নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পড়াশোনা করি। লেখালেখি করি। চাকরি করি। লেখালেখি করে পেয়েছি ৩টি পুরস্কার। জাতিসংঘের (ইউনিসেফ) মীনা মিডিয়া এ্যাওয়ার্ড ২০১১ ও ২০১৬ প্রথম পুরস্কার। জাদুর ঘুড়ি ও আকাশ ছোঁয়ার গল্পগ্রন্থের জন্য অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ শিশুসাহিত্য পুরস্কার ২০১৬।

বিএম বরকতউল্লাহ

জানতে চাই।

বিএম বরকতউল্লাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

পতেৌদির বিড়ালছানা

২১ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:৪৫


বিড়ালছানা এত দুষ্টু হতে পারে যদি জানতাম, তাহলে হাজার টাকা খরচা করে হলেও মেলা থেকে পুতুলবিড়ালছানা এনে দিতাম মেয়েকে। তবুও এই জলজ্যান্ত ডাকাত বিড়ালছানা ঘরে আনতাম না।
আমার এক চিমটি মেয়ে পতৌদি। মেয়ের আবদার রক্ষা করতে গিয়ে যে বিড়ালছানাটি এনে ঘরে তুলেছি এখন তার দুষ্টুমিতে সবাই অস্থির।
একেকবার ইচ্ছে করে বিড়ালছানাটিকে বস্তায় ভরে নিয়ে নদীতে ফেলে দিয়ে আসি, চোখ বেধে দূরে কোনো এক জঙ্গলে রেখে আসি কিংবা ছানাটিকে পিটিয়ে শাসন করি। কিন্তু কিছুই করতে পারছি না আমরা বিড়ালপাগল মেয়েটির কারণে। এই বিড়ালছানা ছাড়া মেয়ে কিছুই বুঝে না। বিড়ালছানাটি বেশি দুষ্টু বলে পতৌদি তাকে অনেক বেশি আদর করে।

উঠোনে মুরগিছানারা টইটই করে ঘুরছে। অমনি সে তাদের ওপর লাফিয়ে পড়বে। লুটোপুটি কারবার। পোষা কুকুরটি বারান্দায় গোল হয়ে ঘুমিয়ে আছে। সে তার গায়ে আছাড় খেয়ে পড়বে। কুকুরটি ঘেউ ঘেউ করে ছুটে যায় বিড়ালছানাকে ধরতে। ছানাটি ফোঁস করে কুকুরের মুখে খামচি বসিয়ে দৌড়ে চলে আসবে পতৌদির কোলে।

ভয়ানক চোর!
চারদিক থেকে অভিযোগ আসতে লাগল বিড়ালছানাটির বিরুদ্ধে। সে যেখানে সুযোগ পায় সেখানেই মুখ দেয়, হাত লাগায়। সে এমন পটু যে, কেউ টের পায় না সহজে। এসব করে সে দৌড়ে এসে পতৌদির কোলে বসে হাত চাটে, পা চাটে, হাই তোলে। দেখে মনে হবে সে কিচ্ছুটি করেনি; তার মতো ভালো ছানাটি জগতে আর নেই।

বিড়ালছানাটির যন্ত্রণায় আমরা অস্থির হয়ে গেলাম। ছানাটিকে এখন কী করা যায়। আমি আর পতৌদির মা পরামর্শ করে ঠিক করলাম, ছানাটিকে আর পোষা যাবে না; দূরে কোথাও ফেলে দিয়ে আসতে হবে। পতৌদি যদি বেশি কান্নাকাটি করে তো প্রয়োজনে অন্য একটা বিড়ালছানা এনে দেবো, তবু এ ছানাটিকে ঘরে রাখব না।

যেই কথা সেই কাজ। আমি চুপি চুপি বিড়ালছানাটিকে একটি চটের ব্যাগে ঢুকিয়ে সোজা চলে গেলাম দূরের একটা জঙ্গলে। জঙ্গলের কিছুটা ভেতরে গিয়ে ব্যাগটির মুখ আলগা করে দিয়ে সোজা চলে এলাম। আসার সময় ছানাটিকে বললাম, বড়ো জ্বালাতন করেছ তুমি, এখন এই জঙ্গলের পাখি ধরে খাও।’

সন্ধ্যার পর আমরা একত্রে খেতে বসলাম।
‘মিঁ-ঞা-ও।’
কে! মিঞাও করল কে? হাতে প্লেট নিয়ে পিঠ বাঁকা করে নিচে তাকিয়ে দেখি পা ঘেষে দাঁড়িয়ে আছে পতৌদির বিড়ালছানাটি!

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:৫১

নেওয়াজ আলি বলেছেন: বিড়াল নিয়ে বসে থাকা বাচ্চা । সুন্দর লিখেছেন।

২১ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:৫২

বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ২১ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি শিশুদের জন্য লিখেন- ব্লগে আর কেউ মনে হয় শিশুদের কথা ভাবে না।

২১ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:৪৫

বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: আসলে সকলের ভেতরেই একটি শিশু বাস করে।
তাই এখানে শিশু না থাকলেও শিশুদের লেখা পড়ছে।
শুভ কামনা।

৩| ২১ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:৩৮

ফুয়াদের বাপ বলেছেন: হাহাহা...মধুর জ্বালাতনে ভোগছেন বুঝা যাচ্ছে। বিড়ালের মা (পতৌদি) কে সতর্ক বার্তা দিতে পারেন যে তোমার বিড়াল যে অপরাধ করবে তার দায়ভার তোমাকে নিতে হবে।

২১ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:৪৮

বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: ফুয়াদের বাপে তো আমাকে ভারী একটা অসুবিধার মধ্যে ফেলে দিলেন।
আপনার মন্তব্যটা পড়ে শোনালাম পতেৌদিকে।
বলল ফুয়াদের বাবা ভাল কথাই বলেছেন। কারণ তিনি বিড়ালকে ভালোবাসেন আর বিড়াল পোষেন মনে হয়। ঠিকাছে আমাকে শাসন করো তবু আমার প্রিয় ছানাটিকে কিচ্ছু বলো না যেন!
কারবারটা দেখছেন কয় কি!

৪| ২১ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:১২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বিড়াল আসলেই খুব আহলাদী হয়!

:)

গল্প বা কাহিনী তে
+++

৫| ২২ শে জুলাই, ২০২০ রাত ২:০৩

আজাদ প্রোডাক্টস বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেছেন।+++

৬| ২৫ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:৩৪

প্রেক্ষা বলেছেন: আমার ও একটা দুষ্টু বিড়াল ছানা আছে,এতো দুষ্টমি করে যে বাসার সবার পাগল হওয়ার মতো অবস্থা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.