নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের সম্পর্কে আর কি লিখবো, অন্যেরা যা ভাবছে তা-ই শেয়ার করবো...
-আসসালামু আলাইকুম,
-ওয়ালাইকুমআসসালাম।
-আপনি কি কবি নজরুল কলেজের...এটুকু বলেই ছেলেটি ইতস্তঃত ভাব নিয়ে আমার দিকে তাকায়।
সায়েন্স ল্যাবরেটরী মোড় থেকে বাসে উঠেছি। গন্তব্য গুলিস্তান। গত শুক্রবার (০৪/০৭/১৪) ধানমণ্ডি স্টার কাবাব হাউজে আমাদের ভার্সিটির বন্ধুদের একটা ইফতার এবং আনন্দ আড্ডা শেষ করে বাসার উদ্দেশে রওনা হয়েছি। ইফতারের পর মোটামুটি বাসটি খালিই ছিল। আমার পাশেই ছেলেটি বসা। একনজর ছেলেটিকে দেখলাম। কলেজের স্টুডেন্ট হতে পারে। কলেজে শত শত ছাত্র-ছাত্রী। সবাইকে চেনা সম্ভব নয়।
আমি মাথাটা ঝুঁকিয়ে বললাম তুমি কি কবি নজরুল কলেজের স্টুডেন্ট? কোন ইয়ারে পড়ছ?
-না স্যার, আমি কবি নজরুল কলেজের স্টুডেন্ট না। মাসখানেক আগে একটা চাকুরির নিয়োগপত্র নিয়ে গিয়েছিলাম। নিয়োগপত্রে দু'জন গেজেটেড কর্মকর্তার রেফারেন্স প্রয়োজন ছিল। আপনি তা করে দিয়েছিলেন।
ঘটনাটা আমার মনে পড়ল। ছেলেটি অনেক ঘুরে শেষ পর্যন্ত আমার কাছে এসেছিল। আমি নিয়োগপত্রটা দেখে প্রত্যয়ন করে ছিলাম। সাথে আরেকজন সহকর্মীকে অনুরোধ করে দু'জনের প্রত্যয়নই নিশ্চিত করেছিলাম।
নামটা আবারও জেনে নিলাম। নাজমুল হক সৈকত। ইসলামী ব্যাংকে প্রবেশনারী অফিসার পদে চাকুরি হয়েছে। এখন পোস্টিং নরসিংদী জেলার মাধবদী। কথা প্রসঙ্গে অনেক কথাই বলে চলছে সে। বেশ ক'জনের নিকট গিয়েছিল। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট বিধায় কবি নজরুল কলেজের কোনো শিক্ষকই তাকে চিনে না। তাই কেউই তার নিয়োগপত্রে প্রত্যয়ন করতে চায় নি। আমি খুব সহজেই কাজটি করে দিয়েছিলাম বলে সে অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। এমনও বলল যে, আমাকে যেখানেই দেখবে সেখানেই সে চিনতে পারবে।
বিসিএস করা একজন কর্মকর্তা হিসেবে আমার সত্যায়িতকরণ ক্ষমতা আছে। আমি সাধারণত সত্যায়িতকরণের ক্ষেত্রে কাউকে ফিরাই না। যদি মূল কাগজপত্র থাকে সেক্ষেত্রে ফটোকপিতে সত্যায়িত করে দেওয়া আমার পবিত্র দায়িত্ব বলে মনে করি। এ বিষয়ে আমার জীবনের একটি দুঃখজনক অভিজ্ঞতা আছে। ঐ অভিজ্ঞতার পর আমি প্রতিজ্ঞা করেছিলাম জীবনে যদি আমার অ্যাটাস্টেশন পাওয়ার আর্জিত হয় তবে আমি কাউকে ফেরাব না।
অভিজ্ঞতাটি শেয়ার করছি-
আমি তখন চিটাগাং ভার্সিটির ছাত্র। সেকেন্ড ইয়ারে পড়ি। হলে সিটের জন্য আবেদন করার নোটিশ দিয়েছে। আমি যখন নোটিশটি পাই হাতে একদিন সময় মাত্র। ভার্সিটির শিক্ষক কর্তৃক কাগজপত্র সত্যায়িত করে আবেদনপত্রের সাথে জমা দিতে হবে।
ভার্সিটি কোনো কারণে বন্ধ ছিল। আমার ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্টের কোনো শিক্ষকই সেদিন আসেন নি। আমি অ্যাকাউন্টিং ডিপার্টমেন্টে গেলাম। সেখানেও কোনো শিক্ষক নেই। ডিপার্টমেন্টের এক সিনিয়র শিক্ষকের কক্ষ খোলা। সাহস করে কক্ষে প্রবেশ করলাম। বিনয়ের সাথে আমার আগমনের উদ্দেশ্য জানালাম। সত্যায়িতকরণের অনুরোধ জানিয়ে কাগজপত্রগুলো স্যারের হাতে দিলাম। স্যার কাগজগুলো একনজর দেখে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে বললেন, তুমি আমাকে চিন? তুমি আমার কাছে এসেছ কাগজপত্র সত্যায়িত করতে? বেরিয়ে যাও! পরে শুনেছিলাম সে স্যার একসময় প্রো-ভিসি ছিলেন।
কাগজপত্রগুলো কুড়িয়ে নিয়ে চলে এসেছিলাম। চোখ দিয়ে পানি চলে এসেছিল। পরে অর্থনীতি ডিপার্টমেন্টে এক নবীন শিক্ষকের কাছ থেকে সত্যায়িত করে নিয়েছিলাম। সেই ঘটনার পর থেকেই আমার এই প্রতিজ্ঞা ছিল যে, জীবনে কাউকে প্রত্যয়ন বা সত্যায়িতকরণের ক্ষেত্রে ফিরিয়ে দেব না। হোক সে আপরিচিত। কাগজপত্র সঠিক থাকলে সত্যায়িতকরণের ক্ষেত্রে কাউকে হয়রানি করা ঠিক না। আমি যদি এ কাজটি না করে দেই তাহলে হয়তো সে নকল সীল বানিয়ে নিজেই স্বাক্ষর করে জমা দেবে। এটি ভয়াবহ অন্যায় হবে। আর এর দায় আমার উপরও বর্তাবে নিশ্চয়ই।
০৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:১৮
আজমান আন্দালিব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই। শুভকামনা জানবেন।
২| ০৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:৪৯
বাকের ভাই রিটার্ন বলেছেন: আপনার লেখাটি পড়ে ভাল লাগল স্যার।তবে একটা কথা কি জানেন আমাদদের দেশে কিছু লোক আছে যারা এই সত্যায়িত ব্যাপারটা নিয়ে ব্যাবসা করে ।আবার অনেকে করেও দিতে চায় না ।আমি নিজেও বেশ কয়েকবার এর ভুক্তভুগি হয়েছি।আমি বুঝি না কলমের খোচা দিয়ে যদি কারও উপকার করা যায় তাহলে মানুষ সে সুযোগ কি করে হাত ছাড়া করে ।
তবে আপনাকে ধন্যবাদ স্যার আপনার এই কাজের জন্য ।
০৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:২১
আজমান আন্দালিব বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
৩| ০৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:৫৪
নির্বাক রূপক বলেছেন: সত্যায়িতকরন পুরো জিনিসটাই আমার কাছে মনে হয় জাস্ট একটা ফরমালিটি। আজকাল অনেকের কাছেই সিল আছে এবং তারা নিজেরাই সত্যায়িত করে থাকে। এটাতো দেখার ও কেউ নেই যেহেতু এটা দেখার কেউ নেই তাহলে শুধু শুধু এই ফরমালিটির কি দরকার।
০৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:৩১
আজমান আন্দালিব বলেছেন: কোনো একটি লেখায় সত্যায়িতকরণের প্রয়োজনীয়তা পড়েছিলাম এবং এটার যৌক্তিকতাও আছে। এ মুহূর্তে রেফারেন্স দিতে পারছিনা। ধন্যবাদ আপনাকে।
৪| ০৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:৫৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: সত্যায়িত ব্যাপারটা তুলে দেয়া উচিত।
০৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:৪৩
আজমান আন্দালিব বলেছেন: একেবারে তুলে না দিয়ে কিভাবে সহজীকরণ করা যায় তা ভাবা দরকার। ধন্যবাদ ভাই।
৫| ০৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:০১
রাতুল_শাহ বলেছেন: পাসপোর্ট করতে গিয়া ঝামেলায় পড়ছিলাম। মামা ডিপার্টমেন্টে ছিলেন না, অন্যরা করতে রাজী হলেন না। ৩ ঘন্টা মামার অপেক্ষা করে, সত্যায়িত করেছি।
০৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:৪৭
আজমান আন্দালিব বলেছেন: যেহেতু বিধান আছে তাই মনেহয় জেনুইন হওয়া উচিত।
৬| ০৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:২৬
পার্সিয়াস রিবর্ণ বলেছেন: অপিরিচিত কাউকে কোন শিক্ষকই সত্যায়িত করে দিতে চাননা । সে কারনেই বোধ হয় প্রত্যেকটি চাকরী প্রত্যাশি ছেলেদের কাছে নকল সিল বানানো থাকে । এতো ঝক্কি কে নেবে ??
আমাদের দেশে অনেক অদ্ভূত আইনের মাঝে এটা বোধ হয় আরেকটা । সত্যায়িত সিল দেখে সেটার অথেনটিসিটি কতটা প্রমাণ হয় আমার জানা নেই ।
লেখার জন্য ধন্যবাদ ।
০৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:৪৮
আজমান আন্দালিব বলেছেন: আপনাকে ও ধন্যবাদ।
৭| ০৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:৩৬
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: এতো এতো ছাত্র ছাত্রীর বা চাকুরীর ক্যান্ডিডেট দের কাগজ কবে কোন প্রতিষ্ঠান চেক করে দেখেছে সত্যায়িত কিনা সেটা ভাবার বিষয়! বলা যায় নিয়মের বা চোখের বেড়াজাল!
গল্প ভেবে পড়তে ঢুকেছিলাম যদিও! আপনার জন্য শুভকামনা রইলো
০৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:৫৪
আজমান আন্দালিব বলেছেন: চাকুরী হয়ে গেলে তারপর ভেরিফিকেশন হয়। তখন যদি জাল ধরা পড়ে...
৮| ০৭ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:০৪
মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: আপনার প্রতিজ্ঞার প্রতি সাধুবাদ জানাই।
আমার অভিজ্ঞতা এক্ষেত্রে সুখকর। চমৎকার সব মানুষকে পেয়েছি আমি আমার কাগজপত্রের প্রত্যয়নকারী হিসেবে কখনোই তাদের কেউ বিরক্তি প্রকাশ করেননি এতোটুকু।
ভালো থাকুন।
০৭ ই জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৫
আজমান আন্দালিব বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
৯| ০৭ ই জুলাই, ২০১৪ ভোর ৬:১৫
কুবের মাঝি১০৭০০৭ বলেছেন: আল্লাহর রহমতে এই মাসে সত্যায়িত করার সৌভাগ্য হওয়ার কথা l ইনশা আল্লাহ কাউকে ফেরাবোনা l পোস্টের জন্য ধন্যবাদ l
০৭ ই জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৭
আজমান আন্দালিব বলেছেন: আপনাকে অভিনন্দন! ছবি সত্যায়িতকরণ, চারিত্রিক সনদ প্রদান এগুলোর বিষয়ে একটু সতর্ক থাকবেন।
১০| ০৭ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ৭:৩৭
সাধারণ মুসলমান বলেছেন: সহমত ৷
০৭ ই জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৭
আজমান আন্দালিব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই।
১১| ০৭ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:৩৫
আরিফ রুবেল বলেছেন: সত্যায়িত করা নিয়ে সবারই কম বেশি তিক্ত অভিজ্ঞতা আছে। সত্যায়িত করার প্রয়োজনীয়তাটা এখনও বুঝে উঠতে পারলাম না। কাগজপত্র সত্যায়িত করতে হবে এটা প্রমাণ করার জন্য যে আমার কাগজপত্র বৈধ কিনা বা আমিই সঠিক ব্যক্তি কিনা। সেটা কি অনলাইনে খুব সহজেই চেক করা যায় না ? যদি এক্ষেত্রে কোন সমস্যা থাকে তাহলে আমাদের উচিত প্রযুক্তি আরো আপডেট করা।
০৭ ই জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৩
আজমান আন্দালিব বলেছেন: হুম। ঠিক বলেছেন। ভবিষ্যতে অনলাইন চেকিং অবশ্যম্ভাবী হয়ে উঠেছে।
১২| ০৯ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:২১
আহমেদ জী এস বলেছেন: আজমান আন্দালিব ,
একজন দায়িত্ববান, সুনাগরিকের মতো কাজটি করেছেন । ধন্যবাদ ।
আইনটির প্রয়োজন থাকুক বা না থাকুক, এই সত্যায়িত করনের আইনটি আমরা মুষ্ঠিমেয় কজন যখোন বদলাতে পারবোনা তখোন আপনার কাজটি সঠিক হয়েছে । সবাই যদি এমোনটি হতেন তবে সত্যায়িতকরনের কাজটির জন্যে কাউকেই নকল সীল বানাতে হতোনা ।
আমরা এইভাবেই আমাদের এই জাতীয় অবিবেচনা প্রসুত কাজের জন্যেই মানুষকে অসৎ পথে ঠেলে দিই ।
১৫ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:৪১
আজমান আন্দালিব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আহমেদ জী এস ভাই। মূল্যবান কথাটি 'কোট' করে রাখলাম।
আমরা এইভাবেই আমাদের এই জাতীয় অবিবেচনা প্রসুত কাজের জন্যেই মানুষকে অসৎ পথে ঠেলে দিই ।
১৩| ৩১ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:১৮
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ছেলেটিকে সাহায্য করার জন্য আপনার ধন্যবাদ প্রাপ্য অবশ্যই। তবে সত্যায়িতকরণ প্রক্রিয়াটা এখন মেকি মনে হয়।
০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:৩৯
আজমান আন্দালিব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। সত্যায়িতকরণের বিকল্প ভাবা আবশ্যক।
১৪| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:৩৩
মুদ্দাকির বলেছেন:
সত্যায়নের ব্যাপারটা তুলেদেয়া উচিৎ
০৯ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:৫৯
আজমান আন্দালিব বলেছেন: সত্যায়নের ব্যাপারটা একেবারেই তুলে দেওয়া উচিত কিনা তা বলতে পারছি না, তবে আরও সহজীকরণ করা যায়। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
১৫| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:১০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
কাগজপত্র সঠিক থাকলে সত্যায়িতকরণের ক্ষেত্রে কাউকে হয়রানি করা ঠিক না। আমি যদি এ কাজটি না করে দেই তাহলে হয়তো সে নকল সীল বানিয়ে নিজেই স্বাক্ষর করে জমা দেবে। এটি ভয়াবহ অন্যায় হবে। আর এর দায় আমার উপরও বর্তাবে নিশ্চয়ই।
মূল্যবান কথা। আপনার মহানুভবতা অতুলনীয়।
যাদের অভিজ্ঞতা নেই তাঁরা হয়তো প্রত্যয়নের গুরুত্ব বুঝবেন না। নিয়োগ কাজে যাঁরা নিয়োজিত, এ্যাপ্লিক্যান্টের নথিপত্র নিরীক্ষা করা তাঁদের অবশ্য কর্তব্য। কেউ গাফেলতি করলে, বা কারচুপির আশ্রয় গ্রহণ করলে সেটি তার দণ্ডনীয় অপরাধ। এগুলো খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে নিরীক্ষা করা হয়। ভেরিফাই করা হয়। ৫-১০ দশ বছর চাকরি করার পরও ভূয়া প্রমাণিত হওয়ার পর চাকরিচ্যুতি হয়। প্রত্যয়নের বিধান আছে বলেই আপনার ফটোকপিটি ওরিজিন্যাল কপিরই ফটোকপি। এ বিধান না থাকলে আপনার ফটোকপিটিও ভূয়া হতে পারতো, সেকেন্ড ক্লাস বা থার্ড ক্লাসকে আপনি অবলীলায় ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট বানিয়ে ফেলতে পারতেন। এখনও যে এগুলো হয় না, তা না। কিন্তু একটা নকল সিল, নকল সনদ, ইত্যাদি সবকিছু যোগাড় করা নকলকারীর পক্ষে সবসময় সম্ভব নয়। এজন্য সত্যায়িত করণের বিধান এখনও রয়েছে।
তবে, যেখানে এগুলো অনলাইন ফেরিফাই করার সুযোগ আছে, সেখানে সত্যায়িত করার প্রয়োজন পড়ে না। বারকোডের ফটোকপি কাজ করে না বলেই জানি। এজন্য বারকোড সম্পন্ন ডকুমেন্টের ফটোকপির প্রত্যায়ন প্রয়োজন পড়বে।
কলেজ লাইফে আমারও অনেক ভোগান্তি হয়েছিল ফটোকপির জন্য।
পরিচিত-অপরিচিত যে কারো ডকুমেন্ট প্রত্যয়নের সময় খুব সতর্ক থাকতে হবে, ওরিজিন্যাল ডকুমেন্টটি ‘খাঁটি’, নাকি নকল। সরকারী কর্মকর্তারা অলরেডি এনরোল্ড, কারচুপি করলেই তাঁকে সহজেই ধরা যাবে, এজন্য তাঁদের দিয়ে প্রত্যয়ন করানো হয়।
ভালো থাকবেন।
০৯ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:০৫
আজমান আন্দালিব বলেছেন: আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ব্লগে বা অনলাইনে কোথায় যেন পড়েছিলাম সত্যায়নের প্রয়োজনীয়তা। লেখাটি পড়ার আগে আমারও মনে হত সত্যায়ন করার বিধানটি অপ্রয়োজনীয়। লেখাটিতে অনেকগুলো যুক্তি ছিল । এই পোস্টটি দেওয়ার পর লেখাটি খুঁজেছি কিন্তু পাইনি। আপনার মন্তব্যে সত্যায়নের যৌক্তিকতা খুঁজে পেলাম। অনলাইনেই ভেরিফাই করার সুযোগ থাকলে সেভাবেই করা উচিত। এতে করে সরকারি কর্মকর্তাদের বাড়তি এ ঝামেলাটুকু পোহাতে হয় না।
ভালো থাকবেন।
১৬| ১২ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:৩৮
ফারজুল আরেফিন বলেছেন: আমিও আপনার রেফারেন্স দিয়েছিলাম। দরকার হলে আবারো দিবো কিন্তু।
কেমন আছেন ভাইয়া?
১৩ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:০৭
আজমান আন্দালিব বলেছেন: নো প্রবলেম। যত খুশী দাও। আমি ভালো আছি। তুমি কেমন আছ?
১৩ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:১০
আজমান আন্দালিব বলেছেন: নো প্রবলেম। যত খুশী দাও। আমি ভালো আছি। তুমি কেমন আছ?
১৭| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:৩৯
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
ভাল লাগল। তবে আমার অভিমত সত্যায়ন প্রথা তুলে দেয়া হোক। নির্বাচিত হবার পর আসল সনদ দেখলেই তো ল্যাঠা চুকে যেতে পারে।
২৫ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:৩৪
আজমান আন্দালিব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই।
১৮| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৭
বকুল০৮ বলেছেন:
কাগজপত্র সঠিক থাকলে সত্যায়িতকরণের ক্ষেত্রে কাউকে হয়রানি করা ঠিক না। আমি যদি এ কাজটি না করে দেই তাহলে হয়তো সে নকল সীল বানিয়ে নিজেই স্বাক্ষর করে জমা দেবে। এটি ভয়াবহ অন্যায় হবে। আর এর দায় আমার উপরও বর্তাবে নিশ্চয়ই।
.........................................................
অনেক ভালো লাগলো কথাগুলি।
ভালো থাকুন।
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:০২
আজমান আন্দালিব বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
১৯| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৪৭
জোহরা উম্মে হাসান বলেছেন: আগেও পড়েছিলাম লেখাটি । আজও পড়লাম । খুব ভাল লাগলো লেখকের সচেনতা আর দায়িত্ববোধ দেখে !
০৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৮:৫৫
আজমান আন্দালিব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। শুভ কামনা নিরন্তর।
২০| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৫৯
পজিটিভ ইলেকট্রন বলেছেন: অনেক সুন্দর লিখেছেন..।
অনেক ক্ষেত্রে অবশ্যই সত্যায়ন এর দরকার কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে অযথাই বলে মনে হয়....
আর তাছাড়া বাস্তবতা হচ্ছে এসব ভোগান্তির কারনে অনেকেই মিথ্যা সিলের আশ্রয় নেয়...
আবারো অনেক শুভকামনা সুন্দর লেখা এবং মনুষত্ব এর জন্য.।
১১ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:২০
আজমান আন্দালিব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা আপনার জন্য।
২১| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:১৩
হাসান নাঈম বলেছেন:
খুব ভাল কাজ করেছেন।
সত্যায়িতকরণ নিয়ে ভোগান্তির অভিজ্ঞতা আমারও আছে। এবং আমিও মনে করি এই বিষয়টির এখন আর প্রয়োজন নাই। এটা যখন করা হয়েছিল তখন ফটোকপি মেশিন ছিলনা। কপি করা হত হাতে লিখে। তখন সেই কপিটা ঠিক হয়েছে কী না সেটা দেখার জন্য সত্যায়নের প্রয়োজন ছিল।
এখনতো কম্পিউটার প্রিন্টেড অনেক অরিজিনাল ডকুমেন্টেও কোন সই থাকে না - যেমন ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট। নিচে লেখা থাকে এটা কম্পিউটার প্রিন্ট, সিগনেচার প্রয়োজন নাই।
১১ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:২২
আজমান আন্দালিব বলেছেন: আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
২২| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৪৯
আমি অথবা অন্য কেউ বলেছেন: সত্যায়িত করতে তো আমার ভালোই লাগে। এর জন্য একসময় কত যায়গায় ঘোরা লাগছে। অনুভূতি একই
১১ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:২৪
আজমান আন্দালিব বলেছেন: ঠিক বলেছেন। শুভকামনা জানবেন।
২৩| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৩৮
আরমিন বলেছেন: কিছুদিন আগে একজন আনসার আসছে সত্যায়িত করতে, সে আবার আসছে সিভিল ড্রেস এ, সেই সময় আমি কিছুটা ডিসটার্বড ছিলাম, কারও সাথে কথা বলতে ভালো লাগতো না, অফিসে কেউ আসলেও ভালো লাগতো না, তো সেদিন তাকে সত্যায়িত করে দেই নাই কিন্তু পরে একদিন দেখি, সে ড্রেস পড়ে আমার অফিসেই ডিউটি দিচ্ছে, তখন খুব খারাপ লেগেছিলো! আমি ডেকে উনাকে জিগ্গেসও করেছিলাম, উনার সত্যায়িতটা কেউ করে দিয়েছিলো কিনা !
১১ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:২৮
আজমান আন্দালিব বলেছেন: কাগজপত্র সঠিক থাকলে সত্যায়িত করে দেয়া পবিত্র দায়িত্ব বলেই মনে করি। শুভকামনা জানবেন।
২৪| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:৫০
চাঁদগাজী বলেছেন:
"তুমি আমার কাছে এসেছ কাগজপত্র সত্যায়িত করতে? বেরিয়ে যাও! পরে শুনেছিলাম সে স্যার একসময় প্রো-ভিসি ছিলেন। "
-পদবী অনেকের জন্য ভালো হয় না; বেকুবদের আরো বেকুব বানিয়ে ফেলে।
২৯ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:১৩
আজমান আন্দালিব বলেছেন: পদবী অনেকের জন্য ভালো হয় না; বেকুবদের আরো বেকুব বানিয়ে ফেলে।
হাহাহা...মজার মন্তব্য।
২৫| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:৩০
মোঃ ইসহাক খান বলেছেন: অভিজ্ঞতা থেকে একটি ব্যাপার তুলে আনার চেষ্টা করা হয়েছে।
শুভেচ্ছা।
২৯ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:১১
আজমান আন্দালিব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই! শুভকামনা।
২৬| ০৫ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:০৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
নতুন কিছু লেখেন।
২৯ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:১৬
আজমান আন্দালিব বলেছেন: নতুন কিছু লেখা লিখব বলে আশায় আছি...সময়টা প্রতিকূলে...
২৭| ২৯ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:১৬
বিবর্ন সভ্যতা বলেছেন: মনে করেন, আমি আমার অরিজিনাল ডকুমেন্টের ফটোকপি জাল সিল দিয়ে সত্যায়িত করলাম।
এখানে, যদিও ফটোকপিটা সঠিক তথ্য বহন করছে, কিন্তু সত্যায়িত করনটা জাল ছিল, তখন পরর্বতিতে ধরা পরলে কোন সমস্যা হবে কি না?
২৮| ১১ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:৪০
আজমান আন্দালিব বলেছেন: সত্যায়িতকরণ অনেকটা শনাক্তকরণ পদ্ধতি। যে কাগজপত্রের সত্যায়িত করা হচ্ছে সেই কাগজপত্রের মালিককেই মূলত শনাক্তকরণ করা হচ্ছে। তাই জাল সত্যায়িতকরণ সমস্যা হওয়ার কথা...যদি ধরা পড়ে।
২৯| ১১ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:৪৪
আজমান আন্দালিব বলেছেন: সত্যায়িতকরণ অনেকটা শনাক্তকরণ পদ্ধতি। যে কাগজপত্রের সত্যায়িত করা হচ্ছে সেই কাগজপত্রের মালিককেই মূলত শনাক্তকরণ করা হচ্ছে। তাই জাল সত্যায়িতকরণ সমস্যা হওয়ার কথা...যদি ধরা পড়ে।
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:১৬
শ্রীঘর বলেছেন: সহমত।