![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মনে করি নিজের সম্পর্কে লেখার মত বয়স,সময় বা যোগ্যতা কোনটাই আমার এখনও হয় নি ।তাই কিছু না লেখাই ভাল নয় কি ।তবে ব্লগে এসে একেবারে কিছু না লিখলে কেমন হয় ।আসলে নামটা দেইভাবে দেয়ার উদ্দেশ্য হল শুধু বাকের ভাই নামে তো অনেকেই আছে তাই শেষে রিটার্ন লাগিয়ে নিজে থেকে একটু ভিন্নতা দেয়ার ট্রাই করলাম ।তেমন ভাল কিছু আমার মাঝে নেই ।মারাত্মক বদরাগী আর ডানপিটে স্বভাবের ছেলে ।সত্যের ক্ষেত্রে নিজের বাপকেও ছাড় নেই ।এই তো অবসর সময়ে আসলে বর্তমানে সারাটা দিনই আমার অবসর বলে বিবেচিত ।সারাদিন ভার্চুয়ালেই কেটে যায় ।আর এটা ছাড়া কাজ বলতে আমার প্রিয় কিছু কবুতর রয়েছে তাদের সাথে দিনে তিনবার সময় কাটানো,খাবার দেয়া কিছুক্ষন খেলা করা ।এই তো ফেবু আর কবুতর এই নিয়েই আমার সারা বেলা ।আপ্তত এইটুকুই থাক ।সময়ে অসময়ে পরিবর্তন হবে বলে আশাবাদি ।
প্রায় ৮০ বছর আগের ঘটনা ।তখনো ফুটবল বিশ্বের কিংবদন্তী ব্রাজিলের
পেলের জন্ম হয়নি। আর আরেক কিংবদন্তীর ম্যারাডোনার কথা তো বহু দূরে।
সালটা খুব সম্ভবত ১৯৩৩ কি ৩৪ হবে। ফুটবল তখন হালের ক্রেজ। সর্বভারতীয় ফুটবল দল সফরে গেছেন ইন্দোনেশিয়া। খেলার মাঠে প্রজাপতির মত উড়ছেন৬ ফিট উচ্চতার এক কৃষ্ণকায় যুবক। ইন্দোনেশিয়ার ৪-৫ জন
প্লেয়ারকে কাটিয়ে বল মারলেন গোলপোস্ট বরাবর। আফসোস, গোল হল না। বল লাগল গোলবারে। কি অদ্ভুত ব্যাপার-স্যাপার। মিনিট ৫ এর ভেতর আবারো সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। এইবার গোধরে বসেছেন যুবকটি। তার শর্ট মেজারমেনট তো এমন হবার কথা না। তিনি সরাসরি ম্যাচ পরিচালনা কমিটির
কাছে নালিশ করে বসলেন। গোলপোষ্টের মাপ ছোট আছে। অবিশ্বাস্যের
সুরে মাপা হল গোলপোস্ট। হ্যাঁ, আসলেই ইঞ্চি চারেক ছোট গোলপোস্ট।কি আর করা। শেষে বারে লাগা সবগুলো শর্ট গোল হিসেবে ধরা হল। যে মানুষটির কথা এতক্ষন বলা হল তিনি আর কেউ নন। আমাদের দেশের মানুষ। সামাদ জাদুকর। ফুটবল জাদুকর সামাদ।
যিনি কিনা পেলে,ম্যারাডোনা, ষ্টেফানো,গারিঞ্জা, বেকেনবাওয়ার,
পুস্কাসের বহু বছর আগেই ফুটবলকে দান করেছিলেন শৈল্পিকতা, আর নৈপুণ্যতা।
যিনি কিনা পায়ের জাদুতে হতবাক করেছেন হাজারো দর্শককে। মুলত তার একক নৈপুণ্যে সর্বভারতীয় ফুটবল টিম তৎকালীন গ্রেট ব্রিটেনের মত
শক্তিশালী টিমকে ৪-১ গোলে আর ইউরোপীয় টিমকে ২-১ গোলে পরাজিত
করে। হতবাক হয়ে যায় পুরো ইউরোপের ফুটবল বোদ্ধারা। ফুটবল জাদুকর
সামাদ তার বর্ণাঢ্য ফুটবল ক্যারিয়ারে এমন অনেক বিস্ময়ের জন্ম দিয়েছেন।
তার ২৫ বছরের বর্ণাঢ্য ফুটবল ক্যারিয়ারের সূচনা হয় কিন্তু রংপুরের
তাজ ক্লাবের হয়ে।
সেখান থেকে তিনি যোগদেন কলকাতার এরিয়েন্স ক্লাবে।পরবর্তীতে তিনি ইষ্টবেঙ্গল রেলওয়ে ক্লাব, কোলকাতা মোহনবাগান, ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাবের
হয়েও খেলেছেন।
ক্যারিয়ারের শেষের দিকে তিনি কোলকাতা মোহমেডানের
হয়ে কিছু দিন খেলেছেন। খুব কষ্ট লাগে আমাদের দেশের
তরুনেরা পেলে চেনে,ম্যারাডোনা চেনে,হালের মেসি রোনাল্ডো,
নেইমারকে চেনে, কিন্তু দেশের গর্ব সামাদ জাদুকরকে চেনে না। ভাল মত জানে না। অবশ্য এদের দোষ দিয়ে লাভ নেই। সরকার ই যখন জানানোর
ব্যাবস্থা করেনা,পর্যাপ্ত সুযোগ সৃষ্টি করে না, তখন পোলাপান জানবেই
বা কিভাবে।
আমার জানা নেই জাদুকর সামাদের নাম বইয়ের কোন চিপায় লেখা আছে কিনা। ও হ্যাঁ। সৈয়দ আব্দুস সামাদের নামের আগে জাদুকর উপাধি টি দিয়ে ছিলেন তৎকালীন বাংলার গভর্নর।তিনি তাকে ডাকতেন wizard of
football বলে।
(সংগৃহীত-আমার ফেবু ফ্রেন্ড এর টাইমলাইন থেকে ।)
০৮ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:১১
বাকের ভাই রিটার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ নাছির ভাই আপনার মন্ত্যবের জন্য ।
আমি নিজেও তার সম্পর্কে খুব একটা অবগত নই তবে চেষ্টা করছি জানার জন্য।বিস্তারিত জেনে এইটা নিয়ে আবার পোষ্ট দিব ।
২| ০৮ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:১৭
লিরিকস বলেছেন: +
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৫
নাছির84 বলেছেন: জাদুকর সামাদকে স্মরন করিয়ে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ ভাই।তার সম্পর্কে বিশদ জানতে চাই।