের কাউকেই কোন অর্থ দন্ড যেমন গুণতে হয়নি, তেমনি চৌদ্দ শিকের দালানেও তাদের ঢুকতে হয়নি। কারণ- এসব আমাদের এখন অনেকটা গা সওয়া হয়ে গেছে।
এখনো অধিকাংশ জায়নামাজে তুরস্কের গির্জার ছবি দেখা যায়। অজ্ঞ মুসলমানরা বড় আহলাদে ও সওয়াবের কাজ মনে করে দেদারসে সেই ছবিওয়ালা জায়নামায খরিদ করছেন। অথবা দেখবেন- পবিত্র কাবা শরীফ ও প্রিয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া আলিহী ওয়া সাহবিহী ওয়াসাল্লামের পবিত্র রওজা শরীফের ছবিগুলো জায়নামাযে এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে- জায়নামাযে দাঁড়ালে সেই ছবির নিম্মাংশ আপনার পদতলে আসবে আর তাশাহহুদে বসলে পুরো ছবিটাই আপনার হাঁটুর নিচে ঢেকে আছে। আমার কথা বিশ্বাস না হলে আপনার ঘরের বা মসজিদের জায়নামাযটি আজ এবং এখনই চেক করে দেখুন।
এমনো হয়েছে আমি বিভিন্ন জায়গায় কার্পেটের ডিজাইনগুলোতে সিজদার স্থানে কুকুরের মুখের ছবি দেখেছি। অনেক কার্পেটে হিন্দুদের মন্দিরের পূজনীয় ত্রিশূল এবং ‘ওঁ’ অক্ষরটিও নিজ চোখে দেখেছি। দেশে এবং বিদেশে আমি এসব খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখি এবং অনেকজনকে সেসব ব্যাপারে সতর্ক করেছি। আপনি আপনার নিত্য ব্যবহৃরিত জুতা-স্যান্ডেল, কাপড়-চোপড়, শাড়ি-ত্রি-পীস, বেড শীট, আসবাব পত্রের কুশন, বালিশের ওয়ার, ঘরের পাপোষ, বাসন-কোসন ইত্যাদি ভালো করে দেখুন। ডিজাইনের নামে নবী বিদ্বেষী ও ইসলাম বিদ্বষী বদমাইশরা কী হাল করেছে! আঁকা-বাঁকা ডিজাইনের ভেতরে ভালো করে লক্ষ্য করুন- কী লেখা আছে! বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আরবীতে আল্লাহ্, মুহাম্মদ বা লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মদুর রাসূলুল্লাহ্, আর কোকাকোলা শব্দটিকে উল্টিয়ে দেখুন অারবীতে স্পস্ট লেখা আছে- 'লা মুহাম্মদ লা মক্কা', মানে 'নো মুহাম্মদ' 'নো মক্কা'। এবার দেদারসে পান করুন কোকাকোলা!
এখানে স্যান্ডেলের যে ছবিটি (২নং ছবি) দেখছেন- সেটি আমাদের প্রিয়ভাই মুহাম্মদ সুলাইমান তাহেরীর পোস্ট থেকে নেয়া। তিনি আমাকে অনুরোধ করেছেন তার পোস্টটি পড়তে এবং এটা নিয়ে একটি স্ট্যাটাস দিতে। তার স্ট্যাটাসটি পড়ে এবং ইহুদী বাটা কোম্পনীর এই ষড়যন্ত্র দেখে আমি তো হতভম্ব! কত বড় খবিস হলে হারামীরা এই জঘন্য কাজটি করতে পারে?! তারা নকশার নাম করে প্রিয়নবী হযরত রাসূলে করীম সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া আলিহী ওয়া সাহবিহী ওয়াসাল্লামের পবিত্র ‘না'লাইন শরীফ’র নকশাটি হুবহু তাদের স্যান্ডেলে তুলে দিয়েছে। তাদের দেখাদেখি মধুমতি ও যমুনা কোম্পানীও নাকি ব্যাপকহারে একই নকশার স্যান্ডেল বাজারে ছেড়েছে। এই পোস্টের সাথে প্রদত্ত দু’টি ছবিই ভালো করে দেখুন। প্রথম ছবি পবিত্র নালাইন শরীফের আর ২ নং ছবিটি বাটার স্যান্ডেলের ওপর থোদিত সেই না’লাইন শরীফের নকশার।
যে নকশাটাটি ঈমানদার মুসলমানরা আবেগভরে 'কোটপিন' হিসেবে বুকের সাথে জড়িয়ে রাখে, যে নকশাটি ঈমানদার মুসলমানরা টুপি বা পাগড়ীর সাথে 'মাথার মুকুট' হিসেবে সাজিয়ে আনন্দ পায়- ইহুদী বাটা কোম্পানী বা দেশীয় অন্য কোম্পানীর নবী বিদ্বষী কমবখত ডিজাইনাররা কোন সাহসে এটি তাদের জুতা-স্যান্ডেলে জিজাইন ব্যবহার করে? এই অপকর্মের শক্ত প্রতিবাদ হওয়া দরকার। কিন্তু কে করবে প্রতিবাদ? আছে কোন ব্যক্তি বা সংগঠন প্রতিবাদ করার? কেউ না থাকুক অন্ততঃ আপনি এই ঘৃণ্য কাজের প্রতিবাদ করতে পারেন। জনমত গড়ে তুলতে পারেন - এই ন্যাক্কারজনক ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে। কেমনে? এই লেখাটি ব্যাপকভাবে শেয়ার করুন। কিংবা কপি-পেইস্ট করে আপনার ওয়ালে বা বিভিন্ন পেইজ এবং গ্রুপগুলোতে দিন। অথবা আপনিও আপনার মতো করে লিখুন আর ছড়িয়ে দিন সবখানে।
আমরা সর্বান্তঃকরণে বাটা ও অন্যান্য কোম্পানীগুলোর এহেন ঘৃণ্য কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এবং অবিলম্বে বাজার থেকে এই নকশাযুক্ত সকল জুতা-স্যান্ডেল তুলে নেয়ার জন্য জোর দাবি জানাই। একইসাথে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বরাস্ট্র, শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে যথাযথ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবেদন জানাই।
তারিখ: ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ খৃ.
আবুধাবি, ইউ.এ.ই।
আবছার তৈয়বী: প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান সমন্বয়ক,‘উজ্জীবন’ সাংস্কৃৃতিক সংস্থা (উসাস)।
প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি- প্রবাসী সাংবাদিক সমিতি (প্রসাস), দুবাই, ইউ.এ.ই।
প্রতিষ্ঠাতা: আদর্শ লিখক ফোরাম (আলিফ), চট্টগ্রাম।
নির্বাহী সদস্য: আনজুমানে খোদ্দামুল মুসলেমীন, ইউ.এ.ই কেন্দ্রীয় পরিষদ, আবুধাবি।
©somewhere in net ltd.