নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

LET'S START...........

যে জানেনা এবং জানে যে সে জানেনা সে সরল, তাকে শেখাও। যে জানেনা এবং জানেনা যে সে জানে না, সে বোকা-তাকে পরিত্যাগ কর।

আজমান আন্দালিব

নিজের সম্পর্কে আর কি লিখবো, অন্যেরা যা ভাবছে তা-ই শেয়ার করবো...

আজমান আন্দালিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

অদৃশ্য জগত ও ইহজগত

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:২১

আমাদের প্রতিদিনের অস্তিত্বে সুক্ষ্মতর পর্যায়ে অনেক কিছু ঘটছে। আমরা এগুলোর অস্তিত্ব টের পাইনা কিংবা বলা চলে স্বীকার করি না। এমনও হতে পারে আমরা এগুলো বুঝিই না। আমাদের দেহ মূলত কোষের সমষ্টি। কোটি কোটি কোষের সমন্বয়ে মানবদেহ গঠিত। আমাদের শরীর থেকে প্রতিনিয়ত লক্ষ লক্ষ কোষ ঝরে যাচ্ছে। আবার নতুন করে উৎপন্নও হচ্ছে। আমরা টের পাইনা।

আমাদের শরীরে অসংখ্য রোগজীবাণু বাসা বেঁধে আছে। কিছু রোগজীবাণু ভয়াবহ। যেমন- ক্যান্সারের জীবাণু, এইডসের জীবাণু। সাধারণ জ্বর বা ডাইরিয়ার জীবাণুও ভয়াবহ হয়ে ওঠতে পারে যদি না শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয়। উপকারী জীবাণু অপকারী জীবাণুর চেয়ে শক্তিশালী হলে তবেই আমরা সুস্থ শরীরে বেঁচেবর্তে থাকি ।

শরীরের ভিতরে খুবই সুক্ষ্ম পর্যায়ে জীবাণুদের মধ্যে এই যুদ্ধ অনবরত চলছে। আমরা টের পাইনা। উপকারী জীবাণুরা হেরে গেলে বিভিন্ন রোগশোক এসে বাসা বাঁধে শরীরে।

একটা সহীহ হাদীস এটি। বুখারী ও ইবনে মাজাহ হাদীসে বর্ণিত আছে, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন, ‘যদি তোমাদের কারো পাত্রে মাছি পতিত হয় সে যেন উক্ত মাছিটিকে ডুবিয়ে দেয়। কেননা তার একটি ডানায় রোগজীবাণু রয়েছে, আর অপরটিতে রয়েছে রোগনাশক ঔষধ’(বুখারী)।

মহানবীর ওফাতের প্রায় ২০০ বছর পর হাদীস সংকলিত হয়। উপরোক্ত হাদীসটির সত্যতা নিরূপণে পরীক্ষা করে দেখা গেছে মাছির এক ডানায় প্রাণঘাতী জীবাণু। আরেক ডানায় জীবাণু নাশক। প্রায় ১৪ শ' বছর আগে বিজ্ঞান এত অগ্রসর ছিল না। কিন্তু মহানবী বিজ্ঞানের এই অদৃশ্য জগতের কথা কীভাবে জানলেন?

আজকাল সুক্ষ্মতর যন্ত্রপাতি দিয়ে অদৃশ্য জগতের কিছু কিছু দেখা সম্ভব হচ্ছে যা খালি চোখে দেখা যায় না। আর খালি চোখে দেখতে পেলে আপনার জীবন হয়ে উঠবে দুর্বিষহ। এক গ্লাস পানির মধ্যে যেই পরিমাণ জীবাণু থাকে তা চোখে দেখে আপনি কখনোই গিলতে পারবেন না। খালি চোখে দেখি না বিধায় অবলীলায় আমরা অনেক কিছু খেয়ে ফেলি। অদৃশ্য জগতের এই খেলা যদি কেউ দেখতে পেতো তাহলে তার জীবন দর্শনটাই পরিবর্তিত হয়ে যেতো।

আমরা ভেজাল খাদ্য খাই। ভেজাল খাবার আমাদের কোষের রাসায়নিক গঠনকে পরিবর্তন করে দেয়। এতে উপকারী জীবাণুকে মেরে অপকারী জীবাণুর আধিপত্য চলে। এই পরিবর্তন এত সুক্ষ্ম পর্যায়ে ঘটে যে আমরা টের পেতে পেতে জীবন সায়াহ্নে চলে আসি। তারপর মৃত্যুবরণ করি। মৃত্যুর পর আরেকটা অদৃশ্য জগত। সেটা নিয়েও ইহজগতে তেমন একটা ভাবি না।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: বর্তমানটাই আমাদের কাছে আসল। অদৃশ্য জগত নিয়ে চিন্তা ভাবনা করা ঠিকও না।

২| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:২২

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনার একই পোষ্ট ২ বার এসেছে

৩| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
চাঁদগাজী বলেছেন: আপনার একই পোষ্ট ২ বার এসেছে

গাজী থেরাপী হলোনা কেন ?

৪| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:৪২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ভালো পোস্ট।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.