![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রাজপুত্র বিয়ে করবেন।
পাত্রী মিলছে না। চারদিকে লোক চলে গেল। রাজ্যজুড়ে হন্তদন্ত করে পাত্রীর সন্ধান চলছে।
এবার একটা বিহিত না হয়ে পারে না। রাজা নিশ্চিন্ত মনে বসে আছেন।
পাত্রীর সন্ধানকারীরা এক এক করে ফিরে এলো।
কারও মতি-গতি ভাল ঠেকছে না।
রাজা জিজ্ঞেস করলেন, পাত্রীর কোনো সন্ধান পেয়েছ?
একজন বলল, হুজুর, পাত্রীর সন্ধান পেয়েছি সত্য কিন্তু মনের সন্ধান পাই নি।
রাজা হুংকার ছেড়ে বললেন, রাজপুত্রের জন্য পাত্রী চেয়েছি, মনের সন্ধান লওয়ার দরকার কী?
সবাই মাথা ঝাকিয়ে বলল, জি হুজুর, জি হুজুর। পাত্রী মিলেছে। মনের খবর লওয়া আবশ্যক নয়।
বিয়ের আয়োজন চলছে। আনন্দে উদ্বেলিত গোটা রাজ্য। রাজপুত্রের বিয়ে!
পাত্রীর নাম মঞ্জিলা। গরীব ঘরের মেয়ে। পাহাড়বেষ্টিত একটা গ্রামে অনেক কষ্ট করে সে বড় হয়ে উঠছে। সে ওই পাহাড়ের একটা গরিব ঘরের ছেলেকে ভালবাসে। এবং অনেক যত্ন করে সে তাকে মনে মনে লালন করে আসছে। তার সকল কথা, সকল কষ্ট, সকল আনন্দ, সকল স্বপ্ন নিত্য তার সাথে ভাগাভাগি করে লয়। ঝর্ণার স্বচ্ছ জলে আনন্দে ছুটাছুটি করে হাসি-তামাশায় পাহাড় মাতিয়ে তোলে। ভালবাসার মানুষটিকে সে নানাভাবে মনের ভেতরে রোপন করেছে। তার সুখ-স্বপ্ন প্রতিটি মুহূর্তে অংকুরিত হয়ে চারদিকে শাখা-প্রশাখা মেলছে।
কিন্তু অনেক অনুসন্ধানের পর রাজপুত্রের পাত্রী হিসেবে এই মঞ্জিলাকে নির্বাচন করেছে। পাহাড়কোলের গরিব ঘরের মঞ্জিলার নরম বুকখানি হুহু করে উঠল। সে হা-পিত্তেস করে, চোখের জল ফেলে, চিৎকার-চেঁচামেচি করে অনিচ্ছা প্রকাশ করল। তথাপি বিয়ের সানাইয়ের করুণ সুর বেজে উঠল। তার চিৎকারের শব্দ বিয়ের বাদ্যযন্ত্রের নির্মম শিকার হয়ে রাজবাড়ির আনন্দযজ্ঞে সামিল হল।
মহানন্দে বিয়ে সম্পন্ন হয়ে গেল। রাজপুত্র খুশিতে টগবগ করতে লাগল। রাজপরিবারে আনন্দ আয়োজন সার্থক হয়ে উঠল।
ভোরের নতুন আলোয় নতুন করে আরেকটা দিনের সূচনা হলো। সকালে সকলের ঘুম ভাঙ্গল।
নববধূর ঘুম ভাঙ্গল না!
ছবি প্রতিকী
২| ০২ রা জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:১০
রাজীব নুর বলেছেন: সহজ সরল সুন্দর।
৩| ০২ রা জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:২৪
আজাদ প্রোডাক্টস বলেছেন: কি করে কি হয়ে গেল!
৪| ০২ রা জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:১৭
নেওয়াজ আলি বলেছেন: ভীষণ ভালো লাগলো l
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:০৭
কবীর হুমায়ূন বলেছেন: খুবই ভালো লাগলো বিষাদময় গল্পটি। শুভ কামনা।