![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রংপুর থেকে ঢাকা যাচ্ছিলাম JR পরিবহন এ । বাস ড্রাইভার এর পিছন এর A1 প্রথম সিট এ বসে ছিলাম। রংপুর বাস টার্মিনাল এ বসে থাকা অবস্থায় , জে আর পরিবহন এর সুপারভাইজার এক জনকে অনেক আকুতি মিনুতি করে বাস চালানোর কাথা জানাচ্ছে। লোকটি ক্লান্ত দেহ নিয়ে বললো, আমি তো মানুষ কি না। চিৎকার করে বললো আমি পারবো না। কিছু টাকার প্রলোভন দেখিয়ে ড্রাইভার কে রাজি করে বাসে উঠালো। আমাদের বাস যখন ঢাকা থেকে আনুমানিক 200 কিলো মিটার দূরে, , তখন রাত এগারোটা বাজে। পিছন এ বসে থাকা যাত্রিদের মধ্যো চিৎকার চেঁচামেচি শুরু হয়ে গেলো। কয়েক জন সিট থেকে উঠে এসে ড্রাইভার কে গালা গালি করলো আর সুপারভাইজার কে বললো এরা জে আর পরিবহন এর মানসম্মান গুলো ডাবায়ে ছাড়লো।এই ড্রাইভার গাড়ি জোরে চালাও না কেনো। এই ভাবে চললে তো গাড়ি দুই দিন এউ ঢাকা পৌছাবে না। আশপাশের গাড়ি গুলো কি ভাবে ক্রসিং করে চলে যাচ্ছে।ড্রাইভার রেগে গিয়ে বললো ,,,কি হয়ছে ???। হয়ছে টা কি,??? আমি তো গাড়ি চালাচ্ছি নাকি, যদি পছন্দ না হয় আপনি এখানে এসে গাড়ি স্ট্রেরিং ঘুরান।আস্তে আস্তে যাত্রিরা চুপ হয়েে গেলো। এর ঠিক আধা ঘন্টা পর ,,,ড্রাইভারএর ফোনে একটা রিং আসলো।কিছু ক্ষণ পর ড্রাইভার চিৎকার করে বলে উঠলো। আপনারা আমাকে কি ভাবেন । ভাবেন টা কি? হুম..। আমি তো মানুষ...আমি কি যন্ত্র...?? আজ 72 ঘন্টা ঘুম হয় নি আমার আর এখন বলছেন এই গাড়ি ঢাকা পৌছানোর পর ..... কক্সবাজার এ নিয়ে যেতে হবে।আমি আপনাদের চাকুরি ছেড়ে দিলাম। করবো না আপনার চাকরি ... একটা মুহুর্ত চোখের পাতা বুজি নাই।আমি গাড়ি ঢাকা গাবতলিতে রেখে যাবো আপনারা ড্রাইভার নিয়ে গাড়ি নিয়েে যেয়েন। এর ভিতোরে আবার টাকার প্রলেভন দেখানো হলো। বেতন বাড়িয়ে দিবার লোভ দেখানো হলো। ড্রাইভার বললো টাকা আমি আপনাকে দিবো আপনি গাড়ি চালান। আমার দেহ বইছে না আমি টাকা নিয়েে কি করবো।আমার কাছে আমার জীবন আগে ....। কোন সুস্থ ড্রাইভার কখন ই এক্সিডেন্ট করতে চাই না। বা তাদের হাতে এক্সিডেন্ট হয় না। কিছু মালিক পক্ষ থাকে যারা যারা টাকার প্রলেভন দেখিয়ে অসুস্থ মানুষ কেউ ড্রাইভিং করতে বাধ্য করে । এক্সিডেন্ট এর জন্য দ্বায়ি থাকে মালিক , সাজা হলে মালিক দের হওয়া উচিত যারা লাইসেন্সহীন ড্রাইভার ইউজ করে, ,, এক জন ড্রাইভার কে রেস্ট না দিয়ে বার বার রুটে গাড়ি চালাতে বাধ্য করে...
দেশের প্রতিদিন সড়ক দূর ঘটনায় সাধারণ মানুষের প্রাণ যাচ্ছে, এর দ্বায় এক জন বাস চালক এর নাহ।
প্রতিটা ড্রাইভার এর হাতে স্ট্রেরিং ধরে দেওয়ার আগে অনেক রহস্য আছে......
২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:০৬
আয়াতুল ইসলাম বলেছেন: হয়ত তাই
৩| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:২০
কালীদাস বলেছেন: কথাটা মিথ্যা না। ভাল অনেক ড্রাইভারই সেইম কমপ্ল্যান করে শুনি মাঝে মাঝে। এই ড্রাইভার যেটা বলল ৭২ ঘন্টা ঘুমায়নি, এই লোককে তো বাসের ছবি দেখানও উচিত না। আর সেখানে চালানো! এটা কোন যুক্তিতে সম্ভব সেটাও এই মালিকদের ভেবে দেখা উচিত।
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:২৫
ওমেরা বলেছেন: তাই নাকি !!