নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্যবাক

অাবছার তৈয়বী

আবছার তৈয়বী

অাবছার তৈয়বী › বিস্তারিত পোস্টঃ

মূর্তিপূজার ইতিহাস বনাম সুপ্রিম কোর্টের থেমিস মূর্তি অপসারণ এবং মূর্তিপ্রেমিকদের বোবা কান্নার প্রতি এক বালতি সমবেদনা

২৭ শে মে, ২০১৭ রাত ৩:২২

অবশেষে হাইকোর্টের দেবী থেমিস ওরফে তুমব্রু খাতুন ওরফে ঠুমকো রাণী বালার মূর্তি অপসারিত: ক কোম্পানীর মূর্তিপ্রেমিক ঝুটা পুরাকৌশলীসহ দেশের মূর্তিপ্রেমিকদের বোবা কান্নার প্রতি এক বালতি সমবেদনা
-আবছার তৈয়বী
আলহামদু লিল্লাহ ওয়াস সালাতু ওয়াসসালামু আলা রাসূলিল্লাহ (দরূদ)।
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের আলীশান দরবারে সিজদাতুশ শোকর এবং প্রিয়নবী হযরত রাসূলে করীম সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাহবিহী ওয়াসাল্লামের আলীশান দরবারে অসংখ্য অফুরন্ত দরুদ ও সালামের হাদিয়া প্রেরণ করে আমি আজকের লেখাটি শুরু করছি। আলহামদু লিল্লাহ ওয়াশশুকরু লিল্লাহ অবশেষে হাইকোর্টের মূর্তিটি অপসারিত হলো। এই জন্য আমি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধু কন্যা, জননেত্রী শেখ হাসিনাকে অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে অশেষ ধন্যবাদ, মোবারকবাদ ও অভিনন্দন জানাই। কারণ, তিনি যদি সরাসরি হস্তক্ষেপ না করতেন- এই মূর্তিটি সরানোর ক্ষমতা বাংলাদেশের আর কারো ছিল না। আল্লাহ-রাসূল (দরুদ) তাঁর ওপর দয়া করেছেন- তিনি বিষয়টি হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করেছেন এবং বলেছেন- 'হাইকোর্টের সামনে এই মূর্তি থাকবে না'। আমরা খুব অল্প সময়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণার বাস্তবায়ন দেখে অত্যন্ত খুশি হয়েছি। আমি মনে করি- বাংলাদেশের ঈমানদার নবীপ্রেমিক মুসলমানদের জন্য ঈদের ঠিক একমাস আগে ঈদের খুশিটি চলে এসেছে। সন্ধিগ্ধ বাঙালির কেউ কেউ এতে রাজনীতির গন্ধ খুঁজতে পারেন। তাদেরকে বলবো- খুঁজুন এবং ভালো করেই খুঁজুন। যেই রাজনীতি দেশের জন-মানুষের পালস বুঝে না, যেই রাজনীতিতে জন-মানুষের মনের কথা প্রতিফলিত হয় না- আমি মনে করি সেটা কোন রাজনীতিই না। সে হিসেবে আমি আমি বলবো- মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধু কন্যা, জননেত্রী শেখ হাসিনা একজন 'রাষ্ট্রনায়ক'। আমি তাঁকে ভালোবাসি এবং যুগপথ ভাবে শ্রদ্ধা করি। আমি আশ্চর্য হয়ে দেখেছি- তিনি প্রসঙ্গক্রমে মূর্তিটির গায়ে শাড়ি পরানোর প্রসঙ্গটিও এনেছেন। বলেছেন- "দেখলাম মূর্তির গায়ে শাড়িও জড়ানো হয়েছে"! যেটি আমি অধম ছাড়া আর কোন লেখকই কখনো আলোচনা করেননি। তাহলে কি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমার লেখা পড়েন? আমি জানি না। তবে বিষয়টি কাকতালীয় হলেও আমার ১২ মার্চের লেখার সাথে মিলে গেছে এবং আমার মেহনত সফল হয়েছে।

সবাইকে একথা মনে রাখতে হবে- "মূর্তি নির্মাণ ও মূর্তিপূজা কোন দেশীয় সংষ্কৃতি নয়। এটি একটি ধর্মীয় সংস্কৃতি"। আমি গবেষণা করে দেখেছি- ইবলিশ শয়তানের ফাঁদে পড়ে হযরত নূহ (আ.) এর সময়ে সর্বপ্রথম মূর্তিপূজা শুরু হয়। পৃথিবীতে সর্বপ্রথম নির্মিত হয়- হযরত নূহের (আ.) মূর্তি। হযরত নূহের অর্বতমানে তাঁর কওমের লোকেরা এক আল্লাহর অবতার হিসেবে এই মূর্তিপূজা শুরু করে। এরপর কালে কালে, যুগে যুগে বিভিন্ন ধর্ম, গোত্র ও মানুষের মাঝে মূর্তির প্রতি আগ্রহ বাড়তে থাকে। তারা মূর্তির মাধ্যমে স্রষ্টাকে পাওয়ার শর্টকার্ট পথ তালাশ করে নেয়। মুসলিম জাতির পিতা আবুল আম্বিয়া হযরত ইব্রাহীম (আ.) এর আবির্ভাবের পূর্বে সারা পৃথিবীতে ব্যাপক ভাবে মূর্তিপূজা শুরু হয়। খোদ হযরত ইব্রাহীম (আ.)'র চাচা 'আজর' যে মূর্তির কারিগর ছিলেন- সে কথা কোরআনেই স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে। কিন্তু কোরআনে 'আব' শব্দটি থাকায় বাঙালি লেখকরা আজরকেই হযরত ইব্রাহীমের 'পিতা' হিসেবে উল্লেখ করে। কিন্তু 'আব' শব্দটি একটি 'আম' বা সাধারণ শব্দ- যা পিতা, চাচা, দাদা, দাদার বাবা, দাদার দাদা ইত্যাদি পিতৃস্থানীয় ব্যক্তির জন্য ব্যবহৃত হয়। এক্ষেত্রে 'ওয়ালিদ' শব্দটি একটি 'খাস' বা নিদিষ্ট অর্থবাচক শব্দ- যা 'জন্মদাতা পিতা' ছাড়া আর কারো জন্য ব্যবহৃত হয় না। হযরত ইব্রাহীম (আ.) এর পিতার নাম ছিলা- 'তারীখ বা তারীহ'। স্মর্তব্য যে, ইসলামের মৌলিক আকিদার সাথে যেটি সংশ্লিষ্ট তা হলো- "কোন নবী-রাসূলই (আ.) মূর্তিপূজক ছিলেন না এবং তাঁদের কোন পিতৃ-মাতৃ পুরুষ-নারী যাদের মাধ্যমে নবীরা জন্ম নিয়েছেন- তাঁদের কেউই মূর্তিপূজক ছিলেন না। হযরত মূসা (আ.) যখন তুর পাহাড়ে গেলেন- তখন 'সামেরী' নামক এক বুদ্ধিমান মানুষের মন্ত্রনায় পড়ে তাঁঁর সম্প্রদায় 'গো-বাছুর' পূজায় নিমগ্ন হয়। হযরত ঈসা (আ.) কে তাঁরই ঘরে অবরোধের পর যখন আল্লাহ তাঁকে ৪র্থ আসমানে উঠিয়ে নিলেন- তখন তাঁকে ধরতে যাওয়া এক লোককে আল্লাহ হযরত ঈসার সূরতে 'মুসাখখার' করে দেন। ইহুদীরা তাকে ধরে এনে শরীরে পেরেক মেরে এবং শূলিতে চড়িয়ে হত্যা করে। এর পরে খৃষ্টানরা হযরত ঈসা ও তাঁর মা হযরত মরিয়ম (আ.) এর মূর্তি বানিয়ে যথাক্রমে 'সৃষ্টিকর্তার পূত্র' ও 'সৃষ্টিকর্তার স্ত্রী' হিসেবে পূজা-অর্চনা শুরু করে।

আল্লাহর রাসূল (দরুদ) যখন আবির্ভূত হলেন, তখন সমগ্র আরব জাহানে ব্যাপকভাবে মূর্তিপূজার প্রচলন চলছিল। আরবের গোত্রে গোত্রে আলাদা আলাদা মূর্তি ছিল। লাত, মানাত, উযযা, ইয়াগুছ, হুবল ইত্যাদি ছিল তাদের প্রধান প্রধান মূর্তি। খোদ কা'বা ঘরের ভেতরেই ছিল ৩৬০ মূর্তি। একটির চেয়ে একটির চেহারা ভয়ঙ্কর ও বিদঘুটে! আরবরা যে কোন গুরুত্বপূর্ণ কাজ করার পূর্বেই মূর্তির সাথে ভুং-ভাং পরামর্শ করতো। পুরোহিতের মাধ্যমে তাদের মঙ্গল-অমঙ্গল ব্যাখ্যা নিতো। পুরোহিতরা প্রসাদ বিতরণ করতো আর মুর্খ আরবরা তা খোদার পক্ষ থেকে 'তবরুক' মনে করে আগ্রহ ও তাজিমের সাথে খেতো। আরবদের নেশা ছিল তিনটি ১. মূর্তিপূজা ২. মদপান এবং ৩. ব্যভিচার তথা নারী নিয়ে ফূর্তি। এই তিনটিই ইসলাম ধর্মে চরমভাবে নিষিদ্ধ। স্বয়ং আল্লাহর রাসূল (দরুদ) বলেছেন- "বুইছতু লিহাদমিল আসনাম" মানে 'আমাকে মূর্তি ধ্বংস করার জন্য পাঠানো হয়েছে'। আরবদের অন্তরে মূর্তির প্রতি এতো প্রেম ছিল যে, তারা স্বয়ং নবীকে পর্যন্ত প্রস্তাব করেছেন- "আপনি একদিন আমাদের মুর্তির পূজা করুন, আমরা একদিন আপনার খোদার ইবাদাত করবো।" তারপরও আপনি আমাদের খোদার বিরুদ্ধে কিছু বলবেন না। প্রিয়নবী (দরুদ) সেই প্রস্তাব ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেন। বলেন- "তোমাদের জন্য তোমাদের ধর্ম আর আমার জন্য আমার দীন"। তারপরও প্রিয়নবী (দরুদ) যখন মক্কার কাফিরদের মাঝে দীনের দাওয়াত অব্যাহত রাখেন- তখনই তারা নবীর (দরুদ) ওপর চড়াও হয়। রহমতের নবী, করুণার ছবি তাদের জন্য বদদোয়ার বদলে দোয়া প্রার্থনা করে বলেন- "আল্লাহুমা ইহদি ক্বওমী- ফাইন্নাহুম লা ইয়া'লামূন'। (হে আল্লাহ! আমার সম্প্রদায়কে হেদায়াত করো- তারা মূর্খ।" আর মূর্খ বলেই তারা এক আল্লাহর অরাধনা ছেড়ে নিজেদের হাতের বানানো মূর্তির অরাধনা করছে। মনে রাখুন- প্রিয়নবী (দরুদ) এর সাথে কারো কোন ধরণের দুষমনি ছিলো না। শুধু মূর্তিপূজা ছেড়ে এক আল্লাহর দিকে আহ্বান করাই ছিল তাদের দৃষ্টিতে নবীর (দরুদ) দোষ। আর এ জন্য প্রিয়নবী (দরুদ) কে ২৭ বা ২৯টি চাপিয়ে দেয়া যুদ্ধ মোকাবিলা করতে হয়েছে। বিদায় হজ্বের সময় আল্লাহর রাসূল (দরুদ) নিজ হাতে একটি একটি করে কা'বার ৩৬০ মূর্তি ধ্বংস করেছেন! দীনের সাথে মূর্তিপূজার প্রথম এবং প্রধান সাংঘর্ষিক সম্পর্ক। মুসলিম সমাজে ভাষ্কর্য বা সংস্কৃতি বলে মূর্তিকে চালিয়ে দেয়ার কোন সুযোগ নেই।

আপনি যদি বলেন- তাহলে কি অন্য ধর্মাবলম্বীরা মূর্তিপূজা করতে পারবে না? পারবে এবং অবশ্যই পারবে। যাদের ধর্মে মূর্তিপূজার প্রচলন আছে- তারা মহাসমারোহে এবং আনন্দচিত্তে মূর্তিপূজা করুন। প্রসাদ খান। মূর্তির সাথে শলা-পরামর্শ করুন। তাদের ঘরে ঘরে মূর্তিপূজা হোক। তাদের মন্দিরে অহোরাত্রি মূর্তিপূজা হোক। তাদের সমাজে অষ্টপ্রহর বা ষোড়ষ প্রহর বা বত্রিশ প্রহরব্যাপী মূর্তিপূজা হোক। নির্বিঘ্নে হোক। কোন অসুবিধা নেই। কারো কিছুই বলার নেই। এ সম্পর্কে আমার ছাত্রকালের পড়া একটি ঘটনার উদাহরণ দিতে চাই। হযরত আমীরে মুয়াবিয়ার (রা.) শাসনকালে এক মুসলিম শিকারীর তীরের আঘাতে মূর্তিপূজকদের সমাজে রক্ষিত এক মূর্তির ইয়া লম্বা নাক ভেঙে যায়। কাজীর দরবারে মূর্তিপূজক সাম্প্রদায়িকতার অভিযোগে মামলা দায়ের করে। কাজী বিবাদীকে জিজ্ঞেস করেন- 'কেন তুমি মূর্তির নাক ভেঙেছো'? উত্তরে বিবাদী বলেন- "মাননীয় আদালত! আমার তীরের আঘাতে মূর্তির নাক ভেঙেছে- তা ঠিক। কিন্তু আমার লক্ষ্যবস্তু মূর্তি বা মূর্তির নাক ছিল না। ছিল- ওই মূর্তির নাকে বসা একটি পাখি। আমি পাখিটিকে লক্ষ্য করে তীর ছুঁড়ি। কিন্তু দূর্ভাগ্যজনক ভাবে আমার তীরটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। পাখিটি উড়ে যায় আর মূর্তির নাকটি ভেঙে যায়। মাননীয় আদালত! আমি আমার নিজ খরচে মূর্তির নাকটি মেরামত করে দিতে প্রস্তুত আছি।" কিন্তু মূর্তিপূজক সেই ঘটনাটিকে সাম্প্রদায়িকতার রঙ চড়াতে চাইলো। বললো- 'এ হতে পারেনা। তুমি বিদ্বেষবশতঃ মূর্তির নাক ভেঙেছো। আমি এই সাম্প্রদায়িকতার বিচার চাই'। তখন মাননীয় বিচারক রায় দিলেন- "মূর্তির নাকের বদলে শিকারীর নাক কর্তন করা হোক এবং তা অমুক তারিখ কার্যকর হবে"। এ কেমন বিচার! চারিদিকে হৈ হৈ রৈ রৈ রব পড়ে গেলো। মূর্তিপূজকরা উৎফুল্লিত। মুসলমানরা চিন্তিত। হায়, বালি-পাথরে গড়া মানব নির্মিত মূর্তির নাকের বদলে আল্লাহর গড়া জীবিত মানুষের নাক যাবে?! নির্ধারিত দিল আসলো। জল্লাদ তৈরী। বিচারালয়ে উৎসুক মানুষের ভীড়। যেইমাত্র শিকারী মুসলমানের নাক কাটার জন্য জল্লাদ তরবারি উত্তোলন করলো- মূর্তিপূজক চিৎকার দিয়ে বললেন- "থামুন! আমি তাকে ক্ষমা করে দিলাম। মুর্দা মূর্তির নাকের বদলে জিন্দা মানুষের নাক যেতে পারে না। এ কেমন বিচার! এ কেমন অসাম্প্রদায়িক ধর্ম! দয়া করে আগে আমাকে এখনই সেই ধর্মে দীক্ষিত করুন।"

এই হলো মানবতার ধর্ম ইসলামের শিক্ষা। ইসলামে সাম্প্রদায়িকতার কোনই স্থান। জাতি-ধর্ম-বর্ণ-লিঙ্গ নির্বিশেষে প্রত্যেকেই আপনাপন ধর্ম যথানিয়মে আনন্দ-উৎসবের আমেজে পালন করার অধিকার রাখে। সূখের কথা- 'এ‌ই অধিকার বাংলাদেশের সংবিধানে জনগণের মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃত'। যেসব ধর্মে মূর্তিপূজার প্রচলন আছে, সেসব ধর্মের উপসনালয়ে সরকারি খরচে মূর্তি নির্মাণ করে দিতে পারে। তাদের উপসনালয়ের উন্নতির জন্য সরকারি অনুদান দিতে পারে। কোন মুসলমানের অধিকার নেই- সেই সম্পর্কে কোন প্রশ্ন তোলার। বাদ-প্রতিবাদের তো কোন প্রশ্নই আসে না। কিন্তু সরকার বা সরকারি ও বেসরকারি কোন কর্তৃপক্ষ ভিনদেশের ও ভিনধর্মের কোন মূর্তিকে ভাস্কর্য বা সংস্কৃতির অংশ হিসেবে নির্মাণ, স্থাপন ও পৃষ্ঠপোষকতা দিতে পারে না। গত ১৮ ডিসেম্বর'১৬ সালে সেই কাজটি করা হয়েছে- বাংলাদেশের সবচেয়ে আস্থার জায়গা হাইকোর্ট বা সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গনে। নাগরিক দায়িত্ববোধের সঙ্গত কারণেই বাংলাদেশের জনমানুষ এর বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। ধর্মীয় সম্প্রদায় আপত্তি জানিয়েছে। রুচিবান, সংস্কৃতিবান ও ইতিহাস-ঐতিহ্যের ধারক-বাহক লেখক-বুদ্ধিজীবিরা কলম চালিয়েছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা বাস্তবায়ন হওয়ায় তারা আল্লাহর শোকরিয়া আদায় করেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। কিন্তু আশ্চর্যের কথা- কিছু অখ্যাত এবং ইতিহাস-ঐতিহ্য সম্পর্কে অজ্ঞ-মুর্খ লোক সেই দেবী থেমিসের মূর্তির সপক্ষে নানা ধরণের খোঁড়া যুক্তি দিতে চেষ্টা করেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা বাস্তবায়নের মাধ্যমে আল্লাহ তাদেরকে বেইজ্জত করেছেন, অপদস্থ করেছেন এবং তাদের মুখ বন্ধ করে দিয়েছেন। কিন্তু মূর্তি অপসারণের সময় 'জনাবিশেক মানুষের কান্না' জনমানুষের মনে ব্যাপক আনন্দ দিয়েছে। বিভিন্ন চ্যানেলের লাইভ সম্প্রচারে এবং রিপোর্টারদের প্রতিটি শব্দে মানুষ আশ্চর্য হয়ে গিয়েছে! ঠিক যেন আমাদের মাঝে আইয়্যামে জাহেলিয়াত ফিরে এসেছে। আল্লাহ তুমি এই জাতিকে জাহিল এবং জাহেলিয়াত থেকে মুক্তি দাও। আমীন!

বি.দ্র.: দীনের স্বার্থে দল-মত নির্বিশেষে লেখাটি ব্যাপকভাবে শেয়ার করুন এবং কপি করে অবিকৃতভাবে পোস্ট করে সর্বত্র ছড়িয়ে দিন।

তারিখ: ২৬ মে, ২০১৭ খৃ.
আবুধাবি, ইউ.এ.ই।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.