নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পড়াশোনা করি। লেখালেখি করি। চাকরি করি। লেখালেখি করে পেয়েছি ৩টি পুরস্কার। জাতিসংঘের (ইউনিসেফ) মীনা মিডিয়া এ্যাওয়ার্ড ২০১১ ও ২০১৬ প্রথম পুরস্কার। জাদুর ঘুড়ি ও আকাশ ছোঁয়ার গল্পগ্রন্থের জন্য অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ শিশুসাহিত্য পুরস্কার ২০১৬।

বিএম বরকতউল্লাহ

জানতে চাই।

বিএম বরকতউল্লাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছোটাপু

১৬ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ৯:২৭


খালি দেও দেও কর কেন, একট্ওু দেব না। আজ এই আইসক্রিমটা আমি একাই খাবো। আদরের ছোট ভাই তপুকে ধমক দিয়ে বলল তিন্নি।
‘দেবে না, ঠিক আছে, না দেওয়ার মজা দেখাচ্ছি’, বলেই এক দৌড়ে তিন্নির রুমে গিয়ে দরজা লাগিয়ে দিল তপু।
ঘরের ভেতর থেকে কাপড় ছেঁড়ার শব্দ পেলো তিন্নি।
‘মা, মাগো, তপু আমার নতুন কাপড় ছিঁড়ে ফেলছে, তাড়াতাড়ি আসো।’
‘লক্ষ্মী ভাই, ওড়নাটা তুই ছিড়িস না, এই নে, অর্ধেক আইসক্রিম তোকে দিয়ে দিচ্ছি, ’ বলল তিন্নি।
‘সেই সময় দেওনি কেন, এখন এইটুক খাব না, তোমার সব কাপড় ছিড়ে ফেলব। তারপর ছিঁড়ব তোমার নতুন জুতা।

মায়ের আদর ও ধমকে তপু ঘর থেকে বেরিয়ে এলো। বেরিয়ে যাওয়ার সময় সে ছোঁ মেরে তিন্নির হাত থেকে আইসক্রিমটা নিয়ে নিল। তারপর ধুম করে একটা কিল বসিয়ে উধাও হয়ে গেল। তপু, চেটেপুটে আইসক্রিম খাচ্ছে। তার মধ্যে কাপড় ছেঁড়ার কোনো লক্ষণ নেই।

তিন্নি আর তপু ভাই-বোন। একজনকে ছাড়া আরেক জন কিছুই বোঝে না। অনেক মান-অভিমান চলে ওদের মধ্যে। একটু চোখের আড়াল হলেই ডাকাডাকি আর হই চই শুরু হয়ে যায়। ভাই-বোনের এক আতœা।

তিন্নি চাকরি করে একটি পোশাক তৈরি কারখানায়। সে বাসায় ফেরার সময় একটা কিছু নিয়ে আসে ভাইটির জন্য। তপু প্রতিদিন সন্ধ্যায় তার আপুটির জন্য অপেক্ষায় থাকে। সে তিন্নিকে দেখামাত্র দৌড়ে গিয়ে কোমড় পেঁচিয়ে ধরে। তারপর কিলিয়ে, টেনে, ঠেলে ঠেলে নিয়ে আসে ঘরে।

দুই.
আজ তিন্নির বিয়ে।
তপুর আনন্দের সীমা নেই। তিন্নি নতুন বউ সেজে বসে আছে। তপু একটু পর পর তিন্নির কাছে গিয়ে শরীর ঘেষে বসে। আর বলে, এটা আমার আপু, সুন্দর না? বলেই টান মেরে ঘোমটা খুলে ভোঁ দৌড়।
তিন্নি সবার কাছ থেকে বিদায় নিল। শেষে তপুকে আদর করতে গেল। তপু আনন্দে ব্যস্ত। সে আদরের কোনো মূল্যই দিল না। সে তিন্নিকে ঠেলে ঠেলে গাড়িতে বসিয়ে দিয়ে বলল, তুমি বসো, আমি ঠেলা দেই।
তপু তার সমবয়সী কয়জনকে নিয়ে গাড়ি ঠেলছে। আর সুর করে বলছে হেঁইয়োরে হেঁইয়ো, আপু যায় হেঁইয়ো, গাড়ি চলে হেঁইয়ো।
গাড়িটা দ্রুত চলতে শুরু করল। তপুর হাতছাড়া হয়ে গেল গাড়ি।
এ আর খেলা নয়- বিদায়!
তপুর চোখের পানি গাল বেয়ে মাটিতে পড়ছে। তার মুখ থেকে শব্দ বেরিয়ে এলো ছোটাপু...।
মা, মা, ছোটাপুু কই গেছে?
বেড়াতে গেছে।
কখন আসবে?
দুদিন পর।
আমি ছোটাপুর সাথে কথা বলব না।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:৫৭

নজসু বলেছেন:



শুরুটা সুন্দর ছিলো।
শেষে এসে অবশেষে...

২| ১৬ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: ভীষন সুন্দর।

৩| ১৬ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:০২

নেওয়াজ আলি বলেছেন: নিপুণ

৪| ১৬ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:২৭

ঢুকিচেপা বলেছেন: ভাই বোনের খুনসুটি এবং খুব অল্প কথার মাধ্যমে আবেগ ও শুন্যতার সুন্দর একটি চিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন।
ধন্যবাদ।

৫| ১৬ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:২৮

বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: আপনাদের সুন্দর মন্তব্য পড়ে আমি আনন্দিত।
সবাইকে ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.