নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ওই যে সেই অতি চেনা অপরিচিত আপনাদেরই লোক...

ক্ষণিকের আগুন্তুক

আজকের দিনটিই আনন্দ নিয়ে বাঁচুন, আগামীকাল একটা মরীচিকা।

ক্ষণিকের আগুন্তুক › বিস্তারিত পোস্টঃ

অ-মর একুশে ফেব্রুয়ারি!

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:১০

ঘটনা-১
অফিসের ঊর্ধ্বতন চাইনিজ কর্মকর্তা হঠাত বাংলাদেশে এসে তার কাজের প্ল্যান করছে, তাকে বললাম ২১শে ফেব্রুয়ারি আমাদের ছুটির দিন। ওইদিন কোন কাজ রাখা যাবেনা।
শুনে জিজ্ঞেস করল কিসের জন্য ওইদিন ছুটি?
-স্যার, টুয়েন্টি ফার্স্ট ফেব্রুয়ারি ইজ "ইন্টারন্যাশনাল মাদার ল্যাংগুয়েজ ডে"
-হোয়াট ইজ ইট?
-ইউ ডোন্ট নো এবাউট দিজ ডে?
-নো, আই হ্যাভ নো আইডিয়া এবাঊট "ইন্টারন্যাশনাল মাদার ল্যাংগুয়েজ ডে"
-ওহ...আই সি!!

ঘটনা-২
ওই চাইনিজ বসকে নিয়ে একটা রেস্তোরাঁয় দুপুরের খেতে গিয়েছি। সেখানে টিভিতে হিন্দি ফিল্ম চলছে আর হালকা সাউন্ডে গান বাজছে।
টিভির দিকে দেখিয়ে ওই চাইনিজ জিজ্ঞেস করলোঃ
-ইজ ইট বাংলাদেশি ফিল্ম/ড্রামা?
-দিজ ইজ নট বাংলাদেশি ফিল্ম অর ড্রামা।ইটস এন ইন্ডিয়ান চ্যানেল এন্ড দিজ ইজ ইন্ডিয়ান ফিল্ম।
-দ্যা সফট মিউজিক লুক্স লাইক দিজ টিভি সাউন্ড। ইজ ইট অলসু ইন্ডিয়ান?
-ইয়েস স্যার।দিজ ইজ অলসু ইন্ডিয়ান।
-ওহ, ইন ইউর কান্ট্রি এব্রিহোয়ার ইন্ডিয়ান মিউজিক এন্ড ফিল্ম।বিকজ লাস্ট টাইম হোয়েন আই ভিজিট বাংলাদেশ আই সো দিজ থিংকস ইন এনাদার রেস্টুরেন্ট।
-ইয়েস স্যার।হিন্দি মিউজিক এন্ড ফিল্মস আর ভেরি কমন ইন বাংলাদেশ।

আমরা পারিনি "বাংলা"কে বিশ্ব-দরবারে ওই শ্রেনীতে পৌঁছাতে, শুধুমাত্র আমাদের নিজেদের ছোটখাটো এইসব দুর্বলতার কারনেই। আমরা পারিনি সালাম-বরকতদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত ভাষার প্রাপ্য সম্মান দিতে, শুধুমাত্র নিজেদের হীনমন্যতার জন্যই। কাউকে দোষারোপ নয়, শুধু নিজেরা চাইলেই আমরা "বাংলা" ভাষা অর্জনের যে ইতিকথা সেইটা পৌছে দিতে পারি বিশ্বমঞ্চে স্বগৌরবে।আমরাই সমগ্র বিশ্বের একমাত্র জাতি যারা রাজপথ নিজেদের রক্ত দিয়ে রঞ্জিত করার পর অর্জন করেছি মায়ের ভাষা "বাংলা"।

তাই অমুক ভাইয়ের পক্ষ থেকে তমুক ভাইয়ের শুভেচ্ছা আর একদিন ফুলে ফুলে শহীদ মিনার না ভরিয়ে ফেলে মনের ভেতর থেকে জাগ্রত করি একুশের চেতনা যা আমাদের দেশ ও জাতি উভয়ের জন্যই কল্যাণকর। কারণ ভাষার মধ্যে "বাংলা" একমাত্র ব্র্যান্ড যা সর্ব-স্বীকৃত। এখন এই মেসেজটা সবার নিকট পৌঁছে দেয়ার দায়িত্ব আমার, আপনার, আমাদের সকলের। তাহলেই না পরবর্তী বুঝতে পারবে একুশের বিরত্বগাথা, যা ছড়িয়ে যাবে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.