নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

LET'S START...........

যে জানেনা এবং জানে যে সে জানেনা সে সরল, তাকে শেখাও। যে জানেনা এবং জানেনা যে সে জানে না, সে বোকা-তাকে পরিত্যাগ কর।

আজমান আন্দালিব

নিজের সম্পর্কে আর কি লিখবো, অন্যেরা যা ভাবছে তা-ই শেয়ার করবো...

আজমান আন্দালিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

তারার আলো

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১:৩১

কালপুরুষের কোমরের টানা তিনটি তারার নাম যথাক্রমে Mintaka(চিত্রলেখ), Alnilam(অনিরুদ্ধ) এবং Alnitak (ঊষা). এই তারাসমষ্টিটি এক সরলরেখায় উত্তর-পশ্চিম থেকে পূর্ব-দক্ষিণ দিকে মুখ করে অবস্থান করে। সর্ব উত্তরে চিত্রলেখ এবং সর্বদক্ষিণে ঊষা অবস্থান করে।

মানুষ খালি চোখে প্রায় ১০ হাজার তারা দেখতে পায়। মেঘহীন পরিষ্কার আকাশে এই তিনটি তারা যে কারো চোখে পড়বেই। এই তারা তিনটিকে 'কালপুরুষ বা অরিয়ন বেল্ট' নামে অভিহিত করা হয়। গ্রীক মিথলজী অনুযায়ী কালপুরুষ নামক এক যোদ্ধাকে কল্পনা করে তার কোমরবন্ধনী বা বেল্ট হিসেবে এই তিনটি তারাকে দেখা হয়। প্রাচীনকাল থেকেই তারাদের নিয়ে এরূপ কাল্পনিক গল্পগাঁথা চলে আসছে।

কালপুরুষের আরেক নাম আদমসুরতও বটে। কালপুরুষ তারামণ্ডলীর বাইরে সপ্তর্ষীমণ্ডল নামক তারামণ্ডলীও আছে। আমার এই লেখাটির উদ্দেশ্য তারা চেনানো নয়। আকাশে কোটি কোটি গ্রহ নক্ষত্র আছে। সাধারণতঃ নক্ষত্রগুলোই তারা হিসেবে পরিচিত। প্রাচীনকালে সমুদ্রযাত্রায় এই তারাগুলোর সাহায্যেই পথ চলত নাবিকেরা।

এক সময় পৃথিবীকে কেন্দ্র করে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডকে কল্পনা করা হতো। বর্তমানে জানা যায় পৃথিবী বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের তুলনায় ধূলিকণা সম। আর এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে পৃথিবীর অবস্থান কোথায় বিজ্ঞান আজও জানে না। সূর্য নামক এক নক্ষত্র আমাদের অতি নিকটে অবস্থান করে আমাদের আলো এবং তাপ দিচ্ছে। সূর্য না থাকলে প্রাণ সৃষ্টি এবং বিকাশ নাকি সম্ভব হতো না।

এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে সূর্যের মত কিংবা তারচেয়ে বড় লাখো-কোটি নক্ষত্র বা তারা আছে। পৃথিবী নামক গ্রহটির জীবনপ্রবাহ টিকিয়ে রাখার জন্য সূর্য নামক তারাটি আমাদের আলো দেয়। চাঁদ নামক আরেকটি উপগ্রহ রাতে আমাদের আলো দেয়। দূর থেকে অন্যান্য গ্রহ নক্ষত্রও আমাদের আলো দেয়। কিন্তু আমরা টের পাইনা। এই ব্রহ্মাণ্ডে সবচেয়ে বেশি গতি সম্পন্ন বস্তু হচ্ছে আলো। বস্তু বলছি এ কারণে যে আলো নাকি এক প্রকারের কণা। এই কণা ফোটন কণা। ফোটন কণারা আলোকে বহন করে নিয়ে আসে। লক্ষ-কোটি আলোকবর্ষ দূরত্বের কোনো একটি তারা থেকে ফোটন কণারা আমার দু'চোখে আলো দিয়ে যায় ভাবতেই রোমাঞ্চ জাগে মনে।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৬:৩৪

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন:

জ্ঞানময় পুস্ট।
মানুষের কৃতিত্বে সে তারাকে জয় করে নেয়। আশাকরি বাঙালি অন্য কিছু পাড়বে।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:৪৬

আজমান আন্দালিব বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ পাঠ এবং মন্তব্যের জন্য।

২| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: হিমি নামেও যে একটা তারা আছে জানেন? এই তারাটা খুব বেশি জ্বল জ্বল করে।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:৪৭

আজমান আন্দালিব বলেছেন: হিমি নামের এই তারাটা কোন নক্ষত্রমণ্ডলে আছে? অনেক ধন্যবাদ রাজীব নূর।

৩| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:২১

আহমেদ জী এস বলেছেন: আজমান আন্দালিব ,




"লক্ষ-কোটি আলোকবর্ষ দূরত্বের কোনো একটি তারা থেকে ..............................ভাবতেই রোমাঞ্চ জাগে মনে। এই লাইনটি পড়ে আরো রোমাঞ্চকর তারা ও তারাদের পরিবার সম্পর্কে আমার পর্বকৃত লেখার কথা মনে হলো ।
দেখতে পাবেন এখানে ------“মাগো, তোমায় দেখে দেখে আঁখি না ফেরে .....”
“মাগো, তোমায় দেখে দেখে আঁখি না ফেরে .....”

অনেকদিন পরে এলেন ।
শুভেচ্ছান্তে ।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:৫৮

আজমান আন্দালিব বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আহমেদ জী এস ভাই। পাঠ এবং মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা।

৪| ০২ রা মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৭

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: পড়তে ভাল লাগছিল। কিন্তু হঠাৎ শেষ করে দিলেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.