নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
I want very active debate
আবুল কান্ডের শিকার বিআরটিসির বাস ॥ ৩০ বছরের ঋণের বাস দুবছরেই বিকল
বিশ্বব্যাংকের অতিসতর্কতার কারনে পদ্মা সেতুতে আবুল হোসেনের দুর্নীতি প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলেও চিন থেকে আনা ২৭৫টি সিএনজি চালিত বাসের ক্ষেত্রে সেই প্রচেষ্টা সম্ভবত ব্যর্থ হয়নি। আবুল কান্ডের শিকার এসব বাস দু’বছর না পেরোতেই অধিকাংশ বিকল হয়ে গেছে।
যাত্রীসেবার মানোন্নয়নে ২০১০ সালে চীন থেকে সিএনজিচালিত ২৭৫টি একতলা বাস কেনে রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বি আরটিসি)। যাতে ব্যয় হয়েছিল ১১৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। এ খাতে নেয়া ঋণ সরকারকে ৩০ বছর ধরে পরিশোধ করতে হলেও দু’বছরেই তা নষ্ট হতে বসেছে। বি আরটিসির এ বাসগুলো থেকে কোনো আয় না হওয়ায় সুদ-আসল বাবদ প্রতি বছর এখন প্রায় ৪ কোটি টাকা সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকেই পরিশোধ করতে হবে।
জানা গেছে, চীন থেকে আনা বাসগুলোর মধ্যে ২০০টি রাজধানী ও আশপাশে এবং ৬৫টি দূরপাল্লার রুটে নামানো হয়। আর ১০টি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দেয়া হয়। বাসগুলো কেনায় নর্ডিক ডেভেলপমেন্ট ফান্ড (এনডিএফ) থেকে ৯৫ কোটি টাকা ঋণ পাওয়া যায়। শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ সুদে ৩০ বছরে এ ঋণ পরিশোধ করতে হবে। এ ঋণের গ্রেস পিরিয়ড ১০ বছর। প্রকল্পের অবশিষ্ট ব্যয় ১৮ কোটি ৬৩ লাখ টাকা সরকার বি আরটিসিকে ৬ শতাংশ সুদে ঋণ হিসেবে দেয়। দুই বছর গ্রেস পিরিয়ড শেষে চলতি বছর থেকে বি আরটিসির কাছ থেকে সরকারের এ অর্থ ফেরত নেয়ার কথা রয়েছে।
দেখা গেছে, মিরপুর ১২ নম্বর ডিপোয় সিএনজিচালিত ৪০টি বাসের মধ্যে ২০টিই নিয়মিত সার্ভিসে নেই। জোয়ারসাহারা ডিপোয় ৫৫টি বাসের ৪০টিই বিকল হয়ে আছে। অন্য ডিপোগুলোয়ও একই চিত্র। ইঞ্জিন ওভারহোলিং (বড় ধরনের মেরামত) ছাড়া অধিকাংশ বাস চলাচলের উপযোগী করা সম্ভব নয়। যেগুলো চলছে, সেগুলোর পেছনেও নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ খরচ হিসেবে বড় অঙ্কের অর্থ ব্যয় হচ্ছে। গত দুই বছরে এসব বাস পরিচালনা থেকে যে অর্থ আয় হয়েছে, তার বেশির ভাগই খরচ হয়েছে এগুলোর মেরামতকাজে। দুই বছরে বাসগুলোর মেরামত ব্যয় ৭৭ লাখ আর আয় ৮০ লাখ টাকা। ফলে প্রথম দুই বছর ঋণের কিস্তি ঠিকমতো পরিশোধ করতে পারেনি বি আরটিসি। সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকেই এ ঋণ পরিশোধ করতে হয়।
সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনের সময়ে কেনা চীনের এ বাসগুলো নিয়ে স্বস্তিতে নেই যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ও। সম্প্রতি এ ব্যাপারে অসন্তোষ প্রকাশ করেন বর্তমান যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও। এ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের জানান, জনগণের সেবার জন্য সরকার বি আরটিসিকে বাস কিনে দেয়। কিন্তু এত নিম্নমানের বাস কেনার কারণ তার জানা নেই। তবে এগুলো মেরামত করে দ্রুত রাস্তায় নামানোর জন্য বি আরটিসিকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বি আরটিসি বেশির ভাগ সময়ই সস্তায় নিম্নমানের গাড়ি কেনে, এমন অভিযোগ দীর্ঘদিনের। ফলে সংস্থাটির যাত্রীবাহী বাসের গড় আয়ু তিন বছরের বেশি হয় না। শুধু ১ কোটি ২৫ লাখ টাকায় কেনা ভলভো বাসগুলোই চলেছিল প্রায় পাঁচ বছর। যদিও সেগুলোর আয়ুষ্কাল ছিল ১৫ বছর। ঠিকমতো রক্ষণাবেক্ষণ করা হলে গাড়িগুলো ২০ বছর চালানো যেত।
কোরিয়া, জাপান বা ইউরোপের বিভিন্ন দেশে তৈরি বাসের ইকোনমিক লাইফ (অর্থনৈতিক আয়ুষ্কাল) ১২-১৫ বছর। তবে নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করলে সেসব বাস থেকে সহজেই ২০ বছর সেবা পাওয়া যায়। এজন্য ২০০৯ সালে এনডিএফের ঋণে ইউরোপ থেকে ১০০ বাস কেনার উদ্যোগ নেয় বি আরটিসি। কিন্তু ইউরোপের বাসের দাম বেশি হওয়ায় সে অর্থে মাত্র ৯০টি বাস কেনার প্রস্তাব পাওয়া যায়। এ অবস্থায় শর্ত পরিবর্তন করে চীনকেও দরপত্রে অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেয় বি আরটিসি। এতে চীনের ডংফেং ইয়াংস্টেজ মোটরস কোম্পানি লিমিটেড অস্বাভাবিক কম দর জমা দেয়। ফলে ঋণের ওই অর্থে চীন থেকে ২৭৫টি বাস কেনে বি আরটিসি। এক্ষেত্রে সংস্থাটির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে।
শুরু থেকেই নানা সমস্যা দেখা দিতে থাকে বাসগুলোয়। এক বছরের মধ্যেই প্রায় সব বাসের পাখা নষ্ট হয়ে যায়। বেশির ভাগ বাসের পেছনের দরজা ও বেশ কয়েকটি বাসের সামনের দরজা অকেজো হয়ে পড়ে। অল্প সময়ের মধ্যেই খসে পড়তে থাকে বডির বিভিন্ন অংশ। এরপর ইঞ্জিনের ত্রুটির কারণে একের পর এক বিকল হয়ে পড়ে বেশির ভাগ বাস।
তবে এ অবস্থার জন্য নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ না করাকেই দায়ী করেন বি আরটিসির পরিচালক (কারিগরি) কর্নেল মো. আবদুল্লাহিল করিম। তিনি বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নেয়ার পর দেখতে পাই, বাসগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে না। কোন বাস কী কারণে বসে আছে, তারও কোনো তথ্য সংরক্ষণে নেই। এরপর অনুসন্ধান চালানোর পর দেখা যায়, দুই বছরে বাসগুলোর কোনো ধরনের মেরামতকাজ হয়নি। কেনার সময় অতিরিক্ত ১০ শতাংশ খুচরা যন্ত্রাংশ কেনা হয়েছিল, যা শেষ হয়ে যাওয়ায় রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। বাসগুলো পুনরায় চালু করতে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন যন্ত্রাংশ আমদানির চেষ্টা করা হচ্ছে। আশা করি, দুই মাসের মধ্যে মোটামুটি সব বাসেরই মেরামতকাজ সম্পন্ন হবে।’ খাসখবর ।
স্থানীয় সময় : ০১০০ ঘণ্টা , ১৪ জুলাই ২০১৩
Click This Link
******************
বিগত সাড়ে চার বছরের র্দূনীতি-লুটপাট, জুলুম এবং ভারতীয় তাবেদারীতে অতিষ্ঠ হয়ে ৫টি সিটি কর্পোরেশনের সিংহভাগ জনগণ আওয়ামী প্রার্থীদের প্রত্যাখান করাতে হাসিনার মাথা খারাপ হয়ে গেছে। কারণ হাসিনা বাংলাদেশকে তার পৈতৃক সম্পত্তি মনে করে। এই কারণেই তার দম্ভোক্তি;
জিতেছে অসৎরা: হাসিনা
Click This Link
তার মানে যারাই আম্লীগ করে তারা কেউ ভাজা মাছ উল্টায়া খাইতে জানে না। আজকে মানুষের আয়ের চেয়ে ব্যায় বেশী হয়ে দেউলিয়া হওয়ার জোগাড়। অথচ হাসিনার কথা হল দেশের মানুষের জীবন-যাপন বিগত চার বছরে অনেক উন্নত করছে। হাসিনা আক্ষরিক অর্থেই বাংলাদেশে হীরক রাজার মত শাসক হিসেবে পরিণত হতে চায়। তার মন্ত্রী, নেতা-কর্মীরা দেশের জনগণের কষ্টের টাকা হরিলুট করলেও সেটাতো কোন দোষেরই না বরং দেশপ্রেমিক উপাধি পেয়ে যায়। আওয়ামী-বাকশালী সমর্থকদের সাথে কিছু সুশীলও এমন ভাবে গলা মিলায় যে এই লুটপাট তেমন কিছু না। এই কারণেই কোন প্রকার বাছ বিচার না করে বিআরটিসির জন্য নিম্ন মানের বাস চায়না থেকে আমদানী করা হয়েছে। এখন বাস গুলি নষ্ট হলেও রাষ্ট্রকে ১১৩ কোটি টাকা শোধ করতে হবে। আয় না হলেও জনগণের ঘাড়ে এই লোকসান চাপবে। তাতে কি আবুল গং কমিশন পেলেই হল। দেশপ্রেমিক হিসাবে আবুল হোসেন ও আওয়ামী-বাকশালী গং লুটপাট করতেই পারে। কারণ হাসিনাই এর লাইসেন্স দাত্রী! আর পক্ষান্তরে বিরোধী দল সুষ্ঠ নির্বাচনে জিতলেও সে অসৎ। মানে আঙুর ফল টক!
১৪ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:১১
বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: হাসিনা দুনিয়া তোলপার করলেও অন্যের মুখের পান থেকে চুন খসলেও সেটা বিশাল ব্যাপার হয়ে দাড়ায়।
২| ১৪ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ৯:২৩
ঢাকাবাসী বলেছেন: শোনা যায় মালের ভাগ খালি আবুল পায়না তার বসকেও দিতে হয় মোটা অংশ।
১৪ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:১২
বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: এর জন্যইতো দেশপেরমিক হইছে। হাসিনার পক্ষে চুরি-লুটপাট করলে সে অবশ্যই মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি
ধন্যবাদ।
৩| ১৪ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ৯:৪৬
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
দোতালা হলুদ রঙের ভলভো বাসগুলো অনেক ভালো বাস ছিলো কিন্তু কেন যে ওই বাস বন্ধ করে দেয়া হলো। মনে হয় সেগুলোও গ্রাস করে ফেলেছে সৎ দেশ প্রেমিকেরা।
১৪ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:১৩
বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: ভলভো বাসে মনে হয় কমিশন কম। আর চীনারা কম দামে ও কমিশন চাইলে কখনই ভাল মানের পণ্য দেয় না।
৪| ১৪ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৩১
স্পেলবাইন্ডার বলেছেন: ভাই, খুব চিন্তায় আছি। দেশের মালিকের কন্যা বলেছেন, ঈদের পর থেকে তিনি পৈতৃক টাকায় যে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়িয়েছেন, তা বন্ধ করে দিবেন। আমরা অধম জনতা আসলেই দাঁত থাকতে দাঁতের মর্যাদা বুঝি না!
১৪ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:১৬
বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: গলাকাটা দামে বিদ্যুৎ দিয়া দেশ ও জনগণের আর্থিক ক্ষতি করে আবার গলাবাজি। একেই বলে হাসিনার চুরি তার উপর শিনাজুড়ি
ধন্যবাদ।
৫| ১৪ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৩৬
ধীবর বলেছেন: মিয়া আপনার সাহস তো কম না। বুবুর সার্টিফিকেটধারি দেশপ্রেমিকের নামে উলটা পালটা বলেন ! এই সব বলে যুদ্ধাপরাধীদের বাচানো যাবে না। আপনি পোস্ট ড্রাফট নিবেন, নাকি হাকা বা হারুইন্না ভাইরে ডাক দিবো?
আর ঠিকই তো ! বুবুর লাঠিয়াল বাহিনী থাকা সত্ত্বেও একটা ইলেকশনেও জিত্তে পারলো না আওয়ামি লিগ, তার মানে কি? মানে তার চেয়ে বড় সন্ত্রাসিরা (যাদের সম্বল খালি ভোট প্রদান করা) এই ভোটে জিতেছে।
১৪ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:১৮
বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ ধীবর ভাই।
৬| ১৪ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৪৩
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: বাজি ভাই, বিএনপি এর নির্বাচিত মেয়রদের নামে ১/২ টা রাজনৈতিক মামলা থাকায় যদি তারা অসৎ হয় তবে প্রধানমন্ত্রী কত বড় অসৎ ব্যক্তি কারন তার নামে ১৭ টা মামলা ছিল।
১৪ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:২৩
বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সার্টিফিকেট দাত্রী হাসিনা কি কোন অপরাধ করতে পারে? প্যারোলে সে প্রধানমন্ত্রী হইছে...আজকে সেই আবার ঝাড়ি দেয়। আসলে কম্বল চোট্টা মুজিব কোর্টওয়ালারা সারা জীবন পরের গীবত গায়া নিজেদের দোষ ঢাকে।
অনেক ধন্যবাদ পলাশ ভাই।
৭| ১৪ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:১৫
মাজহারুল হুসাইন বলেছেন: আমরা আসলেই উন্নত হয়ে গিয়েছি । এখন বিশ্ববাজারের সাথে সামঞ্জস্য রেখে খরচ করতে হয় জীবন ধারণ করতে ।
১৪ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:২৫
বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: আওয়ামী-বাকশালীরা গাছেরটাও খায় আবার তলেরটাও খায়। তাতে দেশ ও জনগণের ক্ষতি হইলে তাদের কমিশনে কোন ঘাটতি হয় না।
ধন্যবাদ।
৮| ১৪ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১২
নেয়ামূল হক বলেছেন: পদ্মা সেতুর নাম 'পদ্মা আবুল সেতু' করার জোড় দাবী জানাচ্ছি।
পোস্টে +
১৪ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:২৫
বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন:
ধন্যবাদ।
৯| ১৫ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৫২
বলশেভিক বলেছেন: আবুল মামা হাসিনা সার্টিফাইড মিল্ক পিউরিফাইড হোলি ব্যাসিল।(h.s.m.p.h.b)
১৫ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ২:৪০
বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন:
ধন্যবাদ ভাই।
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ৮:৩৭
সেমিবস বলেছেন: Click This Link