নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার পরিচয় এই,যে আমার কিছুই জানা নেই...

অজ্ঞাত অন্বেষা

অজ্ঞাত অন্বেষা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্যাস! ইকটু খানি HELP! 8-|

৩০ শে জুন, ২০১৫ রাত ৯:২১

তীব্র রোদ....অসহ্য গরম.... যেনো এক অগ্নিপীন্ড মাথার উপর রেগে-মেগে বসে আছে... গত কয়েকদিনের মেঘের আড়ালে থাকার ক্ষোভটা বোধহয় সূূয্যী মামা পুরো দমে মন ভরে ঝারছে... আজ বুঝি তার ই দিন।
ভার্সিটি থেকে বের হয়ে আরও ৮-১০ জনের মত আমিও দাড়িয়ে গেলাম 'বাসে জায়গা দিবি কিনা বল??' সংগ্রামে। সুর্যের কোমল(!) ছায়ার তলে নিজেকে বিলিয়ে দিলাম সেই কাঙ্ক্ষিত বাসটির অপেক্ষয়। দাড়িয়ে পরলাম বাসের জন্য অপেক্ষারত দীর্ঘ সেই প্যাসেন্জারদের লাইনে।
এমন সময় এক বয়োস্ক ভদ্রলোক বাস এর টিকেট কেটে দীর্ঘ সেই বাসের লাইনে না দাড়িয়ে আমার পাশে(কিছুটা সামনে) এসে দারালেন। আজ যে সূর্য এমন লীলাখেলা দেখাবে তা বোধহয় এই ভদ্রলোকটিও বোঝেন নি। বুঝলে হয়তো ঠিকই নিজের সাথে একটি Personal Sun Protection Tool, তথা একটি ছাতা রাখতেন,(অবশ্য,পরোবর্তিতে লোকটির সাথে কথা বলে বোঝা গেলো যে তিনি বোধহয় সচোরাচর ছাতা ব্যবহার করেন না) যাই হোক,তীব্র রোদের কারনে তিনি ঠিকমত চোখটিও খুলতে পারছিলেন না।উনার এমন অবস্থা দেখে আমার বেশ খারাপ লাগলো। আমি উনাকে ডেকে আমার ছাতার নিচে দাড়ানোর জন্য অনুরোধ করলাম। লোকটি ইতস্তত করতে যেয়েও তা না করে আমার ছাতার নিচে এসে দাড়িয়ে সস্থির হাসি দিয়ে আমাকে ধন্যবাদ জানালেন। আমিও হাসি মুখে তার উত্তর দিলাম। কিছুক্ষণ পর,ভদ্রতার ক্ষাতির,লোকটি আমার সাথে এমন ধংসাত্মক আবহওয়ার ব্যাপারে এক দুটি কথা বলে অত্ন্ত বিনয়ের সাথে আমাকে আবারও ধন্যবাদ জানালেন এই তীব্র গরমে তাকে এই ছোট্ট উপকার করে দেয়ার জন্য। আমিও মুখ ভর্তি হাসি নিয়ে তাকেও ধন্যবাদ দিলাম। জানি না লোকটির ইত টুকু উপকার করে তার মন কতটুকু ভরতে পারলাম কিন্তু তার হাসি মুঝের সেই 'ধন্যবাদ' টি শুনে আমার মন তার চেয়েও বেশি খুশিতে ভরে উঠলো।
আমি এও জানিনা লোকটি কোন ধর্মাগত; হিন্দু কি মুসলমান, যদি মুসলমান হয়েও থাকেন তবে তিনি সেই মুহূর্তে রোজা পালন করছিলেন কিনা,আর যদি রোজা পালোন করে থাকেন তবে একজন রোজাদার ব্যক্তিকে এত টুকু উপকার করে আমি কতটুকু সোওয়াব আমার কোপালে লিখাবো,আমার এইসব কিছুই জানা নেই। শুধু এত টুকু জানতে পারলাম,বুঝতে পারলাম যে, বিপদের সময়,হক সে কোন বড় বিপদ বা ছোট কোন সমস্যা,কাওকে সাহায্য করলে এবং সেই সাহায্যের বিনিময়ে একটি আনুগাত্যের মিষ্টি হাসি পেলে তার চেয়ে মন ভরানো অনুভুতি হয়তো বা কোথাও পাও্য়া যায়।

অন্বেষনের জন্য এই অঙ্গাত মনের প্রশ্ন: " একজজন মানুষ হয়ে আরেকজন মানুষের উপকার করা টা কি খুব কষ্টের? কখনো কি ভেবে দেখেছেন কোন মানুষ কে সাহায্য করার জন্য আপনার অনেক বড় পদক্ষেপ নয় বরং নিছক একটি ছোট উপকারও আরেকজনের মুখে এক অকৃত্রিম হাসি ফোঁটাতে পারে?"
Try করে দেখবেন... ভালো লাগতেও তো পারে?!

মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জুন, ২০১৫ রাত ১১:৫৩

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: মাঝে মাঝে একটুখানি হেল্পই অনেক হয়ে যায়

১৯ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:৩০

অজ্ঞাত অন্বেষা বলেছেন: ধন্যবাদ, তবে খারাপ শোনালেও সত্য যে এই একটুখানি হেল্প করতেও অনেকের অনেক কষ্ট হ্য়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.