![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শুধু বাঁশ আর বাঁশ। পুরা দুনিয়াটাই বাঁশে বাঁশময়।
লিভার সিরোসিসের পেশেন্টের পেটে পানি আসা(Ascitis:এসাইটিস) অর্থ হলো Beginning of the End, মৃত্যুর শুরু। অর্থাৎ কিছুদিন হয়তো সুস্হ্য রাখা যাবে কিন্তু এই রোগে রোগীর মৃত্যু অবধারিত।
সেদিন ওয়ার্ডে এক এসাইটিসের পেশেন্টের পেট ফুটা করে পানি বের করার চেষ্টা চলছিলো। যান্ত্রিক গোলযোগে পানি বের করা সম্ভব হয়নি। স্যার চলে যাওয়ার পর ছিলো আমাদের পালা। রোগির হিস্ট্রি নিচ্ছিলাম, অর্থাৎ রোগের পূর্ব ইতিহাস নিয়ে রোগীকে প্রশ্ন করে রোগ বোঝার চেষ্টা করছিলাম। প্রশ্নের মাঝে হটাৎ করে রোগীর পাল্টা প্রশ্ন, "স্যার, আমি কি মরে যাবো?"
প্রশ্নটা রোগী যতটা সহজে করেছিলো, মেডিকেল স্টুডেন্ট হিসেবে উত্তরটা আমাদের কাছে ছিলো ততটাই কঠিন। তবুও পাশে দাঁড়ানো বন্ধুর উত্তর, "কে কতদিন বাঁচবে সেটা আল্লাহই জানে। রোগ যেমন আছে, তেমনি তার চিকিৎসাও আছে। আল্লাহ ভরসা।"
রোগীর চোখে ছিলো বাঁচার আকুতি। এতদিনের খারাপ লাগা পৃথিবীটা আসলে অনেক অনেক বেশিই সুন্দর লাগছে এখন তার চোখে। আরো কিছুদিন না বাঁচলে কিভাবে সব দেখা হবে? এখনো না করতে পারা অনেক কাজ যে করতে বাকি!
পরেরদিন রোগির খোঁজ নিতে যথারীতি আবার ওয়ার্ডে গিয়ে রোগি আর তার বউয়ের মুখে দেখি চওড়া হাসি। কারণ, পেটের পানি বের করা গেছে, পেট এখন হালকা। রোগী মনে করেছে এবার বুঝি সুস্হ্য হয়ে যাবে। চোখে-মুখে আনন্দের ঝিলিক।
ইশ্, রোগী যদি জানতো এটা আসলে সাময়িক আরাম দেওয়া ছাড়া তেমন কোন ট্রিটমেন্টই না! না থাক, জানিয়ে কি লাভ? বেঁচে থাকার আশার এই আনন্দ নিয়েই থাকুক না। এই আনন্দের সাথে যে আর কোন আনন্দেরই তুলনা হয়না!!!!
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৩
বাঁশ আর বাঁশ বলেছেন: জ্বী ভাইয়া। ঠিক বলেছেন। কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ।
২| ১৯ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১১:৩৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার এক বাল্যবন্ধু লিভার সিরোসিস রোগে ভুগে মারা গেছে। আমি জানি, রোগটি কতটা ভয়ানক! তার পরেও ডাক্তাররা চেষ্টা করে যান, মৃত্যু পথযাত্রী রোগীদের রোগ যন্ত্রণাটা যথাসম্ভব লাঘব করতে কিংবা নিয়ন্ত্রণে রাখতে। যারা এরকমটা করেন, এটা তাদের মানবিকতা।
পোস্টে ভাল লাগা। + +
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:২৭
রিফাত_হাসান বলেছেন: বাস্তবতা খুবই নিষ্ঠুর।
তবে স্বপ্ন সব সময়ই রঙ্গিন। আমরা প্রতিনিয়ত রঙ্গিন স্বপ্নগুলো দিয়ে বাস্তবতাকে মুড়ে দেই। এটাই বেঁচে থাকার উপায়।