নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজনই!

সাকিব ইফতেখার

লেখার মাঝেই ডুবে থাকতে চাই................ facebook.com/sakib.ifteqar

সাকিব ইফতেখার › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভ্যালেন্টাইনস ডে\'র ইতিহাস :)

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:২৬




“বিশ্ব ভালবাসা দিবস” বা “ভ্যালেন্টাইন ডে” সারা বিশ্বের কোটি কোটি প্রেমিক যুগল এর জন্য পরম আকাঙ্ক্ষিত একটি দিন। প্রতি বছর ১৪ই ফেব্রুয়ারি একযোগে সারা বিশ্বে এই দিবসটি পালন করা হয়। পৃথিবীতে যতগুলো বিশেষ দিবস রয়েছে তার মধ্যে তরুণ-তরুণীদের নিকট এই দিনটি সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ঋতুরাজ বসন্তের ১ম দিনের রেশ কাটতে না কাটতেই এই দিনটি আমাদের সামনে হাজির হয়। প্রেমিক-প্রেমিকারা এই দিনটিকে ঘিরে সারা বছর জুড়েই কল্পনার জগৎ সাজাতে থাকেন। সকল বাধা-বিপত্তিকে পাশ কাটিয়ে সবাই চায় এই বিশেষ দিবসের কিছুটা সময় প্রিয় মানুষের সান্নিধ্যে কাটাতে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে নানা ধরনের প্রস্তুতিও লক্ষ্য করা যায়। এই যেমন – নতুন পোশাক, সাজসজ্জা, উপহার সহ আরও কত কিছু।



আজ আমরা যে ভালোবাসা দিবস পালন করছি এর পেছনে অনেক ইতিহাস রয়েছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে মত পার্থক্যও রয়েছে। আসুন জেনে নিই ভালোবাসা দিবসের পেছনের ইতিহাস সম্পর্কে:
প্রথম:- প্রায় সাড়ে সতেরশো বছর পূর্বের একজন রোমান ক্যাথলিক ধর্মযাজক সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের কথা। ২৭০ সালের তখনকার দিনে ইটালীর রোমে শাসন করতেন রাজা ক্লডিয়াস-২, তখন রাজ্যে চলছিলো সুশাসনের অভাব, আইনের অপশাসন, অপশিক্ষা, স্বজন-প্রীতি, দূর্নীতি এবং কর বৃদ্ধি। এতে সাধারন জনগন ফুঁসছিল। রাজা তার সুশাসন ফিরিয়ে রাখার জন্য রাজ দরবারে তরুন যুবকদের নিয়োগ দিলেন। আর যুবকদের-কে দায়িত্বশীল ও সাহসী করে গড়ে তোলার লক্ষে তিনি রাজ্যে যুবকদের বিয়ে নিষিদ্ধ করলেন। কারন, রাজা বিশ্বাস করতেন বিয়ে মানুষকে দূর্বল ও কাপুরুষ করে।

বিয়ে নিষিদ্ধ করায় পুরো রাজ্য অসন্তোষ সৃষ্টি হলো। এ সময় সেন্ট ভ্যালেন্টাইন নামক জনৈক যাজক গোপনে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করলেন; তিনি পরিচিতি পেলেন ‘ভালবাসার বন্ধু বা ‘Friend of Lovers’ নামে। কিন্তু তাকে রাজার নির্দেশ অমান্য করার কারনে রাষ্ট্রদ্রোহিতার দায়ে আটক করা হল।


জেলে থাকাকালীন ভ্যালেন্টাইনের সাথে পরিচয় হয় জেল রক্ষক আস্ট্রেরিয়াসের সাথে। আস্ট্রেরিয়াস জানতো ভ্যালেন্টাইনের আধ্যাত্মিক ক্ষমতা সম্পর্কে। তিনি তাকে অনুরোধ করেন তার অন্ধ মেয়ের দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিতে। ভ্যালেন্টাইন পরবর্তীতে মেয়েটির দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দেন। এতে মেয়েটির সাথে সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের অন্তরঙ্গ বন্ধুত্ব গড়ে উঠে।


রাজা তার এই আধ্যাতিকতার সংবাদ শুনে তাকে রাজ দরবারে ডেকে পাঠান এবং তাকে রাজকার্যে সহযোগীতার জন্য বলেন। কিন্তু ভ্যালেন্টাইন বিয়ের উপর নিষেধাজ্ঞা না তোলায় সহযোগীতায় অস্বীকৃতি জানান। এতে রাজা ক্ষুদ্ধ হয়ে তার মৃত্যুদন্ড ঘোষনা করেন। মৃত্যু দন্ডের ঠিক আগের মূহুর্তে ভ্যালেন্টাইন কারারক্ষীদের কাছে একটি কলম ও কাগজ চান।

তিনি মেয়েটির কাছে একটি গোপন চিঠি লিখেন এবং শেষাংশে বিদায় সম্ভাষনে লেখা হয় ‘From your Valentine’ এটি ছিলো এমন একটি শব্দ যা হৃদয়কে বিষাদগ্রাহ করে। অতঃপর ১৪ ই ফেব্রুয়াররি, ২৭০ খৃঃ ভ্যালেন্টাইনের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়। সেই থেকে সারা বিশ্বে ‘বিশ্বভালবাসা দিবস’ পালন করা হয়।

দ্বিতীয়:- সেন্ট ভ্যালেন্টাইন কারারুদ্ধ হওয়ার পর প্রেমাসক্ত যুবক-যুবতীদের অনেকেই প্রতিদিন তাকে কারাগারে দেখতে আসত এবং ফুল উপহার দিত। তারা বিভিন্ন উদ্দীপনামূলক কথা বলে সেন্ট ভ্যালেন্টাইনকে উদ্দীপ্ত রাখত। এক কারারক্ষীর এক অন্ধ মেয়েও ভ্যালেন্টাইনকে দেখতে যেত। অনেকক্ষণ ধরে তারা দু’জন প্রাণ খুলে কথা বলত। এভাবে এক সময় ভ্যালেন্টাইন তার প্রেমে পড়ে যায়। সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের আধ্যাত্মিক চিকিৎসায় অন্ধ মেয়েটি দৃষ্টিশক্তি ফিরে পায়। ভ্যালেন্টাইনের ভালবাসা ও তার প্রতি দেশের যুবক-যুবতীদের ভালবাসার কথা সম্রাটের কানে গেলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ২৬৯ খৃষ্টাব্দের ১৪ ফেব্রুয়ারি তাকে মৃত্যুদন্ড দেন।

তৃতীয়:- খৃষ্টীয় ইতিহাস মতে, ২৬৯ খৃষ্টাব্দের কথা। সাম্রাজ্যবাদী, রক্তপিপাষু রোমান সম্রাট ক্লডিয়াসের দরকার এক বিশাল সৈন্যবাহিণীর। এক সময় তার সেনাবাহিনীতে সেনা সংকট দেখা দেয়। কিন্তু কেউ তার সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে রাজি নয়। সম্রাট লক্ষ্য করলেন যে, অবিবাহিত যুবকরা যুদ্ধের কঠিন মুহূর্তে অত্যধিক ধৈর্যশীল হয়। ফলে তিনি যুবকদের বিবাহ কিংবা যুগলবন্দী হওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারী করেন। যাতে তারা সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে অনীহা প্রকাশ না করে। তার এ ঘোষণায় দেশের যুবক-যুবতীরা ক্ষেপে যায়। যুবক সেন্ট ভ্যালেন্টাইন নামের এক ধর্মযাজকও সম্রাটের এ নিষেধাজ্ঞা কিছুতেই মেনে নিতে পারেননি। প্রথমে তিনি সেন্ট মারিয়াসকে ভালবেসে বিয়ের মাধ্যমে রাজার আজ্ঞাকে প্রত্যাখ্যান করেন এবং তার গীর্জায় গোপনে বিয়ে পড়ানোর কাজও চালাতে থাকেন। একটি রুমে বর-বধূ বসিয়ে মোমবাতির স্বল্প আলোয় ভ্যালেন্টাইন ফিস ফিস করে বিয়ের মন্ত্র পড়াতেন। কিন্তু এ বিষয়টি এক সময়ে সম্রাট ক্লডিয়াসের কানে গেলে সেন্ট ভ্যালেন্টাইনকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন। ২৭০ খৃষ্টাব্দের ১৪ ফেব্রুয়ারি সৈন্যরা ভ্যালেন্টাইনকে হাত-পা বেঁধে টেনে-হিঁচড়ে সম্রাটের সামনে হাজির করলে তিনি তাকে হত্যার আদেশ দেন।

চতুর্থ:- আরেকটি খৃষ্টীয় ইতিহাস মতে, গোটা ইউরোপে যখন খৃষ্টান ধর্মের জয়জয়কার, তখনও ঘটা করে পালিত হতো রোমীয় একটি রীতি। মধ্য ফেব্রুয়ারিতে গ্রামের সকল যুবকরা সমস্ত মেয়েদের নাম চিরকুটে লিখে একটি পাত্রে বা বাক্সে জমা করত। অতঃপর ঐ বাক্স হতে প্রত্যেক যুবক একটি করে চিরকুট তুলত, যার হাতে যে মেয়ের নাম উঠত, সে পূর্ণবৎসর ঐ মেয়ের প্রেমে মগ্ন থাকত। আর তাকে চিঠি লিখত, এ বলে ‘প্রতিমা মাতার নামে তোমার প্রতি এ পত্র প্রেরণ করছি।’ বৎসর শেষে এ সম্পর্ক নবায়ন বা পরিবর্তন করা হতো। এ রীতিটি কয়েকজন পাদ্রীর গোচরীভূত হলে তারা একে সমূলে উৎপাটন করা অসম্ভব ভেবে শুধু নাম পাল্টে দিয়ে একে খৃষ্টান ধর্মায়ণ করে দেয় এবং ঘোষণা করে এখন থেকে এ পত্রগুলো ‘সেন্ট ভ্যালেনটাইন’-এর নামে প্রেরণ করতে হবে। কারণ এটা খৃষ্টান নিদর্শন, যাতে এটা কালক্রমে খৃষ্টান ধর্মের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে যায়।
পঞ্চম:- অন্য আরেকটি মতে, প্রাচীন রোমে দেবতাদের রাণী জুনোর সম্মানে ১৪ ফেব্রুয়ারি ছুটি পালন করা হতো। রোমানরা বিশ্বাস করত যে, জুনোর ইশারা-ইঙ্গিত ছাড়া কোন বিয়ে সফল হয় না। ছুটির পরদিন ১৫ ফেব্রুয়ারি লুপারকালিয়া ভোজ উৎসবে হাজারও তরুণের মেলায় র‌্যাফেল ড্র’র মাধ্যমে সঙ্গী বাছাই প্রক্রিয়া চলত। এ উৎসবে উপস্থিত তরুণীরা তাদের নামাংকিত কাগজের সি­প জনসম্মুখে রাখা একটি বড় পাত্রে ফেলত। সেখান থেকে যুবকের তোলা সি­পের তরুণীকে কাছে ডেকে নিত। কখনও এ জুটি সারা বছরের জন্য স্থায়ী হত এবং ভালবাসার সিঁড়ি বেয়ে বিয়েতে গড়াতো।
ঐ দিনের শোক গাঁথায় আজকের এই "ভ্যালেন্টাইন ডে"।

ষষ্ঠ:- রোমের সম্রাট দ্বিতীয় ক্লডিয়াস-এর আমলের ধর্মযাজক সেন্ট ভ্যালেনটাইন ছিলেন শিশুপ্রেমিক, সামাজিক ও সদালাপী এবং খৃষ্টধর্ম প্রচারক। আর রোম সম্রাট ছিলেন বিভিন্ন দেব-দেবীর পূজায় বিশ্বাসী। ঐ সম্রাটের পক্ষ থেকে তাকে দেব-দেবীর পূজা করতে বলা হলে ভ্যালেন্টাইন তা অস্বীকার করায় তাকে কারারুদ্ধ করা হয়। সম্রাটের বারবার খৃষ্টধর্ম ত্যাগের আজ্ঞা প্রত্যাখ্যান করলে ২৭০ খৃস্টাব্দের ১৪ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রীয় আদেশ লঙ্ঘনের দায়ে ভ্যালেন্টাইনকে মৃত্যুদন্ড প্রদান করেন।


Happy Valentins Day


(তথ্য সংগৃহীত)

মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:৪৬

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: ভালো পোষ্ট। জানতে পেরে ভালো লাগলো।



ভালোবাসা দিবসের শুভেচ্ছা জানবেন।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:৪৭

সাকিব ইফতেখার বলেছেন: আপনাকেও ভালোবাসা দিবসের শুভেচ্ছা :)

২| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:৪৬

পলাশমিঞা বলেছেন: রাত বারোটার সময় বউর গলা চেপে ধরে বলব, আজ তুমি শেষ! :P

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:৪৮

সাকিব ইফতেখার বলেছেন: বউ যদি তার আগেই আপনাকে চেপে ধরে? :p

৩| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:৪৯

পলাশমিঞা বলেছেন: না পারার কারণ আছে, এইসব দিনে আমার মাথা গরম থাকে। :D

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:৫১

সাকিব ইফতেখার বলেছেন: যে যেভাবে দেখে আরকি বিষয়গুলো :)

৪| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:৫১

পলাশমিঞা বলেছেন: ডাকের একটা কথা আছে, গরিবের ঈদ নেই। :(

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:৫৬

সাকিব ইফতেখার বলেছেন: ঈদ সবারই আছে :) ঈদ আপনার কাছে আসবেনা, ঈদের কাছে আপনাকে যাওয়া লাগবে ;p

৫| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:০১

পলাশমিঞা বলেছেন: তা অবশ্য ঠিক। :)

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:০৫

সাকিব ইফতেখার বলেছেন: :)

৬| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৫:০৪

ডাঃ মুশফিক ইমতিয়াজ চৌধুরীর ব্লগ বলেছেন: ভ্যালেন্টাইনস ডের ইতিবাচক দিক - বছরের একটি দিন ভালোবাসার মানুষের জন্য স্পেশালভাবে কাটানো
ভ্যালেন্টাইনস ডের নেতিবাচক দিক - ব্যবসায়ীদের ব্যবসায়িক উদ্দেশ্য হাসিল এবং সাধারণের অর্থের অপচয়
ভ্যালেন্টাইনস ডের বিশেষ দিক - মৌলবাদীরা এটিকে খ্রিষ্টীয় উৎসব বলে প্রচার করে ব্রেনওয়াশ করতে চায়

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:০০

সাকিব ইফতেখার বলেছেন: ভ্যালেন্টাইনস ডে আসলেই মুসলিমদের জন্য নিষিদ্ধ :)

৭| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৪৩

আবু ছােলহ বলেছেন:


@ডাঃ মুশফিক ইমতিয়াজ চৌধুরীর ব্লগ বলেছেন,

''ভ্যালেন্টাইনস ডের বিশেষ দিক - মৌলবাদীরা এটিকে খ্রিষ্টীয় উৎসব বলে প্রচার করে ব্রেনওয়াশ করতে চায়''

-যিনি নিজেকে মুসলমান বলে দাবি করেন এবং ইসলামের মূল তথা মৌল বিষয়াদি আঁকড়ে থাকেন ও মেনে চলেন তাকেই তো বলা যায় মৌলবাদি।

সেই বিচারে ধর্মীয় বিধি বিধান মনে প্রানে পালনকারী প্রতিটি মুসলিমই অবলীলায় স্বীকার করে নিবেন তিনি একজন মৌলবাদি।

পক্ষান্তরে, ইসলামের মূল তথা মৌল বিষয়াদি ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে অন্য জাতির নষ্ট কৃষ্টি কালচার আর তথাকথিত ওয়েস্টার্ন আধূনিকতাকে গলার মালা বানিয়ে যারা ভিক্ষার ঝুলি কাঁধে ধর্মীয় সাংস্কৃতির দেউলিয়াত্বের সবক নেন তাদেরকে জানি কী বলে?

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:০১

সাকিব ইফতেখার বলেছেন: উত্তেজিত হবেন না। মাথা ঠান্ডা।যার যার মত প্রকাশ :)

৮| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:২৯

ডাঃ মুশফিক ইমতিয়াজ চৌধুরীর ব্লগ বলেছেন: লেখক বলেছেন: ভ্যালেন্টাইনস ডে আসলেই মুসলিমদের জন্য নিষিদ্ধ :)

আমার বক্তব্যঃ ইসলাম সবকিছুতেই তো নিষেধাজ্ঞা জারি করে - এটা নতুন কোনো কিছু নয়। তবে মানুষজন সেই নিষেধাজ্ঞা মানে না। এই দেখুন, আপনি নিজেই মুসলিম হয়েও ইসলামের নিষেধাজ্ঞা না মেনে শেষে লিখেছেন - Happy Valentins Day। কিংবা ভ্যালেন্টাইনস ডে সম্পর্কে নিজেই অত্যন্ত উৎসাহী হয়ে সকলকে জানানোর জন্য এই পোস্ট লিখেছেন। তাই বাস্তব সত্য এটাই যে -

ইসলাম চাইলেই ভ্যালেন্টাইনস ডে - কে মানুষের মন থেকে মুছে ফেলতে পারবে না। এই দিনের ইতিহাস যাই হোক, 'ভালোবাসা' র ব্যাপারটাই মুখ্য আর ভালোবাসা স্থান যে ধর্মের নিষেধাজ্ঞাকেও ম্লান করে দেয় তার প্রমাণ আপনিসহ অজস্র ধার্মিক মুসলমানেরা যারা প্রতিবছওর এই দিনটি Happy Valentins Day লিখে/বলে বা প্রিয়জনের সঙ্গে কাটিয়ে উদযাপন করেন। এখানেই, ভ্যালেন্টাইনস ডে'র সার্থকতা আর ধর্মের ব্যর্থতা। ধন্যবাদ। :)

৯| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৩৫

ডাঃ মুশফিক ইমতিয়াজ চৌধুরীর ব্লগ বলেছেন: আবু ছোলহ বলেছেনঃ পক্ষান্তরে, ইসলামের মূল তথা মৌল বিষয়াদি ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে অন্য জাতির নষ্ট কৃষ্টি কালচার আর তথাকথিত ওয়েস্টার্ন আধূনিকতাকে গলার মালা বানিয়ে যারা ভিক্ষার ঝুলি কাঁধে ধর্মীয় সাংস্কৃতির দেউলিয়াত্বের সবক নেন তাদেরকে জানি কী বলে?

আমার বক্তব্যঃ অন্য জাতি ? আপনি জাতি হিসেবে সবার আগে বাঙালি, তারপর মুসলমান।

কেননা, আপনি বাংলাদেশে বসবাস করেন, আরবে নয়।
কেননা, আপনি বাংলা ভাষায় কথা বলেন, আরবীতে নয়।
কেননা, বাংলাদেশে হাজার হাজার বছরের বাঙালি সংস্কৃতি চলে, আরবী সংস্কৃতি নয়।
কেননা, ১২০৪ সালে বিজাতীয় তুর্কি ইখতিয়ারউদ্দীন বখতিয়ার খিলজী বাংলা দখল করার আগে ইসলাম এদেশে ছিলোই না।

সেক্ষেত্রে, আপনার কথাই আপনাকে ফেরত দেই -

"যারা বাংলা সংস্কৃতির মূল তথা মৌল বিষয়াদি ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে ১২০৪ সালে এক বিজাতীয় তুর্কির মাধ্যমে আসা মুসলিম জাতির নষ্ট কৃষ্টি কালচারকে গলার মালা বানিয়ে যারা ভিক্ষার ঝুলি কাঁধে নিয়ে বেড়ান, তাদেরকে জানি কী বলে?"

ধন্যবাদ। :)

১০| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৩৯

আবু ছােলহ বলেছেন:



''ডাঃ মুশফিক ইমতিয়াজ চৌধুরীর ব্লগ বলেছেন: ইসলাম সবকিছুতেই তো নিষেধাজ্ঞা জারি করে - এটা নতুন কোনো কিছু নয়। তবে মানুষজন সেই নিষেধাজ্ঞা মানে না। এই দেখুন, আপনি নিজেই মুসলিম হয়েও ইসলামের নিষেধাজ্ঞা না মেনে শেষে লিখেছেন - Happy Valentins Day। কিংবা ভ্যালেন্টাইনস ডে সম্পর্কে নিজেই অত্যন্ত উৎসাহী হয়ে সকলকে জানানোর জন্য এই পোস্ট লিখেছেন। তাই বাস্তব সত্য এটাই যে -

ইসলাম চাইলেই ভ্যালেন্টাইনস ডে - কে মানুষের মন থেকে মুছে ফেলতে পারবে না। এই দিনের ইতিহাস যাই হোক, 'ভালোবাসা' র ব্যাপারটাই মুখ্য আর ভালোবাসা স্থান যে ধর্মের নিষেধাজ্ঞাকেও ম্লান করে দেয় তার প্রমাণ আপনিসহ অজস্র ধার্মিক মুসলমানেরা যারা প্রতিবছওর এই দিনটি Happy Valentins Day লিখে/বলে বা প্রিয়জনের সঙ্গে কাটিয়ে উদযাপন করেন। এখানেই, ভ্যালেন্টাইনস ডে'র সার্থকতা আর ধর্মের ব্যর্থতা। ধন্যবাদ।''

-ধন্যবাদ, মুশফিক। প্রতিমন্তব্যে আপনাকে পেয়ে ভাল লাগলো। আরও ভাল লাগতো যদি আপনি নিজের ধর্মীয় পরিচয়টা জানাতেন। তখন ডিসকাস করতে সুবিধে হত। যাই হোক, আপনার বক্তব্য প্রমান করে আপনি ইসলাম ধর্মের প্রতিপক্ষের কেউ হবেন।

আর, আপনার বক্তব্য- ''ইসলাম সবকিছুতেই তো নিষেধাজ্ঞা জারি করে - এটা নতুন কোনো কিছু নয়।'' সঠিক নয়। ইসলাম সবকিছুতে বাধা দেয়, এ কথা কে বলেছে আপনাকে? ইসলামকে জানতে চেষ্টা করুন। জানতে হলে সঠিক ইসলামকেই জানুন। না জেনে মুখস্ত কথা আউড়ে মিথ্যার অন্ধকারে সাতরে বেড়ানো যাবে; প্রকৃত সত্যকে উদঘাটন করা যাবে না। সীমারেখা অতিক্রম না করে বৈধ সকল আনন্দ আয়োজনকেই ইসলাম স্বাগত জানায়। তবে, একটি কথা মনে রাখা দরকার- বেহায়াপনা, বেলেল্লাপনা, নোংড়ামি, অসভ্যতা, অশ্লীলতার সকল স্তরকেই ইসলাম নির্দ্বিধায় প্রত্যাখ্যান করে, অবশ্যই অবৈধ সাব্যস্ত করে। এতে কেউ দু:খ পেলেও কিছু করার নেই। কারও মন হৃদয় অন্তর ভেঙ্গে গেলেও কিছুই করার থাকে না।

আর আপনার বক্তব্য- ''ইসলাম চাইলেই ভ্যালেন্টাইনস ডে - কে মানুষের মন থেকে মুছে ফেলতে পারবে না। এই দিনের ইতিহাস যাই হোক, 'ভালোবাসা' র ব্যাপারটাই মুখ্য আর ভালোবাসা স্থান যে ধর্মের নিষেধাজ্ঞাকেও ম্লান করে দেয় তার প্রমাণ আপনিসহ অজস্র ধার্মিক মুসলমানেরা যারা প্রতিবছওর এই দিনটি Happy Valentins Day লিখে/বলে বা প্রিয়জনের সঙ্গে কাটিয়ে উদযাপন করেন। এখানেই, ভ্যালেন্টাইনস ডে'র সার্থকতা আর ধর্মের ব্যর্থতা। ধন্যবাদ।''

-এর উত্তরে বলবো, ইসলাম ঠিকাদারি নেয়নি যে, সে অন্যান্য ধর্মের আচার আচরন কিংবা ধর্মহীন অশ্লীলতা এবং বেহায়াপনায় লিপ্ত ব্যক্তিদের অবাধ স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করবে। বরং এটা কখনও ইসলামের নীতির সাথে যায় না। আপনি জানেন কি না জানি না, ইসলাম প্রত্যেক ধর্মের স্বাধীনতায় পূর্ন বিশ্বাস রাখে। এবং পাশাপাশি ইসলাম তার অনুসারীদের নিজ ধর্ম পালনেও উদ্বুদ্ধ করে। সুতরাং তথাকথিত এই ভালবাসার নামে সমাজে ব্যভিচার অনাচারের যারা প্রবক্তা শুধুমাত্র তারাই এগুলোর সাথে লেগে থাকুন ইসলাম এবং ইসলামের কেউ নন, এটাই ইসলামের দাবি। আমাদেরও তাই।

আর, আপনি ধার্মিক মুসলমান কোথায় পেলেন? সোহরাওয়ার্দি, রমনা, বোটানিক্যালের চিপায়? পান্তা ইলিশের প্লেটের পাশে, নগ্ন বাহু আর পেট পিঠে অঙ্কিত উদ্ভট উল্কির আবরনে ঢাকা ইসলামকে আপনি প্রকৃত ধর্ম বলছেন?

আরেকটি কথা, বেলেল্লাপনার প্রসারে কেউ কেউ তাদের অন্তরে সুখানুভূতির মৃদু সমীরন বইতে দেখলেও আমরা মনে করি, এটা ইসলামের পরাজয় নয়, বরং ধ্বংসকামীদের ধ্বংসের পথ ত্বরান্বিত হওয়ারই স্পষ্ট আলামত। আর নষ্টদের নষ্টামীর শেষ পর্যায় প্রকাশ না পাওয়া পর্যন্ত পৃথিবীর পরিসমাপ্তি, মানে কেয়ামত যে সংঘটিত হবে না, তাতে তো কোন সন্দেহই নেই।

ভাল থাকার কামনা।

১১| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:১২

এ আর ১৫ বলেছেন: আবু ছোলহ ----- ভ্যালেনটাইন দিবসের বিপক্ষে যে অদ্ভুত ফতুয়া দেওয়া হচ্ছে তার জবাব আমি একজনের ব্লগ থেকে কপি করে রেখেছিলাম কারন ভবিষ্যৎ এ কাজে লাগবে তাই , এখন আমি সেই কপিটাকে পেষ্ট করছি --- আশা করি সব জবাব পাবেন ----
Some funny allegation against Valentine day by so called Fotia baz !!!

1) This day has named from St Valentine so it is haram !!!!
------ If name is X ,Y or Z then that will not haram . Archimedes law , Newton law, Einstein law all are haram because names are taken from their name .
2) In this day boy proposes love to girl ----
---- Boy can propose love to girl any day there isn't any regulation in this day ..boys are allowed only this to propose love to girl but other day of the year they can't ---- If boy proposes to girl in this day-- then girl isn't bounded to accept that proposal. --- But according to fotuabaz thinking girls are bounded to accept love proposal so it is haram .
3) According to fotuabaz this is the love game between boys and girls …..
…..... This day promotes ( modern concept ) love bonding among man kind. Love bonding between Father-Mother, Husband-Wife, Brothers-Sister, All Relatives – Neibour- All Region as well as Boy Friends- Girl Friends . According to modern concept of this day this love bonding not limited between Boy Friends- Girl Friends but among all man kind.

4) In this day Boy Friends – Girls Friends engage in Physical relation …..
------ Such kind of relation can't creat in a day when the love bonding between boys and girls is high then it can happen any day of the year not only in the valentine day. There is no such obligation in this day girls are bounded to have sexual relationship with their boy friends . If any boy friend and girl friend have sexual relationship then can do that any day not only Valentine day. It isn't look like they involve in that relationship on valentine day and other days aren't.
This called so called fotua baz Alem !!!!!
=================
Post marriage relationship is haram. ...... 99.9999% such relationship aren"t built up on the valentine day then how valentine day is responsible for this. In the country like Bangladesh Pakistan India or other Muslim countries what is the percentage of people involving with this. May be 3 to 5 %. Then remaining 95 % one big portion have no love affair and other are married. The unmarried people with no love affair as well as married people can celebrate this day. Post affair less boy girl can wish love for their brother sister parent etc as well as married people can wish for their spouses as well.

In this day 3 to 5% post marriage affair wishing love with each other so remaining 95% peoples wish are also haram !!!! What a thinking !!!!!! If this 3 to 5 % people going to pray or celebrate Eid then remaining 95% people praying or Eid will be haram ?? Because they have post marriage relationship.


Islam only has 2 festivals Eid ........Does any body say Valentines day is Islamic festival ?? Is it ritual festival of any other religion? ?? It is totally non religious event. If Non religious festival or event is haram ..... then AGM of the organization is haram because in this day all organisation have meeting party with different programs which is like a festival. Annual award ceremony of school college university are also haram as well as annual sport day also haram because Islam allows only 2 Eid only. Non religious event labour day women day children day are also haram !!!!

What a funny comedy !!!

১২| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:৩৭

আবু ছােলহ বলেছেন:



''এ আর ১৫ বলেছেন: আবু ছোলহ ----- ভ্যালেনটাইন দিবসের বিপক্ষে যে অদ্ভুত ফতুয়া দেওয়া হচ্ছে তার জবাব আমি একজনের ব্লগ থেকে কপি করে রেখেছিলাম কারন ভবিষ্যৎ এ কাজে লাগবে তাই , এখন আমি সেই কপিটাকে পেষ্ট করছি --- আশা করি সব জবাব পাবেন ----''

-প্রিয় এ আর ১৫,
হ্যাঁ, আপনাকে তো চিনি! আপনি সেই ঠিকাদার ব্যক্তি না? যিনি উচ্ছন্নে যাওয়া অধ:পতিত পশ্চিমাদের বাজে সব চরিত্র মুসলমানদের জন্য বিনামূল্যে আমদানি করতে চান! আপনিইতো মনে হয়, বর্তমান জমানার সবচে' বড় মুফতি! যতসব আকাম কুকাম ইসলামে ঢুকিয়ে ইসলামের শ্বাশত সৌন্দর্য বিনষ্ট করে এই মহান ধর্মের গাঁয়ে কালিমা লেপনই যাদের কাজ তাদের কাতারে থেকে প্রায়ই আপনাকে গলদঘর্ম হতে দেখি। এটা ভাবতেও কষ্ট হয়। আমাদের জাতীয় স্বকীয়তা, জাতিগত বৈশিষ্ট্য সবই কি বিসর্জন দিতে চান? লজ্জা হয় না? নাকি লজ্জা টজ্জা কিচ্ছুই আর অবশিষ্ট নেই?

ফিরে আসুন কুরআনের দিকে। ফিরে আসুন নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নতের দিকে। ফিরে আসুন আল্লাহ পাকের পথে। ছেড়ে দিন পথভ্রষ্টদের ভ্রান্ত পথ। জান্নাতের ঐশ্বর্য আপনাকে ডাকছে।

ভাল থাকুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.