নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার পরিচয় এই,যে আমার কিছুই জানা নেই...

অজ্ঞাত অন্বেষা

অজ্ঞাত অন্বেষা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভাবুক মেয়েটি-২

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৭

"পেনসা! পেনসা! পেনসা! !
ছিহ্!! এইটা কোনো নাম হল? মানুষ পেনসা তো ডাকেই না, বরং এটাকে বিকৃতি করে ডাকে 'পাইনশা' ( পেনসা > পানশা > পাইনশা ) বাহ্!!! দুনিয়াতে নানিমা আমার জন্য আর নাম পেলোনা খুঁজে? 'পেনসা'? এই নামের মানে কি? Google করেও এর অর্থ বের করতে পারলাম না। কি ক্ষতি করেছিলাম নানিমার যে আমাকে এমন বিচ্ছিরি নামের ধাব্বা দিয়ে আমার জীবন টাই ধ্বংস করে দিলো? আর নাম দিলো তো দিলোই, নিজেও যে নামের অর্থ জেনে রাখবে, তা না, জিগ্গেস করলেই বলে " আমার মনে নেই,নাম টা ভালো লেগেছে তাই আমার সোনার টুকরা নাতনি কে দিয়েছি" চমৎকার!!" এই নামের কারণে যদি আমার বিয়ে না হোয়? ধুররর বিয়ে করে কে? আমি তো বিয়ে করবোই না কিন্তু এই নামের কারণে যদি আমি জীবনে কোন বয়-ফ্রেনড না পাই? কীহবে তখন?" - ভাবতে থাকলো পেনসা।

এ হলো পেনসা। তার দৈনন্দিন চিন্তার সূচনাই ঘটে তার নাম এবং তার জীবন কে দিয়ে! নামটি যে রকম তার কাছে অপ্রিয়, তার থেকেও অপ্রিয় তার কাছে তার নিজের জীবন (তাই বলে পেনসা কখনো মরে যেতে চায়নি, শুধু একটি পরিবর্তিত জীবন চেয়েছে, নিজের কল্পনার মত একটা জীবন)।

কারাবাসের জীবনের চেয়ে কোন অংশে কম মনে করে না পেনসা নিজের জীবন কে। কেশবতী সুন্দরী পেনসা (কেনোনা তার সুন্দর, লম্বা চুল ছিলো এবং সে দেখতেও সুন্দর ছিলো) দূর দেশের কোন ISOLATED TOWER এ বন্দি না থাকলেও,একটি সুসজ্জিত, পারিবারিক পরিবেশ মণ্ডিত, ইন্টারনের,ল্যাপটপ, মোবাইল, টিভি ইত্যাদি সুযোগ-সুবিধা সংবলিত একটি অ্যাপার্টমেন্ট এর ৩য় তলায় থাকে। নিজের জীবন কে সারাদিন কোষতে থাকে। অবশ্য কারণ ও আছে এর পিছে।

ভার্সিটি ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে কপালে কোন ভালো কিছু জুটলোনা তার। তাই সে এক বছর গ্যাপ দিচ্ছে। আই.বি.এ তে আবার ভর্তি পরীক্ষা দেবে সে। বন্ধু- বান্ধুবিরা অনেকেই অনেক জায়গায় ভর্তি হয়ে গিয়েছে। কিন্তু জীবনের এই শেষ চেষ্টা টা করার জন্য নিজেকে সব কিছু থেকে বিচ্ছিন্ন রেখেছে। তাই আপাতত বন্ধুদের সাথে মজিয়ে আড্ডা দেয়ার ডিউটি টা থেকে সাময়িক বরখাস্ত নিয়েছে। সব কিছু থেকে বিচ্ছিন্ন বলে সে নিজেকে কেশবতি সুন্দরী মনে করে এবং নিজের সুসজ্জিত অ্যাপার্টমেন্ট কে ISOLATED TOWER নামে আক্ষায়িত করে নিজের জীবনকে কারা বাসের সাথে সম্পৃক্ত করে বেরাচ্ছে। বেচারি।

এই YEAR LOSS এর সূত্র ধরেই পেনসার জীবনে আবির্ভাব ঘটে Mr. Scholarship এবং তার Assistant, Mr. দৌড়া-দৌড়ি উর্ফ Mr.ঝামেলার। যার কারণে পেনসা আজ এক বিশাল পারিবারিক অপরাধের দায়ে অপরাধি বনেছে।

(চলবে)

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৪

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: চলবে বুঝলাম| কিন্তু আস্তে চলবে তো শেষ হতে যুগযুগ লাগবে

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩৩

অজ্ঞাত অন্বেষা বলেছেন: Extremely sorry for the delay. সময়-সুযোগ করে উঠতে পারছিলামনা। আশা করি এ রকম delay আর হবে না। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। :)

২| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪৬

তুষার কাব্য বলেছেন: ভালো লাগলো ।
চলুক...

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৯

অজ্ঞাত অন্বেষা বলেছেন: ধন্যবাদ :) সাথে থাকার জন্য :)

৩| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৫

নিমগ্ন বলেছেন: এইরকম ভাবুক মেয়েকে দরকার। আই লাভ দেস কাইন্ড ভাবুকজ। B-)

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৭

অজ্ঞাত অন্বেষা বলেছেন: খোজ; the search চালিয়ে যান, এমন কাওকে পেয়েও যেতে পারেন, বলা যায় না ;)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.