নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যা না বললেই নয়

সাধারন মানুষ

বিবিবাঁধন

প্রখর

বিবিবাঁধন › বিস্তারিত পোস্টঃ

শীতঘুম শেষে অজগর

২৩ শে মে, ২০১৪ ভোর ৪:৪০



শীতঘুম শেষে অজগর



.......................বাঁধন



আমি এক বিশাল অজগর



ক্ষুধা পেয়েছিল তাই একদিন ধরে খাই...



একটি হরিণ শাবক



আধপেটাই খেলাম শুধু আর কোন শিকার পাইনি তাই



এরপর মনে এলো গ্লানি



সেই হরিণ মাতার চোখের অশ্রু দেখে



ভাবলাম জলচর মাছ যদি আহার্য করতাম তবে



রসনা না মিটলেও ক্ষুধা তো নিবারন হতে পারত।



দুঃখিত মনে তাই নিজ ডেরায়



চলে যাই আমি এক দীর্ঘ শীতঘুমে



দুঃস্বপ্নের দিনে রাতে শুধু অনুশোচনাই পিছু ফিরে যেন



পাপমোচন ও আত্মুউপলব্ধি করতে চাই যেন আমি এই স্বেচ্ছানির্বাসনে।



বাইরে শীতের প্রকোপ কখন যায় খুব বেড়ে



শীতার্ত এক অজগর ললনা একটু উষ্ণতা খুঁজে ফেরে



আমার গুহায় ঢুকে পড়ে সে ঝড়ের তাড়া খেয়ে



ক্লান্তিতে ঘুমিয়ে পড়ে সেও আমার পাশে কুণ্ডলী পাকিয়ে।



কুণ্ঠিত এই মন, নিদ্রাতেই করে পণ



আর নয় হনন কোন বনচর সহচর, হোক না সে বৃদ্ধ বা শিশু



জলজ আহার্যেই কাটাব এই বাকিটা জীবন



পাপ যদি মোচন হয় তাতে কিছু।



বহুদিনপর সিক্ত দুচোখ মেলে, উঠে পড়ি শীতঘুম ফেলে



চোখ পড়ে যায় সেই ললনার চোখে



সেওতো ছিল চেয়ে, ভিরু দুটি চোখ মেলে



অনুপ্রবেশের দোষে ছিল শির তার নত।



আশ্বস্ত করে বলি- অতিথি বরণীয় আর



খেতে দেই সাদামাটা জলজ



বলি বনচর কখনও করবোনা নিধন



এটাই এক প্রায়শ্চিত্য আমার এখন।



তারে খুলে বলি এ মনের দহন



কেন করেছি সেই হরিণ শাবক হনন



হঠাৎ অবাক হয়ে দেখি সেই ললনার চোখে কেন পানি



বলে আমার মত করে কেউ ভাবে সে কখনও দেখেনি



যাচে আমার সাথেই সে করবে তার পুরোটা জীবন পার



জলজ আহারেই সন্তুষ্ট রবে, কোনরূপ রসনায় কাজ নেই তার



এরপর থেকে আর কখনও শীতঘুমে আমি যাইনিকো আর



সুখী, সন্তুষ্ট দুটি অজগর আমরা এখন নিয়ে আমাদের জলজ আহার।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.