|
|
| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একটি গল্প বলে নি-ই।
গল্পের কথা গুলি সত্য।
এই গল্পের সাক্ষী আমি নিজে।
আমি তখন ক্লাস ফাইভে পড়ি।
আমাদের ক্লাসে রোল নং এক সব সময় একটি মেয়ের দখলে থাকতো।
তার ব্যাপারে একটি গুঞ্জন ছিল যে,
তার মা স্কুল পরিচালনা কমিটির সদস্য,
তাই স্যার'রা তাকে বেশি নাম্বার দেয়,
তার রোল এক হয়ে যায়,
সহজ হিসেব!
বরাবরের মতো ক্লাস ফাইভের বার্ষিক পরীক্ষায় তার রোল এক হল,
আরেকটি মেয়ের রোল হলো দুই,
আর আমার তিন।
রেজাল্ট ঘোষণার দিন স্কুলে শুরু হলো তুমুল যুদ্ধ।
যার রোল দুই হয়েছে,
তার নাকি এক হওয়ার কথা!
দুই রোলের মেয়েটির মা
আমাদের স্যারদেরকে ইচ্ছে মতো শাসিয়ে গেলেন,
সেই সাথে অনেক রকমের হুমকি-ধামকি।
রোল এক চুপ,
আমার তিন, তাই আমি আরো আগেই চুপ,
এক না হয়ে বাঁচা গেল!
রোল এক নিয়ে যুদ্ধ,
শুনতে হয়েছে অনেক কড়া ও অশালীন কথা আমাদের শ্রদ্ধেয় স্যারদের।
পরবর্তী সময়ে প্রাইমারি লেভেল পেঁরিয়ে হাইস্কুলে আসলাম।
অনেক গুলি প্রাইমারি স্কুলের ছাত্রছাত্রি এক সাথে এক স্কুলের এক-ই ক্লাসে ভর্তি হয়েছি।
ক্লাস সিক্স থেকে টেন,
প্রতি ক্লাসে আমাদের সেই রোল একের মেয়েটি তখনো সবাইকে পিছনে রেখে তার নিজের স্থান দখল করে রেখেছে।
সেই স্কুলের কমিটিতে কিন্তু তার কেউ ছিল না।
এখন সে সিলেট কৃষি বিস্ববিদ্যালয়ে ফিসারিজ সাবজেক্টে পড়ছে।
আর সেই রোল দুই এর খবর জানি না,
শুনেছি আমাদের পরের বছর এস এস সি দিয়েছিলো সে!
উপরের লম্বা গল্পটি বলার পিছনে বেশ কিছু কারণ আছে।
ডক্টর ইউনুস সাহেব শান্তিতে নোবেল পুরষ্কার পেলেন,
সবাই বাহবা দিলাম।
যখন তিনি দেশের রাজনৈতিক সংকটের সময় নতুন একটি রাজনৈতিক দল গঠনের আগ্রহ প্রকাশ করলেন,
তখন-ই শুরু হলো সুদখোর, আমেরিকার এজেন্ডসহ নানারকম গালাগালি,
যা এখনো চলছে।
যারফলে ভদ্রলোক রাজনৈতিক দল গঠন তো দুরের কথা
সবকিছুতে-ই চুপ হয়ে গেলেন।
মুসা ইব্রাহিম এভারেষ্ট জয় করলো প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে।
মুসা ইব্রাহিমের এভারেষ্ট জয়ে যেনো গোটা জাতি বিস্ব জয় করলো,
সে রকম একটি উৎসব মুখর আমেজ সারা বাংলাদেশে বিরাজ করেছিলো।
তারপর দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে এভারেষ্টে উঠলেন মুহিত।
কোন সমস্যা নেই।
যতজন খুশি এভারেষ্ট জয় করুক,
এটি বাংলাদেশের গর্ব।
কিন্তু সবাই তো আর প্রথম জয়ী উপাধি পাবে না।
তাই বলে কি রোল এক হওয়া ব্যক্তিকে নকলবাজ বলে
তাকে আউট করে আমাকে সেই স্থান দখল করতে হবে।
এতোদিন পর মুসা ইব্রাহিমকে মিথ্যে/ভুয়া প্রমাণ করলে তো তার তেমন কিছুই হবে না,
কিন্তু বাংলাদেশের চেহেরাটি বিশ্ব দরবারে কেমন দেখাবে,
তা একটু ভেবে দেখুন দয়া করে!
পুনশ্চ-
আমরা এমন এক জাতি,
কেউ যখন উপরে উঠে
আমাদেরকে হাত বাঁড়িয়ে দেয়
উপরে উঠানোর জন্য,
আমরা তার হাত ঠিক-ই ধরি,
কিন্তু উপরে উঠি না,
তাকে টেনে নর্দমায় ফেলার চেষ্টায় ব্যস্ত থাকি।
তাতে করে কে নর্দমায় নিক্ষেপ হচ্ছে
সেটা দেখা ও বোঝার মতো বোধদয় এখনো আমাদের হয় নি!
০ টি 
+০/-০©somewhere in net ltd.
